খুঁজুন
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন, ১৪৩১

ভারত কত শুল্ক ধার্য করল তাতে কিছু যায় আসে না: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:১৯ অপরাহ্ণ
ভারত কত শুল্ক ধার্য করল তাতে কিছু যায় আসে না: ট্রাম্প

যেসব দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে, তাদের ওপর শুল্ক আরোপের ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেসব দেশের বাণিজ্যনীতি ট্রাম্পের মতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্যায্য তাদের ওপর এই শুল্ক আরোপ করা হবে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প একটি স্মারকের মাধ্যমে তাঁর কর্মীদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন। নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতিটি দেশের জন্য পৃথক কাস্টম শুল্ক নীতি তৈরি করতে হবে। এতে দেশগুলোর বিদ্যমান শুল্ক, বিনিময় হার, বাণিজ্য ভারসাম্য এবং অন্যান্য নীতিমালা বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রেসিডেন্টের সই করা স্মারকে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ‘পারস্পরিক বাণিজ্য ও শুল্ক’ নীতির জন্য ১৮০ দিনের মধ্যে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। ট্রাম্পের মনোনীত বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, তাঁর দল আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে প্রেসিডেন্টকে এই পরিকল্পনা জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

ট্রাম্প পারস্পরিক শুল্ক নীতিকে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং উৎপাদন শিল্পকে চাঙা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘যদি আপনি যুক্তরাষ্ট্রে আপনার পণ্য তৈরি করেন, তাহলে কোনো শুল্ক নেই। শুধু ন্যায্য কাজটিই করছেন। প্রায় সব ক্ষেত্রেই, তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি শুল্ক নিচ্ছে, কিন্তু সেই দিন শেষ। এই কাজ অনেক আগেই করা উচিত ছিল।’

হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে অন্যান্য দেশগুলোর আরোপিত শুল্কই মূল সমস্যা নয়, বরং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু নীতিও যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকারকদের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করছে।

যদিও এই পরিকল্পনা নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে, তবে এই ঘোষণা বিশ্বব্যাপী নতুন বাণিজ্য আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের প্রভাব ভারতের মতো দেশগুলোর ওপরও পড়তে পারে। ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোর তুলনামূলক বেশি শুল্ক রয়েছে এবং তারা রপ্তানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।

ট্রাম্প ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে এই স্মারকে সই করেন। মোদি ইতিমধ্যেই মোটরসাইকেলের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। পরে বৃহস্পতিবার মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের ওপর যতটুকু শুল্ক বসাবে, আমরা তাদের ওপরও ততটুকুই বসাব।’

ভারতসহ অন্যান্য দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ নিয়ে হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র যে দেশগুলোর সঙ্গে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত জাতি (এমএফএন) মর্যাদায় বাণিজ্য করে, তাদের জন্য কৃষিপণ্যের গড় শুল্ক মাত্র ৫ শতাংশ। কিন্তু ভারতের গড় প্রযোজ্য এমএফএন শুল্ক ৩৯ শতাংশ।

ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত মার্কিন মোটরসাইকেলের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, অথচ আমরা ভারতীয় মোটরসাইকেলের ওপর মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ শুল্ক নিই।’

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির আগে থেকেই থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য পর্যালোচনা করছেন। ট্রাম্পের ঘোষণার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নও জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শুল্ক হার কম রেখেছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের গড় শুল্ক হার ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যেখানে ইউরোপের গড় শুল্ক হার ৫ শতাংশ।

হোয়াইট হাউস তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরার সময় বিভিন্ন শুল্ক নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেছে, ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গাড়ির ওপর মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক নেওয়া হয়। এ ছাড়া ব্রাজিল ইথানল আমদানির ওপর ১৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র একই পণ্যের ওপর মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক নেয়।

এই সপ্তাহের শুরুতে, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে সব ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার নির্দেশ দেন, যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলসহ কিছু দেশের জন্য থাকা ছাড় তুলে নেয়। এই শুল্ক আগামী মাসে কার্যকর হওয়ার কথা।

তিনি চীন থেকে আসা সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কও বাড়িয়েছেন এবং কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন, যা মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।

আখাউড়ায় রাতের আঁধারে আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টারিং

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৫ পূর্বাহ্ণ
আখাউড়ায় রাতের আঁধারে আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টারিং

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হকের মুক্তি চাই পোস্টারে ছেয়ে গেছে আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এসব ছবির ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমন পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। এসব পোস্টারে নিচে সৌজন্যে কসবা-আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন লেখা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজির বাজার ও আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় লাগানো হয় এসব পোস্টার।

পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে, মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপসহীন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

উপজেলা দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি মো. আল-আমীন ভূঁইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, থানা পুলিশ নির্বিকার অথচ অপারেশন ডেভিল হান্টের নামে কিছু চুনোপুঁটি ধরে নিয়ে এসে দায় মুক্তি পেতে চাচ্ছে। প্রশাসনের উদাসীন মনোভাব কিংবা ম্যানেজ হয়ে যাওয়া নিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. মহসিন ভুঁইয়া বলেন, রাতের আঁধারে যারা এ কাজটি করেছে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রকৃত অপরাধীদেরকে ধরার চেষ্টা করছি।

আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, শনিবার সকালের দিকে সাবেক আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টার লাগানোর বিষয়টি আমি শুনেছি, যারা রাতের আধারে কাজটি করেছে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এ কাজ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই করেছে।

এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি ছমিউদ্দিন বলেন, পোস্টার লাগানোর বিষয়টি নিয়ে আমাদের পুলিশের একটি দল মাঠে কাজ করছে। কাজটি যেই করে থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থানের ১০ম দিন

ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী উপদেষ্টা এমপিদের তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:১৮ পূর্বাহ্ণ
ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী উপদেষ্টা এমপিদের তালিকা প্রকাশ

জুলাই গণহত্যার পর পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও দোসর রাজনৈতিক দলগুলোর মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপিদের ফ্যাসিবাদী ঘোষণা করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থানকারী ছাত্রজনতা এ তালিকা প্রকাশ করেন। গণঅবস্থানের দশম দিন উপলক্ষে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা ঘোষণা করেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান।

তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদ বিলোপে আমরা এ গণঅবস্থান থেকে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছি। এর তৃতীয় দফার আলোকে আমরা আজ ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপিদের তালিকা প্রকাশ করছি। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী রেজিমের সব মন্ত্রীসভার সদস্য ও উপদেষ্টাদের ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী ঘোষণা করছি। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার ও ফ্যাসিস্ট হিসেবে ৭-১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার দাবি জানাই।”

তিনি আরো বলেন, “যারা উগ্র ফ্যাসিস্ট মন্ত্রী ছিলেন, তাদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিতে হবে। যারা বিতর্কিত নয় এবং তুলনামুলকভাবে কম খারাপ, তারা স্রেফ হাসিনার মন্ত্রীসভার সদস্য হওয়ায় কারণে সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন। এরা কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। জনপরিসরে, গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে বক্তৃতা করতে পারবেন না।”

ফজলুর রহমান বলেন, “তালিকায় যেসব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও উপদেষ্টার নাম রয়েছে, আমরা তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাই।”

ফ্যাসিবাদীদের তালিকা প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, যুগ্ম-আহ্বায়ক ডা. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান ও আব্দুস সালাম, সদস্য মাহমুদুল হাসান ফয়সাল, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো. ফরহাদ আহমদ আলী প্রমুখ।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে রাজু ভাস্কর্যের চলমান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনশনে যোগ দেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরার শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান শুরু হয়।

পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। দাবিগুলো হলো- ⁠গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, তাদের মিত্র ১৪ দল এবং এসব দলের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে; ⁠সব ফ্যাসিবাদী দল, তাদের কার্যালয় ও সব সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে অধিগ্রহণ করে তা ফ্যাসিবাদী আমলে নির্যাতিত অসহায় মজলুমদের পুনর্বাসনে ব্যবহার করতে হবে।

অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-⁠ ⁠২০০৯-২০২৫ পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট সরকারগুলোর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সব মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যকে ডেজিগনেটেড ফ্যাসিস্ট ঘোষণা করে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে;⁠ ⁠ফ্যাসিবাদ ধারণ করে গড়ে ওঠা নব্য ফ্যাসিবাদী বা একই চরিত্রের যেকোনে দল ও সংগঠনকেও নিষিদ্ধ করতে হবে; ⁠ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে।

টগর সিনেমায় দীঘি বাদ, থাকবে পূজা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:১২ পূর্বাহ্ণ
টগর সিনেমায় দীঘি বাদ, থাকবে পূজা

জানুয়ারির শুরুতে নতুন সিনেমার ঘোষণা দেন পরিচালক আলোক হাসান। সিনেমার নামা রাখা হয় ‘টগর’। নায়ক আদর আজাদের বিপরীতে প্রার্থনা ফারদীন দীঘিকে রেখে তখন সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার প্রকাশ করা হয়। এবার জানা গেল, সিনেমাটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দীঘিকে।

সম্প্রতি সিনেমাটির মোশন পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে। পোস্টারে দীঘিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় রাখা হয়েছেন অভিনেত্রী পূজা চেরিকে।

নায়িকা পরিবর্তন প্রসঙ্গে সিনেমার পরিচালক আলোক হাসান বলেন, একাধিক কারণে আমরা নায়িকা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি। তবে পেছনের বিষয় নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। আমি মনে করি পূজা চেরিকে এই প্রজেক্টে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।

পূজা চেরি বলেন, অলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগেও আমার কাজ হয়েছে। এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং এর কারণে আমি নিজেও কাজটি করতে চাইনি। তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে বুঝাতে সমর্থ্য হয় এবং আমারও গল্পটি পছন্দ হওয়ায় রাজি হয়ে যাই।

সিনেমাটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, গত চার মাস যাবত আমার এই প্রজেক্টের সঙ্গে ওঠাবসা। মাঝখানে কিছু শুট হয়েছে। অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে এবং পুরো প্রোডাকশন ইউনিট কাজটা নিয়ে দারুণ আশাবাদী।

‘টগর’ সিনেমাটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও প্রযোজনায় রয়েছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক। সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম।

আদর আজাদ ও পূজা চেরি ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করবেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

আগামী ঈদুল আযহায় প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।