খুঁজুন
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১২ বৈশাখ, ১৪৩২

‘পরবর্তী সরকার আমাদের সংস্কার ভুলে যাবে, কল্পনাও করতে পারি না’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৬ অপরাহ্ণ
‘পরবর্তী সরকার আমাদের সংস্কার ভুলে যাবে, কল্পনাও করতে পারি না’

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, হাজার শহীদ, অর্ধলক্ষাধিক আহত এবং লাখ লাখ মানুষের কান্না- এই লিগেসির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পরবর্তী যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা আমাদের সংস্কার ভুলে যাবে, এটা কল্পনাও করতে পারি না।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবিত গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন পর্যায়ের আইনজীবী, অ্যাক্টিভিস্ট ও মানবাধিকারকর্মী অংশ নেন।

গুম করাকে হত্যা থেকেও ভয়াবহ অপরাধ উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশে যত গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, তার বিচার করা এই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা ঠিকমত তাদের দোয়াও করতে পারেন না। তারা বেঁচে আছেন, নাকি মারা গেছেন, তা পরিবার জানেন না। আমরা দেখেছি, গুমের শিকার একজনের বাবা বলেছিল, আমি কোনো বিচারও চাই না। শুধু আমার ছেলের কবর কোথায় আছে, তা জানতে চাই।

গুম হত্যার চেয়েও ভয়াবহ অপরাধ। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যে গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ নৃশংসতা ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলোর বিচার করা এই সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের কোনো শাসক এমন কাজ করতে পারে, তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। ভবিষ্যতে এ ধরনের চিন্তা যাদের থাকে, তাদের কাজগুলোকে ডিফিকাল্ট করে দেওয়া আমাদের কাজ।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সেজন্য আমরা বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করছি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পক্ষ নিচ্ছি। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ নিচ্ছি। একইসাথে আমরা বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করেছি। বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আপনাদের অনেক ধরনের উৎকণ্ঠা থাকে, চিন্তা থাকে, এখানে কোনো দেরি করা হচ্ছে কিনা। আমার মনে হয় না এখানে কোনো গাফিলতি আছে। এটা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক আইন করে যাব। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলেও অনেক ভালো ভালো আইন হয়েছে। সেগুলো আওয়ামী লীগ সরকার রাখেনি। তো আমাকে প্রশ্ন করা হলো, আপনারা যেসব আইন করেন এসব পরবর্তী সরকার রাখবে কিনা? পরের যে সরকার আসবে, সে কমপক্ষে একহাজার মানুষের রক্তের উপর দিয়ে গঠিত একটি ফ্রেমওয়ার্কের মধ্য দিয়ে আসবে। তার পেছনে স্মৃতি ৫০ হাজার মানুষের আহত হওয়ার স্মৃতি। লাখ লাখ মানুষের কান্না- এত বড় একটা লিগেসির পর আমাদের পরবর্তী সরকার আমাদের সংস্কার ভুলে যাবে, এটা আমি কল্পনাও করতে চাই না।

আসিফ নজরুল বলেন, আমরা সমস্ত সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সংযুক্ত করতে চাচ্ছি। কখনো তারা যেন বলতে না পারে, এখানে আমাদের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। এই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গিয়ে মাঝেমাঝে আমাদের সময় লাগে। আপনারা অধৈর্য হবেন না। আমরা আমাদের কাজে অটল রয়েছি। আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জঘন্যতম অপরাধের বিচার করব।

সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠালো সরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:০৫ অপরাহ্ণ
সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠালো সরকার

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ দুই অতিরিক্ত কর কমিশনার মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান ও মো: শফিকুল ইসলাম আকন্দকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) কর শাখা-২ এর সহকারী সচিব জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

মাহমুদুজ্জামান কর আপিল অঞ্চল, রাজশাহীর কমিশনারের চলতি দায়িত্বে ছিলেন এবং শফিকুল ইসলাম আকন্দ কর আপিল অঞ্চল-১, ঢাকার কমিশনারের চলতি দায়িত্বে ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন বলে মনে করায়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাদের অবসর দেওয়া হলো।’ এতে আরও জানানো হয়েছে, তারা বিধি অনুযায়ী অবসর-সংক্রান্ত সব সুবিধা পাবেন।

উল্লেখ্য, মাহমুদুজ্জামান সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের জামাতা। কেউ কেউ মনে করছেন, এ কারণেই তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। আবার কারও মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম আকন্দের বিরুদ্ধে এর আগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগের কারণে তাকে একবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

এর আগে, ১৭ এপ্রিল আরও দুই কর কমিশনার—গোলাম কবীর ও আবু সাঈদ মো. মুস্তাক—কে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। গোলাম কবীর খুলনায় ট্যাক্সেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালের দ্বৈত বেঞ্চের সদস্য ছিলেন, আর আবু সাঈদ মো. মুস্তাক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, এনবিআর দুর্নীতি দমন ও রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানে যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম প্রমাণিত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি ও প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে—যার মধ্যে রয়েছে বাধ্যতামূলক অবসর, সাময়িক বরখাস্ত ও কারণ দর্শানোর নোটিশ।

ছাত্রদল নেতার ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতা আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:১৮ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল নেতার ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতা আটক

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছাত্রদলের এক নেতার ক্লাব থেকে আড়াইহাজারের দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদ খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বন্দরের মদনপুর এলাকায় থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনের ক্লাব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জাহেদ খন্দকার আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাত্রদলের নেতার ব্যক্তিগত ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় কোনো মামলা নেই। তবে আড়াইহাজার থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক মামলা রয়েছে। আড়াইহাজার থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। খুব শিগগিরই তাকে ওই থানায় পাঠানো হবে। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’

এ বিষয়ে বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’’

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:১২ অপরাহ্ণ
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি একথা জানান।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লেখেন, ‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। গতকাল রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হলাম— তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন।’

তিনি লেখেন, ‘বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা লেখেন, ‘আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন।’

অসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘রাষ্ট্রের যেকোনও ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশে যেকোনও লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ (বৃহস্পতিবার) বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেনি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে ওই লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনও কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।