খুঁজুন
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন, ১৪৩১

ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও আরও কর্মী নিতে আমিরাতের প্রতি আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:১২ অপরাহ্ণ
ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও আরও কর্মী নিতে আমিরাতের প্রতি আহ্বান

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং দেশ থেকে আরও বেশি কর্মী নিয়োগের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দুই দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠকগুলোতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বাণিজ্য ও ব্যবসার সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম বন্দরে আমিরাতি বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং ক্রীড়া ও শিক্ষা খাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়।

তিনি আমিরাতি কোম্পানিগুলোকে তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করার আমন্ত্রণ জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রধান উপদেষ্টা আমিরাতি ব্যবসার জন্য একটি বিশেষ শিল্প পার্ক স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদিকে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে একটি ‘হালাল পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, যেখানে কম খরচে শ্রম সুবিধা পাওয়া যাবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তিনি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করতে চান।

প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষ করেন। তিনি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে অংশগ্রহণের পর দেশে ফিরে যান।

প্রধান উপদেষ্টা দুবাই বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে দেশে ফেরার সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড. আহমদ বেলহৌল আল ফালাসি তাকে বিদায় জানান।

আখাউড়ায় রাতের আঁধারে আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টারিং

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৫ পূর্বাহ্ণ
আখাউড়ায় রাতের আঁধারে আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টারিং

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হকের মুক্তি চাই পোস্টারে ছেয়ে গেছে আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এসব ছবির ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমন পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। এসব পোস্টারে নিচে সৌজন্যে কসবা-আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন লেখা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজির বাজার ও আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় লাগানো হয় এসব পোস্টার।

পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে, মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপসহীন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

উপজেলা দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি মো. আল-আমীন ভূঁইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, থানা পুলিশ নির্বিকার অথচ অপারেশন ডেভিল হান্টের নামে কিছু চুনোপুঁটি ধরে নিয়ে এসে দায় মুক্তি পেতে চাচ্ছে। প্রশাসনের উদাসীন মনোভাব কিংবা ম্যানেজ হয়ে যাওয়া নিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. মহসিন ভুঁইয়া বলেন, রাতের আঁধারে যারা এ কাজটি করেছে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রকৃত অপরাধীদেরকে ধরার চেষ্টা করছি।

আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, শনিবার সকালের দিকে সাবেক আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টার লাগানোর বিষয়টি আমি শুনেছি, যারা রাতের আধারে কাজটি করেছে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এ কাজ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই করেছে।

এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি ছমিউদ্দিন বলেন, পোস্টার লাগানোর বিষয়টি নিয়ে আমাদের পুলিশের একটি দল মাঠে কাজ করছে। কাজটি যেই করে থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থানের ১০ম দিন

ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী উপদেষ্টা এমপিদের তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:১৮ পূর্বাহ্ণ
ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী উপদেষ্টা এমপিদের তালিকা প্রকাশ

জুলাই গণহত্যার পর পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও দোসর রাজনৈতিক দলগুলোর মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপিদের ফ্যাসিবাদী ঘোষণা করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থানকারী ছাত্রজনতা এ তালিকা প্রকাশ করেন। গণঅবস্থানের দশম দিন উপলক্ষে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা ঘোষণা করেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান।

তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদ বিলোপে আমরা এ গণঅবস্থান থেকে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছি। এর তৃতীয় দফার আলোকে আমরা আজ ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপিদের তালিকা প্রকাশ করছি। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী রেজিমের সব মন্ত্রীসভার সদস্য ও উপদেষ্টাদের ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী ঘোষণা করছি। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার ও ফ্যাসিস্ট হিসেবে ৭-১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার দাবি জানাই।”

তিনি আরো বলেন, “যারা উগ্র ফ্যাসিস্ট মন্ত্রী ছিলেন, তাদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিতে হবে। যারা বিতর্কিত নয় এবং তুলনামুলকভাবে কম খারাপ, তারা স্রেফ হাসিনার মন্ত্রীসভার সদস্য হওয়ায় কারণে সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন। এরা কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। জনপরিসরে, গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে বক্তৃতা করতে পারবেন না।”

ফজলুর রহমান বলেন, “তালিকায় যেসব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও উপদেষ্টার নাম রয়েছে, আমরা তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাই।”

ফ্যাসিবাদীদের তালিকা প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, যুগ্ম-আহ্বায়ক ডা. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান ও আব্দুস সালাম, সদস্য মাহমুদুল হাসান ফয়সাল, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো. ফরহাদ আহমদ আলী প্রমুখ।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে রাজু ভাস্কর্যের চলমান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনশনে যোগ দেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরার শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান শুরু হয়।

পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। দাবিগুলো হলো- ⁠গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, তাদের মিত্র ১৪ দল এবং এসব দলের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে; ⁠সব ফ্যাসিবাদী দল, তাদের কার্যালয় ও সব সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে অধিগ্রহণ করে তা ফ্যাসিবাদী আমলে নির্যাতিত অসহায় মজলুমদের পুনর্বাসনে ব্যবহার করতে হবে।

অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-⁠ ⁠২০০৯-২০২৫ পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট সরকারগুলোর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সব মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যকে ডেজিগনেটেড ফ্যাসিস্ট ঘোষণা করে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে;⁠ ⁠ফ্যাসিবাদ ধারণ করে গড়ে ওঠা নব্য ফ্যাসিবাদী বা একই চরিত্রের যেকোনে দল ও সংগঠনকেও নিষিদ্ধ করতে হবে; ⁠ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে।

টগর সিনেমায় দীঘি বাদ, থাকবে পূজা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:১২ পূর্বাহ্ণ
টগর সিনেমায় দীঘি বাদ, থাকবে পূজা

জানুয়ারির শুরুতে নতুন সিনেমার ঘোষণা দেন পরিচালক আলোক হাসান। সিনেমার নামা রাখা হয় ‘টগর’। নায়ক আদর আজাদের বিপরীতে প্রার্থনা ফারদীন দীঘিকে রেখে তখন সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার প্রকাশ করা হয়। এবার জানা গেল, সিনেমাটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দীঘিকে।

সম্প্রতি সিনেমাটির মোশন পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে। পোস্টারে দীঘিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় রাখা হয়েছেন অভিনেত্রী পূজা চেরিকে।

নায়িকা পরিবর্তন প্রসঙ্গে সিনেমার পরিচালক আলোক হাসান বলেন, একাধিক কারণে আমরা নায়িকা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি। তবে পেছনের বিষয় নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। আমি মনে করি পূজা চেরিকে এই প্রজেক্টে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।

পূজা চেরি বলেন, অলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগেও আমার কাজ হয়েছে। এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং এর কারণে আমি নিজেও কাজটি করতে চাইনি। তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে বুঝাতে সমর্থ্য হয় এবং আমারও গল্পটি পছন্দ হওয়ায় রাজি হয়ে যাই।

সিনেমাটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, গত চার মাস যাবত আমার এই প্রজেক্টের সঙ্গে ওঠাবসা। মাঝখানে কিছু শুট হয়েছে। অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে এবং পুরো প্রোডাকশন ইউনিট কাজটা নিয়ে দারুণ আশাবাদী।

‘টগর’ সিনেমাটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও প্রযোজনায় রয়েছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক। সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম।

আদর আজাদ ও পূজা চেরি ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করবেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

আগামী ঈদুল আযহায় প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।