খুঁজুন
শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

মে মাসে সড়কে ঝরেছে ৬১৪ প্রাণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ১:১১ অপরাহ্ণ
মে মাসে সড়কে ঝরেছে ৬১৪ প্রাণ

সারাদেশে মে মাসে ৫৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১৪ জন নিহত ও ১ হাজার ১৯৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই মাসে রেলপথে ৪৮টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও ১৪ জন আহতের তথ্য উঠে এসেছে। এ ছাড়া নৌপথে সাতটি দুর্ঘটনায় নয়জন নিহত ও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মে মাসের প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়- সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৬৫২টি দুর্ঘটনায় ৬৫৮ জন নিহত ও এক হাজার ২১০ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে ২৩৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫৬ জন নিহত, ২০১ জন আহত হয়েছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৯ দশমিক ০২ শতাংশ, নিহতের ৪১ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও আহতের ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১৩৯টি। এতে ১৪৮ জন নিহত ও ২৭১ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে ৩০টি। এতে ৩০ জন নিহত ও ৪৪ জন আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে সাতজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৫৪ জন চালক, ১০৩ জন পথচারী, ৬৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ৯২ জন শিক্ষার্থী, পাঁচজন শিক্ষক, ৮৮ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, ৩৭ জন সাংবাদিক, দুজন জন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সাতজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন দুজন পুলিশ সদস্য, একজন সেনাবাহিনীর সদস্য, একজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, দুজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, ১৪২ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৫ জন পথচারী, ৫৯ জন নারী, ৫৪ জন শিশু, ৬৬ জন শিক্ষার্থী, ৩৪ জন পরিবহন শ্রমিক, পাঁচজন শিক্ষক ও সাতজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯৪৫টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ৫৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপভ্যান-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বাস, ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ০৭ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২০ দশমিক ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫ দশমিক ০২ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে ০ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ০ দশমিক ৫০ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ৫০ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৮ দশমিক ১৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ৫০ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০ দশমিক ৫০ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট বৈঠক করেছেন। এ সময় ড. ইউনূসকে একটি কলম ও দুইটি বই উপহার দিয়েছেন জনাব তারেক রহমান।

শুক্রবার (১৩ জুন) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে উপহারের ছবি প্রকাশ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এর আগে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকটি শুরু হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টা) বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তাদের মধ্যে একান্তে এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানিয়েছেন শফিকুল আলম।

ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চু’মুও খেতেন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চু’মুও খেতেন

মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে নাটক শিখতে কলকাতার বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব রাজা ভট্টাচার্যের কাছে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মঞ্জুরী কর নামে এক ছাত্রী। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে নাটকের ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন সে স্বপ্ন তার অচিরেই ভেঙে যায়। সরলতার সুযোগ নিয়ে ভট্টাচার্য নিয়মিত যৌ*ন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ করেন মঞ্জুরী কর। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

২০১৭ সালে ‘ব্ল্যাক ভার্স’ নামে এক নাটকের দলে অভিনয় শেখার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে মঞ্জুরী করের বয়স ১৮। ৬ বছর আগে যে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তিনি এবার সেই বিষয়ে মুখ খুলেন ফেসবুকে।

গত রোববার ফেসবুকে তিনি জানান ২০১৭ সালে ১২ বছর বয়সে ‘ব্ল্যাঙ্ক ভার্স’ নামক নাটকের দলে ভর্তি হন রাজা ভট্টাচার্যের কাজে নাটক শিখবেন বলে। কিন্তু গিয়ে মুখোমুখি হন সম্পূর্ণ অন্য ঘটনার। এই যুবতীর কথায়, ‘ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে গিয়ে আমায় নিয়মিত জড়িয়ে ধরতেন, চুমু খেতেন। বাবা মায়েদের সামনে আমাদের বলতেন ওর মাথা টিপে দিতে। মাথা টিপতে গেলে আমাদের বুকে পেটে ওর মাথা ঘষতেন। তখন বুঝতাম না। আর বাড়ির লোকের সামনে এমন ভান করতেন যেন আমাদের কত স্নেহ করেন।’

এরপর তিনি আরও বড় এবং বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতি শনিবার ক্লাসের আধাঘণ্টা আগে আমাকে ক্লাসে ডাকতেন। এরপর আমার সারা গায়ে বিশ্রীভাবে হাত দিতেন। কখনও কখনও নিজের ঠোঁট আমার মুখে …। পুরো বিষয় নিয়ে কখনও তার মুখে কোনও অপরাধবোধ দেখিনি। এমন ভাব করতেন যেন আমি সম্মতি জানিয়েছি এসবের জন্য।’

