খুঁজুন
শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র, ১৪৩১

‘আইনের চোখে পঞ্চদশ সংশোধনী অচল’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
‘আইনের চোখে পঞ্চদশ সংশোধনী অচল’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের ওপর তৃতীয় দিনের মতো শুনানি শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শেষে রোববার পরবর্তী দিন রেখেছেন।

এ দিন বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং আগের দিন বদিউল আলমসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির পক্ষে শুনানি শেষ করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া।

শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, বলা হয়েছিল আদালতের রায়ে সংবিধান পরিবর্তন (পঞ্চদশ সংশোধনী) করা হয়েছে। কিন্তু আদালতের সংক্ষিপ্ত রায়ে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত ত্রয়োদশ সংশোধনী) বলা হয়েছে, দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। ওই মামলায় ৭ জন অ্যামিকাস কিউরি ছিলেন। শুধু একজন অন্যভাবে মত দিয়েছেন। মেজরিটি বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সঠিক। সংক্ষিপ্ত রায়ের সাত দিন পরে সংবিধান সংশোধন (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী) হয়ে গেছে। পরবর্তীতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক অবসরে চলে গেছেন। তার ১৬ মাস পরে তিনি রায় লিখলেন। আমি তখন বলেছিলাম, এ রায়কে রায় বলা যায় না। (পঞ্চদশ) সংশোধনীটা সংবিধানের লঙ্ঘন হয়েছে। (আদালতে) সেই সমস্ত দিক তুলে ধরেছি। আমরা বলেছি, এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তবে কিছু কিছু বিধান থাকা দরকার, সেটা পরবর্তীতে আদালতের কাছে উপস্থাপন করব।

জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলেছি, এটা (পঞ্চদশ সংশোধনী) সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা যথাযথভাবে হয়নি। আদালতের রায় অনুসারে হয়নি। সরকার নিজের ইচ্ছামতো সংধোশনীটি করেছে। এ সংধোধনীটি আইনের চোখে অচল। এটা থাকতে পারে না। এটা বাতিলযোগ্য। আমরা আদালতের মাধ্যমে বাতিল চেয়েছি।

গত ১৯ আগস্ট জনস্বার্থে পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তির করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

পরে আবেদনকারী পক্ষ রুলটি শুনানির জন্য বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন কোর্টে উপস্থাপন করেন। এরপর ৩০ অক্টোবর থেকে রুল শুনানি শুরু হয়।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট করেন। অন্য চারজন হলেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এরপর এ রুলের ওপর মতামত দিতে বিএনপি, জামায়াত, গণফোরাম ও আইনজীবী মোস্তফা আসগর শরিফী প্রমুখ যুক্ত হন।

পঞ্চদশ সংশোধনী আইনে (২০১১) বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।

২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এ ছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয় ওই সংশোধনীর মাধ্যমেই।

রিটের পর ১৯ আগস্ট আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে আছে একসঙ্গে অনেকগুলো অনুচ্ছেদে পরিবর্তন বা সংশোধনী আনতে হলে গণভোট করতে হবে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের অনেকগুলো অনুচ্ছেদের পরিবর্তন আনা হয়। কিন্তু কোনো গণভোট করা হয়নি। গণভোট না করে সংশোধনী পাস করা সংবিধান পরিপন্থী। ’
‘তাছাড়া ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত মামলার লিখিত সংক্ষিপ্ত আদেশে আপিল বিভাগ বলেছিলেন, পরবর্তী দুটি (দশম এবং একদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। কিন্তু সেই আদেশকে অমান্য করে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না করে দলীয় সরকারের অধীনে করা হয়। এ কারণে পঞ্চদশ সংশোধনী আপিল বিভাগের আদেশের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিপন্থী’, বলেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া।

সালমান এফ রহমানের মূল চক্রের গোপন খবর ফাঁস করলেন আল জাজিরার সাংবাদিক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৫৪ অপরাহ্ণ
সালমান এফ রহমানের মূল চক্রের গোপন খবর ফাঁস করলেন আল জাজিরার সাংবাদিক

