খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:২৯ অপরাহ্ণ
বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

দিনাজপুরের বিরামপুরে সাবেক পৌর মেয়র আক্কাস আলীর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে রবিবার দুপুরে পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিরামপুরের সর্বস্তরের ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের ব‍্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সাবেক পৌর মেয়র আক্কাস আলীর আপন বড় ভাই ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক, ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও ভুক্তভোগী অ‍্যাডভোকেট সোহেল রানার ছোট ভাই সৌরভ হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, সাবেক মেয়র আক্কাস আলী আওয়ামীলীগের সমর্থনে জোরপূর্বক পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতার অপব‍্যবহার করে অনিয়ম-দুর্নীতি, জমি দখল, বিভিন্ন তদবির ও নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন।

পৌরসভার দায়িত্ব নিয়ে ভূয়া প্রকল্প সম্পন্ন দেখিয়ে ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আওতায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করেছেন।

এছাড়াও হোল্ডিং নম্বর প্রদান, হাট-বাজার ইজারা, পশু হাটে নিজস্ব মাস্তান বাহিনী দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, আওয়ামীলীগের লোকজনকে মাস্টার রোলে পৌরসভায় চাকরি প্রদান করে কাগজে-কলমে লোকবল বেশি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, সোলার প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, পৌরসভার মালিকানাধীন দোকানঘর ও চাম্বিনা (মাছ ও সবজি বিক্রেতাদের বসার জায়গা) থেকে জামানতের টাকা তুলে পকেটস্থ করা সহ জন্মনিবন্ধনের থেকে পাওয়া বিশাল অর্থের একটি অংশ সরকারি কোষাগারে জমা না করে এখনো বাকী রেখেছেন।

সাবেক মেয়র আক্কাস আলী তার পছন্দের ঠিকাদার আপন ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক ও এরশাদুর রহমানকে দিয়ে পৌরসভার কাজ করিয়ে কমিশন বাণিজ্য করেছেন। অথচ পৌরসভার ভিতরের সড়ক গুলোর বেহাল অবস্থা, পানি নিষ্কাষণ ও উন্নত ড্রেনের ব‍্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

সাবেক মেয়র তার আপন দুই ভাইকে বঞ্চিত করে তিন ভাইয়ের মালিকানাধীন শারমিন ফিলিং স্টেশন নামক পেট্রোল পাম্পটি এককভাবে অবৈধ দখল করে রেখেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আয় করে সাবেক মেয়র তার স্ত্রী নারগিস পারভীনের নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরে জায়গা কিনে বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের অ‍্যাডভোকেট সোহেল রানার নাম ব‍্যবহার করে অবৈধভাবে বিরামপুর পশু হাট ইজারা নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং স্থানীয় অনেক ব‍্যবসায়ীদের থেকে টাকা নিয়ে তা আর ফেরত দিচ্ছেন না বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা সাবেক পৌর মেয়র আক্কাস আলীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি সাবেক পৌর মেয়রের ব‍্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।