খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

সিনওয়ার নিহত, হামাসের দুর্গে আরেকটি বড় আঘাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ২:৫৭ অপরাহ্ণ
সিনওয়ার নিহত, হামাসের দুর্গে আরেকটি বড় আঘাত

ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর পর আরেকটি বড় হোঁচট খেল ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ নিশ্চিত করেছেন, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন।

সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর বিভিন্ন মিত্র দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছেও পাঠিয়েছেন কাটজ।

সিনওয়ারকে গতবছরের ৭ অক্টোবরের ‘গণহত্যা ও নৃশংসতার’ মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বর্ণনা করে ইরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বুধবার সেনারা তাকে হত্যা করেছে।

“এটি ইসরায়েলের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সামরিক ও নৈতিক অর্জন। একইসাথে ইরানের নেতৃত্বে ইসলামের যে উগ্রপন্থা, তার বিপক্ষে মুক্ত বিশ্বের বিজয়।”

সিনওয়ারের মৃত্যুতে হামাসের হাতে আটক অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির সম্ভাব্নাও তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সিনওয়ারকে হত্যার খবর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ) নিশ্চিত করে বলেছে, এক বছর ধরে লেগে থাকার পর সেনারা দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালিয়ে হামাস নেতাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়।

এক বার্তায় আইডিএফ বলেছে, গত এক বছর ধরে গাজার নিরীহ বেসামরিক মানুষের আড়ালে এবং হামাসের তৈরি সুড়ঙ্গের ভেতরে-বাইরে আত্মগোপনে থাকা সিনওয়ারকে অবশেষে নির্মূল করা গেছে।

আইডিএফ বলেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হামাসের শীর্ষ নেতাদের অবস্থান শনাক্তের পর ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালায়। আইডিএফের ৮২৮ ব্রিগেডের সেনারা সেখানে তিনজনের অবস্থান শনাক্ত এবং তাদেরকে হত্যা করে। পরে তাদের একজন সিনওয়ার বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

গতবছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং আরও শত শতজন জিম্মি হওয়ার ঘটনার হোতা এই সিনওয়ারই ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

গাজায় চালানো সামরিক অভিযানে ইসরায়েলের এক নম্বর টার্গেট ছিলেন এই সিনওয়ার।

বিবিসি জানায়, গ্রাফিক কয়েকটি ছবিতে সিনওয়ারের মতো দেখতে একটি লাশ বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ইসরায়েলের দুটো সম্প্রচারমাধ্যম কান এবং চ্যানেল ১২ ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। তবে কয়েকটি খবরে বলা হয়, সিনওয়ারের পরিচয় নিশ্চিত হতে একটি মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ডিএনএ পরীক্ষার পরই সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ইসরায়েল।

সিনওয়ারের মৃত্যু ইসরায়েলের জন্য এক বিরাট সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০১১ সালে সিনওয়ার বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। এরপর তিনি হামাসের কট্টরপন্থি এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা হয়ে ওঠেন।

সিনওয়ার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক পন্থায় সমস্যা সমাধান করা নয় বরং ইসরায়েলকে মোকাবেলায় সশস্ত্র সংঘাতের পথ বেছে নেন। গাজায় যুদ্ধ চলার বেশির ভাগ সময়েই সিনওয়ার ইসরায়েলি জিম্মিদের মানবঢাল বানিয়ে একটি সুড়ঙ্গ ঘিরে রেখে তাতে লুকিয়ে থেকেছেন বলে ধারণা করা হয়।

বিশেষ করে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সিনওয়ার সর্বেসর্বা হয়ে ওঠার পর তার জন্য এই সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যদিও ইসরায়েলের আইডিএফ এর কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে ওই স্থানে কোনও জিম্মিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আধুনিক বিআরটিসির রূপকার তাজুল ইসলাম

কল্যাণপুর বিআরটিসিতে নবনির্মিত পিওএল ভবন উদ্বোধন

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:২১ অপরাহ্ণ
কল্যাণপুর বিআরটিসিতে নবনির্মিত পিওএল ভবন উদ্বোধন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বা বিআরটিসির গুরুত্বপূর্ণ ডিপো কল্যাণপুর বাস ডিপোর আধুনিক কাঠামো উদ্বোধন করেছেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম। অবশ্য তাজুল ইসলামকে সবাই আধুনিক বিআরটিসির রুপকার হিসেবেই জানেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও জনকল্যাণমুখী খাত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বা বিআরটিসি। আর এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম অংশীদার কল্যাণপুর বিআরটিসি বাস ডিপো। মূলত রোববার (২২ ডিসেম্বর) কল্যানপুর বাস ডিপোতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক স্থাপনার উদ্বোধন করা হয়।

