খুঁজুন
রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

লাইলাতুল কদর চেনার যত আলামত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ
লাইলাতুল কদর চেনার যত আলামত

লাইলাতুল কদর হলো এক মহিমান্বিত রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাতে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা মানবজাতির জন্য এক মহা রহমত ও কল্যাণের উৎস। মহান আল্লাহ তা‍‍`য়ালা এই রাতকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন এবং কুরআনে সূরা আল-কদরে স্পষ্টভাবে এর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। হাদিস অনুযায়ী এ রাতে সঠিকভাবে ইবাদত করলে হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যায়। তাই প্রতিটি মুসলিমের উচিত এই রাতের গুরুত্ব উপলব্ধি করা এবং এর ফজিলত অর্জনের জন্য সচেষ্ট থাকা।

১. লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট সময়
কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশকের কোনো এক বিজোড় রাতে হয়ে থাকে। বিশেষ করে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯তম রাতে লাইলাতুল কদর পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমরা লাইলাতুল কদরকে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে অনুসন্ধান করো” (বুখারি ও মুসলিম)। অনেক ইসলামি বিশেষজ্ঞের মতে, ২৭তম রাতেই লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তবে নিশ্চিতভাবে কেউ তা বলতে পারে না। তাই আমাদের উচিত পুরো শেষ দশকে ইবাদতে মশগুল থাকা যেন লাইলাতুল কদরের ফজিলত লাভ করা যায়।

২. লাইলাতুল কদর চেনার বাহ্যিক আলামত
লাইলাতুল কদর চেনার কিছু বাহ্যিক লক্ষণ রয়েছে যা রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবিরা বর্ণনা করেছেন। এ রাতের কিছু দৃশ্যমান আলামত হলো:

আকাশের স্বচ্ছতা ও আবহাওয়ার শীতলতা: লাইলাতুল কদরের রাতে আকাশ অত্যন্ত পরিষ্কার ও স্বচ্ছ থাকে। এ রাতে কোনো ঝড়-বৃষ্টি বা মেঘাচ্ছন্ন অবস্থা থাকে না। বাতাস হালকা ও শান্তিময় অনুভূত হয়।

স্নিগ্ধ ও প্রশান্ত পরিবেশ: এই রাতটি অত্যন্ত প্রশান্তিময় হয়। কোনো অতিরিক্ত গরম বা প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভূত হয় না, বরং আবহাওয়া ভারসাম্যপূর্ণ ও আরামদায়ক থাকে।

সূর্যের কোমল আলো: লাইলাতুল কদর শেষে পরদিন সকালে সূর্য উদয় হয় অত্যন্ত কোমল আলো নিয়ে। সূর্যের আলো মৃদু ও অতিরিক্ত উজ্জ্বলতা ছাড়াই দেখা যায়।

অস্বাভাবিক নিরবতা ও সান্ত্বনা: এ রাতে চারপাশে একটি অদ্ভুত নিরবতা বিরাজ করে, যা অনুভবযোগ্য। পশুপাখিরা সাধারণের তুলনায় কম শব্দ করে এবং রাতটি অন্য সব রাতের চেয়ে শান্ত মনে হয়।

৩. লাইলাতুল কদর চেনার আধ্যাত্মিক আলামত
এটি এমন একটি রাত যখন একজন মুমিন নিজের অন্তরে এক বিশেষ অনুভূতি পেতে পারে। কিছু আধ্যাত্মিক আলামত হলো:

অতিরিক্ত আত্মিক প্রশান্তি অনুভূত হওয়া: লাইলাতুল কদরের রাতে ইবাদত করলে হৃদয়ে এক অপূর্ব প্রশান্তি নেমে আসে। মনে হয় যেন আল্লাহর রহমত প্রবাহিত হচ্ছে।

ইবাদতে অদ্ভুত এক আগ্রহ সৃষ্টি হওয়া: সাধারণ দিনের চেয়ে বেশি বেশি ইবাদতে মন বসে এবং অলসতা দূর হয়ে যায়। অনেক সময় দীর্ঘ সময় ইবাদত করার পরও ক্লান্তি অনুভূত হয় না।

দোয়া কবুল হওয়ার অনুভূতি: এ রাতে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে মনে হয় যেন দোয়া কবুল হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় অশ্রুসজল হয়ে যায় এবং আত্মশুদ্ধির এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ হয়।

