খুঁজুন
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘করিডোর ও বন্দর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১:৩৪ অপরাহ্ণ
‘করিডোর ও বন্দর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়া এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির হাতে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (১৭ মে) জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে করিডোর প্রদান কিংবা বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশির হাতে তুলে দেওয়াটাকেই বেশি প্রাধান্য বলে মনে হচ্ছে। আমরা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, করিডর কিংবা বন্দর দেওয়া না–দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়, এই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ বা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। ’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের চিন্তা ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে হয়তো অস্থিরতা বাড়ছে। বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ রাজপথে জড়ো হচ্ছেন। মাত্র ১০ মাসের মাথায় সরকারের ভেতরে ও বাইরে একধরনের অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। সরকার জনগণের ভাষা, আশা–আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে। ’

দেশে এভাবে অস্থিরতা বাড়লে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে বলে মনে করেন তারেক রহমান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ‘পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণার’ দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো, যারা দীর্ঘ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন–সংগ্রামে একসঙ্গে আমরা রাজপথে ছিলাম, অন্তর্বর্তী সরকারের সামর্থ্য ও সক্ষমতা সম্পর্কে আমরা এখনো নেতিবাচক মন্তব্য করিনি। আমাদের অবস্থান থেকে আমরা চুপ থাকলেও জনমনে এই সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন এরই মধ্যে উঠেছে। বহু মানুষ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এরই মধ্যে কথা বলছেন। ’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান সংকট নিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘সরকার এনবিআরের সংস্কার শুরু করেছে। এনবিআর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হয়তো কারও কোনো তেমন দ্বিমত নেই। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা, সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পরিণতি চিন্তা না করে তড়িঘড়ি করে সংস্কার শুরু করে দেওয়ায় পুরো বিষয়টি হিতে বিপরীত হয়েছে, যা এরই মধ্যে আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি। ’

দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতিও আশাব্যঞ্জক নয় বলে মন্তব্য করে তারেক রহমান আরও বলেন, ব্যাপক আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন করলেও কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ কিন্তু আসেনি। দেশি কিংবা বিদেশি বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং স্থিতিশীল একটি সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গণতান্ত্রিক বিশ্বে শেষ পর্যন্ত রাজনীতিবিদেরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করেন উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘সরকার কিন্তু কোনো একটি এলিট ক্লাব কিংবা করপোরেট প্রতিষ্ঠান নয়। সরকার অবশ্যই একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে দেশের প্রতিটি নাগরিকের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত থাকতে হবে। ’

আগামী দিনে আর কোনো স্বৈরাচার যাতে দেশ ও জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, সে জন্য গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের এখনই উপযুক্ত সময়। যদিও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা কিংবা সামর্থ্য নিয়ে ইতিমধ্যে হয়তো জনগণের মধ্যে কিছুটা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তবু গণতন্ত্রের পক্ষের দলগুলো জনগণের ভোটে, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন এখনো অব্যাহত রেখেছে।

বিএনপিসহ বাংলাদেশের পক্ষের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মপরিকল্পনার ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে আসছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘সব কিছু বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাই, সরকার কিন্তু সেই আহ্বানে সেভাবে সাড়া দেয়নি। সরকার বরং জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিন–তারিখ ঘোষণাকে সুকৌশলে ‘অল্প সংস্কার’, ‘বেশি সংস্কার’—এ ধরনের এক অভিনব শর্তের বেড়াজালে বলা যায় আটকে দিয়েছে। ’

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের সংখ্যা ও তালিকা অন্তর্বর্তী সরকার ১০ মাসেও কেন চূড়ান্ত করতে পারল না, সে প্রশ্নও তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এটা সরকারের সক্ষমতার অভাব নাকি হতাহতদের ব্যাপারে উদাসীনতা; তা দেশের মানুষের একটা বড় জিজ্ঞাসা।

এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মোমিনুল আমিন, উচ্চ পরিষদ সদস্য পারভেজ খান প্রমুখ।

এ ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ বিভিন্ন দলের নেতা এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবের বীর যোদ্ধাদের সম্মাননা এবং শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের জন্য দোয়ার আয়োজন করা হয়।

নিউজ ১৮'র প্রতিবেদন

ভারত যাচ্ছেন জয়, সাক্ষাৎ হবে শেখ হাসিনার সঙ্গে!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ২:১৪ অপরাহ্ণ
ভারত যাচ্ছেন জয়, সাক্ষাৎ হবে শেখ হাসিনার সঙ্গে!

