খুঁজুন
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১২ বৈশাখ, ১৪৩২

‘বিচারকদের ফোনকল করে ভয় দেখাত আইন মন্ত্রণালয়’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১৮ অপরাহ্ণ
‘বিচারকদের ফোনকল করে ভয় দেখাত আইন মন্ত্রণালয়’

অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা প্রশ্নে রুলের ওপর দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শুনানি শেষে বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ আগামী মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত মুলতবি করেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অ্যামিকাস কিউরি ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড.শরীফ ভূইঁয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদি হাসান।

শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনিরের কাছে আদালত জানতে চান- কেন পৃথক সচিবালয় দরকার। তার জবাবে আইনজীবী শিশির মনির অধস্তন আদালতের বিচারকদের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন খবরদারির তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়া অধস্তন আদালতের বিচারকদেরও বিভিন্ন অনিয়ম উল্লেখ করেন তিনি।

সংবিধানের ২২, ১০৭ ও ১০৯ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ২২ অনুচ্ছেদে বিচার বিভাগের পৃথকরণের কথা বলা হয়েছে। আদালতসমূহের ওপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে ১০৯ অনুচ্ছেদে। আর ১০৭ অনুচ্ছেদে রয়েছে আদালতের রীতি ও পদ্ধতি-নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধিসমূহ প্রণয়ন করবার ক্ষমতা। সব সময় সুপ্রিম কোর্টের সুপারভিশনে প্র্যাকটিস ডাইরেকশন জারি করা হয়।

‘যেমন- আইনজীবীদের পোশাক পরিবর্তন করা হয়। এটা কীভাবে হয়? এটা ১০৭ অনুচ্ছেদের অধীনে করা হয়। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতিদের ভাগ করে দেওয়া হয়েছে, কে কোন বিভাগে যাবে (অধস্তন আদালত মনিটরিং)। এটা ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে হয়। ’

অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিশির মনির বলেন, মাঝে মাঝে আমাদের প্রধান বিচারপতি বলেন যে- আমরা দ্বৈত শাসনের মধ্যে আছি। এ দ্বৈত শাসনটা কেমন? আপনারা (হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) অধস্তন আদালত ভিজিট করে অনিয়ম-নিয়ম দেখার সুযোগ পাচ্ছেন, এসে রিপোর্ট করছেন, কিন্তু আপনারা কোনো ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিংস ইস্যু করতে পারছেন না। কারণ ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিংস ইস্যু করতে যেতে হবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের (আইন মন্ত্রণালয়) কাছে। সুপ্রিম কোর্ট এটা (ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিংস) ইনিশিয়েট করতে পারে না। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের কাছে পরামর্শের জন্য পাঠায়। অথচ অধস্তন আদালত তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের। সে জায়গায় শুধু সার্কুলার ইস্যু করে তাদের (অধস্তন আদালতের) দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করছে সুপ্রিম কোর্ট।

শুনানির এক পর্যায়ে শিশির মনির আরও বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতি দেখার পর আর সুপ্রিম কোর্ট কিছু করতে পারছে না। তখন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (আইন মন্ত্রণালয়) দরকার। যখন বদলি করতে চায়, (তখন সুপ্রিম কোর্ট বদলি করতে) পারছে না। যখন পদোন্নতি দিতে চায় তখন পারছে না। যখন ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিতে চায়, তখন পারছে না। প্রধান বিচারপতি বলছেন, দিস ইস হোয়াট ইজ এ দ্বৈত শাসন। এক শাসন প্রধান বিচারপতির হাতে। আরেক শাসন আইন মন্ত্রণালয়ে। যাবে কোথায়? সংবিধান অনুসারে সব করে দিচ্ছি। কিন্তু বদলিও করতে পারি না, পদোন্নতিও দিতে পারি না। ডিসিপ্লিানির অ্যাকশনও নিতে পারি না!

