খুঁজুন
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১৫ বৈশাখ, ১৪৩২

শ্রীপুরে বাবার সম্পত্তির পুনরায় তদন্তের জন্য উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বরাবর আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ণ
শ্রীপুরে বাবার সম্পত্তির পুনরায় তদন্তের জন্য উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বরাবর আবেদন

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকায় বাবার সম্পত্তি ফিরে এবং দখল বুঝে পেতে গাজীপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪৫/২০২৫নং পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন মৃত আঃ আউয়াল এর উরশ জাত কন্যা রহিমা।

বিজ্ঞ আদালত দখলী প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্মারক নং- ৪৩৯ (সং),গত ২৭জানুয়ারী শ্রীপুর পৌর ভূমি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে দখলীয় প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। শ্রীপুর পৌর ভূমি কর্মকর্তা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। যে প্রতিবেদন ভুক্তভোগীর মনমতো না হওয়ার কারণে পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করেন।

ভূমি কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে, বিবাদীর পক্ষ তফসিলী জমিতে ২৫/৩০ বৎসর যাবত ভোগ দখলে আছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এমন টা বলেছেন রহিমা খাতুন।

ভোক্তভোগী রহিমা বলেন, পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করার পর বিবাদী পক্ষ রাতের আধারে অনুমান ১ মাস পূর্বে ভাসমান দোকান নির্মাণ করে। উল্লেখিত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে আমার মালিকানার অপূরনীয় ক্ষতি হবে। সেই মর্মে আমি শ্রীপুর পৌর ভূমি কর্মকর্তার দাখিল কৃত প্রেতিবেদনটি স্থগিত রাখার জন্য,এবং পুনরায় সরে জমিনে তদন্ত সহকারে সত্য তথ্য উপস্থাপনসহ সঠিক দখলীয় প্রতিবেদন প্রদান করার জন্য শ্রীপুর ভূমি কর্মকর্তা বরাবর পূনরায় তদন্তের জন্য রহিমা খাতুন একটি আবেদন করে।

উক্ত জমিনের তফসিল,জেলা- গাজীপুর, থানা ও সাব রেজিঃ অফিস শ্রীপুর অধীন ৭নং কেওয়া মৌজাস্থিত খতিয়ান নং- এস.এ-১২৮৩, আর.এস ৪১৪, দাগ নং- এস.এ- ৮৩৯, আর.এস- ২১১৭, ২২২০, মোট জমি ১৫৩০ একর।

এই ব্যাপারে শ্রীপুর পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, পিটিশন মুকাদ্দমার প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে যার দখলে থাকবে আমি তার পক্ষেই প্রতিবেদন দাখিল করেছি। প্রতিবেদনের সময় আমি রহিমা খাতুন কে জিজ্ঞেস করলে তিনিও বলেছেন, জমি আমাদের দখলে নাই। এখন যদি আমার প্রতিবেদন তাদের মন মতো না হয় তাহলে পুনরায় তদন্তের আবেদন করতে পারে।

শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বলায় কী বলেছিলেন মোদী, জানালেন ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বলায় কী বলেছিলেন মোদী, জানালেন ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে আলাপ হয়েছিল। ভারতে থেকে হাসিনার বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা।

বে হাসিনার চুপ থাকার বিষয়ে নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আল জাজিরায় এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা জানান।

ওই সাক্ষাৎকারে সংস্কার, নির্বাচন, চীন প্রসঙ্গ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ডোনাল্ড ট্রাম্প, হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান- শেখ হাসিনা দাবি করছেন, তিনি এখনো বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতে বসে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার ভারতে তার উপস্থিতিকে কীভাবে দেখছে?

জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ছিলেন। মোদীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। মোদীকে স্পষ্টভাবে বলে বলেছি, যখন তিনি (হাসিনা) সেখানে আছেন, তখন যেন কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য না দেন। কারণ এটি আমাদের দেশে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি (হাসিনা) বাংলাদেশের মানুষকে উসকে দেওয়ার জন্য বক্তব্য দিচ্ছেন, আর তার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে।

সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী মোদী কী বলেছিলেন। উত্তরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি যদি ঠিকঠাক মনে করতে পারি, তিনি বলেছিলেন, ‘এটা (ভারত) এমন একটি দেশ, যেখানে সামাজিকমাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত, আমি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। ’

প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মনে করেন কি না, ভারত শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় দিচ্ছে, যেন দেশে ফিরে তাকে ন্যায়বিচারের সম্মুখীন না হতে হয়। তিনি ভারতের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন কি না?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জানান, বাংলাদেশ এরইমধ্যে ভারত সরকারকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে। কিন্তু তারা এখনো কোনো উত্তর দেয়নি। যখন আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে, তখন আদালত তাকে নোটিশ পাঠাবে এবং তখন দেখা যাবে কীভাবে তাকে ফিরিয়ে আনা যায়।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতেই আছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ শেষে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৩টায় তিনি দেশে পৌঁছান।

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।

কাতারের দোহায় আর্থানা সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে ২১ এপ্রিল তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। দোহায় চারদিনের সফর শেষে তিনি পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগদানের উদ্দেশে ইতালিতে যান।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের শেষকৃত্যে যোগদান শেষে রবিবার (২৭ এপ্রিল) ইতালির রোম থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে সোমবার ভোরে দেশে ফেরেন।

রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মানবিক করিডোর তৈরি করতে চায় জাতিসংঘ। এ বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে নীতিগতভাবে সম্মত আছে অন্তর্বর্তী সরকার।আজ রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত। এটি একটি মানবিক প্যাসেজ হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্তাবলি আছে। আমি এর বিস্তারিতে যাচ্ছি না। যদি শর্তাবলি পালিত হয়, তবে অবশ্যই আমরা সহায়তা করবো।’

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত আমাদের স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘কারণ মিয়ানমারের একটি বিরাট জনগোষ্ঠী আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়ে আছে এবং আমরা তাদের ফেরত পাঠাতে চাই। ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের যা কিছু করার প্রয়োজন, সেটি আমাদের করতে হবে।’

বাংলাদেশ সীমান্তে অধিকার পরিবর্তন হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে একটি নন-স্টেট অ্যাক্টরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পুরো সীমান্ত। সেখানে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। কাজেই আমাদের নিজেদের স্বার্থে কোনও না কোনও ধরনের যোগাযোগ—অর্থাৎ নন-স্টেট অ্যাক্টরের সঙ্গে আমরা আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে পারি না। কিন্তু আমরা চাইলেও বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবো না।’