খুঁজুন
সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ২ আষাঢ়, ১৪৩২

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মো:রিপন মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ৫:২৩ অপরাহ্ণ
শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভে করছেন এমকে ফুটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা।

শনিবার (২৪ মে) সকাল ৮টা থেকে মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়া পাড়া এলাকায় কারখানার সামনে মাওনা-গাজীপুর আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নেন তারা।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, তাদের এপ্রিল মাসসহ দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বেতন পরিশোধ করা হয়নি। শনিবার সকালে কারখানায় এসে দেখতে পান, মালিকপক্ষ কারখানায় তালা ঝুলিয়ে চলে গেছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

কারখানার শ্রমিক নাজমুল হাসান জানান, চলতি মাসসহ দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেছেন। বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের উদ্দেশ্যে তারা সকাল থেকে কারখানার ভেতরে জড়ো হচ্ছেন।

আরেক শ্রমিক মজনু জানান, সকালে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে দেখি মালিক পক্ষ ভেতরের গেটের তালা ঝুলিয়ে চলে গেছে। সামনে ঈদ, এপ্রিলসহ দুই মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে। কেমনে চলব আমরা?

এমকে ফুটওয়্যার লিমিটেড কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা আগামী দুই দিনের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। কারখানাও খুলে দেওয়া হবে। কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় উৎপাদন সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

শিল্প পুলিশ গাজীপুরের শ্রীপুর সাব জোন ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সকাল থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে জড়ো হচ্ছেন। তাদের এপ্রিল মাসের বেতন দেওয়া হয়নি। এছাড়া বিল বকেয়া থাকার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

‘আয়রন ডোমে’ আগের মতো ভরসা পাচ্ছেন না সাধারণ ইসরায়েলিরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৮:৪৭ অপরাহ্ণ
‘আয়রন ডোমে’ আগের মতো ভরসা পাচ্ছেন না সাধারণ ইসরায়েলিরা

ইসরায়েলি নাগরিকদের বড় অংশই নিজেদের অত্যাধুনিক ‘আয়রন ডোম’ বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এতদিন ‘দুর্ভেদ্য’ বলে মনে করতেন। কিন্তু গত তিন দিনের ইরানি হামলায় তাদের সেই অনুভূতিতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বিশেষ করে, হামলায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আগের মত আস্থা রাখতে পারছেন না। যদিও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের বহুস্তরযুক্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে ব্যবস্থাটি যে পুরোপুরি ‘নিখুঁত নয়’, সেটি অবশ্য স্বীকার করছেন কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েলের হামলার জবাবে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে ইরান। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষসহ অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের নতুন হামলা শুরু হয় সোমবার (১৬ জুন)। এ সময় আইআরজিসি দ্বারা নিক্ষেপিত বেশ কয়েকটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিব, হাইফা এবং অধিকৃত ভূখণ্ডের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের শহর বেনই ব্রাকের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান মোট ৩৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও শতাধিক ড্রোন ইসরায়েল লক্ষ করে নিক্ষেপ করে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের অন্তত ৩০টি স্থানে আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, সোমবার (১৬ জুন) সকাল পর্যন্ত এ হামলায় দেশটিতে অন্তত ২৪ জন নিহত ও ৫৯২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সর্বশেষ হামলায় ইসরায়েলে ‘সুইসাইড ড্রোন’ পাঠিয়েছে ইরান। ইরানের সেনাবাহিনীর গ্রাউন্ড ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিয়ুমার্স হেইদারি বলেন, সেনাবাহিনী গত দুই দিনে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে কয়েক ডজন সুইসাইড ড্রোন’ নিক্ষেপ করেছে।

গত ৪৮ ঘণ্টায় সেনাবাহিনী ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে বিস্ফোরণ ঘটাতে এই ড্রোনগুলো নিক্ষেপ করেছে। ইসায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত ইরানি সেনাবাহিনীর শক্তিশালী ও ‘আত্মঘাতী’ ড্রোনগুলোর মধ্যে ‘আরশ’ অন্যতম। এই ড্রোনের পরিসর ২ হাজার কিলোমিটার।

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা পাকিস্তানের, নেপথ্যে যে কারণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৮:৪৫ অপরাহ্ণ
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা পাকিস্তানের, নেপথ্যে যে কারণ

ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাত অব্যাহত থাকায় ইরানের সঙ্গে থাকা সব সীমান্ত ক্রসিং অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান।

সোমবার ইরানের সীমান্তঘেঁষা পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাদির বখশ পিরকানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ইরানের সঙ্গে তাদের প্রদেশের পাঁচটি সীমান্ত ক্রসিংয়ের সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থলসীমান্ত পথ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো চাগাই জেলার তাফতান সীমান্ত এবং গওয়াদর জেলার গাব্দ-রিমদান সীমান্ত। বেলুচিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শহিদ রিনদ আনাদোলু বার্তাসংস্থাকে জানান, ইরানের পক্ষ থেকেই প্রথমে সীমান্ত বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হয়, এরপর পাকিস্তানও সব বাণিজ্যিক ও যাত্রী চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়।

এদিকে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ইসরাইলের হামলার ফলে সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ইসরাইলের ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার পক্ষে গোয়েন্দা সহযোগিতা ও গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। দেশটি বিচার বিভাগের মিডিয়া সেন্টার মিজান এতথ্য জানায়।

আজ সোমবার জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ইসমাইল ফিকরিকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

ইরানের অভিযোগ, ফিকরি মোসাদের দুই এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তাদেরকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ করছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।

ইরানের বিচার বিভাগের মিডিয়া সেন্টার মিজান জানিয়েছে, খোদানাজারের ছেলে ইসমাইল ফিকরি, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার হন।

তাকে একটি জটিল কারিগরি ও গোয়েন্দা অভিযানের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন সময় বিদেশের মাটিতে টার্গেট করে চালানো বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার নাম এসেছে।

ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার প্রথমদিনেই ইরানে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। তবে এ ধরণের হামলা এটিই প্রথম নয়।

২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন লেবাননের ইরানপন্থি শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ’র প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।

২০২৪ সালের এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কূটনৈতিক ভবনকেও লক্ষ্যবস্তু করেছিল ইসরাইল এবং এই হামলায় ইরানি বিপ্লবী গার্ড ও অন্যান্য কর্মীসহ মোট ১৩ জন নিহত হন।

ওই বছর জুলাই মাসে আরেক হামলায় ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ে তেহরানে নিহত হন।

যদিও ইসরাইল এই হত্যার দায় স্বীকার করেনি।