খুঁজুন
বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ, ১৪৩২

বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ
বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় চম্পা খাতুন  ৬৫ নামে এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু।এলাকাবাসি জানায় মৃত্যু ব্যক্তি আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল ওমরা হজে যাওয়ার ফ্লাইট ছিল কিন্তু তার সে আশা পূরণ হলো না।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ১৫-০৪-২০২৫ রোজ (মঙ্গলবার) আঞ্চলিক মহাসড়কের সমেসপুর ১১:৪৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার কারণ সমূহ জানা যায় দ্রুতগতির একটি ঘাতক প্রাইভেট কার তাকে সজরে ধাক্কা দিলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।তিনি বেলকুচির ভাতুড়িয়া গ্রামের একজন স্থায়ী বাসিন্দা।

ঘটনাস্থলে সবাইকে প্রশ্ন করলে তারা জানায় একটি দ্রুতগতির প্রাইভেট কার তাকে সজোরে ধাক্কা দিলে সে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। ঘাতক প্রাইভেট কার আটক করা যায়নি। সে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার  অফিসার ইনচার্জ  (ওসি)  আব্দুল বারিক  বলেন দুর্ঘটনার সাথে সাথে  আমরা ঘটনা স্থলে পৌঁছাই। ঘাতক প্রাইভেট কারকে আমরা আটক করতে পারিনি।লাশ উদ্ধার করে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলে তাদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেই।দুর্ঘটনার কারণে কেউ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেনি।

নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া গেল ৮ বছরের শিশুর লাশ

মোঃ সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া গেল ৮ বছরের শিশুর লাশ

নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামে ৭ বছরের শিশু আকলিমা আক্তার জুইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে তার দাদী। নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর স্থানীয় একটি ভুট্টা ক্ষেতে শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়।

জানা যায়, আকলিমা আক্তার জুই বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম জাইরুল ইসলাম (মালেয়শিয়া প্রবাসি) ও মাতা মোমেনা বেগম। আকলিমা আক্তার জুঁই নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সুন্দর করে সাজগোজ করে বাবার সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন কিছু সময় পরে শিশুটি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

১৫ এপ্রিল সকালে পাবনার চাটমোহরের রামপুর বিলে এক কৃষক ভুট্টা ক্ষেতে খুঁজে পান পোড়া মুখ, বিবস্ত্র এক ছোট্ট মৃতদেহ,গলায় প্যাঁচানো প্যান্ট, মুখে আগুনের দগদগে দাগ, শিশুটিকে আর চেনার উপায় ছিল না।

স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং মুখমণ্ডলে এসিড ঢেলে তার পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এমন নির্মম ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি দ্রুত তদন্ত করে সঠিক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে

এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় মামলায় যুবদলের আহবায়কসহ দুইজন গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ
এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় মামলায় যুবদলের আহবায়কসহ দুইজন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) হত্যা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল (৪৬) ও এনায়েতপুরের সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল মীর (৫৫)।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এজাহার নামীয় ৪নং আসামী যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুলকে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেক র‌্যাব-২ ও মঙ্গলবার সকালে এনায়েতপুর গ্রাম থেকে ২৫ নং আসামী বিএনপি নেতা জামাল মীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, ১৮ মার্চ বিকেলের দিকে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে
বিএনপির দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এসময় সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন (২৮) গুরুত্বর আহত হয়। প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হয়। পরবর্তীতে ঢাকার ক্রেটিক্যাল কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যার  টার দিকে মারা যান।

২২ মার্চ রাতে এনায়েতপুর থানায় নিহতের বড় ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মনজুর রহমান মঞ্জু শিকদার, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিঠু মীর, সদস্য সচিব কালাম শিকদার, এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহবায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল ও থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরুল হাসান সোহাগ শিকদার সহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৮০-৯০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে কিছু পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:২৫ অপরাহ্ণ
ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে কিছু পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আমদানিযোগ্য বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সুতা, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, নিউজপ্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের পেপার ও পেপার বোর্ডসহ একাধিক পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা জারি করা হয়েছে।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) প্রকাশিত গেজেটের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করে এনবিআরের কাস্টমস উইং। কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৮-এর উপ-ধারা (১)-এর ক্ষমতাবলে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত এবং প্রক্রিয়াজাত সুতা ও আলু ছাড়া অন্য সব পণ্য আমদানি করা যাবে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে আরও বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্সড ফেব্রিক্স—এই পণ্যগুলো ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে মূসক নিবন্ধিত বিড়ি উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল হিসেবে তামাক ডাঁটা আমদানি করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

একই সঙ্গে পূর্বে জারি করা এস.আর.ও নং ২৯৭-আইন/২০২৪/৮৯/কাস্টমস প্রজ্ঞাপনটির কয়েকটি ক্রমিক নম্বর সংশোধন করা হয়েছে। এতে পণ্য তালিকার হালনাগাদ করা হয় এবং ‘সকল রফতানিযোগ্য পণ্য’ আগের মতোই অব্যাহত রাখা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা এবং অবৈধ রি-এক্সপোর্ট বা রিরাউটিং রোধ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে টেক্সটাইল, কাগজ ও সিরামিক পণ্য খাতে দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য। তবে কিছু ব্যবসায়ী মহল থেকে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হচ্ছে। তারা বলছেন, বিকল্প উৎস থেকে পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিলেও ধারণা করা হচ্ছে বাজেটপূর্ব রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে