খুঁজুন
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৭ পৌষ, ১৪৩১

৭ কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত রাখতে এনবিআরের চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ২:০১ অপরাহ্ণ
৭ কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত রাখতে এনবিআরের চিঠি

বিভিন্ন সময়ে আলোচিত দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, এস আলম, নাসা, সামিট, ওরিয়ন ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডের (নগদ লিমিটেড) মালিকানা হস্তান্তর স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের এক দিনের মাথায় রোববার ওই চিঠি পাঠান আহসান হাবিব। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে আজ বুধবার।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ২২৩ ধারার আওতায় এনবিআর কর ফাঁকি রোধে সম্পত্তির অন্তবর্তীকালীন অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোকের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

চলমান তদন্ত অনুযায়ী, এই কোম্পানিসমূহের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগসহ আর্থিক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

এ কারণ দেখিয়ে ‘জনস্বার্থে’ এসব কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তর (কেনা-বেচা ও দান) স্থগিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে পাঠানো চিঠিতে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসন অবসানের পর সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি আর্থিক খাত এবং বড় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে তৎপর হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন। তখনই বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, সামিট, ওরিয়ন ও নাসার মালিকদের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে সিআইসি।

বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তখন চিঠিও পাঠায় আর্থিক খাতের এ গোয়েন্দা সংস্থা।

বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানকে ক্ষমতার পালাবদলের পরপরই গ্রেফতার করা হয়েছিল। নজরুল ইসলাম মজুমদারকেও মঙ্গলবার রাতে ঢাকার গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এনবিআরের তরফ থেকে প্রথম অনুসন্ধান শুরু হয় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে। এনবিআরের আয়কর বিভাগের কর অঞ্চল-১৫ এর কমিশনার তাদের ব্যাংক হিসাব তলব করে চিঠি পাঠায় সব ব্যাংকে। সাইফুল আলমের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও চাওয়া হয় কর অঞ্চল থেকে।

সে সময় ওই কর অঞ্চলের কমিশনার ছিলেন সিআইসির বর্তমান মহাপরিচালক আহসান হাবিব।

এদিকে মোবাইলে আর্থিক সেবার কোম্পানি নগদ নিয়ে এনবিআরের কোনো দপ্তর থেকে এর আগে কোনো উদ্যোগ না থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে তৎপর হয়েছে।

নানান অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ অগাস্ট নগদের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক বসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক বদিউজ্জামান দিদারকে। তাকে সহায়তা করতে ছয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর বর্তমান ব্যবস্থাপনাকে সহায়তা করতে ‘ম্যানেজমেন্ট বোর্ড’ নামের একটি পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাঁচ সদস্যের এ পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয় বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ করে দেওয়া প্রশাসক এবং তার সহায়ক দলকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে এ পর্ষদ গঠন করে দেওয়ার কথা বলা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে।

পাটগ্রামে ৯৮ বিএসএফের ফুলকাডাবরী ক্যাম্পের বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপন, বিজিবির বাধা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:০২ অপরাহ্ণ
পাটগ্রামে ৯৮ বিএসএফের ফুলকাডাবরী ক্যাম্পের বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপন, বিজিবির বাধা

এবার লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামে ৯৮ বিএসএফের ফুলকাডাবরী ক্যাম্পের বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপনে সরাসরি বাধা দিয়েছে বিজিবি। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলার ৬১ বিজিবির তিস্তা-২ ব্যাটালিয়ানের ধবলসুতি বিওপির গাটিয়ার ভিটা এলাকার সীমান্ত পিলার ৮২৯ হতে আনুমানিক ৩০-৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ৯৮ বিএসএফের ফুলকাডাবরী ক্যাম্পের সদস্যরা ৫ টি বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপনের জন্য ১০০-১২০ জন বিএসএফ সদস্য উক্ত স্থানে জমায়েত হয়।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ৬১ বিজিবি ধবলসুতি বিওপির টহল দল উক্ত কাজে বাধা প্রদান করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময়ের মধ্যে বিএসএফ কর্তৃক ০৩ টি বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপন করে বলে জানা যায়।

পরবর্তীতে উক্ত বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপনের বিষয়ে ১-৩০-১-৫০ মিনিট পর্যন্ত কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সুবেদার মাহবুবুর রহমান সহ ৬ জন। বিএসএফ এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র সিং সাথে ০৬ জন। পতাকা বৈঠকে বিজিবি কর্তৃক জানতে চাওয়া হয় ০৩টি বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপন করেন যা শূন্য লাইন হতে ১৫০ গজ এর ভিতর পরে।