গুনাহ থেকে মুক্তির প্রবল ইচ্ছা সৃষ্টি হওয়া: লাইলাতুল কদরের রাতে আত্মশুদ্ধির প্রবল ইচ্ছা জাগে। নিজের পাপ কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মানুষ কান্নাকাটি করে এবং আল্লাহর রহমত কামনা করে।

৪. লাইলাতুল কদর পরবর্তী সকাল
লাইলাতুল কদরের এক বিশেষ আলামত হলো এর পরদিন সকালে সূর্যের আলো অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রমী হয়।

সূর্যের আলো নরম ও কিরণহীন হয়: এদিন সূর্যের আলো খুব বেশি উজ্জ্বল হয় না বরং মিষ্টি ও কোমল থাকে যা সহজেই খালি চোখে দেখা যায়।

সকালটি অন্য দিনের তুলনায় শান্তিপূর্ণ হয়: সকাল বেলা পরিবেশে এক ধরনের প্রশান্তি বিরাজ করে। সাধারণত এই সময় বাতাস থাকে মৃদু এবং মনে হয় যেন প্রকৃতি আল্লাহর রহমতে পূর্ণ হয়ে আছে।

পশুপাখিদের স্বাভাবিক আচরণে পরিবর্তন: অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় যে পাখিরা অন্যদিনের তুলনায় কম ডাকছে বা ভিন্ন আচরণ করছে। এই বিষয়গুলো সাহাবিরা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং হাদিসে পাওয়া যায়।

৫. লাইলাতুল কদরের ইবাদত ও করণীয়
যেহেতু এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে বেশি সওয়াবের, তাই আমাদের উচিত এই রাতে সর্বোচ্চ ইবাদত করা। কিছু করণীয় বিষয় হলো:

নফল নামাজ পড়া: যত বেশি সম্ভব তাহাজ্জুদ ও অন্যান্য নফল নামাজ পড়া উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইমানের সঙ্গে ও সওয়াবের আশায় ইবাদত করে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়” (বুখারি ও মুসলিম)।

কুরআন তিলাওয়াত: এই রাতে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত এবং কুরআনের আয়াত নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করা উচিত।

জিকির ও তাসবিহ: এই রাতে “সুবহানাল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ”, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, “আল্লাহু আকবার” ইত্যাদি জিকির বেশি বেশি করা উচিত।

গুনাহ থেকে মুক্তির দোয়া করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, লাইলাতুল কদরে এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে:

اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা‍‍`ফু আন্নি।
অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো, আমাকে ক্ষমা করে দাও।”

দরিদ্রদের সাহায্য করা: এ রাতে দান-সদকা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরিব ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করা লাইলাতুল কদরের অন্যতম বড় আমল।

লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রাত, যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়গুলোর একটি। এটি চিনে নেওয়া এবং যথাযথ ইবাদতের মাধ্যমে এর সওয়াব অর্জন করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতের বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক আলামত দেখে আমরা উপলব্ধি করতে পারি কখন এটি হতে পারে। তাই আমাদের উচিত শেষ দশকের প্রতিটি বিজোড় রাতে ইবাদতে মশগুল থাকা, যেন আমরা লাইলাতুল কদরের বরকত ও আল্লাহর রহমত অর্জন করতে পারি।

আসুন, আমরা সবাই এই রাতের মর্যাদা বুঝে ইবাদতে মনোযোগী হই। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং জান্নাত লাভের আশায় সারাটি রাত ইবাদতে কাটাই।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:৪৯ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে জানিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। এ ধরনের গুজবে কান না দিতে এবং বিভ্রান্ত না হতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন।

সে কারণে তিনি আপাতত দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। তবে তিনি আগামী রবিবার থেকে পুনরায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য সব নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দোয়া কামনা করা হচ্ছে।’
এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয় রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে ছাত্রদল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব খবরে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। এমন অবস্থায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

যেসব কারণে পতন হলো ফারুক আহমেদের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:৪২ অপরাহ্ণ
যেসব কারণে পতন হলো ফারুক আহমেদের

বিতর্কিত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পলায়নের পর নতুন আশা নিয়ে বিসিবি সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। অথচ মাত্র ৯ মাস ৮ দিন- এটাই ছিল ফারুক আহমেদের বিসিবি সভাপতির মেয়াদ। গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তার কাউন্সিলর মনোনয়ন বাতিল করলে কার্যত তার সভাপতির পদও শূন্য হয়ে যায়। পরদিন, শুক্রবার পরিচালকদের জরুরি সভায় আমিনুল ইসলাম বুলবুল নির্বাচিত হন নতুন সভাপতি হিসেবে। তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে- কেন এত অল্প সময়ে পদচ্যুত হলেন ফারুক আহমেদ?

