খুঁজুন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

সেনাপ্রধানের বক্তব্যে ভারত-পাক গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৪২ পূর্বাহ্ণ
সেনাপ্রধানের বক্তব্যে ভারত-পাক গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া

দেশের চলমান অস্থিরতা নিয়ে জনগণকে বার্তা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান। অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা এবং সংঘর্ষের জন্য তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। বিশেষ করে তিনি অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সেনাপ্রধানের দেয়া বক্তব্যটি ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্বসহকারে প্রচার করেছে, একই সঙ্গে পাকিস্তানের গণমাধ্যমও এটি তুলে ধরেছে।

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে পিলখানায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে দেশের অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা ও মারামারি বন্ধ করার জন্য সকল পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেন, যদি দেশের মানুষ নিজেদের মধ্যে বিভাজন ভুলে একসাথে কাজ না করতে পারেন, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।

ভারতীয় গণমাধ্যমে সেনাপ্রধানের বক্তব্য বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা তৈরি করেছে। দা হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া সহ অন্যান্য মিডিয়াগুলোতে সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে নির্বাচন ও অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গও এসেছে। যদিও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি সাধারণত সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে একটু বেশি উত্তেজিতভাবে উপস্থাপন করেছে, পাকিস্তানের গণমাধ্যম, যেমন ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে তার সরকারের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তুলে ধরেছে।

সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতার জন্য অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দায়ী। তিনি জানান, এমন সংকটের সময়ে অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে, আর তাদের কার্যকলাপ দেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তিনি সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান, কারণ একসাথে থাকলেই সংকটের মোকাবিলা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের একত্রিত থাকতে হবে, এবং যদি বিভেদ কমাতে না পারি, তবে সমস্যা আরও বাড়বে। আমরা দেশের শান্তি এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে চাই, এবং এর জন্য আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে।”

এছাড়া, সেনাপ্রধান দেশের ভবিষ্যত নিয়ে এক দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন এবং বলেছেন, তার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা হলো দেশ এবং জাতিকে একটি সুন্দর অবস্থানে রেখে সেনানিবাসে ফিরে যাওয়া। তিনি সতর্ক করেছেন যে, মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও, সবাইকে এক হয়ে দেশের মঙ্গলার্থে কাজ করতে হবে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নজর রাখছে। বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও চীন, এই সব দেশগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু আবিদ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু আবিদ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র (গনমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়া) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মুহাম্মদ আবু আবিদ।

গত ১৫ই এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর প্রশাসন-১ শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সাইফ উদ্দিন গিয়াস স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, মুহাম্মদ আবু আবিদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সরকারের কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরা এবং অস্তিত্বহীন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে অপপ্রচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা উদ্যোগ গ্রহন করবেন।

এই নিয়োগের শর্তসমূহ উক্ত নিয়োগপত্র দ্বারা নির্ধারিত বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে মুহাম্মদ আবু আবিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন। দীর্ঘ ৮ বছর সাংবাদিকতার জীবনে জাতীয় ও আঞ্চলিক বহু গণমাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন।

বর্তমানে তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত মিডিয়াভুক্ত একটি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও অনলাইন চীফ, টেলিভিশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্র্যাব)-এর মুখপাত্র ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মুখপাত্র ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।

মুহাম্মদ আবু আবিদ এর জন্ম চট্টগ্রাম হলেও তার পৈত্রিক নিবাস পটুয়াখালীতে। ইতিমধ্যেই তার সামাজিক কাজ অনলাইন জগৎ এ ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।

এছাড়াও সামাজিক কাজে ইউনিক আইডিয়া গ্রহন ও বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় নানা সম্মাননায় তিনি ভূষিত হয়েছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিয়োগে তার এই সংগ্রামী ও মানবিক পথচলা এবং তারুণ্যে উদ্দীপ্ত অনলাইন সম্পর্কিত জ্ঞান ও গণমাধ্যম সমন্বয়ের গুন, সব মিলিয়ে যুগান্তকারী এক পরিবর্তন আনবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।

