খুঁজুন
সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৯ আষাঢ়, ১৪৩২

ভারতে পালিয়ে গেলেন বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি !

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪, ১:২০ অপরাহ্ণ
ভারতে পালিয়ে গেলেন বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি !

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী ও অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি।

জানা গেছে, কোথাও তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওএসডি করার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। এমনকি তার পরিবারও জানেন না বর্তমানে তিনি কোথায় অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে পালিয়েছেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ভারতে পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন বিষয়ে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এইচ এম রকিব হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৫ অক্টোবর রাত থেকে ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি লালমনিরহাটে নেই। তিনি এখন কোথায় আছেন, তা আমাদের জানা নেই।

এদিকে ময়মনসিংহ নগরীর কাশর জেল রোড এলাকার নিজ বাসায় মা-বাবার কাছেও ঊর্মি আসেননি বলে জানিয়েছেন তার মা নাসরিন জাহান।

নাসরিন জাহান বলেন, মেয়ের (ঊর্মি) সঙ্গে গত দুই দিন ধরে আমার কোনো যোগাযোগ নাই। ওর মোবাইল বন্ধ,কোনো যোগাযোগ করছে না। দোয়া করছি আল্লাহ তাকে রক্ষা করুন, হেফাজত করুন। তবে গত পরশু সে লালমনিরহাটে ছিল। কিন্তু এখন কোথায় আছে তা জানি না।

এই অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা দায়ের হওয়ায় তিনি গা ঢাকা দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশ চলে যেতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

জানা যায়, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।। তবে বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন।

ঊর্মির মা নাসরিন জাহান বর্তমানে মুক্তাগাছার হাজী কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে কাশর জেল রোড এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করেন।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে আলোচনায় এসেছেন। তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে। শুধু তাই নয়, এ ইস্যুটি টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসাবে বদলির পর সাময়িক বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এবার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
এবার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

ইরান-ইসরাইলের চলমান সংঘাতের মধ্যে এবার সিরিয়ায় একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে মর্টার হামলা হয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হাসাকাহ প্রদেশের কাসরুক এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সোমবার ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাসরুক অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে হঠাৎ করে মর্টার হামলা চালানো হয়। তবে এ হামলা কে করেছে, হামলার ধরন বা এতে কী পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

ঘটনার পরপরই মার্কিন সেনারা পুরো ঘাঁটির চারপাশ ঘিরে ফেলে এবং ওই এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এলাকাজুড়ে সামরিক ড্রোন ও হেলিকপ্টারের টহল লক্ষ্য করা গেছে।

প্রথমবারের মতো ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার মিসাইল ব্যবহার করলো ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
প্রথমবারের মতো ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার মিসাইল ব্যবহার করলো ইরান

ইসরায়েলে হামলায় ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার শেকান মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এমন তথ্য। চিহ্নিত লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাতে সক্ষম অত্যাধুনিক এ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল। ইসরায়েলের শক্তিশালী আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং এর মতো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতে পারে খাইবার।

ইসরায়েল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রথমবারের মতো ছুটছে ৪র্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক “খাইবার শেকান” ব্যালিস্টিক মিসাইল। আইআরজিসি’র ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটির পোশাকি নাম ‘খোররামশার-ফোর’।

মদিনার ঐতিহাসিক খাইবার মরু অঞ্চলের নামানুসারে রাখা এ মিসাইলটি উন্মোচিত হয় ২০২২ সালে। অন্তত ২ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি। আনুমানিক দেড় হাজার কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে এটি। ইরানের সবচেয়ে ভারি ওয়ারহেডগুলোর মধ্যেও অন্যতম এই খাইবার শেকান।

তেহরানের দাবি- কৌশলগতভাবে যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম খাইবার মিসাইল। সুনিপুণভাবে ফাঁকি দিতে পারে ইসরায়েলের আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং এর মতো ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে।

উড়ন্ত অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় শক্তিশালী এ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে। ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায় শব্দের গতির চেয়ে আনুমানিক ১৫ গুণ বেশি গতিতে আঘাত হানতে পারে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল, খাইবার।

প্রায় চার দশক ধরে পশ্চিমা বিশ্বের প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় আছে ইরান। এই সময়ের মধ্যে দেশটি কীভাবে হাইপারসনিকের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করল তা নিয়েই চলছে চুলচেরা গবেষণা।

বিনোদন পাড়ায় নতুন বিতর্ক

মৌসুমী, নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূরসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ
মৌসুমী, নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূরসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আয়কর বকেয়া থাকার অভিযোগে ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ১৫ জুন সহকারী কর কমিশনার কাজী রেহমান সাজিদ মন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বেশ কয়েকজন শোবিজ তারকার নামও রয়েছে।

সময়মতো কর পরিশোধ না করার এই তালিকায় আছে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূর, রেজাউল করিম (বাপ্পারাজ), শবনম পারভীন, পারভীন জাহান মৌসুমী, আহমেদ শরীফ ও নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নৃত্যাঞ্চলের নাম।

এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে এই তারকাদের বকেয়া করের পরিমাণও জানানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কর বকেয়া আছে চিত্রনায়ক বাপ্পারাজের। তার বকেয়া করের পরিমাণ ১ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ২৪১ টাকা। নুসরাত ফারিয়ার বকেয়া কর ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১০১ টাকা এবং সাবিলা নূরের বকেয়া করের পরিমাণ ৫ লাখ ৬৮ হাজার ১৪২ টাকা।

এ ছাড়া শবনম পারভীনের ৬ লাখ ৭৯ হাজার ১৯০ টাকা, চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বকেয়া রয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৬২৫ টাকা। আহমেদ শরীফের বকেয়া কর ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৮ টাকা এবং নৃত্যাঞ্চলের বকেয়া রয়েছে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৩৪২ টাকা।

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বকেয়া কর পরিশোধের জন্য এই শিল্পীদের কাছে এরই মধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনেকে সময় নিয়েছেন। কর পরিশোধের পরই তাদের ব্যাংক হিসাব সচল হবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন অভিনেত্রী মৌসুমী ও আহমেদ শরীফ। অন্যরা দেশে থাকলেও এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাড়া দেননি নুসরাত ফারিয়া।

সাবিলা নূরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক তারকা সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, ব্যাংক হিসাব জব্দের কোনো খবর তারা পাননি। এখনো সচল আছে তাদের ব্যাংক হিসাব।