খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৫ বৈশাখ, ১৪৩২

শেখ হাসিনার নানামুখী ষড়যন্ত্র

যুক্তরাষ্ট্রে টাইম টেলিভিশনকে যেভাবে টার্গেট করেছিল হাসিনা সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:১২ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রে টাইম টেলিভিশনকে যেভাবে টার্গেট করেছিল হাসিনা সরকার

ক্ষমতার মসনদকে চিরস্থায়ী করতে দেশ ছাড়াও দেশের বাইরের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে টার্গেট করেছিল হাসিনা সরকার। সমালোচনা বা বিরোধী মতের খবর প্রচার হলেই এসব সংবাদমাধ্যমের উপর নেমে আসতো হুমকি-ধমকি বা ভয়ভীতির খড়গ। এর সঙ্গে যুক্ত হতো ট্যাগ।

সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির জনপ্রিয় টাইম টেলিভিশনও শ্যান দৃষ্টির শিকার হয়েছিল হাসিনা সরকারের। বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি অপপ্রচার ছড়িয়েও টাইম টেলিভিশনের কণ্ঠরোধ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল টাইম টেলিভিশনকে। প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তৎকালীন সরকার প্রধানের যেকোনো অনুষ্ঠানে।

জানা গেছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তার প্রথম সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে টাইম টেলিভিশন। বিষয়টি সরকারের গোচরীভূত হওয়ার পর পরই টাইম টেলিভিশন ও এর সিইও আবু তাহেরের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিভিন্নমুখী অপপ্রচার। এ সাক্ষাৎকারটি যাতে কোনোভাবেই প্রচার না হয় সেজন্য দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন, ভয়ভীতি প্রদর্শন।

২০১৯ সালে জাতিসংঘ অধিবেশনের আগে তৎকালীন স্থায়ী প্রতিনিধি ও পরবর্তীতে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহেরকে তার অফিসে আমন্ত্রণ জানান। আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো অনুষ্ঠানে টাইম টেলিভিশনকে নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, সরকারবিরোধী হিসেবে টাইম টেলিভিশনের ব্যপারে একটি ধারণার জন্ম হয়েছে।

এছাড়াও এর আগের স্থায়ী প্রতিনিধি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন প্রকাশ্যেই এই টেলিভিশনের সঙ্গে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া শুধুমাত্র ধারণার বশবর্তী হয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও এর সিইওর বিরুদ্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আবু তাহের সেদিন বেরিয়ে এসেছিলেন। এ সময় সেখানে তৎকালীন প্রেস কাউন্সিলার নুরে এলাহী মিনাও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে টাইম টেলিভিশনের প্রধান আবু তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে টাইম টেলিভিশনের যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এর কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর সঙ্গে ছিল হুমকি-ধমকি। এর বাইরে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের ছেলের বিপুল সম্পত্তির খবর প্রচার করেছিল টাইম টেলিভিশন। যা ছিল সরকারি চক্ষুশূলের অন্যতম কারণ।

তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে টাইম টেলিভিশনকে শেখ হাসিনার যেকোনো অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্নজন আমাকে দেশে যেতে বারণ করেন। মাঝখানে নিউ ইয়র্কের ৬ জন স্টেট সিনেটর আমাকে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিয়ে যান। কিন্ত সেখানে ডিজিএফআই থেকে ফোন করা হয় আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য। এসব নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমি পরবর্তীতে আর বাংলাদেশ সফরে যাইনি।

তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর আমাদের উপর দেওয়া সরকারি নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল আছে কিনা আমরা জানতে চেয়ে সদ্য বিদায়ী পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনকে চিঠিও দিয়েছি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ৩০ আগস্ট পররাষ্ট্র সচিবকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে, বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্র সফরকালীন সময়ে জনপ্রিয় চ্যানেল টাইম টেলিভিশন এবং সাংবাদিক হিসেবে আমাকে ২০১৯ থেকে তার যেকোনো সভা সমাবেশ, অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই সময়ে আপনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন এবং সেই সিদ্ধান্তের বিষয়টি আপনিই আমাকে ডেকে নিয়ে অবহিত করেছিলেন আপনার কর্মস্থল জাতিসংঘে বাংলাদেশের মিশন অফিসে। কেন এই নিষেধাজ্ঞা?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তখন আপনি বলেছিলেন, সরকারবিরোধী হিসেবে আমার বিরুদ্ধে একটি ধারণা সৃষ্ট হয়েছে! সে সময় (আপনার সঙ্গে আলাপকালে) সেখানে বাংলাদেশ মিশনের প্রেস কাউন্সেলর নুর এলাহি মিনা উপস্থিত ছিলেন। আমি প্রশ্ন করেছিলাম প্রমাণ ছাড়া কেবলমাত্র অনুমান বা ধারণা থেকে একজন সাংবাদিক এবং একটি মিডিয়াকে সরকার প্রধানের খবর সংগ্রহ করতে নিষেধ করা কতটুকু গণতান্ত্রিক ও যৌক্তিক? আপনি বলেছিলেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় পরিবর্তন আসার প্রেক্ষিতে সেই নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল বা কার্যকর আছে কিনা? বিষয়টি আমাদের জানা প্রয়োজন। আশা করি ব্যাপারটি খোলাসা করে বাধিত করবেন।

সূত্র বলছে, নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল) চিঠিটি পাঠানো হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ শনিবার বাংলাদেশ সময় রাতেই জবাব পাঠান সচিব। রোববার তিনি সচিব হিসেবে শেষ অফিস করেন।

টাইম টিভির সিইও আবু তাহেরকে পাঠানো শনিবারের বার্তায় বিদায়ী পররাষ্ট্র সচিব লিখেন, ‘প্রিয় তাহের ভাই আশা করি ভালো আছেন। আমি নিশ্চিত করছি যে, এখন আর সেই বিধিনিষেধ নেই। মুক্তভাবে সংবাদ সংগ্রহে আপনাকে স্বাগতম।’

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে।

উগ্রবাদী হিন্দু রাষ্ট্রের একপেশে আচরণ

মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে অসন্তুষ্ট বর্বর ভারত

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে অসন্তুষ্ট বর্বর ভারত

ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর বর্বর হামলা, নির্যাতন বন্ধ করে ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের আহ্বানে বেজার বা অসন্তুষ্ট হয়েছে বর্বর দেশটির সরকার। এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দেওয়া বিবৃতিতে জয়সওয়াল অন্তর্বর্তী সরকারের ওই আহ্বানকে ‘অসৎ প্রয়াস’ বলে মন্তব্য করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সরকার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে নিকৃষ্ট সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর ভারতের চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

কট্টরপন্থী ও উগ্র হিন্দু প্রতিবেশী দেশটিকে সেখানকার সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বানও জানায় ঢাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান তুলে ধরে বলেন, মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যেকোনো চেষ্টাকে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি।

বাংলাদেশ সরকার মুসলিমদের ওপর হামলা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তাহানির ঘটনার নিন্দা জানায়।
এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে জয়সওয়াল তার বিবৃতিতে বলেন, আমরা পশ্চিমবঙ্গে সংঘটিত ঘটনাসমূহ নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নিপীড়নের ঘটনা; যেখানে অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা এখনো অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে সমান্তরাল অবস্থান প্রকাশে এটি এক ধরনের ছলনাপূর্ণ ও অসৎ প্রয়াস।

সামপ্রদায়িক বিতর্কিত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করা এবং নৈতিকতা প্রদর্শনের বদলে বাংলাদেশ তার দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করলে ভালো হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে মুসলিম-অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে।

