খুঁজুন
রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ১ আষাঢ়, ১৪৩২

জামায়াতের সমাবেশে সন্তোষ শর্মা, ক্ষমা চেয়ে দেওয়া পোস্ট ডিলিট করলেন রেজাউল করিম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ
জামায়াতের সমাবেশে সন্তোষ শর্মা, ক্ষমা চেয়ে দেওয়া পোস্ট ডিলিট করলেন রেজাউল করিম

সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর প্রীতি সমাবেশে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কালবেলার বিতর্কিত সম্পাদক সন্তোষ শর্মার উপস্থিতি নিয়ে বির্তক তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করেন শিবিরের সাবেক সভাপতি এবং জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তবে স্ট্যাটাসটি দেওয়ার কিছু সময় পরই সেটি ডিলিটও করে দেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রেজাউল করিমের দেওয়া স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সন্তোষ শর্মার সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়নি। সম্প্রতি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক চলছে। এরই মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসছে সন্তোষ শর্মার নানাবিধ বিতর্কিত ভূমিকা। বিশেষ করে এ দেশের শ্রদ্ধেয় আলিম-ওলামাদের ওপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে তার সম্পৃক্ততার কথাও। কিন্তু ভালো হতো ক্ষতিগ্রস্তরা যদি আগেই তার ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন, তাহলে এরকম একজন ব্যক্তি হয়তো আমাদের প্রোগ্রামে আসার সুযোগও দিত না। আমরা আরও সতর্ক হতে পারতাম। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আবারো দুঃখ প্রকাশ করছি।

আজকেও আমি লিখছি- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীরা অকাতরে শাহাদাত বরণ করেছেন। তাই জামায়াত তার নীতি, আদর্শ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করেনি, করবে না ইনশাআল্লাহ। কোনো একটি বিষয় ও কোনো ব্যক্তির জামায়াতের মিটিংয়ে উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে আমাদের দীর্ঘ অবদান ও ভূমিকাকে খাটো করে দেখার সুযোগ আছে কি? শুধু আবেগ নয়, বাস্তবতার নিরিখে সমালোচনার অনুরোধ করছি। আসুন সব মজলুম জুলাই বিপ্লবে আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণেও এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ’।

খুলনায় আ’লীগ নেতাকে বেধড়ক পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দ

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৯:০৪ অপরাহ্ণ
খুলনায় আ’লীগ নেতাকে বেধড়ক পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দ

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলীকে (৭০) স্থানীয় জনতা আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ফুলবাড়ীগেট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন মামলার আসামি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন লিয়াকত আলী। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে।

এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি তিনি একটি মামলায় জামিনে মুক্তি পান।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ফুলবাড়ীগেট বাজারে আসার পর জনসাধারণের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে থানায় সোপর্দ করে।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, ‘স্থানীয়রা লিয়াকত আলীকে গণধোলাই দিয়ে আমাদের হেফাজতে দেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি একটি মামলায় জামিনে বের হয়েছেন। বর্তমানে তিনি থানায় হেফাজতে আছেন।’

ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট বৈঠক করেছেন। এ সময় ড. ইউনূসকে একটি কলম ও দুইটি বই উপহার দিয়েছেন জনাব তারেক রহমান।

শুক্রবার (১৩ জুন) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে উপহারের ছবি প্রকাশ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এর আগে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকটি শুরু হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টা) বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তাদের মধ্যে একান্তে এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানিয়েছেন শফিকুল আলম।

ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চু’মুও খেতেন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চু’মুও খেতেন

মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে নাটক শিখতে কলকাতার বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব রাজা ভট্টাচার্যের কাছে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মঞ্জুরী কর নামে এক ছাত্রী। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে নাটকের ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন সে স্বপ্ন তার অচিরেই ভেঙে যায়। সরলতার সুযোগ নিয়ে ভট্টাচার্য নিয়মিত যৌ*ন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ করেন মঞ্জুরী কর। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

২০১৭ সালে ‘ব্ল্যাক ভার্স’ নামে এক নাটকের দলে অভিনয় শেখার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে মঞ্জুরী করের বয়স ১৮। ৬ বছর আগে যে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তিনি এবার সেই বিষয়ে মুখ খুলেন ফেসবুকে।

গত রোববার ফেসবুকে তিনি জানান ২০১৭ সালে ১২ বছর বয়সে ‘ব্ল্যাঙ্ক ভার্স’ নামক নাটকের দলে ভর্তি হন রাজা ভট্টাচার্যের কাজে নাটক শিখবেন বলে। কিন্তু গিয়ে মুখোমুখি হন সম্পূর্ণ অন্য ঘটনার। এই যুবতীর কথায়, ‘ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে গিয়ে আমায় নিয়মিত জড়িয়ে ধরতেন, চুমু খেতেন। বাবা মায়েদের সামনে আমাদের বলতেন ওর মাথা টিপে দিতে। মাথা টিপতে গেলে আমাদের বুকে পেটে ওর মাথা ঘষতেন। তখন বুঝতাম না। আর বাড়ির লোকের সামনে এমন ভান করতেন যেন আমাদের কত স্নেহ করেন।’

এরপর তিনি আরও বড় এবং বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতি শনিবার ক্লাসের আধাঘণ্টা আগে আমাকে ক্লাসে ডাকতেন। এরপর আমার সারা গায়ে বিশ্রীভাবে হাত দিতেন। কখনও কখনও নিজের ঠোঁট আমার মুখে …। পুরো বিষয় নিয়ে কখনও তার মুখে কোনও অপরাধবোধ দেখিনি। এমন ভাব করতেন যেন আমি সম্মতি জানিয়েছি এসবের জন্য।’

তিনি একইসঙ্গে তার পোস্টে লিখেন, ‘প্রথমদিন বাবা আমায় ক্লাসে দিতে গিয়েছিল। তারপর থেকে উনি আমায় বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। আমি প্রথম না বুঝেই রাজি হই। রাস্তার অন্ধকার জায়গায় বাইক দাঁড় করিয়ে অসভ্যতা করতেন। পরে বুঝতে শুরু করি যখন বিরক্ত লাগত। ঘেন্না করতে শুরু করি তাকে। কিন্তু কখনও সাহস করে বলতে পারিনি। ওর কলকাতায় অনেক জানা শোনা। ভেবেছিলাম কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আর নয়। টানা ৪ বছর তারপর থেকে অনেক অত্যাচার সয়েছি। ২০২০ সালে আমি ক্লাস ছেড়ে দিই। এবার মুখ খুললাম।’

ওই ছাত্রী জানান তারা প্রথম ক্লাসে গিয়ে রাজা ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হন। জানান এবার তার আসল মুখ সবার সামনে নিয়ে আসবেন মুখোশ খুলে। তখন তিনি হাতে পায়ে ধরেন যাতে এই ঘটনা না ঘটান সেই যুবতী। যদিও তাতে বিশেষ পাত্তা দেননি তিনি। নিজে যে আতঙ্ক, বিভীষিকার মধ্যে দিয়ে গেছেন যাতে আর কাউকে সেটার শিকার না হতে হয় তার জন্য সমস্ত স্ক্রিনশট সহ ফেসবুকে পোস্ট করেন।