খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয়দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয়দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জ শহরে ছয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৭’শতাধিক শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১ থেকে পৌনে ১২ টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশন এলাকার  নিউ ঢাকা রোডের রেলগেট এলাকা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে ওই এলাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরমভাবে  জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন ও সদর আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মারুফ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

বিক্ষোভ রত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৮ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা প্রয়োগ করে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতির আদেশ দেন।  এতে কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং পেশাগত বৈষম্য আরও গভীর হয়েছে। এজন্য আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে।

তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো—- ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল; কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের দিয়েই কারিগরি পদে নিয়োগ; বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন; প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদন করতে সুযোগ দেয়া এবং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদের যোগ্যতা হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নির্ধারণ।

সিরাজগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন কবির জানান, এত ছাত্রের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের এই সড়ক অবরোধের বিষয়টি পূর্বে থেকে আমাদের জানা ছিল না। যে কারণে ওই সড়কে চলাচল কারীদের  দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। পরে আর্মি ক্যাম্পের একটি পেট্রোল টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।

হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১১:২৯ অপরাহ্ণ
হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের আহ্বান

হজের খুতবায় মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং নিজেদের মাঝে দ্বন্দ্ব ও দল উপদল তৈরি করতে নিষেধ করেছেন। আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরায় লাখ লাখ হাজির উদ্দেশে দেওয়া খুতবায় তিনি একথা বলেন।

মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির খবর সরবরাহকারী ওয়েব পোর্টাল ‘হারামাইন শরিফাইনে’ এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ বলেন, ঈমানদারদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা এবং তাকওয়া অবলম্বন করা। তাকওয়া ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য। তিনি বলেন, শয়তান মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু। মুসলমানদের উচিত পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা।

শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ বলেন, আল্লাহ তায়ালা ইসলামকে মানবজাতির জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করেছেন। যদি তুমি তোমার শত্রুকে ক্ষমা করো, তাহলে আল্লাহ তোমাকে তাঁর বন্ধু বানিয়ে নেবেন।

তিনি আরও বলেন, সৎকর্ম পাপসমূহকে মুছে দেয়। তাই আমাদের উচিত যতটা সম্ভব নেক কাজের চেষ্টা করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহর এবাদত এমনভাবে করো যেন তুমি তাঁকে দেখছ।

মসজিদুল হারামের সাবেক ইমাম বলেন, ইসলাম ধর্মের তিনটি স্তর রয়েছে, যার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তর হলো ‘ইহসান’। পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার, নম্রতা প্রদর্শন এবং প্রতিশ্রুতি পূরণ করাও ইসলামেরই অংশ। আর লজ্জাশীলতা বা হায়া হলো ঈমানের একটি শাখা।

শায়খ সালেহ বিন আবদুল্লাহ আরও বলেন, হজের সময় বেশি বেশি আল্লাহর জিকির (স্মরণ) করা উচিত, বেশি বেশি দোয়া করা উচিত এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করা উচিত। আল্লাহ বলেছেন, নেক কাজে একে অপরকে সাহায্য করো এবং মন্দ কাজে বাধা দাও।

হজের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আরাফায় অবস্থান পালনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৮ জিলহজ, ৫ জুন) ভোর থেকে আরাফায় পৌঁছাতে শুরু করেন হাজিরা। এখানে পৌঁছে আল্লাহর কাছে দোয়া ও ইবাদতে সময় অতিবাহিত করছেন তারা।

সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদেরকে দিনের সবচেয়ে উত্তপ্ত সময়ে (সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা) বাইরে না থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।

হাজার হাজার হাজি ফজরের আগেই আরাফার ময়দান, জাবালে রহমত পাহাড় ও তার আশপাশের সমতল ভূমিতে একত্রিত হতে শুরু করেন। এটি সেই ঐতিহাসিক স্থান যেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণ প্রদান করেছিলেন। সূর্যাস্তের পর তারা আরাফাত থেকে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হবেন।

মিনা ও আরাফার ময়দানের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত একটি এলাকা মুজদালিফা। শয়তানকে প্রতীকি পাথর নিক্ষেপের রীতি অনুসরণের জন্য এখান থেকে তারা পাথর সংগ্রহ করবেন।