অধস্তন আদালতের বিচারকদের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের খবরদারি প্রশ্নে শিশির মনির বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বাজেট থেকে বাঁচিয়ে নিম্ন আদালতে কম্পিউটার কিনে দিতে হচ্ছে। কারণ সুপ্রিম কোর্ট দেখলেন তারা (অধস্তন আদালতের বিচারক) হাতে সাক্ষ্য লিখছেন। হাইকোর্ট সারাদেশে মনিটরিং করে দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় সেটা করে না। তারা ফোনকল করে ভয় দেখায়। তারা ফোনকল করে বলে কাকে জামিন দিতে হবে কাকে জামিন দেওয়া যাবে না। সিএমএমকে (মুখ্য মহানগর হাকিম) এসব নির্দেশনা দেন। সিএমএম এটা অন্যদের জানিয়ে দেয়। এটা আরেক ধরনের নিয়ন্ত্রণ।

অধস্তন আদালতের ১৫ বিচারক নিয়ে দুদকের চিঠি নিয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, গতকাল একটা খবর বেরিয়েছে। অধস্তন আদালতের ১৫ জন বিচারক নিয়ে দুদক চিঠি ইস্যু করেছে। আনফরচুনেটলি এরা অনেকে ঢাকার সিএমএমএ ছিলেন। আপনি যদি একজন পেশকারকে জিজ্ঞাসা করেন- ওমুকের নামে এটা হয়েছে তারা বলবে স্যার ঠিক আছে। এটা এমনে এমনে হয়নি। তাদের দিয়ে রাজা বাদশার ক্ষমতা এক্সারসাইজ করা হয়েছে। তাদের কলিগরা (অন্য বিচারকরা) তাদের দ্বারা নির্যাতিত। বিকজ অব অদৃশ্য হাত। তাদের মাধ্যমে বাকিদের নিয়ন্ত্রণ করতো। এমনকি বদলির জন্য মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত দিলে বলতো আগে অমুকের সঙ্গে আলাপ করো।

ঢাকার আদালতে একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারকের এজলাস থেকে নেমে বিদায় দেওয়ার প্রশ্নে শিশির মনির বলেন, একজন সাক্ষী দিতে গিয়েছিলেন নিম্ন আদালতে। সাক্ষী দেওয়ার পর বিচারক সাহেব এজলাস থেকে নেমে এসে সাক্ষীর মান যেন ক্ষুন্ন না হয়, তাকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেছেন। কারণ ‘হি ইজ এ বিরাট সাক্ষী’। পত্রপত্রিকায় এটা প্রচার হয়েছে। আল্লাহ না করুন, আবার যদি তিনি নাখোশ হয়ে যান। এই ১৫ জনের ভেতর তিনিও (বিচারক) আছেন। কত কনফিডেন্স লস করলো এরা (বিচারক)। অথচ এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের মধ্যে বাছাই করা ১০০ জনের একজন।

গত বছরের ২৫ আগস্ট সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ, ২০১৭ সালের জুডিসিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবী রিটটি করেন।

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার-কর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলা বিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি তা প্রয়োগ করে থাকেন।

রিটকারীদের আইনজীবীর মতে, ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত রয়েছে। একই অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতি এ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। মূলত রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত এ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের সরাসরি হস্তক্ষেপ দেখা যায়, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করে।

১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলা বিধানের এ দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল। ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়। পরে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এবং ‘সুপ্রিমকোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে’ শব্দগুলো সন্নিবেশিত করা হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী আইন অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা করলে পঞ্চদশ সংশোধন আইন, ২০১১ এর মাধ্যমে ১১৬ অনুচ্ছেদের বর্তমান একই বিধানটি প্রতিস্থাপন করা হয়। বর্তমানে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে এ বিধানটিই বিদ্যমান রয়েছে।

পাওয়ার গ্রিডে বড় নিয়োগ, পদ ৯৯ টি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
পাওয়ার গ্রিডে বড় নিয়োগ, পদ ৯৯ টি

