খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ২৮ কার্তিক, ১৪৩২

শেখ হাসিনার নানামুখী ষড়যন্ত্র

যুক্তরাষ্ট্রে টাইম টেলিভিশনকে যেভাবে টার্গেট করেছিল হাসিনা সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:১২ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রে টাইম টেলিভিশনকে যেভাবে টার্গেট করেছিল হাসিনা সরকার

ক্ষমতার মসনদকে চিরস্থায়ী করতে দেশ ছাড়াও দেশের বাইরের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে টার্গেট করেছিল হাসিনা সরকার। সমালোচনা বা বিরোধী মতের খবর প্রচার হলেই এসব সংবাদমাধ্যমের উপর নেমে আসতো হুমকি-ধমকি বা ভয়ভীতির খড়গ। এর সঙ্গে যুক্ত হতো ট্যাগ।

সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির জনপ্রিয় টাইম টেলিভিশনও শ্যান দৃষ্টির শিকার হয়েছিল হাসিনা সরকারের। বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি অপপ্রচার ছড়িয়েও টাইম টেলিভিশনের কণ্ঠরোধ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল টাইম টেলিভিশনকে। প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তৎকালীন সরকার প্রধানের যেকোনো অনুষ্ঠানে।

জানা গেছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তার প্রথম সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে টাইম টেলিভিশন। বিষয়টি সরকারের গোচরীভূত হওয়ার পর পরই টাইম টেলিভিশন ও এর সিইও আবু তাহেরের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিভিন্নমুখী অপপ্রচার। এ সাক্ষাৎকারটি যাতে কোনোভাবেই প্রচার না হয় সেজন্য দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন, ভয়ভীতি প্রদর্শন।

২০১৯ সালে জাতিসংঘ অধিবেশনের আগে তৎকালীন স্থায়ী প্রতিনিধি ও পরবর্তীতে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহেরকে তার অফিসে আমন্ত্রণ জানান। আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো অনুষ্ঠানে টাইম টেলিভিশনকে নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, সরকারবিরোধী হিসেবে টাইম টেলিভিশনের ব্যপারে একটি ধারণার জন্ম হয়েছে।

এছাড়াও এর আগের স্থায়ী প্রতিনিধি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন প্রকাশ্যেই এই টেলিভিশনের সঙ্গে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া শুধুমাত্র ধারণার বশবর্তী হয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও এর সিইওর বিরুদ্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আবু তাহের সেদিন বেরিয়ে এসেছিলেন। এ সময় সেখানে তৎকালীন প্রেস কাউন্সিলার নুরে এলাহী মিনাও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে টাইম টেলিভিশনের প্রধান আবু তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে টাইম টেলিভিশনের যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এর কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর সঙ্গে ছিল হুমকি-ধমকি। এর বাইরে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের ছেলের বিপুল সম্পত্তির খবর প্রচার করেছিল টাইম টেলিভিশন। যা ছিল সরকারি চক্ষুশূলের অন্যতম কারণ।

তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে টাইম টেলিভিশনকে শেখ হাসিনার যেকোনো অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্নজন আমাকে দেশে যেতে বারণ করেন। মাঝখানে নিউ ইয়র্কের ৬ জন স্টেট সিনেটর আমাকে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিয়ে যান। কিন্ত সেখানে ডিজিএফআই থেকে ফোন করা হয় আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য। এসব নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমি পরবর্তীতে আর বাংলাদেশ সফরে যাইনি।

তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর আমাদের উপর দেওয়া সরকারি নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল আছে কিনা আমরা জানতে চেয়ে সদ্য বিদায়ী পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনকে চিঠিও দিয়েছি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ৩০ আগস্ট পররাষ্ট্র সচিবকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে, বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্র সফরকালীন সময়ে জনপ্রিয় চ্যানেল টাইম টেলিভিশন এবং সাংবাদিক হিসেবে আমাকে ২০১৯ থেকে তার যেকোনো সভা সমাবেশ, অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই সময়ে আপনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন এবং সেই সিদ্ধান্তের বিষয়টি আপনিই আমাকে ডেকে নিয়ে অবহিত করেছিলেন আপনার কর্মস্থল জাতিসংঘে বাংলাদেশের মিশন অফিসে। কেন এই নিষেধাজ্ঞা?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তখন আপনি বলেছিলেন, সরকারবিরোধী হিসেবে আমার বিরুদ্ধে একটি ধারণা সৃষ্ট হয়েছে! সে সময় (আপনার সঙ্গে আলাপকালে) সেখানে বাংলাদেশ মিশনের প্রেস কাউন্সেলর নুর এলাহি মিনা উপস্থিত ছিলেন। আমি প্রশ্ন করেছিলাম প্রমাণ ছাড়া কেবলমাত্র অনুমান বা ধারণা থেকে একজন সাংবাদিক এবং একটি মিডিয়াকে সরকার প্রধানের খবর সংগ্রহ করতে নিষেধ করা কতটুকু গণতান্ত্রিক ও যৌক্তিক? আপনি বলেছিলেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় পরিবর্তন আসার প্রেক্ষিতে সেই নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল বা কার্যকর আছে কিনা? বিষয়টি আমাদের জানা প্রয়োজন। আশা করি ব্যাপারটি খোলাসা করে বাধিত করবেন।

সূত্র বলছে, নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল) চিঠিটি পাঠানো হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ শনিবার বাংলাদেশ সময় রাতেই জবাব পাঠান সচিব। রোববার তিনি সচিব হিসেবে শেষ অফিস করেন।

টাইম টিভির সিইও আবু তাহেরকে পাঠানো শনিবারের বার্তায় বিদায়ী পররাষ্ট্র সচিব লিখেন, ‘প্রিয় তাহের ভাই আশা করি ভালো আছেন। আমি নিশ্চিত করছি যে, এখন আর সেই বিধিনিষেধ নেই। মুক্তভাবে সংবাদ সংগ্রহে আপনাকে স্বাগতম।’

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে।

গ্রীন ঢাকা ও ক্লিন ঢাকার অঙ্গীকার

ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ণ
ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জনাব শফিকুল ইসলাম মিল্টনের নেতৃত্বে এক বিশাল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিল বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সক্রিয় উপস্থিতি।

বুধবার (১২ নভেম্বর) নির্বাচনী এলাকা মিরপুর ১৩ সরকারি আয়ুর্বেদিক কলেজের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি রাজধানীর আগারগাঁও সংলগ্ন তালতলা এলাকা প্রদক্ষিণ করে শেওড়াপাড়া গিয়ে শেষ হয়। বিশাল এই শোডাউনে অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়। কাফরুল থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী এই শোডাউনে অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষ করে কাফরুল থানা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব আকরানুল হক আকরাম ও ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মামুন বিল্লাহর নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ সকলের উৎসুক আমেজ লক্ষ্য করা যায়।

র‍্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শফিকুল ইসলাম মিল্টন বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। কোনো কারচুপির সুযোগ নেই। আজকের এই জনসমাগমই প্রমাণ করে ধানের শীষ কতটা জনপ্রিয়।”

ঢাকা-১৫ আসনকে গ্রীন ঢাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনাব মিল্টন বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিজয় লাভ করলে ইনশাল্লাহ ঢাকা-১৫ আসনকে গ্রীন ঢাকা ও ক্লিন ঢাকায় পরিণত করব। পাশাপাশি এই আসনকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি।”

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জনাব মিল্টন বলেন, “জনাব তারেক রহমান আমাকে এই আসনের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, এই ঢাকা-১৫ আসনটি তারেক রহমানের জন্য বিজয়ী উপহার হিসেবে দিতে পারব ইনশাল্লাহ।”

শোডাউন ও বক্তব্য শেষে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ণ
বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন

জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির বা এসসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

তিনি বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হতে চাইলেও একটি দল এই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড় সংখ্যক মানুষ সংস্কার চায় বলেই ১০০ বছর চেষ্টা করেও বিএনপি গণভোট ঠেকাতে পারবে না।’

বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাস্থ্য পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের যৌথ মঞ্চের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দেশে এই মুহূর্তে ‘গৃহযুদ্ধের ভাব বিরাজ করছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নাসীরুদ্দীন আরো বলেন, ‘ইউনূস সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা একা চলা আরম্ভ করেছে’।

স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ণ
স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু

২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) থেকে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ‘অবৈধভাবে’ দেওয়া আজীবন সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে ডাকসুর দ্বিতীয় সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম।

তিনি বলেন, ‘হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ছিল অবৈধ এবং ডাকসুর গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে। ২০১৯ সালে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে তাকে অগণতান্ত্রিকভাবে এটি দেওয়া হয়েছিল। আজকের সভায় সেই রেজুলেশনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

এদিন সন্ধ্যা ৬টায় ডাকসু কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সাধারণ সভা। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান সভাপতিত্ব করেন। সভায় ডাকসুর ভিপি, জিএস, এজিএসসহ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু ঢাবির টিএসসিতে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১ ভারতীয় দূতকে তলব, হাসিনার সঙ্গে গণমাধ্যমের কথা বলা বন্ধের আহ্বান