কাওয়াকোলার চরাঞ্চলের বড়কয়ড়াতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৪৮ অপরাহ্ণ
কাওয়াকোলার চরাঞ্চলের বড়কয়ড়াতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের যমুনা নদীর ওপার দূর্গম চরাঞ্চল বড়কয়ড়াতে দিনব্যাপী দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য “দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ড: ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশন, সিরাজগঞ্জের আয়োজনে এবং এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম- ইডিপি সাবির্ক সহযোগিতায় এবং জার্মানে বসবাসরত ড. ফজলুর রহমানের পরিবর্গের অর্থায়নে

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল)  শুক্রবার সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য মেডিকেল ক্যাম্পে  ২৩০ জন রোগীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও ঔষুধ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ডায়াবেটিস পরিক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক প্রচারপত্র বিলি করা হয়। উক্ত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন- ইডিপি’র নির্বাহী পরিচালক  আবু জাফর খান। মেডিকেল  ক্যাম্প উদ্বোধনকালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

উক্ত  মেডিকেল ক্যাম্পে রোগী দেখেন, ডা: দীপক কুমার সাহা, এমবিবিএস (রাজ), এফএমডি (ফ্যামিলি মেডিসিন), জিওসি (ডার্মোটলজি) ঢাকা, ডিএমইউ (আলট্রাসনোগ্রাফি) জেনারেল ফিজিশিয়ান, মেডিসিন, নিউরো মেডিসিন, কিডনি, গ্যাস্ট্রোলজি, বাত ব্যাথা চর্ম ও যৌন রোগে বিশেষ অভিজ্ঞ।  এবং ডা: জয়শ্রী, এমবিবিএস (রাজ),  সিএমইউ, মহিলা ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ চিকিৎস। আরো রোগী দেখেন, ডা. মোঃ পারভেজ শেখ এমবিবিএস, পিজিটি (শিশু)উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ। উক্ত   ক্যাম্প পরিচালনায় আরো দায়িত্ব পালন করেন,  দু’জন মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট, একজন অভিজ্ঞ ফার্মাস্টি ও ড. ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়াও অত্র  এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই ক্যাম্প পরিচালনায় সহযোগিতা করেন। অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ফাউন্ডেশনের পরিচালক জনাব খান, এই আয়োজনে সহায়তাকারীদের সকলকে ধন্যবাদ জানান।

গুরুদাসপুরে ইজরায়েলী পণ্য বয়কট ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি দোয়া মাহফিল

সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
গুরুদাসপুরে ইজরায়েলী পণ্য বয়কট ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি দোয়া মাহফিল

নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার ১ নং নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর বীরবাজারে আজ ১৮-০৪-২৫ইং রোজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে চারপার্শ্বের মসজিদের মুসল্লিগণ বীরবাজারে এসে জমায়েত হোন।

উপস্থিত মুসল্লিগণ প্রথমে বীর বাজারের পশ্চিম পাশ থেকে বিরাট একটি র‍্যালী নিয়ে ইজরায়েলী পণ্য বয়কট,ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে স্লোগানে শ্লোগানে বাজার অতিক্রম করেন। 

বিশাল র‍্যালীটি মিছিল শেষে বীরবাজারের দুধবাজারে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা আরিফ হোসাইন, খতিব রাজশাহী পাড়া জামে মসজিদ, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ ইমান আলী (দুলু), 

বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ ইউসুফ আলী,খতিব পূর্ব ডুবারপাড়া জামে মসজিদ, বক্তব্য রাখেন জামায়েতে ইসলামীর চন্দ্রপুর ২নং ওয়ার্ড সভাপতি এবং নাজিরপুর আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক জনাব মাওলানা মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম শিক্ষক হোলাইগাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা সাব্বির হোসেন বেলালী, নাটোর।এছাড়াও উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন, 

বক্তব্য শেষে দেশের সার্বিক মঙ্গল কামনা ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য মহান সৃষ্টি কর্তার নিকট সাহয্য প্রার্থনা করে দোয়া মাহফিল করেন মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, খতিব ডুবারপাড়া জামে মসজিদ।