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি সম্প্রতি জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ৮ পদে মোট ৯৯ জনকে নিয়োগে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোর যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউও। দেশব্যাপী বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড পরিচালন, সংরক্ষণ ও উন্নয়নকাজে নিয়োজিত পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি। পাওয়ার গ্রিড ৯৯ পদের বিপরীতে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিকদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করেছে। যারা সম্প্রতি শিক্ষাগত যোগ্যতার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন কিন্তু সার্টিফিকেট পাননি/অ্যাপিয়ার্ড (ফলাফল প্রত্যাশী) এরূপ প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। বিদেশের ইনস্টিটিউট হতে ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইউজিসি/সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা হতে সমতুল্য ডিগ্রির প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন হবে।

পদের নাম ও বর্ণনা:

১. জুনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক (হিসাব/অর্থ/অডিট):

পদসংখ্যা: ২

বেতন গ্রেড: ৮

বেতন স্কেল: ৩৫,০০০/- এবং চাকরিবিধিমতে প্রযোজ্য অন্যান্য ভাতা/সুবিধাদি।

২. জুনিয়র হিসাব সহকারী:

পদসংখ্যা: ২

বেতন গ্রেড: ১১,

বেতন স্কেল: ২৩,০০০/- এবং চাকরিবিধিমতে প্রযোজ্য

অন্যান্য ভাতা/সুবিধাদি।

৩. জুনিয়র ব্যক্তিগত সচিব:

পদসংখ্যা: ৬

বেতন গ্রেড: ১১

বেতন স্কেল: ২৩,০০০/- এবং চাকরিবিধিমতে প্রযোজ্য অন্যান্য ভাতা/সুবিধাদি।

৪. জুনিয়র প্রশাসনিক সহকারী/জুনিয়র প্রশাসনিক সহকারী কাম ভান্ডার সহকারী:

পদসংখ্যা: ৪টি

বেতন গ্রেড: ১১

বেতন স্কেল: ২৩,০০০/- এবং চাকরিবিধিমতে প্রযোজ্য অন্যান্য ভাতা/সুবিধাদি।

৫. জুনিয়র নিরাপত্তা পরিদর্শক:

পদসংখ্যা: ৪টি

বেতন গ্রেড: ১১

বেতন স্কেল: ২৩,০০০/- এবং চাকরিবিধিমতে প্রযোজ্য অন্যান্য ভাতা/সুবিধাদি।

৬. কেয়ারটেকার:

পদসংখ্যা: ১টি

বেতন গ্রেড: ১৪

বেতন স্কেল: ১৫,৫০০/- এবং চাকরিবিধিমতে প্রযোজ্য অন্যান্য ভাতা/সুবিধাদি।

৭. স্টেশন অ্যাটেনডেন্ট:

পদসংখ্যা: ৩০টি

বেতন গ্রেড: ১৫

বেতন স্কেল: ১৪,৫০০/- এবং চাকরিবিধিমতে প্রযোজ্য অন্যান্য ভাতা/সুবিধাদি।

৮. নিরাপত্তা প্রহরী:

পদসংখ্যা: ৫০টি

বেতন গ্রেড: ১৫

বেতন স্কেল: ১৪,৫০০/- এবং চাকরিবিধিমতে প্রযোজ্য অন্যান্য ভাতা/সুবিধাদি।

আবেদনের বয়স: ২২/০৪/২০২৫ তারিখে যাঁদের বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছরের মধ্যে, তাঁরা এই ৮ পদে আবেদন করতে পারবেন।

চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে ০১ (এক) বছরের প্রবেশনসহ ০৫ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হবে। প্রবেশনকাল সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করলে পাওয়ার গ্রিডের চাকরিবিধি অনুযায়ী চাকরি নিশ্চিত করা হবে এবং ব্যক্তিগত কর্মমূল্যায়নের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে চাকরি চুক্তি নবায়ন করা হবে।

