খুঁজুন
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১২ বৈশাখ, ১৪৩২

‘ক্ষমতায় গেলে বেকারদের জন্য ভাতা চালু করবে বিএনপি’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
‘ক্ষমতায় গেলে বেকারদের জন্য ভাতা চালু করবে বিএনপি’

ক্ষমতায় গেলে বিএনপি শিক্ষিত বেকারদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যুবকদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তাদের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারেও দেশের পরিচিতি বাড়বে। পাশাপাশি কৃষিকে আধুনিকায়ন করে কৃষকদের জন্য আলাদা সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুরে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ৩১ দফা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য দেন তারেক রহমান। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এক অদৃশ্য প্রতিপক্ষ, যারা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। তারাই দলটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি চাই না। তবে ৩১ দফা বাস্তবায়নই হবে জুলুম-নির্যাতনের প্রকৃত জবাব। আমার ওপর, আমার মায়ের ওপর, আমার ভাইয়ের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে- তার জবাব আমরা প্রতিহিংসার মাধ্যমে নয়, বরং ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দিতে চাই।

তারেক রহমান বলেন, সাম্প্রতিক আলোচনায় দেখা যাচ্ছে— প্রান্তিক জনগণের যে চাওয়া-পাওয়া, তা ৩১ দফার সঙ্গে মিলে যায়। এখন এগুলোকেই কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার জনগণকে বিভক্ত রাখতে ধর্ম ও মতাদর্শকে ব্যবহার করেছে। আমরা বাংলাদেশি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হবো, ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে আমরা একটি সম্প্রীতির সমাজ গড়তে চাই।

কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশে প্রায় ৩ কোটি মানুষ বেকার। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি না করে উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিএনপি সরকারে গেলে এসব ক্ষেত্রে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, রাজনীতির বাইরে থাকা শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ সমাজের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করবে বিএনপি।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশেদা বেগম হিরা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।

রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেফাউল জাহাঙ্গীর আলম শেপু। এতে অংশ নেন প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, গণশিক্ষা সম্পাদক মোর্শেদ হাসান খান প্রমুখ।

সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠালো সরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:০৫ অপরাহ্ণ
সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠালো সরকার

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ দুই অতিরিক্ত কর কমিশনার মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান ও মো: শফিকুল ইসলাম আকন্দকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) কর শাখা-২ এর সহকারী সচিব জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

মাহমুদুজ্জামান কর আপিল অঞ্চল, রাজশাহীর কমিশনারের চলতি দায়িত্বে ছিলেন এবং শফিকুল ইসলাম আকন্দ কর আপিল অঞ্চল-১, ঢাকার কমিশনারের চলতি দায়িত্বে ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন বলে মনে করায়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাদের অবসর দেওয়া হলো।’ এতে আরও জানানো হয়েছে, তারা বিধি অনুযায়ী অবসর-সংক্রান্ত সব সুবিধা পাবেন।

উল্লেখ্য, মাহমুদুজ্জামান সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের জামাতা। কেউ কেউ মনে করছেন, এ কারণেই তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। আবার কারও মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম আকন্দের বিরুদ্ধে এর আগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগের কারণে তাকে একবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

এর আগে, ১৭ এপ্রিল আরও দুই কর কমিশনার—গোলাম কবীর ও আবু সাঈদ মো. মুস্তাক—কে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। গোলাম কবীর খুলনায় ট্যাক্সেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালের দ্বৈত বেঞ্চের সদস্য ছিলেন, আর আবু সাঈদ মো. মুস্তাক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, এনবিআর দুর্নীতি দমন ও রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানে যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম প্রমাণিত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি ও প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে—যার মধ্যে রয়েছে বাধ্যতামূলক অবসর, সাময়িক বরখাস্ত ও কারণ দর্শানোর নোটিশ।

ছাত্রদল নেতার ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতা আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:১৮ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল নেতার ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতা আটক

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছাত্রদলের এক নেতার ক্লাব থেকে আড়াইহাজারের দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদ খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বন্দরের মদনপুর এলাকায় থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনের ক্লাব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জাহেদ খন্দকার আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাত্রদলের নেতার ব্যক্তিগত ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় কোনো মামলা নেই। তবে আড়াইহাজার থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক মামলা রয়েছে। আড়াইহাজার থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। খুব শিগগিরই তাকে ওই থানায় পাঠানো হবে। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’

এ বিষয়ে বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’’

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:১২ অপরাহ্ণ
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি একথা জানান।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লেখেন, ‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। গতকাল রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হলাম— তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন।’

তিনি লেখেন, ‘বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা লেখেন, ‘আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন।’

অসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘রাষ্ট্রের যেকোনও ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশে যেকোনও লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ (বৃহস্পতিবার) বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেনি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে ওই লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনও কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।