১০ জিলহজ তারিখে ওকুফে মুজদালিফা শেষে তারা রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

এরপর তারা বড় শয়তানকে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন এবং কোরবানি করবেন। এরপর মাথা মুণ্ডিয়ে বা চুল ছেঁটে ইহরাম খোলার মাধ্যমে ইহরামমুক্ত হবেন।

১১ জিলহজ হজযাত্রীরা ছোট, মাঝারি ও বড় তিনটি শয়তানকে সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। রমি শেষে তারা কাবা শরিফে ‘তাওয়াফে জিয়ারত’ করবেন এবং এরপর সাফা-মারওয়া সাঈ সম্পন্ন করবেন।

১২ জিলহজ তারিখে সূর্য ঢলার পর তিনটি শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করা হবে। ১৩ জিলহজ রমি জামেরাত শেষে হজযাত্রীরা মিনা থেকে তাদের বাসস্থানে ফিরে যাবেন।

এবার দুর্নীতিবাজরা না থাকায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে কম: উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ণ
এবার দুর্নীতিবাজরা না থাকায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে কম: উপদেষ্টা

দুর্নীতিবাজরা না থাকায় এবারের ঈদুল আজহায় বড় গরু কম বিক্রি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাবতলী গরুর হাট পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কোরবানির বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোরবানির পশুর হাটে উইন উইন পরিস্থিতি দরকার, যাতে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই খুশি থাকে। তবে, আমার কাছে মনে হয়েছে এখন পর্যন্ত ক্রেতারা বেশি খুশি বিক্রেতার চেয়ে।

তিনি বলেন, এবার দুর্নীতিবাজরা না থাকায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে কম। আগে দুর্নীতির টাকা ছিল। এখন তো সেই দুর্নীতিবাজরা নাই। দুর্নীতির টাকাও নাই। সে জন্য বড় গরুর ক্রেতাও কম।

একইদিন কাফরুল থানা ও মিরপুর পিওএম (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট) পরিদর্শন করেন মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, কোরবানির পশুর গাড়ির কারণে চন্দ্রা এলাকায় যানজট একটু বেশি। তবে, পুলিশ এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে। আইজিপি নিজেই এসব তদারকি করছেন।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা কোথায় ঈদ করবেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ণ
বিএনপির শীর্ষ নেতারা কোথায় ঈদ করবেন

এবারের ঈদটা অন্যরকম কাটবে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মীদের। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঈদের দিন গুলশান বাসভবনেই থাকবেন। রাতে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।

সম্প্রতি চিকিৎসা শেষ করে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া। তবে শর্মিলা রহমান ইতোমধ্যে তাদের দুই মেয়ে- জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানের কাছে ফিরে গেছেন।

অন্যদিকে, ডা. জুবাইদা রহমান আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে ঢাকা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সেখানে তার স্বামী তারেক রহমান ও তাদের একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান অপেক্ষা করছেন। তারা এবারের ঈদ উদযাপন করবেন যুক্তরাজ্যে।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় ঈদ করবেন। তিনি ঢাকার গুলশান আজাদ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গুলশান সোসাইটি মসজিদ, মির্জা আব্বাস শাহজাহানপুর ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কেরানীগঞ্জে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

ড. আব্দুল মঈন খান তার নিজ নির্বাচনি এলাকা নরসিংদীর পলাশে ঈদ উদযাপন করবেন। নজরুল ইসলাম খান বনানী ডিওএইচএস মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম, সালাহউদ্দিন আহমদ কক্সবাজার, বেগম সেলিমা রহমান বনানী বাসায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।

হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বনানী বড় মসজিদ এবং অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ধানমন্ডিতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

এ ছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য, কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, এবারের ঈদের সময় বন্যা পূর্বাভাসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে সহযোগিতার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা দিয়েছেন।

ঈদের দিন বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাসায় আছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান অসুস্থ। বাসায় নামাজ আদায় করবেন। বেগম সারোয়ারী রহমান অসুস্থ। বাসায় নামাজ আদায় করবেন।

এ ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান ড. ওসমান ফারুক ও আইসিটি সম্পাদক ড. ওয়াহিদুজ্জামান আমেরিকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন।