খুঁজুন
সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ১৭ চৈত্র, ১৪৩১

লাইলাতুল কদর চেনার যত আলামত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ
লাইলাতুল কদর চেনার যত আলামত

লাইলাতুল কদর হলো এক মহিমান্বিত রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাতে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা মানবজাতির জন্য এক মহা রহমত ও কল্যাণের উৎস। মহান আল্লাহ তা‍‍`য়ালা এই রাতকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন এবং কুরআনে সূরা আল-কদরে স্পষ্টভাবে এর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। হাদিস অনুযায়ী এ রাতে সঠিকভাবে ইবাদত করলে হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যায়। তাই প্রতিটি মুসলিমের উচিত এই রাতের গুরুত্ব উপলব্ধি করা এবং এর ফজিলত অর্জনের জন্য সচেষ্ট থাকা।

১. লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট সময়
কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশকের কোনো এক বিজোড় রাতে হয়ে থাকে। বিশেষ করে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯তম রাতে লাইলাতুল কদর পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমরা লাইলাতুল কদরকে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে অনুসন্ধান করো” (বুখারি ও মুসলিম)। অনেক ইসলামি বিশেষজ্ঞের মতে, ২৭তম রাতেই লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তবে নিশ্চিতভাবে কেউ তা বলতে পারে না। তাই আমাদের উচিত পুরো শেষ দশকে ইবাদতে মশগুল থাকা যেন লাইলাতুল কদরের ফজিলত লাভ করা যায়।

২. লাইলাতুল কদর চেনার বাহ্যিক আলামত
লাইলাতুল কদর চেনার কিছু বাহ্যিক লক্ষণ রয়েছে যা রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবিরা বর্ণনা করেছেন। এ রাতের কিছু দৃশ্যমান আলামত হলো:

আকাশের স্বচ্ছতা ও আবহাওয়ার শীতলতা: লাইলাতুল কদরের রাতে আকাশ অত্যন্ত পরিষ্কার ও স্বচ্ছ থাকে। এ রাতে কোনো ঝড়-বৃষ্টি বা মেঘাচ্ছন্ন অবস্থা থাকে না। বাতাস হালকা ও শান্তিময় অনুভূত হয়।

স্নিগ্ধ ও প্রশান্ত পরিবেশ: এই রাতটি অত্যন্ত প্রশান্তিময় হয়। কোনো অতিরিক্ত গরম বা প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভূত হয় না, বরং আবহাওয়া ভারসাম্যপূর্ণ ও আরামদায়ক থাকে।

সূর্যের কোমল আলো: লাইলাতুল কদর শেষে পরদিন সকালে সূর্য উদয় হয় অত্যন্ত কোমল আলো নিয়ে। সূর্যের আলো মৃদু ও অতিরিক্ত উজ্জ্বলতা ছাড়াই দেখা যায়।

অস্বাভাবিক নিরবতা ও সান্ত্বনা: এ রাতে চারপাশে একটি অদ্ভুত নিরবতা বিরাজ করে, যা অনুভবযোগ্য। পশুপাখিরা সাধারণের তুলনায় কম শব্দ করে এবং রাতটি অন্য সব রাতের চেয়ে শান্ত মনে হয়।

৩. লাইলাতুল কদর চেনার আধ্যাত্মিক আলামত
এটি এমন একটি রাত যখন একজন মুমিন নিজের অন্তরে এক বিশেষ অনুভূতি পেতে পারে। কিছু আধ্যাত্মিক আলামত হলো:

অতিরিক্ত আত্মিক প্রশান্তি অনুভূত হওয়া: লাইলাতুল কদরের রাতে ইবাদত করলে হৃদয়ে এক অপূর্ব প্রশান্তি নেমে আসে। মনে হয় যেন আল্লাহর রহমত প্রবাহিত হচ্ছে।

ইবাদতে অদ্ভুত এক আগ্রহ সৃষ্টি হওয়া: সাধারণ দিনের চেয়ে বেশি বেশি ইবাদতে মন বসে এবং অলসতা দূর হয়ে যায়। অনেক সময় দীর্ঘ সময় ইবাদত করার পরও ক্লান্তি অনুভূত হয় না।

