খুঁজুন
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১

‘পুলিশ কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে কাজ করবে না’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:০০ অপরাহ্ণ
‘পুলিশ কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে কাজ করবে না’

রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে রবিবার সকালে শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “পুলিশ কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে, কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কিংবা তাদের অন্যায্য এবং অন্যায় নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে অপেশাদার আচরণ ও বেআইনি কাজ করবে না।”

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অভিবাদন গ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

কুচকাওয়াজে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের ৫৭ জন ছাড়াও ৩৮তম বিসিএস ব্যাচের তিনজন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে, গত ২০ অক্টোবর প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের জন্য দিন ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু আগের রাতে হঠাৎ করে অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর ২৪ নভেম্বর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা হয়। সেটিও পরে স্থগিত হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর ৪০ ব্যাচের ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর কাছে কৈফিয়ত তলবের চিঠি দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে প্রশিক্ষণরত ছয়জন এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর রবিবার প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হলো।

উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী। যারা সুনির্দিষ্ট আইন মেনে চলেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবে।”

উপদেষ্টা প্রশিক্ষণের বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন। এবার বেস্ট প্রবিশনার, বেস্ট অ্যাকাডেমিক ও বেস্ট শুটার হয়েছেন এএসপি রুহুল আমিন লাবু। ফিল্ড অ্যাক্টিভিটিস ও ঘোড়সওয়ারে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন এএসপি এম সায়েলিন।

অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ অতিরিক্ত আইজিপি মাসুদুর রহমান ভূঞা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত আইজিপি আবু নাছের মোহাম্মদ খারেদ, বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম আসাদুল হকসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

পতিত ফ্যাসিস্ট আ’লীগ অসংখ্য বিএনপির নেতাকর্মীকে হত্যা,গুম ও নির্যাতন  করেছে: টুকু 

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,, সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:০৫ পূর্বাহ্ণ
পতিত ফ্যাসিস্ট আ’লীগ অসংখ্য বিএনপির নেতাকর্মীকে হত্যা,গুম ও নির্যাতন  করেছে: টুকু 

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, বিগত ১৭ বছর পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ও তার দোসররা অসংখ্য বিএনপির নেতা-কর্মীকে গুলি, জবাই ও নির্যাতন করে হত্যা করেছে। হত্যা, খুন গুলো করছে অমানবিকতা ভাবে। নাটক সাজিয়ে করে কথিত ক্রসফায়ার হত্যা করেছে।

গুম করে ইলিয়াস, চৌধুরী আলম সুমন সহ বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীকে।

তিনি আরও বলেন,  হাজার হাজার নেতাকর্মীদের অপরিসীম আত্মত্যাগ ও ২৪ এর জুলাই – আগস্ট ছাত্র গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম স্বৈরশাসকের পতন ও পলায়নে দেশের মানুষ মুক্ত হয়েছে,বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। শহিদদের আত্নত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না,সবার আগে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই শহিদদের আত্নত্যাগ পূর্ণতা পাবে।

 রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী  দুপুরে সিরাজগঞ্জ  শহরের  বাজার স্টেশন  মুক্তির সোপানে ‘ আমরা বিএনপি পরিবার ‘ সিরাজগঞ্জের আয়োজনে,  ২০২৪ খ্রিঃ জুলাই- আগষ্ট ছাত্র গণআন্দোলন শহিদ পরিবারদের স্বজন ও আহতদের সাথে সাক্ষাৎকার ও সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরো বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সুবিধাবাদী, লুটপাটকারী,গণতন্ত্র ও গণহত্যাকারী ও পলায়নকারী দল। একাত্তরের তাদের প্রধান নেতা স্বেচ্ছায় হানাদার বাহিনীর নিকট  আত্নসমর্পণ করে নিরাপদ স্থানে চলে গিয়েছিল, শীর্ষ নেতারা পালিয়ে গিয়ে পাশ্ববর্তী দেশে যেয়ে আরাম-আয়েশে জীবন যাপনে মত্ত ছিল। পচাত্তরের পটপরিবর্তনেও তারা পালিয়েছিলো এবং জুলাই আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সহ পাতি নেতা,ছোট নেতা সবাই পালিয়ে গেছে,অনেকেই গর্তের ভিতর লুকিয়েছে,কিন্ত বিএনপি পালায় না, বিএনপির একজন কর্মীও কোনদিন পালিয়ে যায়নি,বিএনপি হচ্ছে ফিনিক্স পাখির মতো,ধ্বংসস্তুপের মধ্যে থেকে বিএনপি বারংবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই হচ্ছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংস্কারক,তিনি বাকশাল থেকে জাতিকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তণ করে ছিলেন,সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে দিয়ে ছিলেন। আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে নয় বছর লাগাতার সংগ্রাম করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করেছেন, তার চিন্তা চেতনা,সব কথা ও বক্তব্য জনগণ ইতিবাচক হিসেবে দেখে  তা গ্রহণ করছেন,তিনি ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন,তাতে সব সেক্টরে সংস্কারের কথা বলা হয়েছ,এমন কি কেউ দুইবারের বেশী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এবং প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্যের কথা ৩১ দফা কর্মসূচিতে বলা হয়েছে। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন,সংস্কার করা আপনাদের কাজ না,আপনাদের প্রধান কাজ হচ্ছে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়া। নির্বাচিত সরকার ও জাতীয় সংসদই দেশের জন্য যা যা মঙ্গল তার সকল কিছুই সংস্কার করবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন তার বক্তব্যে বলেন,২৪ এর জুলাই আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা এখন ভয়হীনভাবে কথা বলছি,নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারছি,কিন্ত যারা শহিদ হয়েছেন,পঙ্গুত্ব বরণ করেছে  সেই সকল শহিদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিরা বাক রুদ্র হয়ে পড়েছেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের পাঠিয়েছেন, শহিদ পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে, তাদের পাশে আমরা বিএনপির পরিবার সব সময় আছি,থাকবো। তিনি অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশ্য  বলেন,আপনারা তিন মাসের জায়গায়, ছয় মাস অতিবাহিত করছেন,জনআকাঙ্খার দিকে নজর না দিয়ে বারবার সংস্কারের কথা বলছেন,আপনারা ছয় মাসে কি সংস্কার করছেন,জনগণ তা জানতে চায়,সংস্কারের তালিকা প্রকাশ করুন,প্রশাসনে নামে মাত্র কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন,প্রশাসনের স্তরে স্তরে পতিত সরকারের ভূত লুকিয়ে আছে,তাদেরকে বিতারিত করুণ,নির্বাচন দিন,বিএনপি জয়লাভ করলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নির্বাচিত সরকার দেশের প্রয়োজনে সকল সংস্কার করা হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ,বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য  ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য খান সাইদ হাসান,জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কন্ঠশিল্পী রুমানা মোরশেদ কনকচাঁপা,আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মমিন মিঠুন,আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল,আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা মোঃ আবুল কাশেম।

শহিদ পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন শহিদ আব্দুর রশিদের মেয়ে রুমা খাতুন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান ও আমরা জিয়া পরিবারের সদস্য মুস্তাকিম বিল্লাহ। 

অনুষ্ঠানে আমরা বিএনপি পরিবার পক্ষ থেকে জুলাই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র গণআন্দোলন সিরাজগঞ্জে  ১১ ( এগারো) জন শহিদ সোহানুর রহমান রনজু,সুমন সেখ,আব্দুল লতিফ, আব্দুল আলীম,আব্দুর রশিদ, শিহাব উদ্দিন,হাফেজ সিয়াম,ইয়াহিয়া আলী,জাহাঙ্গীর আলম,নজরুল ইসলাম ও শহিদ লেবুর পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান করা হয় এবং আহতের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা প্রদান করা হয়।

বেলকুচিতে ঢাকা ব্যাংকের অর্থায়নে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ

রেজাউল করিম  স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ
বেলকুচিতে ঢাকা ব্যাংকের অর্থায়নে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করেছে ঢাকা ব্যাংক পিএলসি। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে উপজেলার ৩০০ জন স্থানীয় কৃষকের মাঝে অত্যাধুনিক কৃষিজ যন্ত্রপাতি বিতরণ করে প্রতিষ্ঠানটি। কৃষিকাজে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিকাজকে সহজতর করার লক্ষ্যে এই বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত করেন তারা।

কৃষিজ যন্ত্রপাতি হস্তান্তরকালে ঢাকা ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমরা সবসময় দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। এটি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি অংশ, যা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও খাদ্য নিরাপত্তায় ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।

ঢাকা ব্যাংক পিএলসি উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ বলেন, “কৃষি উন্নয়নের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে।”
এসময় ঢাকা ব্যাংক পিলসি সিএফও সাহাবুল আলম খান, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক  আমিরুল ইসলাম খান আলীম, বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক মন্ডল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী জামাল উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, সাবেক আহবায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, সাবেক সদস্য সচিব বনি আমীন, পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আলতাফ হোসেন প্রামাণিক, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান সরকার, জেলা বিএনপির সদস্য মাহমুদুল হাসান শান্ত, হাজী আকছেদ আলী প্রামাণিক, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শফি, প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব গাজী সাইদুর রহমান, সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম, ইভিপি ও এগ্রিকালচার প্রধান কাতেবুর রহমান, ঢাকা ব্যাংক পিএলসির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষকরা এই উদ্যোগকে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন এবং ঢাকা ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাদের মতে, এই যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৃষিকাজে সময় ও শ্রম উভয়ই সাশ্রয় হবে এবং ফলনের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। তারা কৃষিজ উন্নয়নে বিপ্লব ঘটাতে ঢাকা ব্যাংকের কার্যক্রমের প্রশংসা করে ভবিষ্যতে সব সময় পাশে পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ণ
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার

মার্কিন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেইসঙ্গে ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ইলন মাস্ককে পাঠানো এক চিঠির সূত্র ধরে আজ রবিবার জানা গেছে এসব তথ্য। গত বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ চিঠি পাঠানো হয়েছিল মাস্ককে।

বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর প্রস্তাব দিয়ে ড. ইউনূস তার চিঠিতে ইলন মাস্ককে লিখেন, বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে আপনি তরুণ নারী ও পুরুষদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবেন, যারা এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান সুবিধাভোগী হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোতে স্টারলিংকের সংযোগ অন্তর্ভুক্ত করা একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে; বিশেষত বাংলাদেশের উদ্যমী তরুণ সমাজ, গ্রামীণ ও প্রান্তিক নারীদের পাশাপাশি দূরবর্তী এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য।

এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা তার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে স্পেসএক্স দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে প্রয়োজনীয় কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে আগামী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু করা যায়।

এর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্কের সঙ্গে এক দীর্ঘ টেলিফোন আলোচনায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা। এই আলোচনায় তারা ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।