খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ২৩ বৈশাখ, ১৪৩২

‘অন্তর্বর্তী সরকারই নতুন সংবিধান কার্যকর করবে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:১৪ অপরাহ্ণ
‘অন্তর্বর্তী সরকারই নতুন সংবিধান কার্যকর করবে’

অন্তর্বর্তী সরকারই নতুন সংবিধান কার্যকর করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহফুজ আলম। রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মাহফুজ আলম বলেন, কমিশনের প্রস্তাব পাওয়ার পর সেই প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে সরকার। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে সুপারিশ কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর সেটা বর্তমান সরকারই কার্যকর করবে।

তিনি বলেন, আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই। আর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত মানেই নতুন সংবিধান। সেটা কিন্তু এক দফার ঘোষণাতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। এমনকি এক দফার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পুরনো পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট সম্পূর্ণ বাতিল হয়েছে।

এ সময় সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান প্রণয়নের সুযোগ নেই। জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাতে চাইলে নিঃসন্দেহে সংবিধানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি রাখতে হবে। গণঅভ্যুত্থান না হলে এই কমিশন হতো না।

তিনি বলেন, সংবিধানে থাকুক বা না থাকুক, নিঃসন্দেহে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পেছনে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন আছে। সেটা তো নিঃসন্দেহে ডকুমেন্টেড হতে হবে। এর বাইরে গিয়ে আমরা কিছুই করতে পারব না। আমি মনে করি, চব্বিশের গণমানুষের বিপ্লবকে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা শুধু জরুরিই নয়, অনিবার্যও বটে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবিধানিক সংস্কারের ৭টি উদ্দেশ্যের কথা জানানো হয়। তা হলো-

দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতিশ্রুত উদ্দেশ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আলোকে বৈষম্যহীন জনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জনআকাঙক্ষার প্রতিফলন ঘটানো।

রাজনীতি এবং রাষ্ট্রপরিচালনায় সর্বস্তরে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা।

ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার উত্থান রোধ।

রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ ও ক্ষমতার ভারসাম্য আনয়ন।

রাষ্ট্র ক্ষমতা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকেন্দ্রীকরণ ও পর্যাপ্ত ক্ষমতায়ন।

রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক এবং আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ৪:২৬ অপরাহ্ণ
ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি।

মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের একটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বদিউল আলম মজুমদারকে উপরাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী ও ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রস্তাব করেন সভায় উপস্থিত ঐক্য ও সংহতি পরিষদের নেতারা।

এ ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারও প্রকাশ করেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুসারে, বিএনপি ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন নতুন এ দলটি।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় শিক্ষা-সেবা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. হাসনান আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এসএম ফরমানুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের এনআইডি ডাটাবেজে ঢুকতে দেবে না ইসি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ণ
রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের এনআইডি ডাটাবেজে ঢুকতে দেবে না ইসি

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ডাটাবেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

হুমায়ুন কবীর বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আগে সিদ্ধান্ত ছিল, তথ্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে এপিআইয়ের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তথ্য তাদের কাছেই থাকবে। আমরা যেখান থেকেই হোক, রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই করতে পারলেই চলবে।

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য কোন মন্ত্রণালয়ে সার্ভার থাকবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকার বিকল্প কোনও সিদ্ধান্ত নিলে এনআইডি কর্তৃপক্ষ সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এনআইডি সংশোধন প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও এনআইডি সংশোধনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মানুষের যৌক্তিক আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কমিশন ও সচিবালয় একযোগে কাজ করছে।

তিনি জানান, এনআইডি সংশোধনের বিপুল সংখ্যক আবেদন ঝুলে রয়েছে। সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কর্মকর্তা পর্যায়ে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। পাশাপাশি এনআইডি সেবা সহজ করতে কর্মকর্তা পর্যায়ে কিছু ক্ষমতা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

হুমায়ুন কবীর বলেন, বর্তমানে ডাটাবেজে ৫০০-এর বেশি ডাবল এনআইডি রয়েছে। প্রতিটি তথ্য আলাদাভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে কোনও অভিযোগ এলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই।

তিনি আরও জানান, এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়ায় আগামী সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়ার প্রতিনিধিদের নিয়ে এনআইডি বিষয়ক সেমিনার আয়োজনের চিন্তা আছে। যারা এনআইডি সেবাকে সহজ করতে ভূমিকা রাখছেন তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি রাখা হবে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি ৫৬টি বিশেষ উপজেলাসহ দেশব্যাপী নিবন্ধন কাজ শেষ করেছি। আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে রোহিঙ্গারা ভোটার হতে পারবে না। নিবন্ধনের সময় কঠোর যাচাই-বাছাই করা হবে।

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন প্রসঙ্গে এনআইডি মহাপরিচালক জানান, বর্তমানে ৮টি দেশে এ কার্যক্রম চলছে এবং আগামী সপ্তাহে কানাডাতেও চালু হবে। এতে মোট ৯টি দেশে প্রবাসীদের ভোটার তালিকাভুক্ত করার কাজ চলবে।

তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে কার্যক্রম সম্প্রসারণে দূতাবাসে স্থান সংকট একটি বড় সমস্যা। অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি। আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও সমাধান করে অন্তত ৪০টি দেশে কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এছাড়া, আমেরিকায় এখনও অনুমোদন না পাওয়ায় সেখানকার কার্যক্রম শুরু করা যায়নি বলেও জানান তিনি।

সন্দেহজনক লেনদেন পাপনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ণ
সন্দেহজনক লেনদেন  পাপনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রীসহ তিনজনের নামে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৫ মে) বিকালে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পাপন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ছাড়াও বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন।

দুদক কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ১২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৭৪২ কোটি ৭৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮৬ টাকার ঘুষ ও দুর্নীতির সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলার এজাহারে। অপর মামলায় তার স্ত্রী রোকসানা হাসানের বিরুদ্ধেও ১২ কোটি ১২ হাজার ২১৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৪৯ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ১১০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এছাড়াও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চাকরিচ্যুত নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

একই সঙ্গে অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় পাপনের মেয়ে রুশমিলা রহমান (অহনা), পুত্র রাফসান রহমান, আরেক মেয়ে সুনেহরা রহমান (তন্নি) ও তার জামাতা রাকিন আল মাহমুদসহ ৫ জনের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।