খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলার হারের নেপথ্যে কি ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ণ
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলার হারের নেপথ্যে কি ?

বহুল আলোচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফল ঘরে তুলতে পারলেন না কমলা হ্যারিস। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যেখানে ন্যূনতম ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের দরকার, সেখানে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৯৫টিতে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প; বিপরীতে কমলার ঝুড়িতে গেছে ২২৬টি। ভোটের মাঠে এমন পরাজয়ে হতাশ ডেমোক্র্যাট শিবির। কমলা হ্যারিসের হার নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

আলোচনায় প্রথমেই যে বিষয় সামনে আসছে, তা হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো আগে থেকেই নির্বাচনি প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাননি কমলা হ্যারিস। কেননা এবার ডেমোক্রেটিক পার্টির পূর্বনির্ধারিত প্রার্থী ছিলেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু ভোটকে সামনে রেখে গত জুনে প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে চরমভাবে ধরাশায়ী হন বাইডেন। ট্রাম্পের চাতুর্যপূর্ণ কথার জবাব দিতে গিয়েই মাঝেমধ্যে হোঁচট খাচ্ছিলেন তিনি।

ওই বিতর্কের পর বাইডেনের বয়স ও রাষ্ট্রের শীর্ষ পরিচালনায় তার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এ নিয়ে বিতর্কের মুখে একপর্যায়ে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বাইডেন। ফলে স্বল্প সময়ের নোটিশে দীর্ঘ প্রস্তুতি নেওয়া ট্রাম্পকে হারানোর লড়াইয়ে নামতে হয় কমলা হ্যারিসকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমলা হ্যারিসের একজন সহযোগী সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে বলেন, প্রথম দিকে দলের পক্ষ থেকে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করতে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা পরিবর্তন দলকে এমন বিপর্যয়কর ফলাফলের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

ভোটের মাঠে নেমেই ব্যাপক প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েন ডেমোক্রেটিক পার্টির নতুন প্রার্থী। বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনি সমাবেশ ও নারীদের জমায়েতের পাশাপাশি বিনোদনজগতের তারকাদেরও নিজের পক্ষে মাঠে হাজির করেছেন তিনি। ছুটে গেছেন দাতাদের কাছে। কিন্তু দৃশ্যত তার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মেয়াদে বিশেষ করে দেশের অর্থনীতি, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন ভোটারদের অস্বস্তি ছিল স্পষ্ট। বাইডেন প্রশাসনের অংশ হওয়ায় এসব ইস্যুতে সরকারের ব্যর্থতার দায় তার কাঁধেও বর্তায়। এ বিষয়গুলো থেকে নিজেকে সেভাবে আলাদা করতে পারেননি কমলা হ্যারিস। ফলে এসব ইস্যুতে যারা বাইডেনের নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের কাছে টানতে ব্যর্থ হয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী। দলের কিছু নেতা এরই মধ্যে পুরো ফলাফল নিয়ে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার দাবি তুলেছেন।

পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসনের যেসব বিষয়ে ভোটারদের মধ্যে অস্বস্তি ছিল, সামগ্রিকভাবে সেগুলো কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে ভোটারদের আশ্বস্ত করতে পর্যাপ্ত সুযোগ পায়নি কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবির। ট্রাম্প শিবির যেখানে বছরের পর বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে, ইলন মাস্কের মতো ধনকুবেরকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের মাঠে প্রচার চালিয়েছে; সেখানে নির্বাচনি প্রচারে কমলা হ্যারিস সময় পেয়েছেন ১০০ দিনের চেয়ে কিছু বেশি। ফলে এত কম সময়ের মধ্যে নানা ইস্যুতে ভোটারদের উদ্বেগ দূর করা তার জন্য খুব সহজ ছিল না। আর এই সুযোগই কাজে লাগিয়েছেন ট্রাম্প। দফায় দফায় ডেমোক্র্যাট সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সামনে তুলে ধরেছেন গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধের মতো ইস্যুগুলো। অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নানা ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

নির্বাচনি প্রচারে বিশেষ করে দেশের অর্থনীতি, কর ও অভিবাসন ইস্যুগুলোকে সামনে নিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ভোটে জিতলে তিনি ‘মূল্যস্ফীতির অবসান ঘটিয়ে আমেরিকাকে আবার সাশ্রয়ী করে তুলবেন’।

এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি উৎপাদন আরও সম্প্রসারিত করবেন। একই সঙ্গে জ্বালানি খরচ যেন কম আসে, সে জন্য আর্কটিক মরুভূমির মতো এলাকাগুলোয় নতুন তেলকূপ খনন করার উদ্যোগ নেবেন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকদের জন্য কর কমানোর কথাও বলেছেন ট্রাম্প।

এ ছাড়া উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি আমদানি পণ্যের ওপর শুল্কহার বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন তিনি। দৃশ্যত ট্রাম্পের এসব অঙ্গীকারের বিপরীতে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন কমলা।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।