খুঁজুন
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন, ১৪৩১

কয়েকটি ছাড়া সব গার্মেন্টস কারখানা চালু রয়েছে: সেনাসদর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ
কয়েকটি ছাড়া সব গার্মেন্টস কারখানা চালু রয়েছে: সেনাসদর

বর্তমানে দেশের ২ হাজার ৯৭টি গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে গুটি কয়েক ছাড়া সব কারখানাই চালু রয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। সোমবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিতে আয়োজিত এই প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাসদরের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। এতে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত গত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ ডিসেম্বর সেনাসদরের প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছিল।

লিখিত বক্তব্যে কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ১৭২টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এই সময়ে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে (মূলত গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভার এলাকায়) ৮৮টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উদ্ভুত ৩০ বার মূল সড়ক অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, বিজিএমইএ-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে বর্তমানে দেশের ২ হাজার ৯৭টি গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে গুটি কয়েক (বেক্সিমকো গ্রুপ, সাউদার্ন ডিজাইনার্স লিমিটেড, স্বাধীন গার্মেন্টস (প্রা.) লিমিটেড ও সেল্ফ ইনোভেটিভ ফ্যাশন লিমিটেড) ছাড়া সকল কারখানাই চালু রয়েছে।

এই সেনা কর্মকর্তা আরও জানান, শিল্পাঞ্চল ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিগত এক মাসে ৪২টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, যার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪টি, সরকারি সংস্থা/ অফিস সংক্রান্ত ৩টি, রাজনৈতিক কোন্দল ৯টি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ছিল ১৬টি।

এছাড়াও গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উৎযাপনের লক্ষ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যান্য সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে।

কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গত ১৭ জানুয়ারি তারিখে রাজধানীর হাজারীবাগে অবস্থিত ফোনিক্স লেদার কমপ্লেক্স এ সংঘটিত অগ্নিদুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে সেনাবাহিনী।

বিশ্ব ইজতেমা-২০২৫ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইজতেমা ময়দানে তুরাগ নদীর উপরে ৫টি ব্রিজ স্থাপন, বোম ডিসপোজাল দলসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল মোতায়েন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনা সদস্য যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছে।

এছাড়াও, রাজধানীর সংস্কার কর্মকাণ্ড যেমন এন্টি পলিথিনি অপারেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পরিচালিত খাল পুনরুদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বিগত এক মাসে যৌথ অভিযানে ৩৩৪জন মাদক ব্যবসায়ী অথবা মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য, যেমন: ইয়াবা, ফেনিসডিল, অবৈধ মদ ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বিগত এক মাসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট দুই হাজার ১৪২ জনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসকল কাজের পাশাপাশি সেনাবাহিনী দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, বিদেশী কূটনীতিক ব্যক্তি ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, এবং কক্সবাজার জেলায় এফডিএমএন ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা বিধান করার দায়িত্বও সার্বক্ষণিকভাবে পালন করে যাচ্ছে।

কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে যারা আহত হয়েছে, তাঁদের সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী আজ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৮৫৯ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে ৪১ জন এখনো চিকিৎসাধীন।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী প্রধানের দিকনির্দেশনাকে অনুসরণ করে দেশের ৬২টি জেলায় সেনাসদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম এবং সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। এই সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করে কর্মধারা অব্যাহত রাখবে সেনাবাহিনী।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর যে সদস্যরা অপরাধমূলক কাজে জড়িত তাদের সামরিক আদালতে বিচার চলছে।

দুমকিতে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির পরিচিতি,মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনের উপর প্রশিক্ষণ

মোঃনাসির উদ্দিন জুয়েল,স্টাফ রিপোটার্স
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৫২ অপরাহ্ণ
দুমকিতে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির পরিচিতি,মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনের উপর প্রশিক্ষণ

ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিউট,গাজিপুরের উদ্যেগে, বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির পরিচিতি,মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনের উপর এস এসএ/এসএ/এস/এস এএও প্রশিক্ষণ সম্পন্ন রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ ঘটিকায়,পটুয়াখালী,দুমকি উপজেলার জামলায়,কৃষি গবেষনা বিভাগে প্রশিক্ষকদের মাঝে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

“কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা(এফ এম ডিপি) প্রকল্প।”

এই প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃনুরুল আমিন,মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা,এফ এম পিই বিভাগ,গাজীপুর, বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন ড.মোহাম্মদ এরশাদুল হক,ঊধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা,এফ এম পিই বিভাগ,গাজীপুর, মোঃমাইনূল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা,সরেজমিন গবেষনা বিভাগ,বিএআরআই, পটুয়াখালী, ড.কাজী নজরুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা,সরেজমিন গবেষনা বিভাগ,বিএআরআই, প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন,ড.এইচ এম খাইরুল বাসার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ও সরেজমিন গবেষনা বিভাগ,বিএআরআই,পটুয়াখালী।

