খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

বেলকুচিতে রাসেল হত্যার একমাস পেরোলেও আটক হয়নি কোন আসামী

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:৪৬ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে রাসেল হত্যার একমাস পেরোলেও আটক হয়নি কোন আসামী

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে রাসেল হোসেন (৩০) হত্যার একমাসে পেড়িয়ে গেলেও এখনো এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ভুক্তোভোগী স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এদিকে রাসেল হত্যার ঘটনায় ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বেলকুচি থানার সামনে ভুক্তোভোগীর স্বজন ও গাড়ামাসী গ্রামের কয়েকশত নারী পুরুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। উক্ত মানববন্ধন থেকে দ্রুত আসীমীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর সকালে ঢাকার আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট এলাকার একটি ভবনের ৩য় তলা থেকে কোঁপানো ও রক্তাক্ত অবস্থায় রাসেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাসেল হোসেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গারামাসী গ্রামের  বাবুল সরকারের ছেলে।

এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় রাসেল সরকারের বাবা বাবুল সরকার বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামীকে করে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার একমাসের পেরিয়ে গেলেও আসামী ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় তাদের মধ্যে চরম হতাশা কাজ করছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত রাসেলের ছোট ভাই মাসুদ রানাকে চাকরি দেওয়ার জন্য মতিনকে ৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু মতিন চাকুরির ব্যবস্থা না করে অনেকদিন ধরে পলাতক থাকেন। রাসেলের পাওনা টাকা না দেওয়ার টালবাহানা করতে থাকে। পরে মতিনকে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হলে রাসেলকে ঢাকায় যাইতে  বলে। পরে মতিনের কথা বিশ্বাস করে রাসেল একাই ঢাকায় চলে যায়। তিন দিন একটা রুমে রাসেল ও মতিন মিলে থাকে এবং মতিনের লোক টাকা নিয়ে আসবে বলে অপেক্ষা করতে থাকে।

ঘটনার দিন সকালে রাসেল ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালে মতিন চাকু দিয়ে তার মাথায় কুপিয়ে আঘাত করলে রাসেল ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে রাসেলের খালু শহিদুল সকাল ৬টার দিকে রুমে ঢুকতে গেলে তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায় মতিন। পরে আশুলিয়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য ঢাকা সোহরায়ার্দী মেডিকেল কলেজে পাঠায়। এ ঘটনায় আহত শহিদুলকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে নিহত রাসেলের বাবা বাবলু সরকার বলেন, ছেলে রাসেলের সাথে মতিনের বন্ধত্বপুর্ণ সর্ম্পক ছিলো। মতিন প্রায়ই রাসেলের সাথে আমাদের বাসায় আসতো একটি বিশ্বাসপুর্ন ভালো সর্ম্পক গড়ে তোলে এবং বলে  তার নাকি উপর লেভেলে অনেক  বড় বড় লোক আছে চাকরি দেয়ার জন্য। এই সুযোগে আমার ছোট ছেলেকে সরকারি চাকরি লোভ দেখিয়ে প্রায় ছয় লাখের বেশি টাকা নেয়। কিন্তু প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও সে কোন চাকরি দিতে পারে না। মতিনের কাছে তেকে পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে আজ না কাল পরশু করে অনেকদিন যাবত ঘুরায়। তাকে টাকার জন্য অতিরিক্ত চাপ দিলে সে রাসেলকে ঢাকা আসতে বলে। তার কথা মতো রাসেল ঢাকা গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে নিহত রাসেলের ছোট ভাই মাসুদ বলেন, আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে এক পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু কি কারণে আসলে আসামী গ্রেফতার হচ্ছে না সেটা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি চাই।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জাকেরিয়া হোসেন বলেন, এ হত্যাকান্ড যেহেতু  ঢাকার আশুলিয়া থানায় হয়েছে মামলাও হয়েছে সেই থানায়। আশুলিয়া থানা থেকে এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে কিছু কাগজপত্র আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সেগুলো তদন্ত করছি। তার বিষয়ে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।