খুঁজুন
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২

২০২০ সালের ১৭ মার্চ লেখা ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’

আসিফ নজরুলের মুজিব বন্দনা, সমালোচনা তুঙ্গে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ণ
আসিফ নজরুলের মুজিব বন্দনা, সমালোচনা তুঙ্গে

বাংলাদেশের ইতিহাসে মিশ্র বাঙালির আচরণ ও সমালোচনার কমতি নেই। সেই তালিকায় বহুরূপী চরিত্রে আসিফ নজরুলের নাম প্রথম সারিতে। কারণ বিভিন্ন সময়ে সভা-সেমিনারে আওয়ামী লীগ নির্মূলের কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকারের এই আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ভিন্ন কথা বলেছেন তার ভেরিফায়েড ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্টে। এর মধ্যে বেশ আলোচনায় এসেছে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ লেখা একটি কবিতা। শিরোনাম-‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’।

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে লেখা কবিতাটিতে ফেসবুকে প্রায় ১৬ হাজার কমেন্টস, ৯ হাজার শেয়ার ও ৪৯ হাজার লাইক ও হা হা রিঅ্যাক্ট পড়েছে। আমাদের পাঠকদের জন্য এটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

“প্রিয় বঙ্গবন্ধু”

আমার ভালোবাসা নিন।

আমি আপনাকে ভালোবাসি

আপনাকে ভালোবাসতে হলে আওয়ামী লীগ হওয়ার প্রয়োজন নেই।

প্রয়োজন নেই লোভী হওয়ার কিংবা ভীত হওয়ার।

একচোখা বা মনগড়া ইতিহাস পড়ার, গড়ার।

প্রয়োজন নেই মানুষকে দুঃখে রেখে আতশবাজি উল্লাসের,

কিংবা বাধ্যতামূলক বা চতুর বিনয়ের।

আপনাকে ভালোবাসতে লাগে কিছুটা বিবেক

কিছুটা যুক্তিবোধ, নিজের মানচিত্র চেনা

আর সামান্য একটু মনুষ্যত্ববোধ।

আমি আপনাকে ভালোবাসি।

কিছু দুঃখ, কিছু অভিযোগ নিয়েও ভালোবাসব সকল সময়।

কারণ আপনার কাছে আমরা পেয়েছি অনেক অনেক বেশি।

কারণ আপনি তুলনাহীন আত্মত্যাগে, সাহসে আর দেশপ্রেমে।

কারণ আপনি না জন্মালে সেদিন স্বাধীন হতো না বাংলাদেশ।

আর আমিও আজকে থাকতাম না আমার জায়গায়।

আমরা কেউ থাকতাম না আমাদের জায়গায়।

আপনাকে আরো ভালোবাসি

কারণ দেখেছি আপনার অজস্র হাসি, আপনার সাথে রাসেলের ছবি।

প্রিয় বঙ্গবন্ধু, আমার ভালোবাসা নিন।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

আল্লাহ্ আপনাকে ভালো রাখুন।

মুজিব বন্দনায় জনগণের মন্তব্য:

বিতর্কিত উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের লেখা এই কবিতার নিচে মন্তব্যের ঘরের অধিকাংশ মন্তব্য তার বিরুদ্ধে। ওই পোস্টের কমেন্টে আশফাক উল হোসাইন নামে একজন বলেন, ‘৪০,০০০ জাসদ হত্যাকারীর জন্য এত প্রেম। হাজার হাজার জামায়াত বিএনপি ভারত বিরোধীর খুনি হাসিনার প্রতি প্রেম লুকিয়ে রাখছেন কেন?’

হাসান মাহমুদ নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘যদি আপনি তেলবাজির জন্য লিখে থাকেন তাহলে ব্যাপারটা ভয়ঙ্কর। আর যদি নিজের বিশ্বাস থেকে লেখে থাকেন তাহলে আরও ভয়ঙ্কর। আপনার বর্তমান পদের সঙ্গে আপনার বিশ্বাস বা তেলবাজি কোনোটাই যায় না-আপনার উচিত পদত্যাগ করা।’

মো. এলাহী বক্স মন্তব্য করেন, ‘আপনার ছলচাতুরীর কারণেই গণঅভুত্থান ব্যর্থ হতে বসেছে।’

আবু শরিফ কামরুজ্জামান লেখেন, ‘আজ আপনি যে গালিগুলো খাচ্ছেন তা প্রধান কারণ হলো আপনার মনে এক ভাবনা আর মুখে বলেন ভিন্ন কথা। আপনি তো নিজেই ঠিক না তবে মানুষকে কিভাবে সঠিক পথে আনবেন।’

মোহাম্মদ রাশেদুল মামুন লেখেন, ‘আপনি আসলেই আওয়ামী লীগ।’

কমেন্ট বক্সে মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আপনি তো পুরোটাই ঝামেলা। ৩২ নম্বর ভাঙা হলো ফ্যাসিবাদের আঁতুড়ঘর বলে। আপনার রকমারি ভালোবাসা দেশের মানুষকে বিব্রত করে।’

মো. কালাম উল্লাহ মন্তব্য করেন, ‘বহুরূপী মানুষ বড় ভয়ঙ্কর! মুখ আর মুখোশ নিয়ে মানুষ দ্বন্দ্বে পড়ে যায়! তাই পদে পদে ধোঁকা খায়!’