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মধ্যে শিগগিরই সাক্ষাৎ হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ভারতের গণমাধ্যম নিউজ ১৮ জানিয়েছে, শিগগির ভারত সফরে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর এটিই হবে মা-ছেলের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এই সফরে মায়ের সঙ্গে নয়াদিল্লিতে সাক্ষাৎ ছাড়াও কলকাতা যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে তার। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রেস সচিব তারিক চয়নও এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান।

নিউজ ১৮ জানিয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছেন জয়। সূত্র জানায়, তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করে দেওয়ার পর তিনি আমেরিকার নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন।

আওয়ামী লীগের নির্বাসিত নেতাদের মধ্যে জয়ের এই সম্ভাব্য সফর নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তার ভারত সফরের প্রেক্ষাপট এমন এক সময়, যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

গত ১২ মে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে, যা দলটিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সব পথ বন্ধ করে দেয়।

এর আগে, ১০ মে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের সব অনলাইন ও অফলাইন কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের বিচার ও এর নেতাদের বিরুদ্ধে বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের প্রচার, মিছিল, সভা, সেমিনার, গণমাধ্যমে প্রকাশনা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। প্রজ্ঞাপনটি সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর করা হয়েছে।

একজন সাবেক আওয়ামী লীগ মন্ত্রী নিউজ ১৮-কে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, জয় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং নির্বাসিত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সরকার যেভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে, তা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এটি আগামী নির্বাচনে দলটিকে প্রতিযোগিতার বাইরে রাখতে নেওয়া কৌশলের অংশ।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দেশত্যাগ করেন এবং তখন থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাকে সামনাসামনি দেখেননি। এতদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সম্প্রতি পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্স ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিলেন শেখ হাসিনা। তবে সরকারের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার ফলে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকাণ্ড এখন স্থবির হয়ে পড়েছে।

শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ২:০৪ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৮ মে) কমিশন থেকে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির উপপরিচালক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, অনুসন্ধানকারী দল শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব ও তার আয়কর নথির যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করবে। এর আগে প্লট জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার, প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের একাধিক অনুসন্ধান দুদকে চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির মামলায় চর্জশিট দাখিল করলে আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

গত ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারে সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দিয়েছে সংস্থাটি। যা আমলে নিয়েই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

অন্যদিকে বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। যদিও ওই তলবের বিপরীতে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা মেলেনি।

কানে বর্ষা, বললেন নারীর ক্ষমতায়নের কথা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
কানে বর্ষা, বললেন নারীর ক্ষমতায়নের কথা

দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বর অন্যতম কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিলেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা, প্রযোজক আফিয়া নুসরাত বর্ষা। গেল ১৩ মে পর্দা উঠেছে চলচ্চিত্রশিল্পের অন্যতম বড় এ প্রদর্শনীর।

৭৮তম আসরের দ্বিতীয় দিনে ওয়ার্ল্ড উইমেন কানস অ্যাজেন্ডা ডিসকাশন পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশি এই নায়িকা।

‘নিউ এরা অব আইডেন্টি অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড গ্লোবাল সিনেমা’ শীর্ষক এই সেমিনারে অংশ নিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেন বর্ষা।

এদিন সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তব্যের শুরুতে বর্ষা জানিয়ে দেন তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, অভিনেত্রী পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি একজন ব্যবসায়ী। কাজ করেন মানুষের উন্নয়নে।

এ সময় বর্ষা বলেন, অভিনয় জীবনের বাইরে ব্যবসায়িক জীবনেও আমি আমার ইচ্ছা, মেধা এবং লক্ষ্যপূরণে সচেষ্ট থাকি। আমার ব্যবসায় সব সময় নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করি। তাই নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করার জন্যই একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমার এই অংশগ্রহণ।

সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী (সিনেমার) স্টোরি টেলিং বিষয়টির এক অসাধারণ ক্ষমতা ও শক্তি আছে, যা মানুষকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারে। বাস্তবসম্মত গল্পগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং অধিকারের বিষয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

ওই সেমিনারে আরও অংশ নেন পর্তুগিজ অভিনেত্রী ইসাবেল জুয়া, ফরাসি অভিনেত্রী মারিয়ানি বোরগো এবং হলিউড অভিনেত্রী ও নির্মাতা নোরা আরমানি।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে উৎসবের ৭৫তম আসরে যোগ দিয়েছিলেন বর্ষা। সে সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী চিত্রনায়ক, প্রযোজক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল।