খুঁজুন
রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ২৫ কার্তিক, ১৪৩১

আবারো শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস, ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:১০ অপরাহ্ণ
আবারো শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস, ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষার নির্দেশ

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার পর একবার বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানি কোনো নিদের্শনা পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি শেখ হাসিনার কণ্ঠ সদৃশ বেশ কয়েকটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

নোটিজেনরা দাবি করছেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। সেসব ফোনালাপই ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনই একটি তিন মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ফোনালাপ রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।

নতুন এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠ সদৃশ একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তোমাদের বাড়িঘরে যারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, তাদের বাড়ি ঘর নেই? সব কথা কি বলে দিতে হয়?’

ফোনকলের অন্য প্রান্তের কণ্ঠটি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাকিল আলম বুলবুলের দাবি করা হচ্ছে। তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন তা জানা যায়নি।

ফোনালাপে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এখন বেশি বেশি বাড়াবাড়ি করছে। বেশি ভালো থাকবেন না আপনি। দেখো ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই শত্রুরা টেকে কি না? কাউকে পালাতেও দেওয়া হবে না। যে কয়টা নাফরমানি করছে তাদের একটাও অস্ত্র থাকবে না।’

এ সময় অন্য প্রান্ত থেকে (সাবেক ছাত্রলীগ নেতা) বলেন, ‘জ্বি নেত্রী, আলহামদুলিল্লাহ। আপনার কথায় আমরা ভরসা রাখছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একদম একদম।’

তখন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘আপনি একটু মাথা ঠান্ডা রেখে আপনার কৌশলে এগুন নেত্রী। তবে সবাইকে সব কাজ বরাদ্দ রেখে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক আছে, আমি সবাইকে বলছি, তোমরা শুধু দুই মাস অপেক্ষা করো। কিছু বলো না।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি নেত্রী।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওরা ফেল করবে, আর আমরা যদি কিছু করি, তখন বলবে আমাদের জন্য করতে পারে নাই। সেটা আর বলার মুখ নেই। জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবেও ওই যে সুদখোর ইউনুসের গুটি গুটি চেহারার দ্বার আটকে গেছে মানুষের কাছে।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি নেত্রী অলরেডি বাংলার মানুষ বুঝে গেছে। মানুষ ভয়তেই কেউ মুখ খুলতে পারছে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এখন ওদের ভয় দিতে হবে।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি নেত্রী, ওই যে আমাদের গোবিন্দগঞ্জের কালাম ভাই এমপি আর আমি উপজেলার চেয়ারম্যান বর্তমান ছিলাম নেত্রী, আর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরপর ছিলাম দুই বার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। ওনার বাড়ি গাড়ি সব জ্বালাই পুড়াই দিছে। আমারও বাড়ি গাড়ি সব জ্বালাই পোড়াই দিছে নেত্রী। আমাদের অসংখ্যা মামলা দিছে, আপনি শুধু আমাদের জন্য দোয়া রাখবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘না আমি একটা কথা বলি, তোমাদের বাড়ি পোড়াই দিছে কে?’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘ওরাই নেত্রী, জামায়াত বিএনপি সকলই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের ঘর-বাড়ি নেই?’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাহলে, সবকিছু কি প্রকাশ্যে করতে হয়।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি না, না নেত্রী।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমাদের নাই, তাহলে কারো ঘর-বাড়ি থাকবে না।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘একটা সংশয় নেত্রী, মাননীয় নেত্রী গোবিন্দগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সেক্রেটারি, তাদের নামে একটি মামলাও হয়নি। কিংবা তাদের বাড়ি-ঘরেও ওরা যায়নি। ওরা কিভাবে এটাকে?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শোনো ওরা দেখে যেগুলি পোটেনশিয়াল, যেগুলি দেখে একেবারেই শক্ত তাদের ওরা তালিকা করে। সবাইকে কাউন্ট করে না। সেইজন্য বললাম, যাদের বাড়িঘর পোড়া গেছে, তাদের হিসাব নেওয়া হচ্ছে, কারা পোড়াতে আসছিল, আর আমার বাড়ি যদি পোড়ে তাদেরও পুড়বে।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি নেত্রী, জ্বি নেত্রী আলহামদুলিল্লাহ। আপনার সঙ্গে কথা বলে বুকটা ভরে গেলো নেত্রী। আপনি ভালো থাকবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মামলা, আমারতো শুধু গোবিন্দগঞ্জ না, আমারতো সারা বাংলাদেশে ২২৭টি মার্ডার কেস। আমি বলছি সবাই তালিকা করো। তোমরাও তালিকা করো। ২২৭ মার্ডারের লাইন্সেস পেয়ে গেছি। এক মামলায় যে শাস্তি, শোয়া দুইশো মামলায় একই শাস্তি। তাই না। ঠিক আছে সেই শাস্তি নেবো। তার আগে শোয় দুইশো হিসাব করে নেবো। এটা যেন মাথায় থাকে।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, ইনশাআল্লাহ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবার একবার আসতে পারলে কেউ ফেলাইতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।’