পরবর্তীতে বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার বলেন, ১৫০ গজ বাহিরে বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপন করা হয়। বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার তাৎক্ষণিকভাবে বৈদ্যুতিক পিলার ০৩ টি উঠিয়ে নেওয়া আদেশ প্রদান করেন এবং বিএসএফ ও বিজিবি কর্তৃক সরোজমিনে ১৫০ গজ মেপে এর বাহিরে বৈদ্যুতিক ০৫ টি পিলার স্থাপন করা হয়। পরিশেষে শান্তিপূর্ণভাবে পতাকা বৈঠক শেষ হয়।

অবস্থার উন্নতি না হলে বিআরটিএ বন্ধের হুঁশিয়ারি উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:১৩ অপরাহ্ণ
অবস্থার উন্নতি না হলে বিআরটিএ বন্ধের হুঁশিয়ারি উপদেষ্টার

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) নিজেদের অবস্থার উন্নতির জন্য এক মাস সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক আলোচনা সভা শেষে এই সময় বেঁধে দেন তিনি, ইতোমধ্যে যা প্রায় শেষের দিকে।

তবে এই সময়ের মধ্যে নিজেদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি করতে পারলেও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি বিআরটিএ। যদি দ্রুত নিজেদের অবস্থার উন্নতি না করতে পারে তাহলে বিআরটিএ বন্ধ করে দেওয়ার মতো সিন্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সড়ক উপদেষ্টা।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বিআরটিএ ভবন পরিদর্শন ও কনফারেন্স রুমে রোড সেফটি বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বিআরটিএকে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল নিজেদের অবস্থার উন্নতি করার জন্য।

গ্রহণযোগ্যভাবে উন্নতি না হলেও তাদের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমরা বিআরটিএ-কে প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখব। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। এটাকে আরও বাড়ানো হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিআরটিএ-এর কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, তারা যে আচরণ করছে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমি তাদের এটাও বলেছি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিআরটিএ-এর কাজের যদি উন্নতি না হয়, তাহলে আমরা বিআরটিএ বন্ধ করে দেওয়ার কথা চিন্তা করব।

সড়ক দুর্ঘটনার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন আমাদের সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে। গত বছর সারা দেশে ৭ হাজার ২৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন, যা আগের বছরের থেকে ১২ শতাংশ বেশি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া পর সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারিনি, এর জন্য দায় নিচ্ছি।

সড়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, জীবনের কোনো মূল্য হয় না। কিন্তু অপরাধ স্বীকারের অংশ হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বিআরটিএ-সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য বিআরটিএ-এর কর্মকর্তাদের পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, গাড়ির ফিটনেস ও চালকের লাইসেন্স না থাকার জন্য যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে বিআরটিএ-এর সংশ্লিষ্ট কমকর্তাকে সরাসরি দায়ী করা হবে। এসব মৃত্যুর দায়িত্ব তাদের ওপর আসবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেলকুচি উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:০৩ অপরাহ্ণ
বেলকুচি উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্দ্যোগে তারেক রহমানের পক্ষে দুইশত দুস্হ, ও অসহায় গরীব মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (১১জানুয়ারি) দুপুরে বেলকুচি মডেল কলেজ মাঠে  

উক্ত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বেলকুচি উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহব্বায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি উপজেলা সাবেক আহব্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল,এ সময় প্রধান অতিথি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন,

শীত এলেই যেন  অসহায়-গরীব ও প্রতিবন্ধী মানুষের কষ্ট দ্বিগুন বেড়ে যায়। শীত থেকে বাঁচতে বিত্তবানরা নানা উপায়ে শীত নিবারন চেষ্টা করেন। কিন্তু এই সব  অসহায় শীতার্ত মানুষরা পড়েন চরম বিপদে। তাই দেশ নায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থ,অসহায়-গরীব শীতার্ত দুইশত মানুষে মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন,বেলকুচি উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সব সময় বেলকুচির মানুষের যে কোন বিপদে বিএনপি পাশে থাকবে বলে তিনি জানান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বেলকুচি পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহব্বায়ক শফিকুল ইসলাম,বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সদস্য রেজাউল করিম,

কম্বল বিতরণ অনিষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি,যুবদল,  ছাত্রদল, শ্রমিকদল,,স্বেচ্ছাসেবকদল,তাঁতীদলসহ বিভিন্ন অংগসমূহের নেতা কর্মীগণ।