দোয়া কবুল হওয়ার অনুভূতি: এ রাতে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে মনে হয় যেন দোয়া কবুল হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় অশ্রুসজল হয়ে যায় এবং আত্মশুদ্ধির এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ হয়।

গুনাহ থেকে মুক্তির প্রবল ইচ্ছা সৃষ্টি হওয়া: লাইলাতুল কদরের রাতে আত্মশুদ্ধির প্রবল ইচ্ছা জাগে। নিজের পাপ কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মানুষ কান্নাকাটি করে এবং আল্লাহর রহমত কামনা করে।

৪. লাইলাতুল কদর পরবর্তী সকাল
লাইলাতুল কদরের এক বিশেষ আলামত হলো এর পরদিন সকালে সূর্যের আলো অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রমী হয়।

সূর্যের আলো নরম ও কিরণহীন হয়: এদিন সূর্যের আলো খুব বেশি উজ্জ্বল হয় না বরং মিষ্টি ও কোমল থাকে যা সহজেই খালি চোখে দেখা যায়।

সকালটি অন্য দিনের তুলনায় শান্তিপূর্ণ হয়: সকাল বেলা পরিবেশে এক ধরনের প্রশান্তি বিরাজ করে। সাধারণত এই সময় বাতাস থাকে মৃদু এবং মনে হয় যেন প্রকৃতি আল্লাহর রহমতে পূর্ণ হয়ে আছে।

পশুপাখিদের স্বাভাবিক আচরণে পরিবর্তন: অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় যে পাখিরা অন্যদিনের তুলনায় কম ডাকছে বা ভিন্ন আচরণ করছে। এই বিষয়গুলো সাহাবিরা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং হাদিসে পাওয়া যায়।

৫. লাইলাতুল কদরের ইবাদত ও করণীয়
যেহেতু এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে বেশি সওয়াবের, তাই আমাদের উচিত এই রাতে সর্বোচ্চ ইবাদত করা। কিছু করণীয় বিষয় হলো:

নফল নামাজ পড়া: যত বেশি সম্ভব তাহাজ্জুদ ও অন্যান্য নফল নামাজ পড়া উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইমানের সঙ্গে ও সওয়াবের আশায় ইবাদত করে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়” (বুখারি ও মুসলিম)।

কুরআন তিলাওয়াত: এই রাতে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত এবং কুরআনের আয়াত নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করা উচিত।

জিকির ও তাসবিহ: এই রাতে “সুবহানাল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ”, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, “আল্লাহু আকবার” ইত্যাদি জিকির বেশি বেশি করা উচিত।

গুনাহ থেকে মুক্তির দোয়া করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, লাইলাতুল কদরে এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে:

اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা‍‍`ফু আন্নি।
অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো, আমাকে ক্ষমা করে দাও।”

দরিদ্রদের সাহায্য করা: এ রাতে দান-সদকা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরিব ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করা লাইলাতুল কদরের অন্যতম বড় আমল।

লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রাত, যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়গুলোর একটি। এটি চিনে নেওয়া এবং যথাযথ ইবাদতের মাধ্যমে এর সওয়াব অর্জন করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতের বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক আলামত দেখে আমরা উপলব্ধি করতে পারি কখন এটি হতে পারে। তাই আমাদের উচিত শেষ দশকের প্রতিটি বিজোড় রাতে ইবাদতে মশগুল থাকা, যেন আমরা লাইলাতুল কদরের বরকত ও আল্লাহর রহমত অর্জন করতে পারি।

আসুন, আমরা সবাই এই রাতের মর্যাদা বুঝে ইবাদতে মনোযোগী হই। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং জান্নাত লাভের আশায় সারাটি রাত ইবাদতে কাটাই।

চলছে ষড়যন্ত্র, মূল মাস্টারমাইন্ড চিহ্নিত

জয় বাংলা ব্রিগেড প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা !

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ১:০৮ পূর্বাহ্ণ
জয় বাংলা ব্রিগেড প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা !

গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের মুখে পতন হয় স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের। তারপর থেকেই দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকেই ভারতে পলাতক রয়েছে। আর সেই ভারত থেকেই চলছে বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে আসছে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের মহাষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে এমন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। এরই মধ্যে শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ আরও ঘনীভূত হয়েছে কলকাতায় আয়োজিত এক ইফতার পার্টিতে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরিকল্পনার তথ্য প্রকাশের পর।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কলকাতার রাজারহাটে এক ইফতার পার্টিতে অংশ নেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাসিম, মেয়র জাহাঙ্গীর, সম্রাটসহ শতাধিক আওয়ামী ঘনিষ্ঠ পলাতক নেতা। উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার স্ত্রী।

পরদিন একই স্থানে ছাত্রলীগের শতাধিক পলাতক নেতার আরেকটি ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যে কোনো মূল্যে উৎখাতের নির্দেশ দেন এবং তথ্যসূত্রের দাবি অনুযায়ী, তিনি নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেন যে অস্ত্র ও অর্থের অভাব হবে না।

২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর “জয়বাংলা ব্রিগেড” নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বৈঠকে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয় বলে সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে।

সেখানে শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের রূপরেখা ও প্রয়োজনে গৃহযুদ্ধের ডাক দেন বলে অভিযোগ। ওই বৈঠকে দেশ-বিদেশের ৫৭৭ জন অংশ নেন।

এর মধ্যে ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, এবং বাকি ৫০০ জনকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও দুবাইতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী ঘনিষ্ঠ নেতারাও একই এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয়। কলকাতা, দিল্লি, আগরতলা ও মেঘালয়ের মাটিও নির্বিঘ্নে ব্যবহার করছেন তারা।

গঠিত হয়েছে বিভিন্ন গ্রুপ। গঠিত হয়েছে কোর গ্রুপ। মধ্য রমজান থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি বৈঠকের তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।

যদিও শেখ হাসিনা এখনও সরাসরি কোনো বিবৃতি দেননি, তবে সিআইডির দাবি অনুযায়ী, ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তাকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসরণ করা হবে। দেশের ভেতর ও বাইরে সক্রিয় নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে অভিযুক্তদের।

সূত্র: https://www.facebook.com/watch/?v=625675083619141&rdid=ezVPoexOrUH9TrsP

অন্যান্য দেশে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চায় চীন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
অন্যান্য দেশে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চায় চীন

অন্যান্য দেশে নিজেদের পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চায় চীন। এজন্য বাংলাদেশে চীনা উৎপাদন কেন্দ্র স্থানান্তরে সহায়তা করবে দেশটির এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক (এক্সিম ব্যাংক)। বৃহস্পতিবার চীন সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান চেন হুয়াইউ।

তিনি জানান, বাংলাদেশে চীনা উৎপাদন কেন্দ্র স্থানান্তরে সহায়তা করবে তার ব্যাংক, যাতে অন্যান্য দেশে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

চীনের এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশে চীনা অর্থায়িত অবকাঠামো ও জ্বালানি প্রকল্পগুলোর প্রধান অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান। তবে, এবারই প্রথম তারা বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

চেন হুয়াইউ আজ চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান এবং মানবসম্পদ দেশটিকে চীন ও বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির জন্য একটি উৎপাদনকেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে পারে।

তিনি বলেন, আমি শীর্ষ চীনা বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং আমার সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় সুবিধা ও একটি বাণিজ্য করিডোর প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ চীনের পরিপূরক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়নের কাজ চলছে। বাংলাদেশ বড় আকারে নতুন বন্দর তৈরি করছে, যা শুধু দেশীয় অর্থনীতির জন্য নয়, বরং নেপাল ও ভূটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যের জন্যও সহায়ক হবে।

এ সময় এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান চেন হুয়াইউ বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব ও দূরপ্রাচ্যের এশিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়ার বাজারের জন্য উপযুক্ত।

তিনি বলেন, চীনের বিপুলসংখ্যক কোম্পানি বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ করছে এবং আমাদের ব্যাংক বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ ও উৎপাদন শিল্পের বিকাশে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের টেকসই সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অবকাঠামো নির্মাণেও সহায়তা করবো আমরা।

ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের উদাহরণ তুলে ধরে চেন হুয়াইউ বলেন, চীনা ও পশ্চিমা উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করতে হলে বাংলাদেশকে তার ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করতে হবে।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নের দ্রুত ছাড়করণ এবং নতুন অবকাঠামো প্রকল্প যেমন দাশেরকান্দি স্যুয়েজ প্লান্টে সহায়তা চান। একইসঙ্গে প্রকল্প ব্যয় কমাতে এক্সিম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি ফি কমানোরও আহ্বান জানান বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।

চেন এ সময় জানান, তার ব্যাংক এসব প্রস্তাব যাচাই করে দেখবে।

একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশকে চীনা মুদ্রা রেনমিনবিতে (আরএমবি) সহজ শর্তের আরও বেশি ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দেন। চেন বলেন, উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুব শিগগিরই পুনরায় বৈঠকে বসবেন, যাতে এই বৈঠকে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি ও পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল সুপারকো

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৭ পূর্বাহ্ণ
ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল সুপারকো

চলছে পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস রমজান। পবিত্র এই মাসের তৃতীয় দশকও শেষ হতে চলেছে। এ বছরের রমজান মাসটি ২৯ নাকি ৩০ দিনের হবে সে বিষয়েও চলছে আলোচনা। এমন অবস্থায় আসন্ন ঈদুল ফিতর আগামী সোমবার (৩১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছে স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো)।

বুধবার (২৬ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং জিও নিউজ।

(Dawn.com (@dawn_com) March 26, 2025)

পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো) বুধবার জানিয়েছে, আগামী ২৯ মার্চ পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ৩০ মার্চ চাঁদ দেখা যাওয়ার এবং পরদিন ৩১ মার্চ (সোমবার) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন, জ্যোতির্বিদ্যাগত গণনা এবং আধুনিক পর্যবেক্ষণগত তথ্যের ভিত্তিতে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি চাঁদ দেখার সম্ভাবনা সম্পর্কে পূর্বাভাস দিয়েছে এই গবেষণা কেন্দ্রটি।

সুপারকোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সুনির্দিষ্ট জ্যোতির্বিদ্যার মডেল অনুসারে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ (সংযোগ) আগামী ২৯ মার্চ বিকেল ৩:৫৮ মিনিটে দেখা যাবে। চাঁদের দৃশ্যমানতা নির্ভর করে চাঁদের বয়স, সূর্য থেকে এর কৌণিক বিচ্ছেদ, সূর্যাস্তের সময় উচ্চতা এবং বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর।”

দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণবিক অস্ত্রধারী দেশটির সরকারি এই সংস্থার মতে, আগামী ২৯ মার্চ সৌদি আরবে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা প্রায় অসম্ভব এবং মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে পাকিস্তানের মতোই আগামী ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিরত উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আসন্ন ঈদুল ফিতরের বিষয়ে সুপারকোর এই পূর্বাভাস পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ দেশটির আবহওয়া বিভাগও আগামী ৩১ মার্চ ঈদের পূর্বাভাস দিয়েছে।

পাকিস্তানের ফেডারেল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদুল ফিতরের জন্য তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। দেশটির মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ৩১ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি চলবে।

জিও নিউজ বলছে, পাকিস্তানের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি রুয়েত-ই-হিলালের কেন্দ্রীয় কমিটি পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য আগামী ৩০ মার্চ, ২০২৫ (রমজান ২৯, ১৪৪৬ হিজরি) রোববার সন্ধ্যায় আঞ্চলিক কমিটিগুলোর সাথে বৈঠক করবে। চাঁদ দেখা কমিটির এই সভা ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও সামা টিভি জানিয়েছিল, জ্যোতির্বিদ্যার মডেল অনুসারে, আগামী ৩০ মার্চ পাকিস্তানে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আর তেমনটি হলে ২৯ রোজা শেষেই রমজান মাসের সমাপ্তি এবং পরদিন ৩১ মার্চ দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে।