খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩২

পাইকগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ৮:০৭ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২

আজ ৭ই মে (বুধবার)খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বোয়ালিয়া ব্রিজের সংযোগ সড়কে সকালে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত মোটরসাইকেলের আরোহী উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের মঠবাটী গ্রামের মোঃ ফিরোজ মোড়ল(২৫) নিহত হয়েছে।

জানা যায়, নিহতের পিতা মোঃ ইসলাম মোড়ল (ভুট্টো) একজন দিনমজুর। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

কিন্তু নিহত মোঃ ফিরোজ মোড়ল এর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মা’রা গেছেন। এর রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহ নিহতের বাড়িতে দাফনের প্রস্তুতি চলছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের উপহার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ
যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের উপহার

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ মে) বিকালে গঙ্গাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে এবং গঙ্গাচড়া মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

নবদম্পতির পরিবারগুলোকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, খাট, তোশক, বালিশ, কম্বল, আলমারিরসহ সাংসারিক জীবনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব। এর আগে গত ২১ এপ্রিল ঢাকায় একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিয়ে দেওয়া হয়।

যৌতুকবিহীন বিয়ে করে উপহার পেয়েছেন উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের মাসুদ রানা ও শারমিন আক্তার দম্পতি। মাসুদ রানা বলেন, ‘যৌতুক নেওয়া ও দেওয়া ইসলামী শরিয়ায় হারাম। এ ছাড়া বাংলাদেশের আইনেও নিষেধ। আর যৌতুক দিতে যে একটা পরিবারের কত কষ্ট হয় তা বুঝি। এর জন্য আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী যৌতুক ছাড়া বিয়ে করেছি।’

উপহারসামগ্রী পাওয়া অন্য এক দপ্ততি বলেন, ‘আমরা দেখেছি যৌতুক নিয়ে পরিবারের অনেক ঝামেলা হয়। তাই আমাদের দুই পরিবাবের সিদ্ধান্তে আমরা যৌতুকবিহীন বিয়ে করেছি। আমাদের পরিবারের মাঝে কোনো প্রকার যৌতুক লেনদেন হয়নি। জামায়াতে ইসলামীকে ধন্যবাদ। আমাদের বিবাহত্তর সব খরচ বহন করার জন্য।’

নাহিদ হাসান নামের একজন বলেন, আমাদেরকে ঢাকায় প্লেনে নিয়ে যেয়ে একটি অভিজাত হোটেলে বিয়ে অনুষ্ঠানে করা হয়। আজ আমাদের আসবাপত্র দেওয়া হলো। জামাতে ইসলামীকে ধন্যবাদ আমাদেরকে নিয়ে এধরনের আয়োজন করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, আর আমি আমার মুসলিম ভাইদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা বিয়ের সময় শ্বশুর পরিবারের লোকজনকে কষ্ট দিয়ে কিছু নেবেন না। এতে আল্লাহ নারাজ হন।

উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী। এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার আমির মাওলানা নায়েবুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা নায়েবে আমির তাজ উদ্দিন, সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম, জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ রোকনমুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করলো সরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ণ
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করলো সরকার

ভারত ও পাকিস্তান পালটাপালটি হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় চলমান উত্তেজনা কমবে এবং শান্তি বিরাজ করবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ।

বিবৃবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভারত ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সরকার।

চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। উভয় দেশকে শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।

এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আশাবাদী, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণের জন্য শান্তি বিরাজ করবে।

প্রসঙ্গত, ভারত গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে সামরিক হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করেছে—এই উত্তেজনা দুই দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।

দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাতের ইতিহাস আছে। এই ঘটনা একটি বিপজ্জনক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। ইসলামাবাদ ভারতের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং আন্তর্জাতিক মহল উভয় পক্ষকে সংযম দেখাতে আহ্বান জানিয়েছে।

সাংবাদিক নির্যাতন,হামলা,মামলা সহ দাবি আদায়ে কলম বিরতির ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ণ
সাংবাদিক নির্যাতন,হামলা,মামলা সহ দাবি আদায়ে কলম বিরতির ঘোষণা

দেশে অব্যাহত সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানি বন্ধে ২০ মে দিনব্যাপী প্রতীকি কলম বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করে আইডি নাম্বার প্রদান, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন সহ ১৪ দফা দাবিতে ৭ মে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমাবেশে এ ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর এ ঘোষণা দেন। তিনি পেশার দাবি, অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় কলম বিরতি পালনের জন্য সারা দেশের সাংবাদিক সহযোদ্ধা বন্ধুদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সহ- সভাপতি জহিরুল ইসলাম , সাবেক সহ-সভাপতি মনজুর হোসেন ঈসা, সহ- সম্পাদক নুরুল হুদা বাবু,কেন্দীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,ও শ্রীপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি মো: আব্দুল বাতেন বাচ্চু, জি কে রাসেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ মাহমুদ, আইটি উপ-কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম রোহিত, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি জাকির হোসেন, ঢাকা জেলার নেত্রী মরিয়াম আক্তার মারিয়া, বরিশাল সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ওয়াসেফ উদ্দিন আহমেদ, বরগুনা জেলা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক তাপস মাহমুদ, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাজা, সাকিব জামাল, যশোরের সেলিম রানা, চাঁদপুরের শাহারুখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন, শ্রীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম, ছাতক শাখার সভাপতি মোশাহিদ আলী, পত্নীতলার সাংবাদিক মাহমুদুন্নবী, মানিকগঞ্জের মাসুদ চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন না থাকায় প্রতিনিয়ত টোকাইয়ের দ্বারাও সাংবাদিকরা হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকদের তালিকা না থাকায় ভুয়া সাংবাদিক, হলুদ ও অপ-সাংবাদিকতার মত কালো অধ্যায় পেশাটিকে কুরে কুরে খাচ্ছে। সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা না থাকার ফলে রাজনৈতিক নেতা কিংবা টোকাইদের ফোনেও সাংবাদিকদের চাকরি চলে যায়। এভাবে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভখ্যাত গণমাধ্যম চলতে পারে না। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ঘোষিত চৌদ্দ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকদের পেটের ক্ষুধা ,কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা এবং নিশ্চয়তা রক্ষা পাবে বলে বক্তারা মনে করেন।

নেতৃবৃন্দ উদাহরণস্বরূপ বলেন সাংবাদিকদের সাথে রাষ্ট্র সব সময় বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। গণমাধ্যম সপ্তাহের নামে সাংবাদিকরা নয় বছর ধরে একটি সপ্তাহ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির চেয়েও পায়নি। তারা বলেন দেশে শিক্ষা সপ্তাহ, স্বাস্থ্য সপ্তাহ, কৃষি সপ্তাহ, মৎস্য সপ্তাহ, পুলিশ সপ্তাহ, পুষ্টি সপ্তাহসহ অগণিত দিবস রয়েছে। সে সকল সপ্তাহ এবং দিবস আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে উদযাপিত হয়। অথচ সাংবাদিকদের একটি মাত্র দিবস ৩রা মে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে উদযাপিত হলেও বাংলাদেশে হয়না,এটি গণমাধ্যমের জন্য অমর্যাদার দুঃখজনক এবং এটি কি বিমাতাসুলভ আচরণ নয়?

দেশ গঠনের ৫৪ বছর সময়ে দাড়িয়ে সাংবাদিক সমাজকে নিজেদের দাবি এবং অধিকার নিশ্চিত করতে মাঠে আন্দোলন করতে হয়; যা চরম দুঃখ, কষ্ট, বেদনা এবং লজ্জার। সাংবাদিকতা এমনই একটি পেশা যারা নিজেদের রুটিরূজি-বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে, সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করতে, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য আজও মাঠে কাঁদছে তারা অথচ কোনও সুরাহা নেই, আমরা এসবের সুরাহা চাই।

সাংবাদিক নির্যাতন মুক্ত আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।