খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

আবারো শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস, ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:১০ অপরাহ্ণ
আবারো শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস, ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষার নির্দেশ

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার পর একবার বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানি কোনো নিদের্শনা পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি শেখ হাসিনার কণ্ঠ সদৃশ বেশ কয়েকটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

নোটিজেনরা দাবি করছেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। সেসব ফোনালাপই ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনই একটি তিন মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ফোনালাপ রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।

নতুন এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠ সদৃশ একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তোমাদের বাড়িঘরে যারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, তাদের বাড়ি ঘর নেই? সব কথা কি বলে দিতে হয়?’

ফোনকলের অন্য প্রান্তের কণ্ঠটি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাকিল আলম বুলবুলের দাবি করা হচ্ছে। তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন তা জানা যায়নি।

ফোনালাপে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এখন বেশি বেশি বাড়াবাড়ি করছে। বেশি ভালো থাকবেন না আপনি। দেখো ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই শত্রুরা টেকে কি না? কাউকে পালাতেও দেওয়া হবে না। যে কয়টা নাফরমানি করছে তাদের একটাও অস্ত্র থাকবে না।’

এ সময় অন্য প্রান্ত থেকে (সাবেক ছাত্রলীগ নেতা) বলেন, ‘জ্বি নেত্রী, আলহামদুলিল্লাহ। আপনার কথায় আমরা ভরসা রাখছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একদম একদম।’

তখন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘আপনি একটু মাথা ঠান্ডা রেখে আপনার কৌশলে এগুন নেত্রী। তবে সবাইকে সব কাজ বরাদ্দ রেখে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক আছে, আমি সবাইকে বলছি, তোমরা শুধু দুই মাস অপেক্ষা করো। কিছু বলো না।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি নেত্রী।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওরা ফেল করবে, আর আমরা যদি কিছু করি, তখন বলবে আমাদের জন্য করতে পারে নাই। সেটা আর বলার মুখ নেই। জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবেও ওই যে সুদখোর ইউনুসের গুটি গুটি চেহারার দ্বার আটকে গেছে মানুষের কাছে।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি নেত্রী অলরেডি বাংলার মানুষ বুঝে গেছে। মানুষ ভয়তেই কেউ মুখ খুলতে পারছে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এখন ওদের ভয় দিতে হবে।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি নেত্রী, ওই যে আমাদের গোবিন্দগঞ্জের কালাম ভাই এমপি আর আমি উপজেলার চেয়ারম্যান বর্তমান ছিলাম নেত্রী, আর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরপর ছিলাম দুই বার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। ওনার বাড়ি গাড়ি সব জ্বালাই পুড়াই দিছে। আমারও বাড়ি গাড়ি সব জ্বালাই পোড়াই দিছে নেত্রী। আমাদের অসংখ্যা মামলা দিছে, আপনি শুধু আমাদের জন্য দোয়া রাখবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘না আমি একটা কথা বলি, তোমাদের বাড়ি পোড়াই দিছে কে?’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘ওরাই নেত্রী, জামায়াত বিএনপি সকলই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের ঘর-বাড়ি নেই?’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাহলে, সবকিছু কি প্রকাশ্যে করতে হয়।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি না, না নেত্রী।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমাদের নাই, তাহলে কারো ঘর-বাড়ি থাকবে না।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘একটা সংশয় নেত্রী, মাননীয় নেত্রী গোবিন্দগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সেক্রেটারি, তাদের নামে একটি মামলাও হয়নি। কিংবা তাদের বাড়ি-ঘরেও ওরা যায়নি। ওরা কিভাবে এটাকে?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শোনো ওরা দেখে যেগুলি পোটেনশিয়াল, যেগুলি দেখে একেবারেই শক্ত তাদের ওরা তালিকা করে। সবাইকে কাউন্ট করে না। সেইজন্য বললাম, যাদের বাড়িঘর পোড়া গেছে, তাদের হিসাব নেওয়া হচ্ছে, কারা পোড়াতে আসছিল, আর আমার বাড়ি যদি পোড়ে তাদেরও পুড়বে।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি নেত্রী, জ্বি নেত্রী আলহামদুলিল্লাহ। আপনার সঙ্গে কথা বলে বুকটা ভরে গেলো নেত্রী। আপনি ভালো থাকবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মামলা, আমারতো শুধু গোবিন্দগঞ্জ না, আমারতো সারা বাংলাদেশে ২২৭টি মার্ডার কেস। আমি বলছি সবাই তালিকা করো। তোমরাও তালিকা করো। ২২৭ মার্ডারের লাইন্সেস পেয়ে গেছি। এক মামলায় যে শাস্তি, শোয়া দুইশো মামলায় একই শাস্তি। তাই না। ঠিক আছে সেই শাস্তি নেবো। তার আগে শোয় দুইশো হিসাব করে নেবো। এটা যেন মাথায় থাকে।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, ইনশাআল্লাহ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবার একবার আসতে পারলে কেউ ফেলাইতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।’

জানা গেছে, শাকিল আলম বুলবুল ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন সন্ত্রাসী। হত্যা গুম খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে পারদর্শী হওয়ায় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ তাকে সহজেই কাছে টেনে নেন। তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে সাপমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বানান। চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি ধর্মীয় কাজের নামে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের মামলায় আসামি হন।

আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধানের নেতৃত্বে উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৬ সালে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে হামলা ভাঙচুর লুটপাটে তিন সাঁওতাল হত্যা করেন শাকিল আলম বুলবুল। সাঁওতাল হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ৯০ নম্বর আসামিও শাকিল আলম বুলবুল।

নাম প্রকাশ করার শর্তে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলেন, ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি শাকিল আলম বুলবুলের। বুলবুলসহ সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ দুইজনই ভারতে পালিয়ে গেছে। তিনি নিরাপদে থেকে নেত্রীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি চাচ্ছেন উপজেলায় যেসকল আসামি আছে তারাও বিপদে পড়ুক। নিজেরা ক্ষমতায় থাকার সময় হাজার হাজার কোটি টাকা কামাই করে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে আছেন। তিনি চাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সবাই যেন জনরোষানলে পড়ে। এসব নেতার কারণেই আজ দেশে আওয়ামীগের এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

প্রেমের সম্পর্কে মন কষাকষি হতেই পারে: উমামা ফাতেমা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৪:৪১ অপরাহ্ণ
প্রেমের সম্পর্কে মন কষাকষি হতেই পারে: উমামা ফাতেমা

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পর এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে।

রোববার (১১ মে) দিবাগত রাতে উমামা ফাতেমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেন, ‘মেরেছ কলসির কানা! তাই বলে কি প্রেম দিব না? প্রেমের সম্পর্কে টুকটাক মন কষাকষি হতেই পারে। তবে বেশি জনসম্মুখে না হওয়াই ভালো। মেনে নিন, টক্সিসিটিই প্রেমের সৌন্দর্য।’’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্রের এমন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে আলোচনা। কেউ এটিকে সম্পর্কের বাস্তব দিক তুলে ধরার সাহসী প্রচেষ্টা মনে করছেন। আবার অনেকে মনে করছেন, এটি হতে পারে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কারো বক্তব্য বা কাজের প্রতি একটি ইঙ্গিতপূর্ণ প্রতিক্রিয়া।

এর আগে দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে দিনভর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।

রোববার (১১ মে) আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মওলানা ভাসানীর বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে ফেসবুকের এক পোস্টে লিখেন, ‘দিল্লীর গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়। ওয়াশিংটন কিংবা মস্কোর দাসত্ব করতেও নয়।’

তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটি বাংলাদেশের স্বাধীন ও সার্বভৌম অবস্থানের পক্ষে সাহসী বার্তা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বিষয়টিকে কূটনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করছেন।

অন্যদিকে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ‘একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাওয়া’ সংক্রান্ত এক স্ট্যাটাস নিয়ে যখন পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছে, ঠিক তখনই তিনি আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে শিবিরের ওপর নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, পাকিস্তানপন্থিরা যেখানেই থাকবে, সেখানেই আঘাত করা হবে। এ ছাড়াও কয়েকটি আপত্তিকর শব্দও ব্যবহার করেন স্ট্যাটাসে। যদিও সমালোচনার মুখে তাৎক্ষণিক স্ট্যাটাসটি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে নেন তিনি।

শনিবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর সব আন্দোলনকারী যখন ঘরে ফিরে যায় তখন মাহফুজ আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘দুটি কথা’ শিরোনামে এক পোস্টে লিখেন, ‘৭১-এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। (পাকিস্তান অফিসিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারো ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি)। ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে। মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নাই। লীগের গুম-খুন আর শাপলায়, মোদীবিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের মস্তিষ্ক এরা। এরা থার্টি সিক্সথ ডিভিশন। জুলাইয়ের সময়ে এরা নিকৃষ্ট দালালি করেও এখন বহাল তবিয়তে আছে। আজ পর্যন্ত মুজিববাদী বামেরা কালচারালি ও ইন্টেলেকচুয়ালি জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করে যাচ্ছে। দেশে বসে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে এরা চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। লীগের এসকল বিটিম ও শীঘ্রই পরাজিত হবে। অন্য কারো কাঁধে ভর করে লাভ নেই।’

এ স্ট্যাটাসে একাত্তর ইস্যু টানায় অনেকে তার পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচনা করেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মাদ্রাসা জীবনের বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়। পাঞ্জাবি পরিহিত ওসব ছবি মূলত শিবিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বলেও প্রচার করে কেউ কেউ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন উপদেষ্টা মাহফুজ। পরে সন্ধ্যায় পাল্টা স্ট্যাটাস দেন তিনি। মুহূর্তেই স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নেন তিনি। ততক্ষণে স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়। সে স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমাকে নিয়ে নোংরামি করতেসো, ঝামেলা নাই। ফ্যামিলি টাইনো না, যুদ্ধাপরাধের সহযোগী রাজাকারেরা। এটা লাস্ট ওয়ার্নিং। আর, যে চুপা শিবিররা এ সরকারে পদ বাগাইসো আর বিভিন্ন সুশীল ব্যানার খুলে পাকিস্তানপন্থা জারি রাখছ, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ রাজাকার আর দালালদের তুলনায় আরও অধিক ভুগবা। যারা বিতর্কের এবং গালাগালির লিমিট জানে না, তাদের আমি সহ-নাগরিক মনে করি না। পাকিস্তানপন্থিরা যেখানেই থাকবে, সেখানেই আঘাত করা হবে। আমৃত্যু! ঢাবিতে এ রাজাকারদের আগে ঠেকানো হবে, যারা এদের স্পেস দিসে তাদের জন্য গত পঞ্চাশ বছরের তুলনায় অধিক জিল্লতি অপেক্ষা করসে!’

মাহফুজের দুই স্ট্যাটাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে- বিপক্ষে আলোচনা- সমালোচনা চলছে। প্রথম স্ট্যাটাসে অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী যখন মাহফুজের পক্ষে অবস্থান নেন ঠিক দ্বিতীয় স্ট্যাটাসের কারণে তার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ জামায়াত-শিবিরের যেমন সমালোচনা করছেন ঠিক তেমনই মাহফুজের আক্রমণাত্মক বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। এমন কি মাহফুজ কোনো গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে উপদেষ্টা পদে নেয়া তার শপথ ভঙ্গ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

এদিকে ঐক্যের সময়ে বিভেদ চানা না এবং সামনে বহু লড়াই বাকি আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। রোববার রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘দয়া করে আওয়ামী বাইনারিগুলো প্রচার করে বিভেদে জড়াবেন না। ঐক্যের সময়ে বিভেদ চাই না। ফ্যাসিস্টবিরোধী ঐক্য যেকোনো মূল্যে আমাদের আরো দৃঢ় করতে হবে। সামনে বহু লড়াই বাকি। এসি রুমে বসে যদি ফিল করতে না পারেন, তাহলে বের হয়ে শহরের বস্তিগুলোতে এসে ঘুরে যান, নদীভাঙনে ঘরবাড়িহারা মানুষগুলোকে দেখতে আসুন, ফুটপাতে শুয়ে থাকা সর্বস্বহীন মানুষগুলোর গল্প শুনুন। এই বিপ্লব কারো একার না, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সকল শ্রেণি-পেশার, যেখানে রাজনৈতিক কোনো বাইনারি ন্যূনতম ফারাক তৈরি করতে পারেনি।’

