শ্রীপুরে বাবার সম্পত্তির পুনরায় তদন্তের জন্য উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বরাবর আবেদন

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকায় বাবার সম্পত্তি ফিরে এবং দখল বুঝে পেতে গাজীপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪৫/২০২৫নং পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন মৃত আঃ আউয়াল এর উরশ জাত কন্যা রহিমা।
বিজ্ঞ আদালত দখলী প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্মারক নং- ৪৩৯ (সং),গত ২৭জানুয়ারী শ্রীপুর পৌর ভূমি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে দখলীয় প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। শ্রীপুর পৌর ভূমি কর্মকর্তা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। যে প্রতিবেদন ভুক্তভোগীর মনমতো না হওয়ার কারণে পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করেন।
ভূমি কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে, বিবাদীর পক্ষ তফসিলী জমিতে ২৫/৩০ বৎসর যাবত ভোগ দখলে আছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এমন টা বলেছেন রহিমা খাতুন।
ভোক্তভোগী রহিমা বলেন, পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করার পর বিবাদী পক্ষ রাতের আধারে অনুমান ১ মাস পূর্বে ভাসমান দোকান নির্মাণ করে। উল্লেখিত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে আমার মালিকানার অপূরনীয় ক্ষতি হবে। সেই মর্মে আমি শ্রীপুর পৌর ভূমি কর্মকর্তার দাখিল কৃত প্রেতিবেদনটি স্থগিত রাখার জন্য,এবং পুনরায় সরে জমিনে তদন্ত সহকারে সত্য তথ্য উপস্থাপনসহ সঠিক দখলীয় প্রতিবেদন প্রদান করার জন্য শ্রীপুর ভূমি কর্মকর্তা বরাবর পূনরায় তদন্তের জন্য রহিমা খাতুন একটি আবেদন করে।
উক্ত জমিনের তফসিল,জেলা- গাজীপুর, থানা ও সাব রেজিঃ অফিস শ্রীপুর অধীন ৭নং কেওয়া মৌজাস্থিত খতিয়ান নং- এস.এ-১২৮৩, আর.এস ৪১৪, দাগ নং- এস.এ- ৮৩৯, আর.এস- ২১১৭, ২২২০, মোট জমি ১৫৩০ একর।
এই ব্যাপারে শ্রীপুর পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, পিটিশন মুকাদ্দমার প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে যার দখলে থাকবে আমি তার পক্ষেই প্রতিবেদন দাখিল করেছি। প্রতিবেদনের সময় আমি রহিমা খাতুন কে জিজ্ঞেস করলে তিনিও বলেছেন, জমি আমাদের দখলে নাই। এখন যদি আমার প্রতিবেদন তাদের মন মতো না হয় তাহলে পুনরায় তদন্তের আবেদন করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন