খুঁজুন
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন, ১৪৩১

সব জনতাই সমস্যা ক্রিয়েট করছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
সব জনতাই সমস্যা ক্রিয়েট করছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সব জনতাই সমস্যা তৈরি করছে, তবে সব জনতাকেই সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তৌহিদি জনতার মব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের নদীপথ ও সমূদ্র উপকূলের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কোস্ট গার্ডের। তারা এটি খুব ভালোভাবে করে যাচ্ছে। আপনারা জানেন মিয়ানমার সীমান্তে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। কোস্ট গার্ড সফলতার সঙ্গে সমাধান করছে। বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা আমাদের সীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রেও কোস্ট গার্ড ভালো ভূমিকা রাখছে।

উপকূল এলাকায় মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি প্রবেশ করছে। এইসব এলাকায় আপনাদের নজরদারি কতটা আছে? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন আমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের যে অঞ্চল আছে ওই এলাকায় বর্তমানে মিয়ানমার সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ জন্য কোস্ট গার্ড ও বিজিবির কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু তারা সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে তাই আমাদের উপকূল এলাকা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। এখানে কোনো ধরনের সমস্যা নেই।

সীমান্তে ও টেকনাফে রোহিঙ্গা সমস্যা রয়েছে। এরমধ্যে পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়া হয়েছে। এর কারণে রোহিঙ্গারা সহজে পাসপোর্ট পেয়ে যাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন উঠিয়ে দেওয়া আমাদের অনেক দিনের চেষ্টা ছিল। রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পাওয়া সহজ হবে না কারণ ভোটার আইডি কার্ড (এনআইডি) ছাড়া পাসপোর্ট করা যায় না। তাই রোহিঙ্গারা যেন জাতীয় পরিচয়পত্র না পায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করবো। যারা পেয়েছে তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। তবে কী পরিমাণ আছে সেটা বলা যাচ্ছে না।

আরাকান আর্মিরা সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করে বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সীমান্ত এলাকায় ঢুকে কাউকে নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। আপনারা জানেন আমাদের জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে সীমানা অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করে ফেললে তখন এই ঘটনা ঘটে।

সম্প্রতি দেখা গেছে, বইমেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তৌহিদি জনতা পরিচয়ে মব সৃষ্টি করা হচ্ছে, এমনকি ফুলের দোকানও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সব জনতাই বিভিন্ন সমস্যা ক্রিয়েট করছে। তবে আমরা সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করছি, দায়িত্ব আমাদের। কোন ধরনের জনতা কিসের জন্য মব ক্রিয়েট করে সেটার ব্যাপারে গণমাধ্যমকেও খেলায় রাখতে হবে। দেশের জন্য যেটা উপকারি সেটা দেখতে হবে, করতে হবে। ব্যক্তিগত লাভের থেকে দেশের জন্য যেটা লাভজনক সেটা বেশি দেখতে হবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি আমাদের সব জায়গায় গ্রাস করে নিয়েছে। এই দুর্নীতি যদি কমানো যায় তাহলে সব সেক্টরে উন্নতি হবে৷ আমাদের বড় সমস্যা এটা। যদি আমরা দুর্নীতি করি আপনারা সেটা প্রকাশ করে দেন।

দুর্নীতি এই সরকারের ৬ মাসে কমেছে না বেড়েছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গত ৬ মাসে আগের থেকে অনেক দুর্নীতি কমেছে, তবে সহনীয় পর্যায়ে আসেনি।

পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকে সাধারণ মানুষ কাঙিক্ষত সেবা পাচ্ছে না এবং পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা যত অফিসারকে আইনের আওতায় এনেছি, গত ৫৩ বছরে তা হয়নি। আমরা যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি সেখানে ব্যবস্থা নিচ্ছি। রিপোর্ট হওয়ার পর আমাদের তদন্ত করতে হয়। অনেক সময় সত্যতা পাওয়া যায় আবার অনেক সময় মোটিভেটেড সংবাদও পাওয়া যায়। এজন্য যেটার সত্যতা পাওয়া যায় সেটাতে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেমন আজকে একটি খবর দেখলাম, সঙ্গে সঙ্গে ওটার ইনভিস্টিগেশন শুরু করতে বলেছি। সত্যতা পাওয়া গেলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

আখাউড়ায় রাতের আঁধারে আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টারিং

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৫ পূর্বাহ্ণ
আখাউড়ায় রাতের আঁধারে আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টারিং

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হকের মুক্তি চাই পোস্টারে ছেয়ে গেছে আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এসব ছবির ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমন পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। এসব পোস্টারে নিচে সৌজন্যে কসবা-আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন লেখা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজির বাজার ও আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় লাগানো হয় এসব পোস্টার।

পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে, মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপসহীন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

উপজেলা দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি মো. আল-আমীন ভূঁইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, থানা পুলিশ নির্বিকার অথচ অপারেশন ডেভিল হান্টের নামে কিছু চুনোপুঁটি ধরে নিয়ে এসে দায় মুক্তি পেতে চাচ্ছে। প্রশাসনের উদাসীন মনোভাব কিংবা ম্যানেজ হয়ে যাওয়া নিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. মহসিন ভুঁইয়া বলেন, রাতের আঁধারে যারা এ কাজটি করেছে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রকৃত অপরাধীদেরকে ধরার চেষ্টা করছি।

আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, শনিবার সকালের দিকে সাবেক আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টার লাগানোর বিষয়টি আমি শুনেছি, যারা রাতের আধারে কাজটি করেছে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এ কাজ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই করেছে।

এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি ছমিউদ্দিন বলেন, পোস্টার লাগানোর বিষয়টি নিয়ে আমাদের পুলিশের একটি দল মাঠে কাজ করছে। কাজটি যেই করে থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থানের ১০ম দিন

ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী উপদেষ্টা এমপিদের তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:১৮ পূর্বাহ্ণ
ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী উপদেষ্টা এমপিদের তালিকা প্রকাশ

জুলাই গণহত্যার পর পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও দোসর রাজনৈতিক দলগুলোর মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপিদের ফ্যাসিবাদী ঘোষণা করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থানকারী ছাত্রজনতা এ তালিকা প্রকাশ করেন। গণঅবস্থানের দশম দিন উপলক্ষে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা ঘোষণা করেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান।

তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদ বিলোপে আমরা এ গণঅবস্থান থেকে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছি। এর তৃতীয় দফার আলোকে আমরা আজ ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপিদের তালিকা প্রকাশ করছি। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী রেজিমের সব মন্ত্রীসভার সদস্য ও উপদেষ্টাদের ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী ঘোষণা করছি। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার ও ফ্যাসিস্ট হিসেবে ৭-১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার দাবি জানাই।”

তিনি আরো বলেন, “যারা উগ্র ফ্যাসিস্ট মন্ত্রী ছিলেন, তাদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিতে হবে। যারা বিতর্কিত নয় এবং তুলনামুলকভাবে কম খারাপ, তারা স্রেফ হাসিনার মন্ত্রীসভার সদস্য হওয়ায় কারণে সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন। এরা কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। জনপরিসরে, গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে বক্তৃতা করতে পারবেন না।”

ফজলুর রহমান বলেন, “তালিকায় যেসব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও উপদেষ্টার নাম রয়েছে, আমরা তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাই।”

ফ্যাসিবাদীদের তালিকা প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, যুগ্ম-আহ্বায়ক ডা. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান ও আব্দুস সালাম, সদস্য মাহমুদুল হাসান ফয়সাল, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো. ফরহাদ আহমদ আলী প্রমুখ।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে রাজু ভাস্কর্যের চলমান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনশনে যোগ দেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরার শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান শুরু হয়।

পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। দাবিগুলো হলো- ⁠গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, তাদের মিত্র ১৪ দল এবং এসব দলের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে; ⁠সব ফ্যাসিবাদী দল, তাদের কার্যালয় ও সব সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে অধিগ্রহণ করে তা ফ্যাসিবাদী আমলে নির্যাতিত অসহায় মজলুমদের পুনর্বাসনে ব্যবহার করতে হবে।

অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-⁠ ⁠২০০৯-২০২৫ পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট সরকারগুলোর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সব মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যকে ডেজিগনেটেড ফ্যাসিস্ট ঘোষণা করে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে;⁠ ⁠ফ্যাসিবাদ ধারণ করে গড়ে ওঠা নব্য ফ্যাসিবাদী বা একই চরিত্রের যেকোনে দল ও সংগঠনকেও নিষিদ্ধ করতে হবে; ⁠ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে।

টগর সিনেমায় দীঘি বাদ, থাকবে পূজা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:১২ পূর্বাহ্ণ
টগর সিনেমায় দীঘি বাদ, থাকবে পূজা

জানুয়ারির শুরুতে নতুন সিনেমার ঘোষণা দেন পরিচালক আলোক হাসান। সিনেমার নামা রাখা হয় ‘টগর’। নায়ক আদর আজাদের বিপরীতে প্রার্থনা ফারদীন দীঘিকে রেখে তখন সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার প্রকাশ করা হয়। এবার জানা গেল, সিনেমাটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দীঘিকে।

সম্প্রতি সিনেমাটির মোশন পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে। পোস্টারে দীঘিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় রাখা হয়েছেন অভিনেত্রী পূজা চেরিকে।

নায়িকা পরিবর্তন প্রসঙ্গে সিনেমার পরিচালক আলোক হাসান বলেন, একাধিক কারণে আমরা নায়িকা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি। তবে পেছনের বিষয় নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। আমি মনে করি পূজা চেরিকে এই প্রজেক্টে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।

পূজা চেরি বলেন, অলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগেও আমার কাজ হয়েছে। এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং এর কারণে আমি নিজেও কাজটি করতে চাইনি। তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে বুঝাতে সমর্থ্য হয় এবং আমারও গল্পটি পছন্দ হওয়ায় রাজি হয়ে যাই।

সিনেমাটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, গত চার মাস যাবত আমার এই প্রজেক্টের সঙ্গে ওঠাবসা। মাঝখানে কিছু শুট হয়েছে। অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে এবং পুরো প্রোডাকশন ইউনিট কাজটা নিয়ে দারুণ আশাবাদী।

‘টগর’ সিনেমাটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও প্রযোজনায় রয়েছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক। সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম।

আদর আজাদ ও পূজা চেরি ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করবেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

আগামী ঈদুল আযহায় প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।