খুঁজুন
সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৫ কার্তিক, ১৪৩২

‘আইনের চোখে পঞ্চদশ সংশোধনী অচল’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
‘আইনের চোখে পঞ্চদশ সংশোধনী অচল’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের ওপর তৃতীয় দিনের মতো শুনানি শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শেষে রোববার পরবর্তী দিন রেখেছেন।

এ দিন বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং আগের দিন বদিউল আলমসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির পক্ষে শুনানি শেষ করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া।

শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, বলা হয়েছিল আদালতের রায়ে সংবিধান পরিবর্তন (পঞ্চদশ সংশোধনী) করা হয়েছে। কিন্তু আদালতের সংক্ষিপ্ত রায়ে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত ত্রয়োদশ সংশোধনী) বলা হয়েছে, দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। ওই মামলায় ৭ জন অ্যামিকাস কিউরি ছিলেন। শুধু একজন অন্যভাবে মত দিয়েছেন। মেজরিটি বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সঠিক। সংক্ষিপ্ত রায়ের সাত দিন পরে সংবিধান সংশোধন (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী) হয়ে গেছে। পরবর্তীতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক অবসরে চলে গেছেন। তার ১৬ মাস পরে তিনি রায় লিখলেন। আমি তখন বলেছিলাম, এ রায়কে রায় বলা যায় না। (পঞ্চদশ) সংশোধনীটা সংবিধানের লঙ্ঘন হয়েছে। (আদালতে) সেই সমস্ত দিক তুলে ধরেছি। আমরা বলেছি, এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তবে কিছু কিছু বিধান থাকা দরকার, সেটা পরবর্তীতে আদালতের কাছে উপস্থাপন করব।

জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলেছি, এটা (পঞ্চদশ সংশোধনী) সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা যথাযথভাবে হয়নি। আদালতের রায় অনুসারে হয়নি। সরকার নিজের ইচ্ছামতো সংধোশনীটি করেছে। এ সংধোধনীটি আইনের চোখে অচল। এটা থাকতে পারে না। এটা বাতিলযোগ্য। আমরা আদালতের মাধ্যমে বাতিল চেয়েছি।

গত ১৯ আগস্ট জনস্বার্থে পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তির করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

পরে আবেদনকারী পক্ষ রুলটি শুনানির জন্য বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন কোর্টে উপস্থাপন করেন। এরপর ৩০ অক্টোবর থেকে রুল শুনানি শুরু হয়।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট করেন। অন্য চারজন হলেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এরপর এ রুলের ওপর মতামত দিতে বিএনপি, জামায়াত, গণফোরাম ও আইনজীবী মোস্তফা আসগর শরিফী প্রমুখ যুক্ত হন।

পঞ্চদশ সংশোধনী আইনে (২০১১) বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।

২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এ ছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয় ওই সংশোধনীর মাধ্যমেই।

রিটের পর ১৯ আগস্ট আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে আছে একসঙ্গে অনেকগুলো অনুচ্ছেদে পরিবর্তন বা সংশোধনী আনতে হলে গণভোট করতে হবে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের অনেকগুলো অনুচ্ছেদের পরিবর্তন আনা হয়। কিন্তু কোনো গণভোট করা হয়নি। গণভোট না করে সংশোধনী পাস করা সংবিধান পরিপন্থী। ’
‘তাছাড়া ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত মামলার লিখিত সংক্ষিপ্ত আদেশে আপিল বিভাগ বলেছিলেন, পরবর্তী দুটি (দশম এবং একদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। কিন্তু সেই আদেশকে অমান্য করে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না করে দলীয় সরকারের অধীনে করা হয়। এ কারণে পঞ্চদশ সংশোধনী আপিল বিভাগের আদেশের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিপন্থী’, বলেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে বিশেষ বৈঠক, যেসব সিদ্ধান্ত এলো

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ণ
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে বিশেষ বৈঠক, যেসব সিদ্ধান্ত এলো

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা ১৩ নভেম্বর ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

লকডাউনের কর্মসূচিতে কেউ মাঠে নামলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারের নির্দেশনা দেওয়া হয় বৈঠকে। পাশাপাশি আগামী কয়েক দিন ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার আইন শৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা হওয়ার কথা ছিল। তবে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠকটি এগিয়ে আনা হয়। বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট বসানোর প্রস্তাব দেন একটি বাহিনীর প্রতিনিধি। পরে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের বরিশাল অঞ্চলের দুই নেতার নাম উল্লেখ করে তাদের অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। এই দুই নেতা বিদেশ বসে আবারও অতীতের মতো কোনো কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারেন বলে আভাস দেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা একটি সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। আপাতত সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে না সরিয়ে আরও কিছুদিন রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

সালাহউদ্দিনের অনুরোধে অনশন ভাঙলেন আম জনতার তারেক

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৮ অপরাহ্ণ
সালাহউদ্দিনের অনুরোধে অনশন ভাঙলেন আম জনতার তারেক

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দল নিবন্ধনের তালিকায় ‘আম জনতার দল’ না থাকায় আমরণ অনশন শুরু করেছিলেনৈ দলটির সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে সেই অনশন ভেঙেছেন তিনি। এরপর রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তারেক রহমানকে হাসপাতালে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আম জনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার সঙ্গে যারা ছিলেন, অনেকেই শহীদ হয়েছেন, কেউ পঙ্গু হয়েছেন। তারেকও নির্যাতনের শিকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে এমন একটি দল হিসেবে তারা নিবন্ধনের আবেদন করেছিল। কিন্তু বিচার-বিবেচনার পরও ইসি তাদের নিবন্ধন দেয়নি।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আজ ইসিতে কথা বলেছি তাদের আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য। আশা করি, তার দল ন্যায়বিচার পাবে। তারেককে অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেছি, তিনি সে অনুরোধ রেখেছেন।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আশা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং নির্বাচন কমিশন তাদের দলের আবেদনটি মানবিকভাবে বিবেচনা করবে।’

গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের দল নিবন্ধনের তালিকায় ‘আম জনতার দল’ বাদ পড়ার পর থেকে তারেক রহমান ইসির প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন। এর আগে অনশন সমর্থনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতা তার প্রতি সংহতি জানান।

বেলকুচিতে বিতর্ক উৎসব-২০২৫ এর উদ্বোধন

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:২১ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে বিতর্ক উৎসব-২০২৫ এর উদ্বোধন

বেলকুচি উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিলের আওতায়  শুরু হয়েছে “উপজেলা বিতর্ক উৎসব-২০২৫”। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব এস. এম গোলাম রেজা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আফরিন জাহান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সার্কেল এএসপি, হুমায়ুন কবির, অফিসার ইনচার্জ (ওসি),শহীদুল ইসলাম,উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন,উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার ঘোষ, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি রেজাউল করিম প্রমুখ।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে বিশেষ বৈঠক, যেসব সিদ্ধান্ত এলো সালাহউদ্দিনের অনুরোধে অনশন ভাঙলেন আম জনতার তারেক বেলকুচিতে বিতর্ক উৎসব-২০২৫ এর উদ্বোধন ২ উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা তারেকের অনশন প্রসঙ্গে ইসি সচিব: ৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই