খুঁজুন
রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৮ আষাঢ়, ১৪৩২

শুরু হবে কি বিশ্ব যুদ্ধ ?

ইরানের ৩ পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন হামলা, উত্তেজনা তুঙ্গে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ণ
ইরানের ৩ পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন হামলা, উত্তেজনা তুঙ্গে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ভেতরে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করেছে। এর পরপরই ইরানি কর্তৃপক্ষ একাধিক বিবৃতি ও পদক্ষেপের মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

আঘাতপ্রাপ্ত স্থাপনাগুলো হলো- ফোরদো, নাতান্জ ও ইসফাহান।

এক বিবৃতিতে ইরানের পারমাণবিক সংস্থা (AEOI) বলেছে, ‘আজ (শনিবার) ভোরে ফোরদো, নাতান্জ ও ইসফাহানের স্থাপনাগুলোতে শত্রুর বর্বরোচিত হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও বিশেষভাবে পারমাণবিক অস্ত্র না ছড়ানোর চুক্তি (NPT)-এর সরাসরি লঙ্ঘন।’

তারা আরও দাবি করেছে, ‘এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর নিষ্ক্রিয়তা ও অংশগ্রহণের ছায়ায় সংঘটিত হয়েছে, যা নিন্দনীয়।’

বিবৃতিতে বলা হয়, এই স্থাপনাগুলো আইএইএ-র পর্যবেক্ষণাধীন ছিল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই এ হামলার দায় স্বীকার করেছেন—যা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।

সংস্থাটি জাতিসংঘ ও বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘বিশ্ব সম্প্রদায় যেন এই ‘আদিম যুগের’ আইনে ফিরে যাওয়াকে প্রতিহত করে এবং ইরানের ন্যায্য অধিকার সমর্থন করে।’

ইরানের পারমাণবিক সংস্থা আরও জানায়, ‘শত্রুর ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও দেশের হাজার হাজার বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞের প্রচেষ্টায় জাতীয় উন্নয়নের এই পথ বন্ধ হবে না। ইরান তার আইনগত অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি (IRIB) জানিয়েছে, হামলায় ফোরদো স্থাপনাস্থলের প্রবেশদ্বার ও বহির্গমন গেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গণমাধ্যমটি আরও জানায়, ইরানের কাশান ও ইসফাহানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যেখানে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর চারপাশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল।

এদিকে ক্বোম প্রদেশের মুখপাত্র মর্তেজা হেইদারি বলেন, ‘শত্রুপক্ষ ফোরদোর অংশবিশেষে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।’

তবে মার্কিন হামলার আগেই পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আগেই খালি করা হয় জানিয়ে আইআরআইবি-এর রাজনৈতিক উপপরিচালক বলেন, ‘তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা হামলার অনেক আগেই খালি করা হয়েছিল।’

এদিকে এ হামলার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানের অভ্যন্তরে পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক পদক্ষেপ নিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের সম্ভাবনা তীব্রতর হলো এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়তে পারে।

সূত্র: মেহর নিউজ

বিতর্কিত হিরো আলমের স্ত্রী রিয়ামনি ও ম্যাক্স অভিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল এলাকাবাসী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ণ
বিতর্কিত হিরো আলমের স্ত্রী রিয়ামনি ও ম্যাক্স অভিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল এলাকাবাসী

হিরো আলমের তৃতীয় স্ত্রী রিয়ামনি ও বার ড্যান্সার ম্যাক্স অভি রিয়াজকে গ্রেপ্তারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কয়েক মাস আগে, রিয়ামনি ও অভির অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন হিরো আলম। বিষয়টি ঘিরে তুমুল আলোচনা হয়।

গতকাল শনিবার (২১ জুন) রিয়ামনি ও ম্যাক্স অভিকে হাতেনাতে ধরার অভিযোগ করেন হিরো আলম। এ সময় হিরো আলমকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই ভাইরাল হয় রিয়ামনির গ্রেপ্তারের ভিডিওটি।

উল্লেখ্য, গতকাল সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ম্যাক্স অভিকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলছে পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে গাড়িতে তোলা হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে রিয়া মনিকেও গাড়িতে তোলা হয়। এ সময় এলাকাবাসী বেশ হৈচৈ করছিলেন। ভুয়া ভুয়া বলে চেঁচাতে দেখা গেছে সবাইকে।

জানা গেছে, ম্যাক্স অভি ও রিয়ামনিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

এরআগে গত এপ্রিলে বাবার মৃত্যুর সময় হিরো আলম অভিযোগ তোলেন, তার বাবার দেখভাল করেন না স্ত্রী রিয়ামনি। এ জন্য তিনি রিয়ামনিকে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন। তখনই সামনে ম্যাক্স অভি রিয়াজের অধ্যায়। অন্যদিকে ম্যাক্স অভির স্ত্রী ইতিও অভিযোগ করেন, তার স্বামীর সঙ্গে রিয়া মনির অবৈধ সম্পর্কের কারণেই ঘর ভেঙেছে তারও। হিরো আলম ও ইতি একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনও করেন।