আল জাজিরার জনপ্রিয় অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের বলেছেন, বিদেশে অর্থ পাচার ও সংঘবদ্ধ অর্থনৈতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা কখনোই একা কাজ করেন না। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সায়ের জানান, এসব অপরাধের পেছনে থাকে একটি সুসংগঠিত ও প্রভাবশালী চক্র, যারা মূল ব্যক্তির অনুপস্থিতিতেও কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সালমান এফ রহমানের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে, যার সদস্যরা সবাই পরিচিত মুখ হলেও, গ্রেফতার করা হয় শুধুমাত্র সালমানকেই।

তিনি বলেন, যদি সত্যিকারের বিচার বা ব্যবস্থা নিতে হয়, তাহলে সালমানের সকল অপারেশন যারা পরিচালনা করেন, সেই চক্রের সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। সায়েরের দাবি অনুযায়ী, এই চক্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা হলেন—ওসমান কায়সার চৌধুরি, সৈয়দ নাভেদ হোসেন, মোস্তফা জামানুল বাহার ও মোঃ লুৎফর রহমান।

তিনি আরও বলেন, এই চারজন শুধু সালমান নয়, তার ভাই সোহেলকেও সহায়তা করেছেন অর্থনৈতিক অপরাধে, এবং বছরের পর বছর ধরে তারা এসব কর্মকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। যদিও কিছুদিন আগে ওসমান কায়সার চৌধুরিকে আটক করা হয়েছিল, পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন তিনি।

সায়েরের এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং অর্থপাচার বিরোধী কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়বদ্ধতার দাবি উঠেছে।

অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার নেবে লংকা-বাংলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:০৭ অপরাহ্ণ
অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার নেবে লংকা-বাংলা

জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি লিটিগেশন ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার/অফিসার’ পদে কর্মী নিয়োগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) প্রকাশ করেছে এ বিজ্ঞপ্তি। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৮ মে তারিখের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি;

বিভাগের নাম: লিটিগেশন ম্যানেজমেন্ট;

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার/অফিসার;

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়;

চাকরির ধরন: পূর্ণকালীন;

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে;

অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী প্রাপ্য হবেন;

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়েই আবেদন করতে পারবেন;

প্রার্থীর বয়স: ৩৪ বছরের মধ্যে হতে হবে;

কর্মস্থল: ঢাকা;

আবেদনের যোগ্যতা:

*এলএলবি, এলএলএম ডিগ্রি থাকতে হবে;

*ন্যূনতম ২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (ফ্রেশাররাও আবেদন করতে পারবেন);

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন;

আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ৮ মে ২০২৫;

কাজের ক্ষেত্র, আবেদনপদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

সূত্র: বিডিজবস ডটকম

আল-আকসার ইমামের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল ইসরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
আল-আকসার ইমামের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল ইসরাইল

মসজিদ আল-আকসার শেখ মুহম্মদ সেলিমকে ৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরাইল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি খুতবায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার সমালোচনা ও নিন্দা করেছেন।

সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুমার নামাজে খুতবা দেওয়ার সময় গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর সামরিক অভিযান ও অব্যাহত গোলাবর্ষণের নিন্দা জানান শেখ মুহম্মদ সেলিম। সেই সঙ্গে তিনি অভিযান বন্ধের জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বানও জানান।

নামাজ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় আল আকসার একটি ফটক থেকে শেখ মুহম্মদ সেলিমকে আটক করে ইসরাইলি পুলিশ। পরে তাকে পূর্ব জেরুজালেমের একটি থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেওয়া হয় আর দেওয়া হয় ৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এই সাত দিন তিনি আল-আকসা চত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন না, যদি করেন তাকে গ্রেঢতার করা হবে।

আল-আকসা মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ইসলামিক এনডৌমেন্ট ডিপার্টমেন্ট নামের একটি দপ্তর। ইসরাইলি সরকারের অধীনে থাকা এই দপ্তরের এক কর্মকর্তা আনাদোলু এজেন্সিকে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।

এর আগে আল আকসার আরেক ইমাম শেখ একরিমা সাবরিকে মসজিদ চত্বরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইসরাইল। একরিমা সাবরি’র অপরাধ— তিনি আল আকসার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফাতাহ সরকারের হাতে ন্যাস্ত করার পক্ষে জনমত গঠন করা শুরু করেছিলেন।