খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৪ চৈত্র, ১৪৩১

জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলো ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৯:৫৩ অপরাহ্ণ
জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলো ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজস্থ ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল। যেখানে বাঙলা কলেজ পড়ুয়া ভোলা জেলার শিক্ষার্থীরা ছাড়াও শত শত শুভাকাঙ্ক্ষী অংশগ্রহণ করেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) মিরপুর ১ এর “গ্রান্ড প্রিন্স থাই এন্ড চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে” বিকেলে সংগঠনটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন বাপ্পির সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক জনাব আমিনুল হক।

মূলত দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চলমান থাকলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সংগঠনটি চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তবে ভোলা জেলার কৃতি সন্তান ও সরকারি বাঙলা কলেজের মেধাবী ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন বাপ্পির উদ্যোগে তাক লাগানো এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি।

অনুষ্ঠানে ভোলা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সদস্য, দায়িত্বশীল বৃন্দ সহ বিভিন্ন গুণীজন তাদের মতামত তুলে ধরেন। সেইসাথে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জনাবা ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি সংগঠনের কল্যানে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। যেখানে সংগঠনের সকল সদস্যদের একসাথে পথ চলার আহ্বান জানান মিষ্টি।

সবশেষ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর এর সংগ্রামী আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জনাব আমিনুল হক চমৎকার দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন। পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্র রক্ষায় করণীয় সহ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির এই তুখোড় নেতা সংগঠনটি সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সেইসাথে সকল সাধারণ শিক্ষার্থীর কল্যানে সংগঠনের সদস্যদেরকে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান জনাব আমিনুল হক।

এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মোস্তাফা জুগলুল পাশা পাপেল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মোঃ রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ, যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা তৌফিকুর রহমান চৌধুরী তুহিন, ব-দ্বীপ ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী জনাব মীর মোশারফ অমি। এছাড়াও সাবেক ও বর্তমান বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শত শত শিক্ষার্থী ও সুধীজনের এই মিলনমেলায় সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সরকারি বাঙলা কলেজস্থ ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম হৃদয়। আগামীতে ভোলা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে নানাবিধ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস দেন সংগঠনটির দায়িত্বশীলবৃন্দ।

বাংলাদেশ নিয়ে ঠিক কী বলেছেন তুলসী গ্যাবার্ড ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ নিয়ে ঠিক কী বলেছেন তুলসী গ্যাবার্ড ?

বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন গভীর উদ্বিগ্ন বলে দিল্লিতে এসে জানিয়েছেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। খবর বিবিসির।

তিন দিনের ভারত সফরে এসে এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। গতকাল সোমবার সেটি প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ নিয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে তুলসী বলেন, ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা নানা দেশে ‘ইসলামি খেলাফতে’র আদর্শে শাসনক্ষমতা হাতে নিতে চায়– কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসন এই আদর্শকে পরাস্ত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদে’র বিপদ বাংলাদেশকেও প্রভাবিত করছে বলে পাশাপাশি বার্তা সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া দ্বিতীয় আর একটি সাক্ষাৎকারেও মন্তব্য করেন তুলসী গ্যাবার্ড।

এনডিটিভি-র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আমরা যদি ঘরের কাছে, ভারতীয় উপমহাদেশে বাংলাদেশের দিকে তাকাই, তাহলে আমরা দেখেছি সেখানে অনেক রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে, অনেক সহিংসতা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বহু রিপোর্ট এসেছে।

‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন? তারা কি মনে করে না (বাংলাদেশে) স্থিতিশীলতা দরকার – শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রে?’

এর জবাবে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই (আমরা উদ্বিগ্ন)।

তিনি বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে খুব লম্বা সময় ধরে সেখানে হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, ক্যাথলিক ও অন্যদের ওপর যে ধর্মীয় নির্যাতন, হত্যা ও অত্যাচার চালানো হচ্ছে সেটা আমেরিকার সরকার তথা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের জন্য খুব বড় একটা উদ্বেগের জায়গা।

সেই সঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ড যোগ করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্যাবিনেটের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কথাবার্তা সবেমাত্র শুরু হয়েছে। তবে এটা আমি বলতেই পারি এই বিষয়টা, উদ্বেগের যে জায়গাগুলোতে আমাদের ফোকাস রয়েছে, তার মধ্যে এটা অন্যতম প্রধান।

এর পর থেকে তিনি খানিকটা নিজে থেকেই টেনে আনেন ‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদে’র প্রসঙ্গ।

তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, আরও একবার ইসলামি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বলব, সার্বিকভাবে তারা বিশ্ব জুড়ে যে চেষ্টাটা চালাচ্ছে… এক এক জায়গায় এক এক গোষ্ঠী, কিন্তু তাদের আদর্শ ও লক্ষ্যটা অভিন্ন … আর সেটা হল ইসলামি খেলাফতের আদর্শে দেশ শাসন করা।