এ নিয়ে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে খতিয়ে দেখা হয়েছে, ফারুকের রাজত্ব শেষের পিছনে কোন কোন কারণ কাজ করেছে:

বিপিএল-২০২৫ দুঃশাসনের প্রতিচ্ছবি:

ফারুক আহমেদের পতনের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চলতি বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা।

বিশেষ করে দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা, খেলোয়াড়দের বেতন না দেওয়া, হোটেল বিল বকেয়া রাখা এবং শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড় বিদ্রোহ- এ ঘটনাগুলো সরকারকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করে।

তৎকালীন বোর্ড সভাপতি হিসেবে এসব ঘটনায় কার্যকর কোনো সমাধান দিতে না পারা ফারুককে প্রশাসনের নজরে ফেলে দেয়। এমনকি দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজে এই বিষয়গুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। বিপিএলের ফাইনালে তার অনুপস্থিতিও রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে ধরা হয়, যার প্রভাব পড়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অবস্থানের উপরেও।

স্বেচ্ছাচারিতা ও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন:

বোর্ড পরিচালকদের একটি বড় অভিযোগ ছিল, ফারুক বিসিবির গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন।

বিশেষ করে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি পরিচালকদের না জানিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিসিবি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এমন বড় সিদ্ধান্তের আগে পরিচালকদের মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক।

এর বাইরে কিছু সিদ্ধান্তে ফারুক ঘনিষ্ঠ কয়েকজন পরিচালককে উপেক্ষা করেছেন, যার ফলে বোর্ডের ভেতরেই দলাদলির সৃষ্টি হয়।

ভেতরের কোন্দল: ফাহিম বনাম ফারুক:

বোর্ড পরিচালক এবং এনএসসি মনোনীত প্রতিনিধি নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও একধাপ বাড়িয়ে দেয় পরিস্থিতি। এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে এবং বোর্ডের ঐক্য বিনষ্ট হয়। এমনকি, ফারুক আহমেদ ক্রীড়া উপদেষ্টার সহকারী একজন কর্মকর্তার সঙ্গেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ান, যা প্রশাসনিক মহলে ভালোভাবে নেওয়া হয়নি।

নির্বাচন নিয়ে ‘অতিরিক্ত আগ্রহ’, আস্থা হারান বোর্ডে:

অন্য এক বড় কারণ ছিল, ফারুক আহমেদের অক্টোবরে সম্ভাব্য বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ। সম্প্রতি এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এই অবস্থান তার সহকর্মী পরিচালকদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করে এবং অনেকে মনে করেন, তিনি বোর্ড পরিচালনার চেয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান তৈরিতেই বেশি মনোযোগী ছিলেন।

এনএসসি ও প্রশাসনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ:

৮ জন পরিচালক আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানোর পর এনএসসি একটি স্বতন্ত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। রিপোর্টে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বের ঘাটতির সরাসরি দায় বর্তায় ফারুকের ওপর।

ফারুক আহমেদ ছিলেন একজন সাবেক অধিনায়ক, ক্রিকেটার ও অভিজ্ঞ সংগঠক। কিন্তু সভাপতির চেয়ারে বসার পর তার আচরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি, আর প্রশাসনিক দক্ষতার অভাবই শেষ পর্যন্ত তাকে বিসিবি থেকে সরিয়ে দেয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নিয়েছেন এ অস্থির সময়েই। তারও সামনে রয়েছে দল পুনর্গঠন, স্বচ্ছতা ফেরানো ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ।

ফারুকের পতন, তা যতই নাটকীয় হোক না কেন, ক্রিকেট প্রশাসনে আবারও এক কঠিন বাস্তবতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে আছেন ছাত্রদল সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:২৯ অপরাহ্ণ
চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে আছেন ছাত্রদল সভাপতি

শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে তিনি গত দুদিন ধরে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

শুক্রবার (৩০ মে) রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি মর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগামী রোববার থেকে তিনি (সভাপতি) পুনরায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন, ইনশাআল্লাহ। তিনি সব নেতা-কর্মী ও সমর্থকের কাছে শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদল সভাপতির শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যেকোনো ধরনের গুজব থেকে সতর্ক থাকার জন্য কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, বিএনপির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে-এমন গুঞ্জন সংগঠনটির অভ্যন্তরে ও বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।