খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

অন্তর্বর্তী সরকারকে ৭ দফা

ছাত্রলীগকে ৭ দিনের মধ্যে নিষিদ্ধ করার দাবি মাহমুদুর রহমানের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:০০ অপরাহ্ণ
ছাত্রলীগকে ৭ দিনের মধ্যে নিষিদ্ধ করার দাবি মাহমুদুর রহমানের

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আগামী সাত দিনের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন দৈনিক ‘আমার দেশ’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এই দাবিসহ তিনি মোট সাতটি দাবি জানিয়েছেন বর্তমান সরকারের কাছে।

আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি তুলে ধরেন।

মাহমুদুর রহমানের উত্থাপিত সাত দফা দাবি হলোঃ
১. ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করতে হবে;

২. বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে এক সপ্তাহের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে;

৩. যমুনা সেতুকে শহীদ আবু সাইদের নামে নামকরণ করতে হবে, যাতে মানুষ সেখান দিয়ে পার হওয়ার সময় শতাব্দীর পর শতাব্দী আবু সাইদকে দেখতে পায়;

৪. ২০০৯ সালের পর থেকে ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি হয়েছে তার প্রত্যেকটা ধারা-উপধারা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কী কী চুক্তি হয়েছে তাজনগণকে জানাতে হবে। এগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে, যেখানে ভারতের ও ফ্যাসিবাদের দোসর থাকতে পারবে না;

৫. বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউকে শহীদ আবরারের নামে নামকরণ করতে হবে, কারণ শহীদ আবরার এই ফ্যাসিবাদ আন্দোলনের প্রথম শহীদ। মনে রাখতে হবে, শেখ মুজিব বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচার নেতা। আর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আইকন হচ্ছে শেখ মুজিব;

৬. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মনোনয়ন অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে। কারণ এই পুতুলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল জালিয়াতির মাধ্যমে;

৭. এবং আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কারাগারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম এবং বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় মাহমুদুর রহমান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে আসার পর যে পাঁচ দিন আমি কারাগারে ছিলাম। আমার জন্য যে পরিমাণ ভালোবাসা দেশের মানুষ ও দেশের বাইরে থেকে মানুষ দেখিয়েছেন, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমি এর যোগ্য নই। আমি বিশিষ্ট ব্যক্তি নই, রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। এরকম কোনো আকাঙ্ক্ষাও আমার নেই। আমি এদেশের আম-জনতার বর্ষীয়ান একজন প্রতিনিধি মাত্র।

তিনি বলেন, আমার দেশ স্বাধীনতার কথা বলে, এই বার্তা আমরা পত্রিকা থেকে দিতাম। এই কথাটা ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতের আধিপত্যবাদের বিরোধী কথা বলার ক্ষেত্রে একটি মেসেজ। এটি তারা বুঝতে পেরেছিল। বাংলাদেশের অধিকাংশ মিডিয়া এখনো ভারতীয় ফ্যাসিবাদীরা দখল করে বসে আছে। এটিই সত্য। মিডিয়ার মালিক বা সম্পাদক, এদের বেশিরভাগই ভারতের এজেন্ট।

‘মৌলবাদ’ শব্দ ব্যবহার না করতে সরকারকে সতর্ক করে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক বলেন, অতি ইসলামিক এবং মৌলবাদ ট্যাগ ব্যবহারকারীদের প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের একটি সংস্কার কমিটির দায়িত্বে আছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বললেন, দেশে নাকি ‘মৌলবাদের’ উত্থান হচ্ছে। সরকারে থেকে এ ধরনের ব্যক্তিগত কথা বলা যায় না। তার বক্তব্য সরকারের বক্তব্য হয়ে যায়। তিনি এই ‘মৌলবাদ’ কোথায় পেলেন। এই ‘মৌলবাদ’র কার্ড ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে, এটি ব্যবহার করে আয়নাঘর হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে তারা। এখন ইফতেখারুজ্জামান আবার ‘মৌলবাদ’ কার্ড ব্যবহার করছেন, আপনার উদ্দেশ্য কী। নতুন কায়দায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করা আপনার উদ্দেশ্য। আপনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা বলেন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। ‘মৌলবাদ’ শব্দ ব্যবহার করবেন না। তাই সরকারকে এ বিষয়ে আমি সতর্ক করে দিতে চাই।

জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, অতি ইসলামিকও হবেন না। ফ্যাসিবাদের সময় আপনারা কিছু করতে পারেননি। এখন স্বাধীনতা পেয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। এর কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। যারা বাড়াবাড়ি করছেন আস্তিক আর নাস্তিক, হিন্দু ধর্ম নিয়ে; এতে ভারতীয় যে কৌশল তা আপনারা বাস্তবায়ন করবেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এতই পাওয়ারফুল যে তাকে এক এগারোর সরকারে নিতে আইন পরিবর্তন করতে হয়। বর্তমান সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমেরিকায় সফরসঙ্গী হিসেবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ যাননি, গেছেন দেবপ্রিয়। এই দেবপ্রিয় ২০০৫ সাল থেকে এক-এগারোর সরকারের সময় পর্যন্ত দেশে ইন্ডিয়ান করিডোর দিতে প্রতিদিন ক্যাম্পেইন করতেন। বিদেশের টাকা নিয়ে প্রতিদিন ক্যাম্পেইন করেছেন তিনি। তার বক্তব্য সেদিন ছিল যে, করিডর থেকে দেশ যে শুল্ক পাবে তা দিয়ে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। তার কাছে আমরা জানতে চাই, গত ১৬ বছরে ট্রানজিট থেকে কত ডলার বাংলাদেশ আয় করেছে। এখন পর্যন্ত কেউ সরকারকে এ প্রশ্ন করেননি। আমরা দেখেছি সংবাদ সম্মেলনে কী করা হতো। আমার দেশ থাকলে এই প্রশ্ন করা হতো। এই দেবপ্রিয়কে তার মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।

মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, যে দলই ক্ষমতায় আসুক, বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত—যারাই আসুক; দিল্লির পক্ষে যারা কথা বলবে তাদের সঙ্গে আমাদের লড়াই চলবে। আমি যতদিন জীবিত আছি ততদিন আমার লড়াই চলবে। আমি সবাইকে কথা দিচ্ছি, জনগণের কাতারে থেকে জনগণের জন্য মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করবো।

ঈদের কেনাকাটা শেষে ট্রাকচাপায় মা-বাবা ও ছেলে নিহত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১১:৪১ অপরাহ্ণ
ঈদের কেনাকাটা শেষে ট্রাকচাপায় মা-বাবা ও ছেলে নিহত

ঝিনাইদহের শৈলকুপার ভাটই বাজারে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন,শৈলকূপা উপজেলার মাইলমারী গ্রামের মোস্তফা মন্ডল (৪৩), স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৩৮) ও ছেলে মাহিম (৮ )। এ ঘটনায় ট্রাক ও চালককে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

জানা যায়, বিকালে শৈলকূপা উপজেলার মাইলমারী গ্রাম থেকে মোটরসাইকেল যোগে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে শহরে আসছিল মোস্তফা মন্ডল। পথিমধ্যে ভাটই বাজার এলাকায় পৌছালে পিছন দিক থেকে একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনা স্থলেই নিহত হয় শিশু মাহিম। গুরুত্বর আহত হয় মোস্তফা মন্ডল ও সেলিনা খাতুন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মারুফ হোসেন বলেন,ঘটনাস্থলেই সন্তানের মৃত্যু হয়। আহত স্বামী ও স্ত্রী কে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর তাদের মৃত্যু হয়। ঘাতক ট্রাক ও তার চালককে আটক করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে রাখা হয়েছে।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা : ছোয়া ইসরাইল বলেন, হাত দুজনকে ভর্তি রাখার কিছুক্ষণ পর তাদের মৃত্যু হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

অনিশ্চিত মেসি, চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ণ
অনিশ্চিত মেসি, চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ

ইনজুরি কাটিয়ে প্রায় সাত মাস পর আর্জেন্টিনা দলে ফেরা লিওনেল মেসির খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চিলির বিপক্ষে ম্যাচে এই তারকা ফরোয়ার্ডকে শুরু থেকে মাঠে দেখা যাবে কি না, এ বিষয়ে কিছু বলেননি কোচ লিওনেল স্কালোনি।

কনমেবল অঞ্চলের বাছাই পর্বের ১৫তম রাউন্ডে চিলির বিপক্ষে খেলতে নামছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। শুক্রবার (৬ জুন) সান্তিয়াগোর এস্তাদিও ন্যাসিওনাল হুলিও মার্তিনেজ প্রাদানোসে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফিরতে পারেন লিওনেল মেসি। গত মার্চে ইনজুরির কারণে দলে ছিলেন না আর্জেন্টিনার এই তারকা ফুটবলার। চিলির বিপক্ষে শুরু থেকে তার খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে চিলির বিপক্ষে থাকছেন না অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নিকোলাস ওতামেন্দি। যার ফলে এই ম্যাচে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যেতে পারে লিওনার্দো বালের্দি। সেই সঙ্গে ফুলব্যাক হিসেবে নাহুয়েল মলিনা ও নিকোলাস তালিয়াফিকোর ওপরেই ভরসা রাখছেন কোচ।

চোট ও নিষেধাজ্ঞার কারণে চিলির বিপক্ষে ছয়জন নিয়মিত খেলোয়াড়কে দলে পাচ্ছেন না স্কালোনি। তাদের বিকল্প হিসেবে দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনজন নতুন মুখ। বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচে তরুণ ও কম অভিজ্ঞতার ফুটবলারদের সুযোগ দিতে চান স্কালোনি।

এই বিষয়ে স্কালোনি বলেন, ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ, তবে এই মুহূর্তে আমরা খেলোয়াড়দের মানিয়ে নেয়ার এবং জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ দেয়ার দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।

১৪ ম্যাচ খেলে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা। আর চিলি রয়েছে দশ দলের মধ্যে সবার নিচে। তাদের পয়েন্ট মাত্র ১০। আগামী বুধবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ:
এমি মার্টিনেজ; নাহুয়েল মলিনা, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, লিওনার্দো বালের্দি, নিকোলাস তালিয়াফিকো; গিউলিয়ানো সিমিওনে, রদ্রিগো ডি পল, এজেকুয়েল প্যালাসিওস, নিকো পাজ/থিয়াগো আলমাদা; হুলিয়ান আলভারেজ ও লিওনেল মেসি।

শাকিব খানকে ওমর সানীর প্রশ্ন: আরেকটা বিয়ে করলেই সৎবাবা হয়ে যাবা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ণ
শাকিব খানকে  ওমর সানীর প্রশ্ন: আরেকটা বিয়ে করলেই সৎবাবা হয়ে যাবা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের দর্শকপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। অভিনয়ে আগের মতো নিয়মিত নন। সর্বশেষ তাকে ‘ডেডবডি’ সিনেমায় দেখা গেছে। বর্তমানে নিজের নানারকম ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এদিকে, দেশ সহ চলচ্চিত্রের নানা ইস্যুতে বেশ সরব ওমর সানী। সেই ধারাবাহিকতায় আরটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব খানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ছবি চলে তো, দুই দিনও না, এক ঘণ্টাও চলে না অথচ নিজেকে ভাবে সুপারস্টার। তারা হচ্ছে অন্য জগতের মানুষ। এখানে এসে নিজেকে শিল্পী পরিচয় দেয়। তাদের ছবি এক ঘণ্টাও চলে না অথচ নিজেকে ভাবে সুপারস্টার।

এর পরই তাকে প্রশ্ন করা হয়, শাকিব খান সুপারস্টার, তার ছবি দারুণ চলে। কিন্তু তারই ছবি (অন্তরাত্মা) এক দিন পর হল থেকে নেমে যায়। তাহলে তাকে কিভাবে সুপারস্টার বলব?

এমন প্রশ্নের উত্তরে ওমর সানী প্রথমে বলেন, জানি না। এরপর বললেন, শাকিব কেন এটা দেখে না, আমি জানি না। এটা তার কাছে আমার প্রশ্ন!

শাকিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, তুমি জানো, এটা এমন ক্যাটাগরির ছবি, তাহলে তুমি আসবা কেন? তুফানও তোমার সন্তান, বরবাদও তোমার এমনকি অন্তরাত্মাও তোমার সন্তান। এখন তুমি যদি আরেক মেয়েকে বিয়ে করো, তার ঘরে যদি বাচ্চা হয় তাহলে তুমি কি সৎবাবা হয়ে যাবা নাকি? না তো। এটা ঠিক না।

‘বরবাদ’ বাম্পার হিট গেছে, অন্তরাত্মা চলেনি—এমনটা উল্লেখ করে ওমর সানী জানান, এটা শাকিবের জন্য মোটেও ভালো হয়নি। এতে করে একজন প্রযোজক হারিয়ে গেছেন।