খুঁজুন
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১২ বৈশাখ, ১৪৩২

‘জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরে রাখতে হবে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৭ অপরাহ্ণ
‘জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরে রাখতে হবে’

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরে রাখতে হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে যশোর জেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তদবির প্রথা এখনো বন্ধ হয়নি। অনেকেই তদবির করেন। উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যাদের অনেক আমি চিনিও না। ফলে আমার নামে কেউ তদবির করলে প্রথমে চা-নাশতা খাওয়াবেন, তারপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।

তিনি বলেন, পুলিশকে মাঠে কাজে নামতে হবে। তবে পুলিশ সিভিল ড্রেসে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। পুলিশে তেলবাজি ব্যবস্থা ফেরার চেষ্টা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়নে কমিউনিটি পুলিশিং বাড়াতে হবে।

মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম, পুলিশের খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আবারও আনচেলত্তির সঙ্গে আলোচনায় ব্রাজিল

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:২৭ অপরাহ্ণ
আবারও আনচেলত্তির সঙ্গে আলোচনায় ব্রাজিল

0-0x0-0-0#

দরিভাল জুনিয়রকে বরখাস্ত করার পর ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ কে হচ্ছেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা। এ প্রশ্নের উত্তর জানতে মুখিয়ে ফুটবলপ্রেমীরা; কিন্তু নেইমার, ভিনিসিয়ুসদের সঠিক প্রশিক্ষককেই খুঁজে পাচ্ছে না ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। তারা সেই প্রথম থেকেই লেগে আছে রিয়াল মাদ্রিদের ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তির পেছনে। তাকেই কোচ হিসেবে চাই ব্রাজিল ফুটবল কর্মকর্তাদের।

দরিভালকে বিদায় করার পর সৌদি ক্লাব আল হিলালের কোচ জর্জ হেসুসকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়াটা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাকেই বেছে নিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। তবে জর্জ হেসুসকে ঠিক মনে ধরছে না দেশটির ফুটবল কর্মকর্তাদের। এ কারণে তারা আরেকটু সময়ক্ষেপন করতে চায়। কার্লো আনচেলত্তিকে আরেকটু বোঝাতে চায়।

এ কারণে ইএসপিএন জানিয়েছে, কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে আবারও আলোচনা শুরু করেছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে আনচেলত্তির চুক্তি ২০২৬ এর জুন পর্যন্ত। কিন্তু ২০২২ বিশ্বকাপের পর তিতে ব্রাজিল কোচের দায়িত্ব ছাড়লে তখন থেকে আনচেলত্তিকে কোচ হিসেবে পাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে আসছিলেন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এডনাল্ডো রদ্রিগেজ।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের কাছে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে হারের পর মাদ্রিদে আনেচলত্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। আবার লা লিগায়ও খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই রিয়াল। সব মিলিয়ে মাদ্রিদে তার ভবিষ্যৎ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

যদিও আনচেলত্তি জানিয়েছেন, রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তার কোনো বিরোধ তৈরি হয়নি এবং চুক্তি সম্পন্ন করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। তবে, আনচেলত্তির সামনে এখন সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে শনিবারের কোপা ডেল রে ফাইনাল। যেখানে বার্সেলোনার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল।

ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) খুব নিবিড়ভাবে এই ম্যাচটি পর্যবেক্ষণ করছে। এখানে যদি বার্সার কাছে রিয়াল হেরে যায়, তাহলে এই মৌসুমটা পুরোপুরি শিরোপাশূন্য কাটাতে হবে তাদেরকে। সে ক্ষেত্রে রিয়ালে আনচেলত্তির অবস্থান আরও নড়বড়ে হয়ে যাবে। এ সুযোগটাই নিতে চায় ব্রাজিল।

আনচেলত্তিকে যখন তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে এখন কথা বলার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আমরা এ নিয়ে মৌসুমের শেষে আলোচনা করবো।

তবে একটি সূত্র ইএসপিএনকে বলেছে, ‘এরই মধ্যে আনচেলত্তির প্রতিনিধি এবং সিবিএফের প্রতিনিধির মধ্যে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।’ একজন এজেন্ট এবং দুইজন ব্রাজিলিয়ান প্রতিনিধি এরই মধ্যে মাদ্রিদে এসে অবস্থান করছেন। তারা প্রতিদিনের রিপোর্ট পাঠাচ্ছে ব্রাজিলে। এরই মধ্যে তারা ব্রাজিলের কোচ হওয়া নিয়ে বৈঠক করেছে আনচেলত্তির ছেলে ডেভিড এবং তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে।

তবে, এটা ঠিক আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির একটা কিনারা না করা পর্যন্ত দুই পক্ষেরই কেউ সামনে আগাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

সারাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২০৪ জন আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:২৬ অপরাহ্ণ
সারাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২০৪ জন আটক

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এরই ধারাবাহিকতায়, গত ১৮ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সব যৌথ অভিযানে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চিহ্নিত দুর্বৃত্ত, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত এবং দালালচক্রের সদস্যসহ মোট ২০৪ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত অপরাধীদের কাছ থেকে ১৬টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৪১০টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১টি সাউন্ড গ্রেনেড, ৪টি ককটেল, ৬টি লোকাল হ্যান্ড বোম্ব, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, স্বর্ণালংকার, মোটরসাইকেল, চোরাই মোবাইল ফোন, সিসিটিভি ক্যামেরা, অবৈধ পাসপোর্ট, অবৈধ ওষুধ ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটকদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়াও দেশব্যাপী জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

শিল্পাঞ্চলে বেতন-বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে চলমান অস্থিরতা প্রশমনে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে গঠনমূলক মতবিনিময় ও সমঝোতা করে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি, চলমান এসএসসি এবং সমমান পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

জুনের আগেই মশার উৎসস্থলে অভিযান চালাব: সিটি প্রশাসক

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
জুনের আগেই মশার উৎসস্থলে অভিযান চালাব: সিটি প্রশাসক

0-0x0-0-0#

জুন মাস (বর্ষার মৌসুম) আসার আগেই মশার উৎসস্থলগুলোতে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার রবীন্দ্র সরোবরে ‘৮০০ জন মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সচেতনতামূলক একটি র‍্যালি ধানমন্ডি লেক থেকে শুরু হয়ে আশপাশের এলাকা ঘুরে আবার লেকে এসে শেষ হয়।

প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষার মৌসুম এলে বা সামান্য বৃষ্টি হলে মশা বংশ বিস্তার করে। মশার বংশ বিস্তার রোধে বর্ষার আগেই আমাদের এই বিশেষ অভিযান। আসন্ন বর্ষাকে সামনে রেখে এখন থেকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এবার মশক নিধন অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভবনগুলো আওতায় আনা হবে। এ বছর আমরা কার্যক্রম নিয়েছি দক্ষিণ সিটির ১৫টি খাল ও চারটি কালভার্ট আজ (শুক্রবার) রাত থেকে পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়াও খালগুলো পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলমান। বর্ষার মৌসুম শুরু হওয়ার আগে এবার আমাদের খাল, নর্দমা ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে ফেলব। মশার আবাসস্থল আমরা পরিষ্কার রাখব।

নাগরিকদের দায়িত্বের কথা জানিয়ে প্রশাসক বলেন, নাগরিকদের গাছের টবে, আঙিনায় যেন পানি না জমে। আপনারা আপনাদের বাড়িঘর পরিষ্কার রাখেন। ডোবা, নালা ও নর্দমা আমরা (সিটি করপোরেশন) পরিষ্কার রাখবে। সম্মিলিতভাবে আমরা সবাই কাজটি করলে সুন্দর নগরী তৈরি করতে পারব।

বিভিন্ন বাসাবাড়ি, অফিসে ও নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালানো হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) অভিযান পরিচালনার জন্য ২৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে চিঠি দিয়েছি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পেলেই আমরা এই অভিযান কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করব। আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের চিঠির দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযান পরিচালনা করার জন্য। জুন মাস আসার আগেই যেসব স্থানে মশার জন্ম হয়, এই স্থানগুলোতে আমরা অভিযান চালাব।

স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, রাস্তার ফুটপাত দখল করে যত্রতত্র যেসব দোকান আছে সেসব নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছি। নগরীতে যে কোনো জায়গার খাবারের দোকান থাকবে না। একটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় খাবারের দোকান থাকবে, যেখানে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএসের দুর্নীতি ও পদত্যাগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের তদন্ত করার কোনো উদ্যোগ নেই। এ সময় সচিব সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের বিষয়ে কথা বলতে অনুরোধ জানান সাংবাদিকদের।