এসময় প্রধান অতিথি ড. মোঃনুরুল আমিন বিডিনিউজ ট্রিপল নাইন কে বলেন,বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কর্তৃক বাস্তবায়নাদিন কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করে তোলা শীর্ষক প্রকল্পকের মাধ্যমে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্র সম্প্রসারণ লক্ষ্যে ডিএ ই মাঠ পর্যায়ের প্রতিনিধি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও নার্স ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক সহকারী গনকে সৈম্যক ধারনা যন্ত্রের পরিচিতি তুলে ধরা।

এরফলে এই যন্ত্রপাতি গুলো কৃষক পর্যায়ে ব্যবহারবিধি ও রক্ষনা বেক্ষনের উপর সৈম্যক ধারনা দিতে পারবেন।ফলে কৃষকগন এই যন্ত্র ব্যবহার করে সুবিধা ভোগ করতে পারবে।বর্তমানে কৃষক বারি বীজ বপন যন্ত্র দিয়ে ১৬০ বিঘা জমি মুগডাল লাইনে বপন করেছে।পর্যবেক্ষণে দেখা যায় মুগডালের চারা সুন্দরভাবে গজিয়েছে।

প্রশিক্ষণের মূল আলোচক হিসাবে ড.মোহাম্মদ এরশাদুল হক বলেন,কিভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেশিনের ব্যবহার করা যায় এবং কৃষক যাতে সরাসরি প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠে কাজ করতে পারেন,সে বিষয়ে সম্যক ধারনা দেয়া হলে,বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বনে কৃষক ফসল উৎপাদনে ও মেশিনের ব্যবহারে ভালো সুফল বয়ে আনবে।

নওগাঁয় মধ্যরাতে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৫ অপরাহ্ণ
নওগাঁয় মধ্যরাতে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি

নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া সাপাহারগামী একটি যাত্রীবাহী বিআরিটিস বাস ও মাইক্রোবাসসহ কয়েকটি যানবাহনে ডাকাতির হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার নজিপুর-সাপাহার সড়কের পত্নীতলা উপজেলার মানাষী ও করমজাইয়ের মাঝামাঝি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের পাশের গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে ব্যারিকেড দেয় ডাকাতরা। এতে দুই পাশে বাস ও মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। এরপর একদল মুখোশধারী বাসের দরজা-জানালা দিয়ে ঢুকে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, নারী যাত্রীদের স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামাল লুট করে। এছাড়া মাইক্রোবাস এবং আরও কয়েকটি যানবাহনেও ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে ডাকাতি চালিয়েছে।

বিআরটিসি বাসের সুপারভাইজার রতন কুমার সাহা জানান, উপজেলার মানাষী ও করমজাইয়ের মাঝামাঝি এলাকার নজিপুর-সাপাহার সড়কে শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে

এ ঘটনায় পত্নীতলা থানায় এখনও কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আখাউড়ায় রাতের আঁধারে আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টারিং

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৫ পূর্বাহ্ণ
আখাউড়ায় রাতের আঁধারে আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টারিং

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হকের মুক্তি চাই পোস্টারে ছেয়ে গেছে আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এসব ছবির ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমন পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। এসব পোস্টারে নিচে সৌজন্যে কসবা-আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন লেখা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজির বাজার ও আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় লাগানো হয় এসব পোস্টার।

পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে, মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপসহীন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

উপজেলা দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি মো. আল-আমীন ভূঁইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, থানা পুলিশ নির্বিকার অথচ অপারেশন ডেভিল হান্টের নামে কিছু চুনোপুঁটি ধরে নিয়ে এসে দায় মুক্তি পেতে চাচ্ছে। প্রশাসনের উদাসীন মনোভাব কিংবা ম্যানেজ হয়ে যাওয়া নিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. মহসিন ভুঁইয়া বলেন, রাতের আঁধারে যারা এ কাজটি করেছে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রকৃত অপরাধীদেরকে ধরার চেষ্টা করছি।

আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, শনিবার সকালের দিকে সাবেক আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টার লাগানোর বিষয়টি আমি শুনেছি, যারা রাতের আধারে কাজটি করেছে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এ কাজ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই করেছে।

এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি ছমিউদ্দিন বলেন, পোস্টার লাগানোর বিষয়টি নিয়ে আমাদের পুলিশের একটি দল মাঠে কাজ করছে। কাজটি যেই করে থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।