তুলসী বলেছেন, এটা অবশ্যই অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে যে ধর্মগুলো (এই জঙ্গীদের কাছে) গ্রহণযোগ্য নয়। এবং তারা অত্যন্ত সহিংস ও সন্ত্রাসবাদী পন্থায় নিজেদের আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চায়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে এই তথাকথিত ইসলামি জঙ্গিবাদকে পরাজিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এরপরই সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যে আদর্শ থেকে এই ইসলামি সন্ত্রাসবাদের জন্ম, তাকে চিহ্নিত করে পরাস্ত করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অঙ্গীকারে অবিচল।

তুলসী বলেছেন, এই আদর্শ যাতে তারা আমেরিকার জনগণ বা বিশ্বের অন্যত্র প্রয়োগ করতে না পারে, সেটাই ট্রাম্প প্রশাসন দেখবে।

বার্তা সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া তার দ্বিতীয় সাক্ষাৎকারেও ‘ইসলামি জঙ্গিবাদ’ নিয়ে কথা বলেন তিনি, আর সেখানেও অবতারণা করেন বাংলাদেশের প্রসঙ্গ।

ওই সাক্ষাৎকারে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারতের বিরুদ্ধে যে একের পর এক জঙ্গি হামলা চালানো হয়, সেটাকে ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে দেখে?

জবাবে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের শাসনকাল থেকেই ইসলামি জঙ্গিবাদকে পরাস্ত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং নতুন মেয়াদেও সেই ধারাবাহিকতাই অব্যাহত আছে।

তুলসী বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ইসলামি জঙ্গিবাদের সরাসরি প্রভাব পড়েছে ও এখনও পড়ে চলেছে আমেরিকার মানুষের ওপর।

তিনি আরও বলেছেন, আমরা আরও দেখছি এর জন্য কীভাবে ভুগতে হচ্ছে ভারতকে, কীভাবে তা প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশে। এখন তা সিরিয়াতে, ইসরায়েলে ও মধ্যপ্রাচ্যের আরও নানা দেশেই প্রভাব ফেলছে।

আমি জানি প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র) মোদিও এই বিপদকে খুবই গুরুত্ব দেন এবং আমি নিশ্চিত আমাদের দুই দেশের নেতারা একযোগে এই বিপদের মোকাবিলায় কাজ করবেন এবং একে নির্মূল করবেন, বলেচন মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান বাংলাদেশ যে ইসলামি জঙ্গিবাদের শিকার বলেই তিনি মনে করেন– সে কথা জানাতে তুলসী গ্যাবার্ড কোনও রাখঢাক করেননি।

এদিকে বাংলাদেশ নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ভারতের কারণে বাঁচল বাংলাদেশের সেনাপ্রধান!

ভারতীয় ভুঁইফোড় মিডিয়ার ডাহা মিথ্যাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
ভারতীয় ভুঁইফোড় মিডিয়ার ডাহা মিথ্যাচার

স্বাধীনতার শুরু থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে চরম এক অস্বস্তিতে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। বাংলাদেশকে তাদের করায়ত্বে নিতে, নানাভাবে খন্ডিত করতে ভারতের ষড়যন্ত্রের কোনো কমতি নেই। এমনকি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে ভারত। ভারতীয় “র” এর এজেন্ট দিয়ে বুদ করে রেখেছে বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর। আর সেই আগুনে ঘি ঢালে ভারতীয় কিছু বাটপার মিডিয়া, কিছু ভুঁইফোড় মিডিয়া। সম্প্রতি তেমনি একটি ভুয়া, মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক প্রতিবেদন করেছে ভারতের কথিত একটি অনলাইন পোর্টাল India Hood. সবাইকে সচেতন করার স্বার্থে প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

“বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে উৎখাতের চেষ্টা করেছিলেন ওপার বাংলার সেনাবাহিনীর অসাধুরা। তবে ভারত (India) সেই চেষ্টা নস্যাৎ করেছে। সূত্রের খবর, ওপার বাংলার সেনাপ্রধান বারংবার মৌলবাদীদের সতর্ক করে এসেছেন। কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাড়াবাড়ি করলে বাংলাদেশি সেনা ল অ্যান্ড অর্ডারে হস্তক্ষেপ করবে।

এরই মধ্যে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ISI-র সাথে পরিকল্পনা করে জামানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন সেদেশের সেনা বাহিনীর অন্যতম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য। তবে ভারত সেই চেষ্টায় জল ঢেলেছে। কীভাবে? রইল বিস্তারিত।

জামানকে উৎসখাতের পরিকল্পনা বাঞ্চাল করে ভারত?