শাখাটির সুদক্ষ ম্যানেজার (অপারেশন) জনাব মোঃ শাহরিয়ার বুলবুল এর সুদক্ষ পরিচালনায় এগিয়ে চলেছে কল্যাণপুর ডিপোটি। সেখানে ২.৮০ একর যায়গা জুড়ে রয়েছে বিশাল একটি মাঠ। যেখানে প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আধুনিক সাজে সজ্জিত করতে নতুন করে হাতে নেয়া হয়েছে বিশেষ কিছু কর্মসূচী।

এদিনের উদ্বোধনী প্রধান বিষয়গুলো হলোঃ
১.ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও আধুনিক ক্লাসরুম
২.ওয়ার্কিং শেড এবং ইয়ার্ড
৩.জ্বালানী শাখার নবনির্মিত ভবন (পিওএল)
৪.বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী ইত্যাদি।

কারিগরি ওয়ার্কিং শেডঃ
কল্যাণপুর ডিপোর ৩৬০/৪০ ফিট কারিগরি ওয়ার্কিং শেড নির্মাণ করে সুন্দর কর্মপরিবেশ তৈরি হয়েছে। এমনকি বৃষ্টি হলেও এখন কারিগররা একসাথে ১৫/২০ টি গাড়ির মেরামত কাজ করতে পারেন। আর এই উন্নয়ন কাজে ব্যয় হয়েছে ৪০ লাখ ৭০ হাজার ৭২১ টাকা।

পিওএল ভবনঃ
ডিপোতে জ্বালানী শাখা বা পিওএল শাখায় ৬০/১৫ ফিট ৩ রুম বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। সেইসাথে ১২ হাজার ৩৬০ স্কয়ার ফিট ইয়ার্ড মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে। যেখানে ব্যয় হয়েছে ৪৬ লাখ ১ হাজার ১৭১ টাকা।

এছাড়াও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সহ নানাবিধ কাজে তারা সবসময় তৎপর।পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করেছে তারা।

অনুষ্ঠানে ডিপোর সাধারণ কর্মচারীদের মধ্য থেকে মতামত জানানোর জন্য বলা হয়। ঠিক এই সময়ে বাস্তবভিত্তিক ঝাঁঝালো অনুভূতি প্রকাশ করেন তারা। তাদের অনেকেই বলেন, “স্যার আপনাদের সাহায্য ও মনোবলই আমাদেরকে শক্তি যোগায়। জনাব তাজুল ইসলাম স্যার যতদিন আছেন- আমরা সন্তুষ্ট। আমাদেরকে আর বেতন ভাতার জন্য আন্দোলন করতে হয়নি। আমরা চাই, আপনি চলে গেলে যেনো সেই আগের দুর্দিন পুনরায় ফিরে না আসে।”

মূলত পুরাতন জরাজীর্ণ অপুষ্টিতে ভোগা বিআরটিসিকে আধুনিক সাজে সজ্জিত করতেই বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম এর নির্দেশনায় ডিপো ম্যানেজার মোঃ শাহরিয়ার বুলবুল উপরোক্ত এজেন্ডা গুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেন।

এবিষয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের এই বিআরটিসি প্রতিষ্ঠানটি বহু পুরোনো। কিন্তু সেই ধরনের কোনো উন্নয়ন আমাদের চোখে পড়েনি। তাই আমরা পর্যায়ক্রমে সকল ডিপো, সকল প্রতিষ্ঠান রিকভারি করছি। আমাদের অধিকাংশ কাজ শেষের পথে। আশা করছি শীঘ্রই আমাদের বাকি কাজগুলো আমরা শেষ করতে পারবো।”

অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজন করা হয় শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা। ডিপো ম্যানেজার মোঃ শাহরিয়ার বুলবুলের শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকতাগণ বক্তব্য রাখেন।

অর্থ, হিসাব ও অপারেশন পরিচালক- ড.অনুপম সাহা, কারিগরি পরিচালক- ব্রি. মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার, (পিএসসি) সহ অনেকেই বিআরটিসির উন্নয়নের সার্বিক চিত্র ও মাননীয় চেয়ারম্যানের একনিষ্ঠাতার বাস্তবিক চিত্র তুলে ধরেন।

বিশেষ করে বিআরটিসির মাননীয় চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম অসাধারণ দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “বিআরটিসি একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান। তাই চাইলে এখান থেকে দেশকে অনেক কিছু দেয়ার সুযোগ আছে। প্রয়োজন শুধু সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে পারা। আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমার সর্বোচ্চটা করে যাচ্ছি। আমও চলে গেলে যেনো এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে, কোনোভাবেই যেনো থমকে না যায়। সেজন্য আপনাদেরই সজাগ থাকতে হবে।”

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।