পশ্চিমবঙ্গের বিতর্কিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সহিংসতার জন্য নির্লজ্জভাবে বাংলাদেশকে দোষারোপ করেন। তার দাবি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠক করে চক্রান্ত করে সেখানে অশান্তি লাগিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, সংশোধিত নামে তুমুল বিতর্কিত ও মুসলিমদের অধিকার হরণ করা ওয়াকফ আইন ঘিরে উত্তর প্রদেশসহ দেশটির আরও কিছু অঞ্চলে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের নানা তথ্য গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসছে। যা রীতিমতো লোমহর্ষক। তবুও বিশ্ব মিডিয়া চুপ, এমনকি বাংলাদেশের অনেক নামধারী মুসলমান গোষ্ঠীও চুপ রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে ড.ইউনুসের সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পলাতক শেখ হাসিনা ভারতে বসে সর্বোচ্চ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতে মুসলমানদের উপর এই জুলুম, নির্যাতন, হত্যাকান্ড হয়তো তারই অংশ।

শ্রীপুরে চুরির ঘটনায় ৯৯৯ এ ফোন, দেরি করায় পুলিশের মাথা ফাটাল দোকানদার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৪১ অপরাহ্ণ
শ্রীপুরে চুরির ঘটনায় ৯৯৯ এ ফোন, দেরি করায় পুলিশের মাথা ফাটাল দোকানদার

গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি মুদিদোকানে চুরির ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলেও পুলিশ দেরিতে পৌঁছেছে অভিযোগ তুলে পুলিশ সদস্যের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন ওই দোকানদার। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোকানিকদার কে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শ্রীপুর উপজেলার ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট গ্রামে শৈলাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য মো: আবুল হোসেন (৩৫) শ্রীপুর থানাধীন মাওনা পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছেন।

অভিযুক্ত দোকানি মো. রাশেদ খান মেনন (২৭) উপজেলার শৈলাট গ্রামের মো. নাসির উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় শৈলাট বাজারে মুদি দোকানদার।

মাওনা চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো: হাসমতউল্লাহ বাবুল জানান, সকালে শ্রীপুর থানার ওসি একটি নম্বর দিয়ে বলেন যোগাযোগ করতে। যোগাযোগ করলে মুদিদোকানে চুরির ঘটনা জানা যায়। এরপর ফাঁড়ির এএসআই আবুল হোসেনকে দায়িত্ব দিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরপরই দোকানদার পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান। দেরিতে পৌঁছার কারণ জানতে চান। এরপর ভুয়া পুলিশ অপবাদ দিয়ে দোকানে থাকা লোহার রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে আবুল হোসেনের মাথা ফাটিয়ে দেন।

এ সময় ধস্তাধস্তিতে সঙ্গে থাকা কনস্টেবলরাও আহত হন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত দোকানদার মেনন কে আটক করে। এ ঘটনায় মোদি দোকানদারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন জাতীয় জরুরী সেবা, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ কেন দেরিতে পৌঁছেছে, এমন অপবাদে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোকানিকে আটক করে মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, পুলিশ খবর পেয়ে যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দেরিতে পৌঁছার অভিযোগ সঠিক নয়।

সিরাজগঞ্জে র‍্যাব-১২ এর অভিযানে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে র‍্যাব-১২ এর অভিযানে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ এর অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় এবং র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় অদ্য ১৭ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ, রাত্রী ০৪.২০ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা সেতু পশ্চিম থানাধীন গোলচত্বর এলাকায় পাকা রাস্তার উপর” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৭ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এছাড়াও তাদের সাথে থাকা গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় ১। মোঃ আবুল হাসান পূর্বনাম শ্রী প্রান্তনাথ (২৭), পিতা- শ্রী সুনীল চন্দ্রনাথ, স্থায়ী সাং- জিরি, থানা- পটিয়া, জেলা- চট্রগ্রাম, বর্তমান সাং- রসুলপুর, থানা- মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ, ২। মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৩৪), পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম, সাং- মোরোলো আজাপাড়া, থানা- ধামইরহাট, জেলা- নওগাঁ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় ক্রয় বিক্রয় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।