ডেঙ্গুতে তিন মাসে ১৮৬ জনের মৃত্যু
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে ডেঙ্গুজ্বরে ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ডেঙ্গু ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমাদের সব জায়গায় অ্যালার্ট করে দেওয়া আছে, যাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো যায়। এ বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে ডেঙ্গুজ্বরে ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছর এ সময়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৯৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে সচেতন করতে। বিভিন্ন জায়গায় সবার সঙ্গে কথা বলছি। যেন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
হাসপাতালগুলোতে নানা রকমের অবৈধ কাজ করে, এরকম অনেক লোক রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোর ভেতর থেকে নানা অভিযোগ আছে। এর মধ্যে একটি হলো একটি গোষ্ঠী নানান অবৈধ কাজ করে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। সরকারি ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগ ছিল, সেগুলো যাতে না করে সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে আমরা চেষ্টা করছি। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবহার বাড়ানো, আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া, নার্সদের আচারণগত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা; এই কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের গত কয়েক মাস বেতন হচ্ছে না, তাদের বেতন দেওয়ার জন্য যে প্রস্তাব ছিল সেটা পাস না হওয়ায় তারা তিন মাস বেতন পাচ্ছেন না। আমি আগামী ক্যাবিনেটে সেটা নিয়ে যাবো। যাতে তাদের বেতনের ব্যবস্থা করা যায়। আমাদের নানাবিধ সমস্যা আছে, সেগুলো ধীরে ধীরে সমাধানে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন করে চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কোথাও তিনজন আবার কোথাও চারজন চিকিৎসক রয়েছেন। আবার চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই। এ রকম নানা সমস্যা আছে। ধীরে ধীরে আমাদের সমাধান করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় নতুন করে আমি আর হাসপাতালের অনুমোদন দেবো না। পুরানো যেগুলো আছে সেগুলোর সমস্যা আগে সমাধান করবো।
এ মুহূর্তে ওষুধের দাম কমাতে না পারার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৃথিবীর সব জায়গায় ওষুধের নাম হয় জেনেটিক নামে। কিন্তু আমাদের এখানে সেটা হয় না। সেটা এই মুহূর্তে করতে গেলে সমস্যা হবে। আমাদের যেসব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আছে তারা এ বিষয়টাকে সহজভাবে নিচ্ছে না। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, সেখানে বুঝেছি, যদি এই মুহূর্তে এটা করতে যাই তাহলে একটা সমস্যা হবে। সেজন্য আমি কোনো সমস্যার মধ্যে যেতে চাই না। যদি আমরা সময় পাই তাহলে দেখা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন