খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১১ বৈশাখ, ১৪৩২

ছাত্রদল নেতার ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতা আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:১৮ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল নেতার ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতা আটক

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছাত্রদলের এক নেতার ক্লাব থেকে আড়াইহাজারের দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদ খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বন্দরের মদনপুর এলাকায় থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনের ক্লাব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জাহেদ খন্দকার আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাত্রদলের নেতার ব্যক্তিগত ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় কোনো মামলা নেই। তবে আড়াইহাজার থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক মামলা রয়েছে। আড়াইহাজার থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। খুব শিগগিরই তাকে ওই থানায় পাঠানো হবে। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’

এ বিষয়ে বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’’

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:১২ অপরাহ্ণ
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি একথা জানান।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লেখেন, ‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। গতকাল রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হলাম— তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন।’

তিনি লেখেন, ‘বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা লেখেন, ‘আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন।’

অসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘রাষ্ট্রের যেকোনও ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশে যেকোনও লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ (বৃহস্পতিবার) বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেনি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে ওই লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনও কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।

এএনআই'র প্রতিবেদন

ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নোটিশ জারি পাকিস্তানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:০৮ অপরাহ্ণ
ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নোটিশ জারি পাকিস্তানের

কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক একদম তলানিতে ঠেকেছে। উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান করাচি উপকূল থেকে সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল উৎক্ষেপণের নোটিশ জারি করেছে। সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪-২৫ এপ্রিল পাকিস্তান এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করবে। এএনআই বলছে, ভারতীয় সংস্থাগুলো এসব পদক্ষেপের ওপর কড়া নজর রাখছে।

তবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি পাকিস্তান।

এদিকে কাশ্মীরে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি জঙ্গি সংগঠন। সংগঠনটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা। ধারণা করা হয়, টিআরএফ এর পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সমর্থন আছে।

কাশ্মীরে হামলার ঘটনার পর গতকাল বুধবার ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক সর্বোচ্চ কমিটি- ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিওরিটি বা সিসিএস বৈঠকে বসে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ওই বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পর জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, বৈঠকে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে সীমান্ত পারের যোগসাজস তুলে ধরা হয়। তিনি বলেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে সাফল্যের সঙ্গে নির্বাচন হওয়ার পরেই এই আক্রমণ হলো। এমন একটা সময়ে হামলা হলো যখন সেখানে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

বুধবার রাতে বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে মিশ্রি ঘোষণা করেন, সন্ত্রাসী হামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে নিচের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে:

১. ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি অবিলম্বে স্থগিত করা হচ্ছে যতক্ষণ না পাকিস্তান বিশ্বাসযোগ্যভাবে এবং পাকাপাকিভাবে সীমান্ত পারের সন্ত্রাসের প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে।

২. (পাঞ্জাবে অবস্থিত) সমন্বিত আটারি চেকপোস্ট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ওই পথ দিয়ে যারা বৈধভাবে পারাপার করেছেন তারা পয়লা মে-র আগেই ফিরতে পারবেন।

৩. সার্ক দেশগুলোর জন্য ‘বিনা ভিসা প্রকল্প’-এর অধীন বিশেষ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানের নাগরিকরা ভারতে ভ্রমণ করতে পারবেন না। যে পাকিস্তানি নাগরিকদের আগেই ওই ভিসা দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করা হলো। ওই বিশেষ ভিসা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতে রয়েছেন যে পাকিস্তানের নাগরিকরা, তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে।

৪. দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাসে সেদেশের প্রতিরক্ষা, সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর যে ‘পরামর্শদাতারা’ রয়েছেন, তাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’, (অর্থাৎ অবাঞ্ছিত) বলে ঘোষণা করছে ভারত। তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে।

ভারতও ইসলামাবাদে তাদের দূতাবাস থেকে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর পরামর্শদাতাদের ফিরিয়ে আনবে। দুই দেশের দূতাবাসগুলোতে এই পদগুলো বিলুপ্ত করা হলো। দুই দেশের দূতাবাসেরই সামরিক পরামর্শদাতাদের পাঁচজন করে কর্মীকেও নিজের দেশে চলে যেতে হবে।

৫. দুই দেশের রাজধানীতে অবস্থিত কর্মী সংখ্যা বর্তমানের ৫৫ থেকে কমিয়ে পয়লা মের মধ্যে ৩০ এ নিয়ে আসতে হবে।

এদিকে ভারতের এমন কড়া সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির (এনএসসি) জরুরি বৈঠক ডেকেছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভারতের নেওয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ইসলামাবাদ।

ভারতের সিদ্ধান্তের জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৮ অপরাহ্ণ
ভারতের সিদ্ধান্তের জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে পাকিস্তান

কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলার জেরে ভারতের নেওয়া একাধিক কঠোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এবার পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের আহ্বানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (NSC) জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। খবর জিও নিউজ।

গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন এবং আহত হন আরও ১৭ জন। এই ঘটনার দায়ভার পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে ভারত একাধিক কড়া সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—সিন্ধু নদী পানি চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বুধবার জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারে না। কারণ এই চুক্তিতে শুধু ভারত ও পাকিস্তানই নয়, বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক অংশীদাররাও যুক্ত আছে। ফলে এটি আন্তর্জাতিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।’

এদিকে কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি, কূটনৈতিক স্তরে চাপ সৃষ্টি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক পর্যালোচনার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত।

উল্লেখ্য, কাশ্মীর ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক এই ঘটনার ফলে সেই উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।