দীর্ঘদিন ধরে ওপার বাংলার রাজনীতিতে বিদ্বেষের হাওয়া বইছে। পারস্পরিক রেষারেষি থেকে শুরু করে ক্ষমতা দখলের লোভ সবই এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিয়মিত। এবার সেই রেশ ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতেও। দীর্ঘ সময় ধরে ওপার বাংলার সেনাপ্রধান জামানকে উৎখাতের চেষ্টা করে চলেছেন কিছু অসাধু সেনা সদস্য।

যাদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অন্যতম কর্মকর্তা তথা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান। অভিযোগ, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ রেখেই গভীর পরিকল্পনার পর জামানকে সরানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ফয়জুর। যেই খবর কোনও ভাবে পেয়ে যান ভারতীয় গোয়েন্দারা।

আর এরপরই ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সতর্ক করতে থাকেন ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা। সূত্রের খবর, জামানের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে আমেরিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ গুলিকেও জানানো হয়। পরবর্তীতে পশ্চিমী দুনিয়া থেকে মহম্মদ ইউনূসের কাছে বার্তা আসে আপনার আর্মি চিফের বিরুদ্ধে ক্যু হতে চলেছে।

শোনা যায় ভারতীয় গোয়েন্দারাই নাকি ঢাকা থেকে জামানের সাথে আমেরিকান সেনা অফিসারদের কথা বলিয়ে দিয়েছিলেন। সূত্র বলছে, ভারতীয় গোয়েন্দা অফিসাররা প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার পরই বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের কমিউনিকেশন ডিভাইস ট্যাপ করার কাজ শুরু হয়। বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের পরামর্শে 13 মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে গিয়েছিলেন জামান।

দেখানো হয়েছিল তিনি সেখানে মোতায়েন হওয়া বাংলাদেশের শান্তিসেনার সাথে কথা বলতে যাচ্ছেন। কিন্তু গোটা বিষয়টা ছিল রিপাবলিকে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন আমেরিকান আর্মির শীর্ষ অফিসাররা। সেখানে মায়ানমারের পরিস্থিতি যাতে হাতের নাগালের বাইরে না যায় সে বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছিলেন জামান। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের পাকপন্থী আর্মি অফিসাররা সেই খবর জেনে গিয়েছিলেন।

আর এরপরই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি হয়। শোনা যায়, জামান দেশে ফিরলেই তাঁকে গ্রেফতার করার ছক করছিলেন বাংলাদেশের সেনা অফিসাররা। সূত্র বলছে, এই খবরও নাকি পেয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তড়িঘড়ি ভারতের পরামর্শে ঢাকার বদলে তেজগাঁও এয়ারবেসে নামানো হয় বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে।

পরবর্তীতে বিরাট সিকিউরিটি নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান জামান। তবে ওপার বাংলার বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, এখনও পর্যন্ত প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে জামানের। আগামী দিনে তাঁর সাথে কী হবে সে ব্যাপারে যথেষ্ট চিন্তিত ভারত থেকে শুরু করে অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষী দেশগুলি।”

মন্তব্য: ভারতীয় ভুঁইফোড় মিডিয়ার গুজবময় কথিত সংবাদ থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য

বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ আছে, সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ আছে, সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হচ্ছে

বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলা ও সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ আছে। এসব নিয়ে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে। সোমবার (১৭ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা মন্তব্য করেছেন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড।

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক পরিবর্তন এসেছে, সেখানে অনেক বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিভিন্ন প্রতিবেদন – যুক্তরাষ্ট্র কি এ বিষয়ে অবগত আছে যে, সেখানে শুধু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাই নয় বরং সব স্তরে স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।’

জবাবে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ক্যাথলিক এবং অন্যান্যদের ওপর দুর্ভাগ্যজনক নিপীড়ন, হত্যা মার্কিন সরকারের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল। এবং অবশ্যই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের জন্যও (উদ্বেগের বিষয়)।’

ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার দিকে ইঙ্গিত দেন গ্যাবার্ড। তিনি বলেন, ‘নতুন (মার্কিন) মন্ত্রিসভা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হচ্ছে।’

এ সময় গোয়েন্দাপ্রধান বিশ্বব্যাপী ‘ইসলামিস্ট হামলার’ দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘ইসলামিস্ট সন্ত্রাসী হুমকি এবং তাদের সামগ্রিক প্রচেষ্টা, বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা – এই সমস্ত গ্রুপ যারা সত্যিকার অর্থে একই মতাদর্শের, তাদের একই উদ্দেশ্য; এটি হলো – একটি ইসলামপন্থী খিলাফতের শাসন। এটি আবারও উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়ে গেছে। এটি স্পষ্টতই অন্য যে কোনো ধর্মের লোকদের প্রভাবিত করে, যা তারা (সন্ত্রাসীরা) গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে এবং তারা এটি করতে সহিংস ও সন্ত্রাসী উপায় বেছে নেয়।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারও বিশ্বব্যাপী ‘এই মতাদর্শকে চিহ্নিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বলেও উল্লেখ করেন গ্যাবার্ড, যে মতাদর্শ ‘ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদকে’ চালিত করে।