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি, আইপিএল পুনরায় শুরুর তোড়জোড়

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি, আইপিএল পুনরায় শুরুর তোড়জোড়

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরই আইপিএল ২০২৫ আবার শুরু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বেশ কিছু দিক বিবেচনায় নিতে হবে এবং চূড়ান্ত অনুমোদন আসতে হবে ভারত সরকারের দিক থেকেও।

‘সব কিছু এখনো নির্ধারিত নয়’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল বলেন, “যুদ্ধবিরতি মাত্রই ঘোষণা হয়েছে। এখন আমরা সম্ভাবনা খুঁজছি কীভাবে দ্রুত টুর্নামেন্ট আবার শুরু করা যায় এবং শেষ করা যায়। আমাদের ভেন্যু, সময়সূচি সবকিছুই ঠিক করতে হবে এবং দল, সম্প্রচারকারী ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে—সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করা। ”

রবিবার হবে চূড়ান্ত আলোচনা
বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লাও নিশ্চিত করেছেন, রোববার (১১ মে) আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বিসিসিআই কর্মকর্তারা এক বৈঠকে বসবেন এবং তখনই নতুন সূচি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, “যুদ্ধ থেমে গেছে। এখন নতুন পরিস্থিতিতে আমরা আইপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বসব। কোন দিন থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে। ”

তিনটি ভেন্যু নির্ধারণ, ইডেন বাদ পড়ার আশঙ্কা
ইএসপিএনক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আইপিএলের বাকি ১৬টি ম্যাচ—১২টি লিগ ও ৪টি প্লে-অফ—আয়োজনের জন্য তিনটি ভেন্যু বেছে রাখা হয়েছে: বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদ।

তবে সরকার অনুমোদন না দিলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএল ফাইনাল ও কোয়ালিফায়ার ২ আয়োজনের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

ফের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে দলগুলোকে
এক সূত্রের বরাতে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ জানিয়েছে, পরের সপ্তাহ থেকেই আইপিএল ফের শুরু হতে পারে। যদিও মূল ফাইনাল ছিল ২৫ মে, নতুন সূচিতে তা পেছাতে পারে কয়েকদিন।

তবে বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ। কারণ, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা জুনে শুরু হওয়া ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকবেন।

এক আইপিএল কর্মকর্তা জানান, “দুই একটা ডাবল হেডার বাড়াতে হতে পারে। তবে আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব যতটা সম্ভব দলগুলোকে হোম অ্যাডভান্টেজ দিতে। ”

বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন সালাহ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৩:৫১ অপরাহ্ণ
বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন সালাহ

ফুটবল লেখক সমিতির (এফডব্লিউএ) বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন লিভারপুলের মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ।

২০২৪-২৫ মৌসুমটা দুর্দান্ত কেটেছে সালাহর। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৩ গোল এবং ২৩ অ্যাসিস্টের মালিক তিনি। লিভারপুলের প্রিমিয়ার লিগ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন এই ফরোয়ার্ড।

আর্নে স্লটের দলে প্রতি ম্যাচেই শুরুর একাদশ থেকে ছিলেন সালাহ। যদিও এবার তার লিভারপুল ছাড়ার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তবে সেই গুঞ্জনকে পেছনে ঠেলে পছন্দের ক্লাবের সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি বাড়িয়েছেন সালাহ।

মোহাম্মদ সালাহ এই শতাব্দীতে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জিতেছেন, মোট ভোটের প্রায় ৯০ শতাংশই পেয়েছেন তিনি।

ইংল্যান্ডের শত শত সাংবাদিকের ভোটে বিজয়ী হয়েছেন সালাহ। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই পুরস্কার জিতলেন তিনি। এর আগে ২০১৭-১৮ এবং ২০২১-২২ সালে বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

৩২ বছর বয়সী সালাহ সতীর্থ ভার্জিল ফন ডাইক এবং রায়ান গ্রেভেনবার্চ, সেইসাথে আর্সেনালের মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস এবং নিউক্যাসল ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার ইসাককে পেছনে ফেলে এই বছরের পুরস্কার জিতেছেন।