জানা গেছে, শাকিল আলম বুলবুল ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন সন্ত্রাসী। হত্যা গুম খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে পারদর্শী হওয়ায় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ তাকে সহজেই কাছে টেনে নেন। তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে সাপমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বানান। চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি ধর্মীয় কাজের নামে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের মামলায় আসামি হন।

আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধানের নেতৃত্বে উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৬ সালে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে হামলা ভাঙচুর লুটপাটে তিন সাঁওতাল হত্যা করেন শাকিল আলম বুলবুল। সাঁওতাল হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ৯০ নম্বর আসামিও শাকিল আলম বুলবুল।

নাম প্রকাশ করার শর্তে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলেন, ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি শাকিল আলম বুলবুলের। বুলবুলসহ সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ দুইজনই ভারতে পালিয়ে গেছে। তিনি নিরাপদে থেকে নেত্রীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি চাচ্ছেন উপজেলায় যেসকল আসামি আছে তারাও বিপদে পড়ুক। নিজেরা ক্ষমতায় থাকার সময় হাজার হাজার কোটি টাকা কামাই করে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে আছেন। তিনি চাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সবাই যেন জনরোষানলে পড়ে। এসব নেতার কারণেই আজ দেশে আওয়ামীগের এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন সানি লিওন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ
দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন সানি লিওন

একটা সময় নীল ছবির তারকা ছিলেন। পরে অবশ্য জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডে। সেখানকার ছবিতে কাজ করছেন, পাশাপাশি নানা ধরনের ব্র্যান্ডিংয়ে দেখা যায় তাকে। জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই পার করেছেন তিনি। প্রেমে ধোঁকা খেয়েছেন, তার জীবনে ওঠাপড়ার শেষ নেই। তবে এই সফরে গত দেড় দশক ধরে যে মানুষটা তার হাত শক্ত করে ধরে থেকেছেন তিনি ড্যানিয়েল ওয়েবার।

২০১১ সালে ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেছিলেন সানি। দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের ১৩ বছর পার করে ফেলেছেন তারা। নীল ছবির জগৎ সেই কবেই ছেড়েছেন সুন্দরী। তিন সন্তানকে নিয়ে এখন সুখী সংসার তার। আমেরিকা ছেড়ে পাকাপাকিভাবে ভারতে বসবাস করেন তিনি। বিবাহবার্ষিকীতে স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবারের সঙ্গে ফের গাঁটছড়া বাঁধলেন অভিনেত্রী। তা-ও সূদূর মালদ্বীপে। তিন সন্তান নিশা, নোয়া ও আশের উপস্থিতিতে বিয়ের শপথগুলো আবারও গ্রহণ করলেন দুজনে। জানা যাচ্ছে, অনুষ্ঠান চলাকালীন ড্যানিয়েল সানিকে একটি হীরার আংটি দিয়ে অবাক করে দিয়েছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, মালদ্বীপের নীল জলরাশিকে সাক্ষী রেখে পরস্পরকে চোখে হারালেন সানি-ড্যানিয়েল। এই বিয়ের একমাত্র সাক্ষী তাদের তিন সন্তান। দুজনের পরনেই এদিন সাদা পোশাক, ছবিতে একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসতে দেখা গেছে।

ফুল হাতে সাদা গাউনে সানিকে মায়াবী দেখাল, অন্যদিকে ড্যানিয়েল বেছে নিয়েছিলেন সাদা শার্ট ও সাদা ট্রাউজার। সানি এবং ড্যানিয়েল তাদের তিন সন্তানের সঙ্গেও ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন।

বিয়ের ছবি পোস্ট করে সানি লেখেন, ‘প্রথমবার আমরা ভগবান, পরিবার ও বন্ধুদের সামনে বিয়ে করি। এবার আমরা দুজনে বিয়ে করলাম মাত্র তিনজন (সন্তান) সাক্ষী, নিজেদের মধ্যে আরো ভালোবাসা আর সময় নিয়ে! আজও তুমিই আমার জীবনের ভালোবাসা এবং আজীবন সেটাই থাকবে! আই লাভ ইউ ড্যানিয়েল’। বিয়ের আসরে তিন সন্তানসহ সানি লিওন।

২০১১ সালে সানি জানিয়েছিলেন মার্কিন অভিনেতা, প্রযোজক এবং উদ্যোক্তা ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেছেন। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এই দম্পতি মহারাষ্ট্রের লাতুর গ্রাম থেকে তাদের প্রথম সন্তানকে দত্তক নেন। নাম রাখেন নিশা কৌর ওয়েবার। সেই সময় ওই শিশুটির বয়স ছিল ২১ মাস। পরের বছর মার্চ মাসে, সানি এবং ড্যানিয়েল তাদের যমজ ছেলের জন্মের ঘোষণা করেছিলেন, সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম হয়েছিল তাদের।

ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইধিকা পাল

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ
ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইধিকা পাল

প্রিয়তমা’ ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার পরিচিত মুখ ইধিকা পাল। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রিয়তমা’। সেই সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে দেখা যায় তাকে। তারপর থেকে সিনেমায় অভিনয়ের ব্যাপার নিয়মিত কথা হচ্ছে তার।

সম্প্রতি শাকিবের বিপরীতে আরো একটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। ‘বরবাদ’ নামের এই সিনেমার শুটিং চলছে। শুক্রবার হ্যালোইন উৎসব। এ কারণেই হয়তো কয় দিন আগে তার ভক্তদের সঙ্গে এক ভৌতিক অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন এই অভিনেত্রী।

তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, ‘কাকতালীয় কি কেবল সিনেমাতেই ঘটে? সে রাতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল আমাদের সঙ্গেও। আপনাদের বলছি কারণ, আমার সঙ্গে আমার বোনও ছিল তখন। ঘটনাটা বহু বছর আগের। গড়িয়া স্টেশনের দিকে একটি বাড়িতে তখন ভাড়া থাকতেন আমার মামারা। সেখানেই ঘুরতে গিয়েছিলাম আমি। এক সন্ধ্যায় আমি আর আমার সেই বোন বসে বসে সিনেমা দেখছি। কী সিনেমা জানেন? ‘ভুলভুলাইয়া’! বাড়িতে শুধু আমি আর বোন ছাড়া ওই মুহূর্তে কেউ ছিল না। আর ওই রাতেই এক ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হই আমরা।

ওই যে বললাম, সেই ‘কাকতালীয়’ ঘটনার অঙ্ক মেলাতে পারিনি আজও। টিভিতে দিব্যি সিনেমা চলছে। ভয়ও পাঁচ্ছি, আবার হাসিও পাঁচ্ছে। এমন সময়ে এক অদ্ভুত গোঙানির আওয়াজ আমাদের দুজনেরই কানে আসে। সে আওয়াজ এতটাই ভয়ানক যে, যে কেউ শুনলে তার গা ছম ছম করবে। খাটের একদম সামনেই টিভি, পাশেই দরজা এবং সেই দরজার বাইরে থেকেই আওয়াজটা এসেছিল। আমি ভেবেছিলাম ভূতের সিনেমা দেখছি, সেখান থেকেই হয়তো আওয়াজটা এসেছে।

কিন্তু যেহেতু আমার বোন ওই সিনেমাটা আগেই দেখে ফেলেছিল, তাই ও ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিল যে গোঙানির আওয়াজ সিনেমার ওই দৃশ্যে ছিলই না ‘ তিনি আরো লেখেন, ‘এর উৎস অন্য কোনো জায়গা! আমি খুব সাহসের সঙ্গে বললাম, ওই আওয়াজ সিনেমা থেকেই আসছে। কিন্তু পরে টিভিটা মিউট করতেই পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হলো। না, আওয়াজটা তো এখনো কানে আসছে! কিন্তু টিভি তো নীরব!

তবে কার গোঙানির আওয়াজ এটা? উত্তর খুঁজে পাওয়ার আগেই আমরা দুজনেই খাটের পেছনে ঢুকে গিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে চিৎকার করতে থাকি। আমাদের চেঁচামেচি শুনে ওপর থেকে বাড়িওয়ালিরাও নিচে নেমে আসেন। কিন্তু সেই গোঙানির উৎস খুঁজে পায়নি কেউ। আর শোনাও যায়নি। কখনো কখনো মনে হয়, কেউ হয়তো ইচ্ছে করেই আমাদের ভয় দেখিয়েছিল সেদিন।

তার পরে এটাও ভাবি, ভয় দেখিয়ে পালাবেই বা কোথায়? মামার বাড়ির সামনের রাস্তাটা নেহাত ছোট নয়। আর দুই পাশে পুকুর। লুকানোর জায়গাও নেই। আর আওয়াজটা এতটাই কাছাকাছি কোথাও থেকে আসছিল যে দরজার ওপাশে কে লুকিয়ে, তা দেখার ক্ষমতাও আমাদের দুজনের কারো ছিল না। এত বছর পরে ওই ঘটনাটার কথা মনে পড়লে যেমন ভয় পাই, তেমন হাসিও পায়! ভূতের সিনেমা দেখতে দেখতেই এমন ভৌতিক কা- ঘটে গেল আমাদের সঙ্গে। সত্যিই কি কাকতালীয় বলুন!’

জামিন বাতিল, কারাগারে শমী কায়সার ও তাপস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ
জামিন বাতিল, কারাগারে শমী কায়সার ও তাপস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৬ নভেম্বর তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ দিন রিমান্ড শেষে তাঁদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মৃত্যুঞ্জয় পন্ডিত মিঠুন। তাঁদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করে।

শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর ৪ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়।