তিনি একইসঙ্গে তার পোস্টে লিখেন, ‘প্রথমদিন বাবা আমায় ক্লাসে দিতে গিয়েছিল। তারপর থেকে উনি আমায় বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। আমি প্রথম না বুঝেই রাজি হই। রাস্তার অন্ধকার জায়গায় বাইক দাঁড় করিয়ে অসভ্যতা করতেন। পরে বুঝতে শুরু করি যখন বিরক্ত লাগত। ঘেন্না করতে শুরু করি তাকে। কিন্তু কখনও সাহস করে বলতে পারিনি। ওর কলকাতায় অনেক জানা শোনা। ভেবেছিলাম কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আর নয়। টানা ৪ বছর তারপর থেকে অনেক অত্যাচার সয়েছি। ২০২০ সালে আমি ক্লাস ছেড়ে দিই। এবার মুখ খুললাম।’

ওই ছাত্রী জানান তারা প্রথম ক্লাসে গিয়ে রাজা ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হন। জানান এবার তার আসল মুখ সবার সামনে নিয়ে আসবেন মুখোশ খুলে। তখন তিনি হাতে পায়ে ধরেন যাতে এই ঘটনা না ঘটান সেই যুবতী। যদিও তাতে বিশেষ পাত্তা দেননি তিনি। নিজে যে আতঙ্ক, বিভীষিকার মধ্যে দিয়ে গেছেন যাতে আর কাউকে সেটার শিকার না হতে হয় তার জন্য সমস্ত স্ক্রিনশট সহ ফেসবুকে পোস্ট করেন।

ডরচেস্টার হোটেলে ড. ইউনূসের ৩৭ রুম, খরচ নিয়ে তোলপাড়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ডরচেস্টার হোটেলে ড. ইউনূসের ৩৭ রুম, খরচ নিয়ে তোলপাড়

লন্ডনের বিলাসবহুল ডরচেস্টার হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের জন্য ৩৭টি রুম রিজার্ভ করা হয়েছে- এমন তথ্য প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম নিয়েছে।

বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ওরফে সামি এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূস সাহেব ও তাঁর সফরসঙ্গীদের জন্যে লন্ডনের অন্যতম লাক্সারি হোটেল ডরচেস্টারে ৪ রাতের জন্যে যে ৩৭টি রুম রিজার্ভ করা হয়েছে, তার সর্বমোট ভাড়া কত হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?’

এই পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মারুফ কামাল খান কমেন্টে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘ভাড়া কতো এবং ভাড়ার অর্থ কারা পরিশোধ করছে- এই দুটো তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং জানা দরকার। লন্ডনে উপস্থিত একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে এ দুটি তথ্য জানাবেন কি?’


এ ঘটনায় নেটিজেনদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আসছে নানারকম মন্তব্য।

কেউ কেউ ব্যয়বহুল এই রুম রিজার্ভের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আবার কেউ বিষয়টিকে অপ্রাসঙ্গিক এবং অহেতুক বিতর্ক বলেও মন্তব্য করেছেন।

ব্লগার মাহমুদুল হাসান বিস্ময় প্রকাশ করে লেখেন, ‘৩৭ রুম?’ আরিফুল ইসলাম শান্ত ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘তোহ, ইউনুস গিয়ে রাস্তায় ঘুমাবে?’ কেউবা সফরসঙ্গী সকল সদস্যদের জন্য নির্বিঘ্নে অবস্থান ও মিটিংয়ের জন্য আলাদা রুমের যৌক্তিকতা দেখছেন।


এছাড়াও মামুনুর রাশেদ নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘তো ওরা কি ওইখানে গিয়ে আত্মীয়ের বাসায় থাকবে রুম রিজার্ভ না করে! এসব আজাইরা টপিক তুলে হুজুগে বাঙালির মনোযোগ আকর্ষণ আপ্নার দ্বারা-ই হয়।’

তবে সত্য মিথ্যা যা-ই হোক, এটা অনুমেয় যে মোহাম্মদ ইউনুস দেশে ফিরলে নিশ্চিতভাবেই সাংবাদিকদেরকে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করবেন। তাই তিলকে তাল না বানিয়ে বস্তুনিষ্ঠ টপিক নিয়ে চিন্তা করতেই বিশ্লেষকদের পরামর্শ।