খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

শেখ হাসিনার নানামুখী ষড়যন্ত্র

যুক্তরাষ্ট্রে টাইম টেলিভিশনকে যেভাবে টার্গেট করেছিল হাসিনা সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:১২ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রে টাইম টেলিভিশনকে যেভাবে টার্গেট করেছিল হাসিনা সরকার

ক্ষমতার মসনদকে চিরস্থায়ী করতে দেশ ছাড়াও দেশের বাইরের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে টার্গেট করেছিল হাসিনা সরকার। সমালোচনা বা বিরোধী মতের খবর প্রচার হলেই এসব সংবাদমাধ্যমের উপর নেমে আসতো হুমকি-ধমকি বা ভয়ভীতির খড়গ। এর সঙ্গে যুক্ত হতো ট্যাগ।

সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির জনপ্রিয় টাইম টেলিভিশনও শ্যান দৃষ্টির শিকার হয়েছিল হাসিনা সরকারের। বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি অপপ্রচার ছড়িয়েও টাইম টেলিভিশনের কণ্ঠরোধ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল টাইম টেলিভিশনকে। প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তৎকালীন সরকার প্রধানের যেকোনো অনুষ্ঠানে।

জানা গেছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তার প্রথম সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে টাইম টেলিভিশন। বিষয়টি সরকারের গোচরীভূত হওয়ার পর পরই টাইম টেলিভিশন ও এর সিইও আবু তাহেরের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিভিন্নমুখী অপপ্রচার। এ সাক্ষাৎকারটি যাতে কোনোভাবেই প্রচার না হয় সেজন্য দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন, ভয়ভীতি প্রদর্শন।

২০১৯ সালে জাতিসংঘ অধিবেশনের আগে তৎকালীন স্থায়ী প্রতিনিধি ও পরবর্তীতে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহেরকে তার অফিসে আমন্ত্রণ জানান। আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো অনুষ্ঠানে টাইম টেলিভিশনকে নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, সরকারবিরোধী হিসেবে টাইম টেলিভিশনের ব্যপারে একটি ধারণার জন্ম হয়েছে।

এছাড়াও এর আগের স্থায়ী প্রতিনিধি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন প্রকাশ্যেই এই টেলিভিশনের সঙ্গে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া শুধুমাত্র ধারণার বশবর্তী হয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও এর সিইওর বিরুদ্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আবু তাহের সেদিন বেরিয়ে এসেছিলেন। এ সময় সেখানে তৎকালীন প্রেস কাউন্সিলার নুরে এলাহী মিনাও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে টাইম টেলিভিশনের প্রধান আবু তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে টাইম টেলিভিশনের যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এর কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর সঙ্গে ছিল হুমকি-ধমকি। এর বাইরে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের ছেলের বিপুল সম্পত্তির খবর প্রচার করেছিল টাইম টেলিভিশন। যা ছিল সরকারি চক্ষুশূলের অন্যতম কারণ।

তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে টাইম টেলিভিশনকে শেখ হাসিনার যেকোনো অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্নজন আমাকে দেশে যেতে বারণ করেন। মাঝখানে নিউ ইয়র্কের ৬ জন স্টেট সিনেটর আমাকে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিয়ে যান। কিন্ত সেখানে ডিজিএফআই থেকে ফোন করা হয় আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য। এসব নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমি পরবর্তীতে আর বাংলাদেশ সফরে যাইনি।

তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর আমাদের উপর দেওয়া সরকারি নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল আছে কিনা আমরা জানতে চেয়ে সদ্য বিদায়ী পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনকে চিঠিও দিয়েছি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ৩০ আগস্ট পররাষ্ট্র সচিবকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে, বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্র সফরকালীন সময়ে জনপ্রিয় চ্যানেল টাইম টেলিভিশন এবং সাংবাদিক হিসেবে আমাকে ২০১৯ থেকে তার যেকোনো সভা সমাবেশ, অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই সময়ে আপনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন এবং সেই সিদ্ধান্তের বিষয়টি আপনিই আমাকে ডেকে নিয়ে অবহিত করেছিলেন আপনার কর্মস্থল জাতিসংঘে বাংলাদেশের মিশন অফিসে। কেন এই নিষেধাজ্ঞা?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তখন আপনি বলেছিলেন, সরকারবিরোধী হিসেবে আমার বিরুদ্ধে একটি ধারণা সৃষ্ট হয়েছে! সে সময় (আপনার সঙ্গে আলাপকালে) সেখানে বাংলাদেশ মিশনের প্রেস কাউন্সেলর নুর এলাহি মিনা উপস্থিত ছিলেন। আমি প্রশ্ন করেছিলাম প্রমাণ ছাড়া কেবলমাত্র অনুমান বা ধারণা থেকে একজন সাংবাদিক এবং একটি মিডিয়াকে সরকার প্রধানের খবর সংগ্রহ করতে নিষেধ করা কতটুকু গণতান্ত্রিক ও যৌক্তিক? আপনি বলেছিলেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় পরিবর্তন আসার প্রেক্ষিতে সেই নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল বা কার্যকর আছে কিনা? বিষয়টি আমাদের জানা প্রয়োজন। আশা করি ব্যাপারটি খোলাসা করে বাধিত করবেন।

সূত্র বলছে, নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল) চিঠিটি পাঠানো হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ শনিবার বাংলাদেশ সময় রাতেই জবাব পাঠান সচিব। রোববার তিনি সচিব হিসেবে শেষ অফিস করেন।

টাইম টিভির সিইও আবু তাহেরকে পাঠানো শনিবারের বার্তায় বিদায়ী পররাষ্ট্র সচিব লিখেন, ‘প্রিয় তাহের ভাই আশা করি ভালো আছেন। আমি নিশ্চিত করছি যে, এখন আর সেই বিধিনিষেধ নেই। মুক্তভাবে সংবাদ সংগ্রহে আপনাকে স্বাগতম।’

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চলছে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চলছে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি

0-0x0-0-0#

ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রূপরেখা প্রণয়ন না করা পর্যন্ত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে সারাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একযোগে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে।

সকাল থেকে সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টিএসসিসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করছেন।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ নামে ফেসবুক পেজে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি পালনের তথ্য জানানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো:
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল করতে হবে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল ও নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে।

ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। চার বছর মেয়াদি কারিকুলাম চালু ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্নপদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে। এসব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্য ও দুরবস্থা দূর করার পাশাপাশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরিতে ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ ৩৬ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৪৫ অপরাহ্ণ
এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ ৩৬ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান কার্যালয়সহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৩৬টি কার্যালয়ে একযোগে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ১৬ এপ্রিল দেশের ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে একযোগে অভিযান চালিয়েছিল দুদক। ঘুষ গ্রহণ, অনিয়ম, দুর্নীতি, গ্রাহকদের সেবা থেকে বঞ্চিত করা, অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়।

লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি: পুলিশ সুপার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৪৩ অপরাহ্ণ
লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি: পুলিশ সুপার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৮৫ জন প্রার্থীর হাতে আমার ব্যক্তিগত ফোন নম্বর তুলে দিয়েছি। তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, যদি কেউ টাকা দাবি করে, তাহলে যেন সরাসরি আমাকে ফোন করে জানতে চায়—আমি কি আদৌ টাকাটা পাব? আমি আমার অবস্থান থেকে স্বচ্ছতার বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছি। আমি চাই শতভাগ স্বচ্ছ একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক।”

তিনি আরও জানান, কনস্টেবল নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে এক দালালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এহতেশামুল হক বলেন, “আমার বিবেকের কাছে আমি দায়বদ্ধ। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। কোনো দালালের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সুযোগ থাকবে না। অস্বচ্ছতার কোনো জায়গা এখানে সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না। প্রতারক চক্রকে কঠোরভাবে রোধ করতে হবে।”