খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ, ১৪৩১

ভারতে পালিয়ে গেলেন বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি !

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪, ১:২০ অপরাহ্ণ
ভারতে পালিয়ে গেলেন বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি !

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী ও অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি।

জানা গেছে, কোথাও তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওএসডি করার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। এমনকি তার পরিবারও জানেন না বর্তমানে তিনি কোথায় অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে পালিয়েছেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ভারতে পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন বিষয়ে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এইচ এম রকিব হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৫ অক্টোবর রাত থেকে ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি লালমনিরহাটে নেই। তিনি এখন কোথায় আছেন, তা আমাদের জানা নেই।

এদিকে ময়মনসিংহ নগরীর কাশর জেল রোড এলাকার নিজ বাসায় মা-বাবার কাছেও ঊর্মি আসেননি বলে জানিয়েছেন তার মা নাসরিন জাহান।

নাসরিন জাহান বলেন, মেয়ের (ঊর্মি) সঙ্গে গত দুই দিন ধরে আমার কোনো যোগাযোগ নাই। ওর মোবাইল বন্ধ,কোনো যোগাযোগ করছে না। দোয়া করছি আল্লাহ তাকে রক্ষা করুন, হেফাজত করুন। তবে গত পরশু সে লালমনিরহাটে ছিল। কিন্তু এখন কোথায় আছে তা জানি না।

এই অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা দায়ের হওয়ায় তিনি গা ঢাকা দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশ চলে যেতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

জানা যায়, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।। তবে বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন।

ঊর্মির মা নাসরিন জাহান বর্তমানে মুক্তাগাছার হাজী কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে কাশর জেল রোড এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করেন।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে আলোচনায় এসেছেন। তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে। শুধু তাই নয়, এ ইস্যুটি টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসাবে বদলির পর সাময়িক বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার চিঠি পেয়েছে নয়াদিল্লি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:১৭ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার চিঠি পেয়েছে নয়াদিল্লি

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার পাঠানো চিঠি (নোট ভারবাল) পেয়েছে নয়াদিল্লি। বার্তাসংস্থা এএনআই এমনটি জানায়।

সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, তারা হাসিনার প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত একটি নোট ভারবাল পেয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা নিশ্চিত করছি যে আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে একটি নোট ভারবাল পেয়েছি, যা একটি প্রত্যর্পণ অনুরোধের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে নোট পাঠায় বাংলাদেশ। সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ ফেরত চেয়েছে। এটা ভারতকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতকে নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হত্যাকাণ্ড, গত ১৬ বছরে গুম-ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড এবং মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড— এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে। শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভা, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা চলমান।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তার সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিয়ে ভারত সরকার এখনো কিছু বলেনি।

আতশবাজি ও রাহাতের সুরের মূর্ছনায় শুরু বিপিএল উন্মাদনা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:১৫ অপরাহ্ণ
আতশবাজি ও রাহাতের সুরের মূর্ছনায় শুরু বিপিএল উন্মাদনা

শানাইয়ের আওয়াজ ভেসে আসতেই পুরো স্টেডিয়ামে করতালি। মঞ্চে উঠে রাহাত ফতেহ আলি খান বললেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’।

শেষ হলো দীর্ঘ অপেক্ষারও। বিপিএল মিউজিক ফেস্টও যেন পেল পূর্ণতা। একের পর এক গানে এরপর শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখলেন পাকিস্তানি এই শিল্পী।

কখনো ‘আফরি, আফরি’, কখনো রাহাত গাইলেন রুনা লায়লার গান। মাঝে তিনি মাইক ছাড়লেন ছেলে শাহ জামান আলি খানকেও। তার সুর খুঁজে ফিরলো ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলি খানকে। এসবের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল এবারের বিপিএল যাত্রা।

২০১২ সালের বিপিএলের থিম সং গেয়েছিলেন ভারতীয় শিল্পী বাপ্পি লাহেড়ি। এরপর ভারতীয় শিল্পীদের আধিপত্যই ছিল বেশি। কয়েক বছর বিরতি দিয়ে এবার আবারও বিপিএলের উদ্বোধনে দেখা গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বড় আয়োজন।

সোমবার ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকেল ৩ টা ৫০ মিনিটে শুরু হয় ‘বিপিএল টি-টোয়েন্টি মিউজিক ফেস্ট’। প্রথমে জনপ্রিয় ব্যান্ড অ্যাভয়েড রাফা মঞ্চে উঠেন। তার পরিবেশনার পর দেওয়া হয় নামাজের বিরতি।

এরপর মঞ্চে উঠেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ‘নতুন বাংলাদেশে নতুন বিপিএল’ বলে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। জুলাই অভ্যূত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পাওয়ার কথাটি স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

তাদের বক্তব্যের পর মঞ্চে উঠেন জেফার, মুজা ও সঞ্জয়। এক ঘণ্টা একসঙ্গে পারফর্ম করেন তারা। সঞ্জয়ের ডিজে মিউজিক দিয়ে তাদের পরিবেশনা শুরু করে জেফার গেয়েছেন ‘ঝুমকা’ গান। মুজা গেয়েছেন ‘নয়া দামান’,
‘আসি বলে গেল বন্ধু’, ‘ঢোল এর তালে’, ‘বেনী খুলে’।

তাদের পরিবেশনার পর মঞ্চে আসেন মাইলস। তাদের পারফরম্যান্সের পর আলোক ঝলকানির খেলা শুরু হয় মিরপুরে। আতশবাজিতে রঙিন হয়ে উঠে পুরো স্টেডিয়ামের চারপাশ। সবার শেষে মঞ্চে উঠেন রাহাত ফাতেহ আলি খান।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিসিবিতেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসে পুরো দেশের মতোই। ফারুক আহমেদের বোর্ড শুরু থেকেই বিপিএলে বড় আয়োজনের চেষ্টা করে আসছিল। অবশেষে শানাইয়ের সুর, আতশবাঁজির রঙিন ছোঁয়া ও রাহাত ফতেহ আলির সূরের মূর্ছনায় শুরু হলো বিপিএল উন্মাদনা।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি ছাড়াল ৪৫ হাজার ৩০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:১২ অপরাহ্ণ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি ছাড়াল ৪৫ হাজার ৩০০

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় রবিবার ভোর থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৫৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৮৪ জন। সোমবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইতোমধ্যে এ অভিযানে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি বাহিনীর ১৪ মাসব্যাপী অভিযানে গাজায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৩১৭ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৭১৩ জন।

“নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ ভবনের ধ্বংস্তূপের তলায় অনেকে চাপা পড়েছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি”, উল্লেখ করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।

২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা। জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।