হিরো আলমের অফিস স্টাফ সেলিম জানিয়েছেন, গতকাল রামপুরার উলন রোডের বাড়িতে গিয়ে দুজনকে হাতেনাতে ধরেছেন হিরো আলম। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে আসছিলেন। যেহেতু বাসাটা হিরো আলম ভাড়া নিয়েছিলেন, তাই তাকে ফোন দিয়ে প্রায়ই অভিযোগ করতেন এলাকাবাসী। কিছুদিন পরপরই রিয়া মনির বাসায় অবস্থান করতেন ম্যাক্স অভি রিয়াজ।

দুজনের এ অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে হিরো আলমকে অবগত করেন এলাকাবাসী। তাই গতকাল হিরো আলম হাজির হন বাসায়। একপর্যায়ে হিরো আলমকেই মারধর ও হেনস্তা করেন রিয়া মনি। এরপর এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে গণধোলাই দেন রিয়া মনি ও ম্যাক্স অভি রিয়াজকে। এরপর পুলিশ এসে দুজনকে আটক করে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায়। আজ কোর্টে চালান করা হয়েছে দুজনকে।

এছাড়াও, গতকাল বিকেলে হিরো আলমের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে রিয়ামনির সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায় তাকে। হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, দুজনকে হাতেনাতে ধরেছেন তিনি। হিরো আলমের সঙ্গে এখনো ডিভোর্স সম্পন্ন হয়নি রিয়ামনির। তাই দুজনের এ অনৈতিক সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় হিরো আলমকে মারধর করে রিয়ামনি। রিয়া মনিও নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে অভিযোগ করেন হিরো আলমের বিরুদ্ধে।

তিনি জানান, হিরো আলম ফ্যামিলি বাসায় এসে ঝামেলা করছে। এরপর বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। যেখানে হিরো আলমকে রিয়া মনির বাসার নিচে অবস্থান নিতে দেখা যায়। ঘটনার একপর্যায়ে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর রিয়া মনি ও ম্যাক্স অভি রিয়াজকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে রিয়া মনির সঙ্গে ডিভোর্সের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে হিরো আলমের।

ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত অনেক দেশ: পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত অনেক দেশ: পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ দাবি করেছেন, বেশ কয়েকটি দেশ ইরানকে সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে প্রস্তুত।

রোববার (২২ জুন) এক লাইভ প্রতিবেদনে তুর্কিভিত্তিক টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে।

বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যানে দায়িত্বে থাকা মেদভেদেভ টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বেশ কয়েকটি দেশ ইরানকে সরাসরি তাদের পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে প্রস্তুত।’

মেদভেদেভ বলেন, ইরানে লক্ষ্যবস্তু স্থাপনাগুলোতে ন্যূনতম বা কোনো উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি বলে মনে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন সম্ভবত অব্যাহত থাকবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরেকটি বড় সংঘাতের ঝুঁকিতে পড়েছে এবং যুক্তি দেন যে হামলার ফলে ইরানি নেতৃত্ব রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

এর আগে ইরানের হামলার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক বলেছে, ‘একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানোর দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত, তা যে যুক্তিতেই উপস্থাপন করা হোক না কেন – আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের সনদ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলির স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

প্রসঙ্গত, আজ ভোরে যুক্তরাষ্ট্র বি-২ স্টেলথ বিমান দিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনার ওপর ভারী বোমা হামলা চালায়। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ‘সফল আক্রমণ’ চালিয়েছে।

হন্যে হয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র !

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ণ
হন্যে হয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র !

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর পরই দেশটির সঙ্গে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও আলোচনার পরিবেশ তৈরিতে প্রকাশ্য ও গোপন দুই মাধ্যমেই বার্তা পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন। এমন তথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। খবর সিএনএনের।

রোববার (২২ জুন) পেন্টাগনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হেগসেথ বলেন, আমি শুধু এটুকুই নিশ্চিত করতে পারি, প্রকাশ্য ও ব্যক্তিগত- উভয় মাধ্যমেই একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানকে বার্তা পাঠানো হচ্ছে, যাতে তারা আলোচনার টেবিলে আসার সর্বোচ্চ সুযোগ পায়।

তিনি আরও বলেন, তারা (ইরানি কর্তৃপক্ষ) স্পষ্টভাবে জানে, যুক্তরাষ্ট্র কী চাইছে এবং শান্তির জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ তাদের নেওয়া উচিত। আমরা আশাবাদী, তারা এই সুযোগ কাজে লাগাবে।

সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পাঁচ দফা পারমাণবিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনায় নেতৃত্ব দেন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তবে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার পর, ২২ জুন নির্ধারিত ষষ্ঠ দফার বৈঠক বাতিল করা হয়।

এই অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার পরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানায় সিএনএন।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র এখন ‘সংলাপ ও চাপের যুগপৎ কৌশল’ গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, একদিকে তারা ইরানকে কূটনীতির পথে টানার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে সামরিক চাপ সৃষ্টি করে আলোচনায় সুবিধাজনক অবস্থানে যেতে চাইছে।

ইরানের পক্ষ থেকে এখনো প্রকাশ্যে মার্কিন আহ্বানে সরাসরি সাড়া মেলেনি। তবে দেশটির ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে, শর্তহীন আলোচনা নয়, বরং আস্থার পরিবেশ তৈরিই এখন মুখ্য।

তারা মনে করছে, কূটনৈতিক আলোচনায় ফেরার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাসযোগ্য অবস্থান দেখাতে হবে এবং অতীতের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ব্যাখ্যা দিতে হবে।