খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৩ আষাঢ়, ১৪৩২

কাজিপুরে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৭:৫৮ অপরাহ্ণ
কাজিপুরে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

“উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সুবিধাবঞ্চিত ৮৬ টি এলাকা ও নদী বিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প” এর আওতায় কাজীপুর উপজেলার দূর্গমচরাঞ্চল নাটুয়ারপাড়া চরে প্রকল্পের সুফলভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা ও প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করা হয়।

সোমবার (১৬ জুন) সকাল ১১ টা হতে বিকেল পর্যন্ত চরের সুফলভোগীদের সাথে মতবিনিময় ও প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা-১ অধিশাখা যুগ্ন-সচিব মোঃ হেমায়েত হোসেন, সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ ইয়ামিন হোসেন, পরিকল্পনা কমিশন সিনিয়র সহকারী সচিব ফাতেমা এবং প্রকল্প পরিচালক ডাঃ নন্দ দুলাল টিকাদার। 
এ সময়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ.কে.এম. আনোয়ারুল হক, কাজীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ দিদারুল আহসান , উপজেলা ভেটেনারী সার্জন, কাজীপুর সহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্বৃমচারীবৃন্দ, সুফলভোগীরা তাদের স্ব- স্ব খামারে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সাথে মতবিনিময় করা হয়।

চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

শাহরুখের স্ত্রী গৌরীর রেস্তোরাঁয় ‘গোপন দরজা’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১:৪২ অপরাহ্ণ
শাহরুখের স্ত্রী গৌরীর রেস্তোরাঁয় ‘গোপন দরজা’

মুম্বাইয়ের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ গুলোর মধ্যে একটি হলো ‘তোরি’। রেস্তোরাঁটির মালিক বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরী খানের। এই রেস্তোরাঁয় রয়েছে একটি গোপন দরজা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই তথ্য ফাঁস করেছেন রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ স্টেফান গ্যাডিট।

এই গোপন দরজা শুধু খান পরিবার ও নির্দিষ্ট কিছু তারকাদের ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

স্টেফান গ্যাডিট বলেন, এই গোপন দরজা দিয়ে শুধু খান পরিবারের সদস্যরাই যাওয়া-আসা করেন। খান পরিবারের বাইরে খুব কম মানুষই এই পথের অনুমতি পান। মূলত শাহরুখ পরিবারের সঙ্গে যাদের খুব ভালো সম্পর্ক তারাই সেই ‘সিক্রেট ডোর’ ব্যবহার করতে পারেন।

তিনি বলেন, গৌরী খানের স্বামী শাহরুখ, তাদের ছেলে আরিয়ান, মেয়ে সুহানা এবং ছোট ছেলে আব্রাম সবারই এই রেস্তোরাঁয় রয়েছে পছন্দের খাবার। আব্রাম প্রায়ই এখান থেকে খাবার অর্ডার করে, সুহানা ও আরিয়ান বন্ধুবান্ধব নিয়ে রেস্তোরাঁয় আড্ডা দেন।

শাহরুখের পরিবারে পছন্দের খাবার নিয়ে এই শেফ বলেন, শাহরুখ খান সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন এখানকার ল্যাম্ব চপস, গৌরীর প্রিয় খাবার থাই কারি, আর আব্রামের পছন্দ সুশি। সম্প্রতি এই রেস্তোরাঁতেই শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে তোরি রেস্তোরাঁটি চালু হয়। রেস্তোরাঁটির উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের তারকা স্ত্রীদের নিয়ে তৈরি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ফ্যাবুলাস লাইভস অব বলিউড ওয়াইভস’-এর তারকারা—সুসান খান, মহীপ কাপুর, ভবানা পান্ডে, নীলম কোঠারি ও সীমা সাজদেহ।

‘একীভূত হচ্ছে ৫ ব্যাংক, চাকরি হারাবে না কেউ’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১:৩৬ অপরাহ্ণ
‘একীভূত হচ্ছে ৫ ব্যাংক, চাকরি হারাবে না কেউ’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে খুব শিগগিরই একীভূত করা হচ্ছে। তবে এর ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। আজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিশ্চয়তা দেন তিনি।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে। আগামী নির্বাচনের সঙ্গে এ মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে।

ব্যাংকের কর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখার কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংকের শাখা শহরাঞ্চলে বেশি রয়েছে, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামীণ এলাকায় সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।

পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের বিষয়ে গভর্নর বলেন, এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হয়। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে আমাদের।

এর আগে, আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ছয়টি ব্যাংককে জুলাইয়ের মধ্যে সরকারের মালিকানায় এনে প্রয়োজনীয় মূলধন সরবরাহ করা হবে। তবে এসব হবে সাময়িক সময়ের জন্য। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে রেখেছে। নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হওয়ায় ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, তবে সরকারের হাতে ব্যাংকগুলো টেম্পোরারি (সাময়িক) থাকবে। তারপর আমরা এসব ব্যাংকের শেয়ারগুলোকে পাবলিকের কাছে হস্তান্তর করব। আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টরদের কাছে হস্তান্তর করব। তবে এমনটা করা হবে ব্যাংক রি অর্গানাইজেশন হওয়ার পরে।

ব্যাংক গুলোর ক্যাপিটাল অ্যাডোকেসি রেশিও চার বছরের মধ্যে ১২.৫ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গভর্নর।

ছয় ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক। এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংকই এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বাকি ব্যাংকটি নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১:৩৩ অপরাহ্ণ
২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশের সরকারি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালনা পর্ষদ ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থায়ন অনুমোদন করেছে। শনিবার (১৪ জুন) এ অর্থায়নের অনুমোদন দেওয়া হয়।

‘স্ট্রেংদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি (এসআইটিএ)’ নামে এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরকারি খাত আধুনিকায়নের মাধ্যমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, রাজস্ব আহরণ, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, ক্রয় প্রক্রিয়া এবং আর্থিক তদারকির সংস্কারে সহায়তা করা হবে।

প্রকল্পটি পাঁচটি মূল সরকারি প্রতিষ্ঠানের শাসন কাঠামো ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। এই সংস্থাগুলো হলো—বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিকল্পনা বিভাগ, বাংলাদেশ সরকারি ক্রয় কর্তৃপক্ষ (সিপিপি) এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিএজি)।

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এই প্রকল্পের মূল শক্তি, যা স্বচ্ছতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্নীতি হ্রাসেও সহায়ক হবে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি ব্যবস্থা গঠনে সাহায্য করবে।’

তিনি আরও জানান, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি সেবার গুণগত মান ও জনগণের প্রবেশগম্যতা বাড়বে, ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আস্থা আরও দৃঢ় হবে।’

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের পাশাপাশি আরও একটি উন্নয়ন নীতিগত ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যা জুন মাসের শেষদিকে পর্ষদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। সেই ঋণ রাজস্ব আহরণ, ব্যাংক খাতের সংস্কার, তথ্য ব্যবস্থাপনা, সরকারি বিনিয়োগ, সামাজিক সেবা এবং নিরীক্ষা ও জবাবদিহিতা ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়ক হবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পটির টিম লিডার সুলেমানে কুলিবালি বলেন, ‘পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সমন্বিত অংশগ্রহণের ফলে সরকারের কার্যকারিতা বহুগুণে বাড়বে, যা একটি টেকসই অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এসআইটিএ প্রকল্প এবং প্রস্তাবিত উন্নয়ন ঋণ পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে এবং বাংলাদেশ সরকারের আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও কার্যকর সেবাপ্রদান নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।’

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে। এখন পর্যন্ত সংস্থাটি বাংলাদেশকে ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অনুদান, সুদমুক্ত ও স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান করেছে।