খুঁজুন
শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ইরানে ইসরাইলি হামলার আশঙ্কা, সর্বোচ্চ সতর্কতায় যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ১:৩২ অপরাহ্ণ
ইরানে ইসরাইলি হামলার আশঙ্কা, সর্বোচ্চ সতর্কতায় যুক্তরাষ্ট্র

ইরানে ইসরাইলি হামলার আশঙ্কা ক্রমবর্ধমান হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন আশঙ্কা করছে, যদি ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চলমান আলোচনা ভেঙে যায়, তাহলে ইহুদি রাষ্ট্রটি যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়াই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এই উদ্বেগের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার (১১ জুন) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে ইরান থেকে মার্কিন কর্মীদের সরিয়ে নেবেন, কারণ ‘এটি বিপজ্জনক স্থান হয়ে উঠতে পারে’।

ওয়াশিংটন পোস্ট আরও বলেছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এরইমধ্যে কিছু কর্মীকে ইরাক ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে। অন্যদিকে পেন্টাগনও সামরিক সদস্যদের স্বেচ্ছায় এই অঞ্চলের মার্কিন ঘাঁটি ত্যাগ করার অনুমতি দিয়েছে।

মার্কিন-ইরান পারমাণবিক আলোচনা:
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টা অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। অঞ্চলটির উত্তেজনা কমানোর জন্য কিছু করা যেতে পারে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইরান) পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারে না। খুবই সহজ, তাদের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না।’

ইসরাইলের হুমকি:
গত মাসে সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস এক প্রতিবেদনে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে চলমান আলোচনা ভেঙে গেলে ইসরাইল দ্রুত ইরানে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবি পারমাণবিক আলোচনা ভেঙে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আপাতত ট্রাম্প আলোচনা সম্পর্কে হতাশ হবেন এবং তাকে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে প্রস্তুত থাকবেন।

প্রসঙ্গত, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ডাকনাম বিবি।

ট্রাম্প বারবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন এবং বুধবারের আগে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন যে তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে রাজি হবে, যা আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি।

ইরানের সতর্কীকরণ:
ইরান বারবার সতর্ক করে দিয়েছে যে, ইসরাইলের সবচেয়ে বড় সামরিক ও রাজনৈতিক সমর্থক হিসেবে, তেহরানের ওপর তেল আবিবের হামলার পরিণতি যুক্তরাষ্ট্রকে ভোগ করতে হবে।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ বুধবার বলেছেন, যদি ইরানের উপর হামলা করা হয়, তাহলে তারা এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত করে প্রতিশোধ নেবে।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চু’মুও খেতেন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চু’মুও খেতেন

মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে নাটক শিখতে কলকাতার বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব রাজা ভট্টাচার্যের কাছে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মঞ্জুরী কর নামে এক ছাত্রী। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে নাটকের ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন সে স্বপ্ন তার অচিরেই ভেঙে যায়। সরলতার সুযোগ নিয়ে ভট্টাচার্য নিয়মিত যৌ*ন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ করেন মঞ্জুরী কর। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

২০১৭ সালে ‘ব্ল্যাক ভার্স’ নামে এক নাটকের দলে অভিনয় শেখার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে মঞ্জুরী করের বয়স ১৮। ৬ বছর আগে যে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তিনি এবার সেই বিষয়ে মুখ খুলেন ফেসবুকে।

গত রোববার ফেসবুকে তিনি জানান ২০১৭ সালে ১২ বছর বয়সে ‘ব্ল্যাঙ্ক ভার্স’ নামক নাটকের দলে ভর্তি হন রাজা ভট্টাচার্যের কাজে নাটক শিখবেন বলে। কিন্তু গিয়ে মুখোমুখি হন সম্পূর্ণ অন্য ঘটনার। এই যুবতীর কথায়, ‘ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে গিয়ে আমায় নিয়মিত জড়িয়ে ধরতেন, চুমু খেতেন। বাবা মায়েদের সামনে আমাদের বলতেন ওর মাথা টিপে দিতে। মাথা টিপতে গেলে আমাদের বুকে পেটে ওর মাথা ঘষতেন। তখন বুঝতাম না। আর বাড়ির লোকের সামনে এমন ভান করতেন যেন আমাদের কত স্নেহ করেন।’

এরপর তিনি আরও বড় এবং বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতি শনিবার ক্লাসের আধাঘণ্টা আগে আমাকে ক্লাসে ডাকতেন। এরপর আমার সারা গায়ে বিশ্রীভাবে হাত দিতেন। কখনও কখনও নিজের ঠোঁট আমার মুখে …। পুরো বিষয় নিয়ে কখনও তার মুখে কোনও অপরাধবোধ দেখিনি। এমন ভাব করতেন যেন আমি সম্মতি জানিয়েছি এসবের জন্য।’

তিনি একইসঙ্গে তার পোস্টে লিখেন, ‘প্রথমদিন বাবা আমায় ক্লাসে দিতে গিয়েছিল। তারপর থেকে উনি আমায় বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। আমি প্রথম না বুঝেই রাজি হই। রাস্তার অন্ধকার জায়গায় বাইক দাঁড় করিয়ে অসভ্যতা করতেন। পরে বুঝতে শুরু করি যখন বিরক্ত লাগত। ঘেন্না করতে শুরু করি তাকে। কিন্তু কখনও সাহস করে বলতে পারিনি। ওর কলকাতায় অনেক জানা শোনা। ভেবেছিলাম কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আর নয়। টানা ৪ বছর তারপর থেকে অনেক অত্যাচার সয়েছি। ২০২০ সালে আমি ক্লাস ছেড়ে দিই। এবার মুখ খুললাম।’

ওই ছাত্রী জানান তারা প্রথম ক্লাসে গিয়ে রাজা ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হন। জানান এবার তার আসল মুখ সবার সামনে নিয়ে আসবেন মুখোশ খুলে। তখন তিনি হাতে পায়ে ধরেন যাতে এই ঘটনা না ঘটান সেই যুবতী। যদিও তাতে বিশেষ পাত্তা দেননি তিনি। নিজে যে আতঙ্ক, বিভীষিকার মধ্যে দিয়ে গেছেন যাতে আর কাউকে সেটার শিকার না হতে হয় তার জন্য সমস্ত স্ক্রিনশট সহ ফেসবুকে পোস্ট করেন।

ডরচেস্টার হোটেলে ড. ইউনূসের ৩৭ রুম, খরচ নিয়ে তোলপাড়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ডরচেস্টার হোটেলে ড. ইউনূসের ৩৭ রুম, খরচ নিয়ে তোলপাড়

লন্ডনের বিলাসবহুল ডরচেস্টার হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের জন্য ৩৭টি রুম রিজার্ভ করা হয়েছে- এমন তথ্য প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম নিয়েছে।

বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ওরফে সামি এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূস সাহেব ও তাঁর সফরসঙ্গীদের জন্যে লন্ডনের অন্যতম লাক্সারি হোটেল ডরচেস্টারে ৪ রাতের জন্যে যে ৩৭টি রুম রিজার্ভ করা হয়েছে, তার সর্বমোট ভাড়া কত হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?’

এই পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মারুফ কামাল খান কমেন্টে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘ভাড়া কতো এবং ভাড়ার অর্থ কারা পরিশোধ করছে- এই দুটো তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং জানা দরকার। লন্ডনে উপস্থিত একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে এ দুটি তথ্য জানাবেন কি?’


এ ঘটনায় নেটিজেনদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আসছে নানারকম মন্তব্য।

কেউ কেউ ব্যয়বহুল এই রুম রিজার্ভের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আবার কেউ বিষয়টিকে অপ্রাসঙ্গিক এবং অহেতুক বিতর্ক বলেও মন্তব্য করেছেন।

ব্লগার মাহমুদুল হাসান বিস্ময় প্রকাশ করে লেখেন, ‘৩৭ রুম?’ আরিফুল ইসলাম শান্ত ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘তোহ, ইউনুস গিয়ে রাস্তায় ঘুমাবে?’ কেউবা সফরসঙ্গী সকল সদস্যদের জন্য নির্বিঘ্নে অবস্থান ও মিটিংয়ের জন্য আলাদা রুমের যৌক্তিকতা দেখছেন।


এছাড়াও মামুনুর রাশেদ নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘তো ওরা কি ওইখানে গিয়ে আত্মীয়ের বাসায় থাকবে রুম রিজার্ভ না করে! এসব আজাইরা টপিক তুলে হুজুগে বাঙালির মনোযোগ আকর্ষণ আপ্নার দ্বারা-ই হয়।’

তবে সত্য মিথ্যা যা-ই হোক, এটা অনুমেয় যে মোহাম্মদ ইউনুস দেশে ফিরলে নিশ্চিতভাবেই সাংবাদিকদেরকে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করবেন। তাই তিলকে তাল না বানিয়ে বস্তুনিষ্ঠ টপিক নিয়ে চিন্তা করতেই বিশ্লেষকদের পরামর্শ।

ধর্মীয় রাজধানীর মসজিদের চূড়ায় লাল পতাকা

জুম্মার নামাজের পরেই যুদ্ধের নিশান উড়িয়ে দিলো ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
জুম্মার নামাজের পরেই যুদ্ধের নিশান উড়িয়ে দিলো ইরান

জুমার নামাজের পরই ইরানের কুম শহরের পবিত্র জামকারান মসজিদের চূড়ায় প্রতিশোধের লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, ইরানের ‘ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত কুম শহরের ওই মসজিদে (যা শিয়া ধর্মাবলম্বী ইরানের প্রধান মসজিদ হিসেবে পরিচিত) লাল পতাকা উড়ছে।

শিয়া মুসলমানদের জন্য লাল পতাকা এক বিশেষ প্রতীক।

সাধারণত ইসলামি মাস মহররমে, বিশেষ করে কারবালার যুদ্ধ ও ইমাম হোসেন (আ.)-এর শাহাদাত স্মরণে এই পতাকা উত্তোলন করা হয়। তবে মহররম মাস ছাড়া এই পতাকা উত্তোলন অত্যন্ত বিরল ঘটনা। পতাকাটি প্রতিশোধ ও শোকের এক শক্তিশালী বার্তা বহন করে।

এ বার ইসরায়েলি হামলায় উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার ও পরমাণুবিজ্ঞানীর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির বার্তাতেই যুদ্ধের প্রতীক ওড়ানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এক্সে প্রকাশিত ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কুম শহরের জামকারান মসজিদে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা ইরানের পতাকা হাতে নিয়ে ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। তেহরান থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কুম শহর ইরানের অন্যতম পবিত্র নগরী।