খুঁজুন
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৪ মাঘ, ১৪৩১

সিনওয়ার নিহত, হামাসের দুর্গে আরেকটি বড় আঘাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ২:৫৭ অপরাহ্ণ
সিনওয়ার নিহত, হামাসের দুর্গে আরেকটি বড় আঘাত

ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর পর আরেকটি বড় হোঁচট খেল ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ নিশ্চিত করেছেন, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন।

সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর বিভিন্ন মিত্র দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছেও পাঠিয়েছেন কাটজ।

সিনওয়ারকে গতবছরের ৭ অক্টোবরের ‘গণহত্যা ও নৃশংসতার’ মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বর্ণনা করে ইরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বুধবার সেনারা তাকে হত্যা করেছে।

“এটি ইসরায়েলের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সামরিক ও নৈতিক অর্জন। একইসাথে ইরানের নেতৃত্বে ইসলামের যে উগ্রপন্থা, তার বিপক্ষে মুক্ত বিশ্বের বিজয়।”

সিনওয়ারের মৃত্যুতে হামাসের হাতে আটক অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির সম্ভাব্নাও তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সিনওয়ারকে হত্যার খবর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ) নিশ্চিত করে বলেছে, এক বছর ধরে লেগে থাকার পর সেনারা দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালিয়ে হামাস নেতাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়।

এক বার্তায় আইডিএফ বলেছে, গত এক বছর ধরে গাজার নিরীহ বেসামরিক মানুষের আড়ালে এবং হামাসের তৈরি সুড়ঙ্গের ভেতরে-বাইরে আত্মগোপনে থাকা সিনওয়ারকে অবশেষে নির্মূল করা গেছে।

আইডিএফ বলেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হামাসের শীর্ষ নেতাদের অবস্থান শনাক্তের পর ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালায়। আইডিএফের ৮২৮ ব্রিগেডের সেনারা সেখানে তিনজনের অবস্থান শনাক্ত এবং তাদেরকে হত্যা করে। পরে তাদের একজন সিনওয়ার বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

গতবছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং আরও শত শতজন জিম্মি হওয়ার ঘটনার হোতা এই সিনওয়ারই ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

গাজায় চালানো সামরিক অভিযানে ইসরায়েলের এক নম্বর টার্গেট ছিলেন এই সিনওয়ার।

বিবিসি জানায়, গ্রাফিক কয়েকটি ছবিতে সিনওয়ারের মতো দেখতে একটি লাশ বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ইসরায়েলের দুটো সম্প্রচারমাধ্যম কান এবং চ্যানেল ১২ ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। তবে কয়েকটি খবরে বলা হয়, সিনওয়ারের পরিচয় নিশ্চিত হতে একটি মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ডিএনএ পরীক্ষার পরই সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ইসরায়েল।

সিনওয়ারের মৃত্যু ইসরায়েলের জন্য এক বিরাট সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০১১ সালে সিনওয়ার বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। এরপর তিনি হামাসের কট্টরপন্থি এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা হয়ে ওঠেন।

সিনওয়ার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক পন্থায় সমস্যা সমাধান করা নয় বরং ইসরায়েলকে মোকাবেলায় সশস্ত্র সংঘাতের পথ বেছে নেন। গাজায় যুদ্ধ চলার বেশির ভাগ সময়েই সিনওয়ার ইসরায়েলি জিম্মিদের মানবঢাল বানিয়ে একটি সুড়ঙ্গ ঘিরে রেখে তাতে লুকিয়ে থেকেছেন বলে ধারণা করা হয়।

বিশেষ করে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সিনওয়ার সর্বেসর্বা হয়ে ওঠার পর তার জন্য এই সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যদিও ইসরায়েলের আইডিএফ এর কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে ওই স্থানে কোনও জিম্মিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১১ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির চালা মৌজার হাজী কোরবান আলী শেখের জমি প্রতিবেশী হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টায় বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হাজী কোরবান আলী শেখ।

এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার  সাথে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।‌ হাজী সবুর তালুকদার ওই জমির জন্য বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে আসছেন। এরই জের ধরে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হঠাৎ করে অনুমানিক ৯ টার সময় হাজী সবুর তালুকদার লোকজন নিয়ে উক্ত জায়গায় অন্যায়, অবৈধভাবে ও জোরপূর্বকভাবে ইট বালি সিমেন্ট দ্বারা আমার জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উক্ত কাজে আমি বাঁধা দিতে গেলে তিনি আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করেন। আমি এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে হাজী সবুর বলেন, এই জায়গা আমি ক্রয় করেছি। জমির মালিক ছিলো অনেকে তাই জমি নিয়ে এতো জটিলতা। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা সত্য না।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকেরিয়া হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মামুনর রশিদ, রোরহান আলী শেখ, আব্দুল করিম মিয়াসহ ভুক্তভোগী কোরবান আলী শেখের পরিবারের সদস্যরা।

ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এর আগেই বাসটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়।

একজন বাসযাত্রী বলেন, ঝিনাইদহ বাসটার্মিনাল থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলাম, চলন্ত অবস্থায় বাসের মধ্যে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বাসটি থামালে বাসের যাত্রীরা সবাই নিরাপদে নেমে পড়েন। এর একটু পরেই পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, খুলনা থেকে ঝিনাইদহ হয়ে রূপসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। পথে শৈলকুপার মোহাম্মদপুরে পৌঁছালে ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়।

সে সময় যাত্রীরা দ্রুতই বাস থেকে নেমে পড়েন। পরে আগুন সম্পূর্ণ বাসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে সক্ষম হয়।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন তারা।

এসময় তারা ‘আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনী হাসিনার বিচার চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনি হাসিনার ফাঁসি দে’ সহ বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। ছয় মাস পার হয়ে গেছে অথচ বিচারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা কি আমাদের ভাইদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি নয়?

একজন শহীদের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাকে হত্যার মাধ্যমে মূলত আমাদের পুরো পরিবারকেই হত্যা করেছে তারা। কারণ পরিবার যে চালায় সে না থাকলে পরিবারের আর কিছু থাকে না। এখনো কেন আসামি ধরা হচ্ছে না? এখনো কেন বিচার করা হচ্ছে না? কেন আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে? আমরা সরকারের কাছে এগুলোর জবাব চাই।