এমদাদ বিন আমিন নামের একজন লেখেন, ‘আপনার মতো সুশীল লোকরাই বড় ভয়ঙ্কর। আপনি জিয়াউর রহমানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে পারলেন না, কিন্তু, ঠিকই মুজিবকে জানিয়েছেন।’

ফারুক পুলক বলেন, ‘এই লোক কেমনে বিপ্লবী সরকারে থাকে?’

মুহাম্মাদ সাদ্দাম হোসাইন মন্তব্য করেন. ‘সবই তো ঠিকঠাকই আছিল, কিন্তু সেদিন আপনি না জন্মালে দেশ স্বাধীন হতো না, আমরাও আমাদের জায়গায় থাকতাম না এই কথাগুলো তো আর মেনে নেওয়া যায় না জনাব!’

আসাদুজ্জামান হিমেল লেখেন, ‘স্যার আপনাকে আমি অনেক ভালোবাসি। আপনার পোস্ট সব সময়ই নজর দেই। কিন্তু একটা লাইনের সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। সেটা হলো আপনি লিখলেন আপনি জন্ম না হলে দেশ স্বাধীন হতো না। আপনাকে আমি বলতে চাই, এই দেশ আপামর জনতা স্বাধীন করেছে। আর জীবনবাজি রেখে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এটাতো পানির মতো পরিষ্কার।’

এছাড়া অনেকেই তাদের নিজস্ব মতামত লিখেছেন। সমালোচনা, গালি, গুটিকয়েক প্রশংসা সবমিলিয়ে আসিফ নজরুল বেশ বিপাকেই পড়েছেন। তবে অনেকেই বলছেন- অধিকাংশের মত বিশ্লেষণ করে এটা স্পষ্ট যে, আসিফ নজরুলের ইতিপূর্ব ইতিহাস, লোক দেখানো বক্তব্য, মুজিব বন্দনা, আর বর্তামন কার্যক্রমে তার অবস্থান সহজেই ইঙ্গিতপূর্ণ।

ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় আবারও গোলাগুলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:১৫ অপরাহ্ণ
ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় আবারও গোলাগুলি

কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবার দিবাগত রাতে গোলাগুলি হয়েছে। পেহেলগামে হামলার পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এক দেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে পালটাপালটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ভারতের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) বিভিন্ন পয়েন্টে পাকিস্তানি বাহিনীর সেনাচৌকি থেকে ‘উসকানিমূলকভাবে’ হালকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। জবাবে ভারতীয় বাহিনীও পালটা গুলি ছোড়ে।

ভারতের সেনাবাহিনীর দাবি, গত বৃহস্পতিবার রাতেও পাকিস্তানি বাহিনী থেমে থেমে গুলি চালিয়েছিল। তবে ওই ঘটনায় ভারতীয় দিক থেকে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

কাশ্মীর পুলিশের দাবি, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় তিনজন সন্দেহভাজন সশস্ত্র সদস্য অংশ নেন, যাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক। পাকিস্তান এই ঘটনায় কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

এই হামলার ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে নানা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাকিস্তান তার আকাশসীমা ভারতীয় বিমান বন্ধ- ঘোষণা দিয়েছে। একইভাবে ভারত ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি বণ্টন স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।

কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকলেও মাঝেমধ্যেই সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে থাকে। কাশ্মীর অঞ্চলটি দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে।

টাইমস হায়ার এশিয়া র‍্যাংকিংয়ে দেশের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়, শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
টাইমস হায়ার এশিয়া র‍্যাংকিংয়ে দেশের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়, শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই) ২০২৫ সালের এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে স্থান পেয়েছে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়। এতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তালিকায় যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন বুধবার (২৩ এপ্রিল) তাদের ওয়েবসাইটে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। তালিকায় এশিয়ার ৩৫টি অঞ্চলের ৮৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংয়ে এটি ১৩তম সংস্করণ।

তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এশিয়া অঞ্চলে সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গা হয়নি। তালিকায় ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)।

তালিকায় ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে দেশের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

এ ছাড়াও তালিকায় স্থান পেয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।

‘ধর্ম অবমাননা’ প্রসঙ্গে কোহিনুর কেমিক্যালের বক্তব্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫৮ অপরাহ্ণ
‘ধর্ম অবমাননা’ প্রসঙ্গে কোহিনুর কেমিক্যালের বক্তব্য

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক অবরোধের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কোহিনুর কেমিক্যাল বাংলাদেশের একটি ৭০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান।

এছাড়াও এটি দেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতার আওতায় গুণগতমানসম্পন্ন সাবান, প্রসাধনী ও ডিটারজেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে একটি মসজিদ রয়েছে, যেখানে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা তার অধীনস্থ এক সহকর্মীর সঙ্গে ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করার সময় কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেন— যা এক ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, ২২ এপ্রিল দুপুরে শ্রমিকরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তার দোষ প্রমাণিত হলে তাকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসন আশ্বাস দেন।

তবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু বহিরাগত ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছে কর্তৃপক্ষ।

কোহিনুর কেমিক্যাল স্পষ্ট করে জানায়, প্রতিষ্ঠানটি কখনোই ধর্মীয়, সামাজিক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক কোনো বক্তব্য বা আচরণকে সমর্থন করে না। তারা বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানে শূন্য সহিষ্ণু নীতি (জিরো টলারেন্স পলিসি) অনুসরণ করা হয়। আমরা দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলি এবং তা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তারা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কঠোর নীতিমালা গ্রহণ করবে।