খুঁজুন
সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

গবেষণা প্রতিবেদন

বাঙালির মাছ-ভাতেই ভাল থাকবে হার্ট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ
বাঙালির মাছ-ভাতেই ভাল থাকবে হার্ট

বাঙালির মাছের ঝোল-ভাতেই ভাল থাকবে হার্ট। বিদায় নেবে খারাপ কোলেস্টেরল। এমনকি ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও কাজে আসবে মাছ। কথাতেই আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। এক টুকরো মাছ না হলে বাঙালির ঠিক মন ভরে না। রুই-কাতলা-পাবদা মাছের হরেক রকম পদ রাঁধা হয় বাঙালির রান্নাঘরে। আর এই মাছেই বেশ কিছু রোগমুক্তির পথ দেখছেন গবেষকেরা।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থের গবেষণা জানাচ্ছে, রোজের পাতে ১০০-১৭৫ গ্রাম মাছ রাখলে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমবে। মাছে ভরপুর মাত্রায় প্রোটিন, ভিটামিন, প্রয়োজনীয় খনিজ, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। নিয়মিত মাছ খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমবে। রক্তে ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হবে, ফলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমবে।

বাঙালির হেঁশেলে যে মাছগুলি বেশি রাঁধা হয়, যেমন রুই, কাতলা, পমফ্রেট বা ভোলাভেটকির মতো মাছ ডায়াবিটিস প্রতিরোধে সাহায্য করছে বলেই দাবি গবেষকদের। এর মধ্যে নদীর মাছ যেমন রয়েছে, তেমনই সামুদ্রিক মাছ যেমন ভোলাভেটকি, পমফ্রেটও রয়েছে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এই সব মাছে প্রচুর পরিমাণে ইপিএ ও ডিএইচএ নামক ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মাছের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রোটিন, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি ও নানা রকম খনিজ উপাদান, যা হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল রাখতে পারে। ভোলাভেটকির মতো সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, জ়িঙ্ক, আয়োডিন রয়েছে, যা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

‘জামা ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, প্রতি সপ্তাহে যদি ২০০ গ্রাম মাছ কেউ খান, তা হলে তাঁর ‘কার্ডিয়োভাস্কুলার ডিজ়িজ়’ (সিভিডি)-এর ঝুঁকি কমে যাবে। ৫৮টি দেশের প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি মানুষের উপরে পরীক্ষা করে এই দাবি করেছেন গবেষকেরা। এক সময়ে মনে করা হত, তৈলাক্ত মাছ খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়বে।

তবে গবেষকেরা বলছেন, ভেটকি, ম্যাকারেল, ইলিশ, পাকা রুই, কাতলা, চিতলের মতো মাছে এত বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়োডিন, ভিটামিন ডি, প্রোটিন ও ফসফরাস থাকে, যা হার্ট তো ভাল রাখেই, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমাতে পারে। মাছ যদি নিয়মিত পরিমাণ বুঝে খাওয়া যায়, তবে কোনও ক্ষতি হবে না। তবে ডিপ ফ্রাই করে মাছ রান্না করা চলবে না।

বেলকুচিতে এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত

এ যেন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, সুদীর্ঘ ১৫ বছর পর একে অপরের সাথে দেখা। বন্ধু কেমন আছো? কোলাকুলি মোলাকাত। ১৫ বছর আগের স্মৃতিতে ফিরে গেল সবাই। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। কেউ সরকারি বেসরকারি উচ্চ স্থানে কর্মরত আবার ছোট খাটো চাকরি করে কেউবা ব্যবসা করে।

সবাই এক কাতারে একটি দিনের জন্য মিলেমিশে গিয়েছিল সেই ১৫ বছর আগের স্মৃতিতে। এটি সোহাগপুর সরকারি শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর ২০১০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সহপাঠীদের পূর্ন মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (৮ জুন ) সকালে সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ পূর্ন মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। এ সময় স্কুল জীবনের সহপাঠীদের পেয়ে একে অপরের প্রতি আবেগ আপ্লুত হয়ে কুশল বিনিময় করেন। পরে দিনভর চলে আনন্দ উল্লাস এবং নানারকম মুখরোচক খাবারদাবার পরিবেশন।

এ সময় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী সাইদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যমুনা টিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার গোলাম মোস্তফা রুবেল, সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শরীর চর্চা শিক্ষক হাজী মোজাফফর হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অজিত সুত্রধর, প্রধান শিক্ষক এসএম শহিদুর রেজা, গনিত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।

এ সময় শিক্ষকদের কাছে পেয়ে তৎকালীন শিক্ষার্থীরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। পরে তারা প্রাক্তন শিক্ষকের বর্তমান পরিস্থিতি সহ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন।

এ সময় হাজী মোজাফফর হোসেন বলেন, আজ এ আয়োজনটি করার কারনে শিক্ষার্থীদের সাথে আবারো দেখা হলো। যদি এটি করা না হতো তাহলে কর্মব্যস্ততার কারনে হয়তো একসাথে এত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা হতো না। আজ সবাইকে একসাথে কাছে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।

ঈদে ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
ঈদে ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

পবিত্র ঈদুল আজহার পর ঘরমুখো মানুষের ফেরার যাত্রায় ট্রেন ব্যবহারের সময় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার আবারও বাড়তে থাকায় এই আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আজ রবিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে নির্দেশনা জারি করেছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার আলোকে ঈদের ছুটির পর ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদে ফেরার যাত্রা নিশ্চিত করতে ট্রেনযাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং অবশ্যই মাস্ক পরার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” তার আগের দিন, ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু এবং নতুন করে তিনজনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্তের তথ্যও জানানো হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয় মনে করিয়ে দিয়েছে, ঈদের পর ফিরতি যাত্রার সময় ট্রেনের প্রতিটি যাত্রী যেন স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি নিজ ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য সচেতন থাকেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এপ্রিলে করার ঘোষণা সময়োপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার (৮ জুন) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘রমজান সংযমের মাস, এ মাসে মানুষ নামাজ কালাম করে, এছাড়া ওই সময় ঘূর্ণিঝডের সময়।

আবার সেই সময়ে পরীক্ষা শুরু হবে। সেই সময়টায় নির্বাচন করাটা তো একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। বাংলাদেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।

সেপ্টেম্বর বা আগস্টের দিকেও করা যেতে পারে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এপ্রিলে নির্বাচনের সময়টা একেবারেই অযৌক্তিক এবং এটা কাদের স্বার্থে- সেই প্রশ্নও এসে গেছে। আর এই লোকগুলোর স্বার্থ যদি অক্ষুণ্ন থেকে যায়, তবে আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।’