খুঁজুন
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১২ বৈশাখ, ১৪৩২

ভারতের সিদ্ধান্তের জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৮ অপরাহ্ণ
ভারতের সিদ্ধান্তের জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে পাকিস্তান

কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলার জেরে ভারতের নেওয়া একাধিক কঠোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এবার পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের আহ্বানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (NSC) জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। খবর জিও নিউজ।

গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন এবং আহত হন আরও ১৭ জন। এই ঘটনার দায়ভার পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে ভারত একাধিক কড়া সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—সিন্ধু নদী পানি চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বুধবার জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারে না। কারণ এই চুক্তিতে শুধু ভারত ও পাকিস্তানই নয়, বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক অংশীদাররাও যুক্ত আছে। ফলে এটি আন্তর্জাতিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।’

এদিকে কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি, কূটনৈতিক স্তরে চাপ সৃষ্টি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক পর্যালোচনার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত।

উল্লেখ্য, কাশ্মীর ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক এই ঘটনার ফলে সেই উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠালো সরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:০৫ অপরাহ্ণ
সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠালো সরকার

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ দুই অতিরিক্ত কর কমিশনার মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান ও মো: শফিকুল ইসলাম আকন্দকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) কর শাখা-২ এর সহকারী সচিব জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

মাহমুদুজ্জামান কর আপিল অঞ্চল, রাজশাহীর কমিশনারের চলতি দায়িত্বে ছিলেন এবং শফিকুল ইসলাম আকন্দ কর আপিল অঞ্চল-১, ঢাকার কমিশনারের চলতি দায়িত্বে ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন বলে মনে করায়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাদের অবসর দেওয়া হলো।’ এতে আরও জানানো হয়েছে, তারা বিধি অনুযায়ী অবসর-সংক্রান্ত সব সুবিধা পাবেন।

উল্লেখ্য, মাহমুদুজ্জামান সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের জামাতা। কেউ কেউ মনে করছেন, এ কারণেই তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। আবার কারও মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম আকন্দের বিরুদ্ধে এর আগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগের কারণে তাকে একবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

এর আগে, ১৭ এপ্রিল আরও দুই কর কমিশনার—গোলাম কবীর ও আবু সাঈদ মো. মুস্তাক—কে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। গোলাম কবীর খুলনায় ট্যাক্সেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালের দ্বৈত বেঞ্চের সদস্য ছিলেন, আর আবু সাঈদ মো. মুস্তাক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, এনবিআর দুর্নীতি দমন ও রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানে যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম প্রমাণিত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি ও প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে—যার মধ্যে রয়েছে বাধ্যতামূলক অবসর, সাময়িক বরখাস্ত ও কারণ দর্শানোর নোটিশ।

ছাত্রদল নেতার ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতা আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:১৮ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল নেতার ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতা আটক

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছাত্রদলের এক নেতার ক্লাব থেকে আড়াইহাজারের দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদ খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বন্দরের মদনপুর এলাকায় থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনের ক্লাব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জাহেদ খন্দকার আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাত্রদলের নেতার ব্যক্তিগত ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় কোনো মামলা নেই। তবে আড়াইহাজার থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক মামলা রয়েছে। আড়াইহাজার থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। খুব শিগগিরই তাকে ওই থানায় পাঠানো হবে। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’

এ বিষয়ে বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’’

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:১২ অপরাহ্ণ
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি একথা জানান।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লেখেন, ‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। গতকাল রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হলাম— তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন।’

তিনি লেখেন, ‘বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা লেখেন, ‘আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন।’

অসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘রাষ্ট্রের যেকোনও ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশে যেকোনও লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ (বৃহস্পতিবার) বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেনি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে ওই লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনও কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।