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের প্রক্রিয়া ও অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদন ফি:
১ নম্বর পদের জন্য টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ অফেরতযোগ্য ২২৩/- (দুই শত তেইশ) টাকা, ২ থেকে ৫ নম্বর পদের জন্য টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ অফেরতযোগ্য ১৬৮/- (এক শত আটষট্টি) টাকা এবং ৬ থেকে ৮ নম্বর পদের জন্য টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ অফেরতযোগ্য ৫৬/- (ছাপ্পান্ন) টাকা। আবেদনের ফি (অনগ্রসর নাগরিক): ১ থেকে ৮ নম্বর পদের জন্য টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ অফেরতযোগ্য ৫৬/- (ছাপ্পান্ন) টাকা। আবেদনের ক্ষেত্রে উল্লিখিত ফি টেলিটক বাংলাদেশ লি. এর যেকোনো মোবাইল সংযোগ হতে এসএমএসের মাধ্যমে অথবা ওয়েবসাইটে বর্ণিত নির্দেশনা অনুযায়ী প্রেরণ করতে হবে।

আবেদন শুরু ও শেষ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ থেকে অনলাইন আবেদন শুরু হবে। আবেদন করা যাবে ২২ মে ২০২৫, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

সরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, পদ ৬০৮টি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
সরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, পদ ৬০৮টি

বড় পরিসরে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত সমন্বিত ৬ ব্যাংক ও ১ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আইটি খাতে ষষ্ঠ, নবম ও দশম গ্রেডে ৭ পদে ৬০৮ কর্মকর্তা নিয়োগে ২১ এপ্রিল প্রকাশ করেছে এ বিজ্ঞপ্তি। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২১ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ ব্যাংক (ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি);

১. পদের নাম: প্রোগ্রামার:

পদসংখ্যা: ২টি;

ব্যাংক: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক;

বেতন: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ ৪ বছরের স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

২. পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (আইটি):

পদসংখ্যা: ১৬৬টি;

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক;

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

৩. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার:

পদসংখ্যা: ৩৫টি;

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৩১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ১টি ও কর্মসংস্থান ব্যাংকে ১টি;

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

৪. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার/অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (আইটি):

পদসংখ্যা: ৬৯টি;

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৪৭টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ২টি;

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

৫. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর:

পদসংখ্যা: ২টি;

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক;

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

৬. পদের নাম: অফিসার (আইটি):

পদসংখ্যা: ৩৩২টি;

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ১৮৩টি, জনতা ব্যাংকে ১০০টি, অগ্রণী ব্যাংকে ৪৩টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ৬টি;

বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটারসায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

৭. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট নেটওয়ার্ক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার:

পদসংখ্যা: ২টি;

ব্যাংক: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক;

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

আবেদন যেভাবে:
আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইন আবেদন অপশনে ক্লিক করে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন;

আবেদন ফি:
ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পেমেন্ট গেটওয়ে রকেটের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে। অনগ্রসর গোষ্ঠীর নাগরিকদের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা;

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ২১ মে ২০২৫, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট;

আবেদনপদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সাইটে ক্লিক করুন।

সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট।

মিরপুরে ডিএনসিসির অভিযান, গুরিয়ে দেওয়া হলো ৮ টি গেট

মিরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরপুরে ডিএনসিসির অভিযান, গুরিয়ে দেওয়া হলো ৮ টি গেট

রাজধানীর মিরপুর সেকশন-২ এর রূপনগর আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে নির্মিত আটটি গেট ভেঙে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযানে রাস্তায় স্থাপিত গেটগুলো ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়াও ফুটপাত ও সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকান ও হকার উচ্ছেদ করে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা দখলমুক্ত করা হয়েছে।

অভিযানকালে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনার দায়ে একটি ফার্নিচার ও একটি খাবারের দোকান মালিককে ৩ হাজার টাকা করে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জনগণের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে ফুটপাত ও রাস্তার অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজকের অভিযানে অবৈধ গেটগুলো অপসারণ করা হয়েছে, যেগুলো কোনও অনুমতি ছাড়াই স্থাপন করা হয়েছিল এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছিল। অন্যান্য স্থানে নির্মিত অবৈধ গেট অপসারণেও অভিযান চলমান থাকবে।