খুঁজুন
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৬ পৌষ, ১৪৩১

‘মৎস্যপণ্য উৎপাদন ও গবেষণা বাড়াতে হবে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:০১ অপরাহ্ণ
‘মৎস্যপণ্য উৎপাদন ও গবেষণা বাড়াতে হবে’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মাছকে আকর্ষণীয় করার জন্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)কে রেডি টু কুক মৎস্যপণ্য উৎপাদন ও গবেষণা আরো জোরদার করতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং সেই সাথে মাছের স্বাদ অক্ষুন্ন রাখার বিষয়ে মৎস্য গবেষণা আরও বেগবান করতে হবে। আজ বুধবার সেচ ভবনে বিএফআরআই আয়োজিত “বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০২৩-২৪) পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন (২০২৪-২৫)” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের কোথায় কোথায় কোন ধরনের মাছ পাওয়া যায় বিএফআরআই-কে সেবিষয়ে গবেষণার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, গবেষণা ভিত্তিক একটি মানচিত্র তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে আগামী প্রজন্মকে মাছ সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উন্নয়ন ও অগ্রগতি বা প্রাতিষ্ঠানিক ডাটা উপস্থাপন করা হয়-তাতে আমরা মুগ্ধ হই। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে চাচ্ছি- তা পূরণ করতে পারছি কিনা। এক্ষেত্রে বিএফআরআই এর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, আমরা মাছ রপ্তানি করতে চাই কিন্তু পরিবেশ বিপন্ন করে মাছ উজাড় করে রপ্তানি সম্ভব নয়।

উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার বর্জ্য নদ-নদীকে দূষিত করছে, এর ফলে মাছে নানা ধরনের রোগ হচ্ছে, এমনকি মাছ মারা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নোনা পানি মিঠা পানিতে মিশছে। নানা রকমের প্রতিকূল পরিবেশে মাছের কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে। তাই এগুলো দূরীকরণে গবেষণা করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল। বিএফআরআই এর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান।

উল্লেখ্য, দিনব্যাপী এ কর্মশালায় চারটি কারিগরি অধিবেশনে মোট ৫১টি গবেষণা ফলাফল ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়।

লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:২১ অপরাহ্ণ
লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানল

ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের অন্যতম বিলাসবহুল অঞ্চল প্যাসিফিক প্যালিসেডস। এই এলাকাটিতেই বসবাস করেন হলিউড তারকারাসহ কোটি কোটি ডলারের বাড়ি মালিকেরা। ভয়াবহ দাবানলে এই অঞ্চলের অধিকাংশ বাড়ি এরই মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়তে পারেন রিয়েল এস্টেট ও বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে সাশ্রয়ী বীমা খরচ ছিল এই প্যালিসেডসে। কিন্তু এবারের বিপর্যয়ের পর এই ‘সস্তা’ বীমা খরচে পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের চারপাশে ছড়িয়ে পড়া দাবানল ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হতে পারে। আগুনে লস অ্যাঞ্জেলেসের হাজার হাজার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের উত্তরের পাহাড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। অথচ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্তও দাবানলের শূন্য শতাংশও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

দাবানলে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ও ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলার থেকে ছয় হাজার কোটি ডলারের মধ্যে হতে পারে অনুমান করা হয়েছে।

এদিকে বীমা খরচ নিয়ে করা রয়টার্সের এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বাড়ির মূল্যের তুলনায় প্যাসিফিক প্যালিসেডসে বীমার খরচ যুক্তরাষ্ট্রের ৯৭ শতাংশ ডাকঘর এলাকার তুলনায় কম। ২০২৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় গড় বার্ষিক প্রিমিয়াম ছিল ২২০০ ডলার যা অন্য ৩০টি রাজ্যের তুলনায় কম। বীমা চুক্তিতে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ বা দাবী পরিশোধের প্রতিশ্রুতির প্রতিদানে যে অর্থ দেয় তাকে বলা হয় বীমা প্রিমিয়াম।

মূলত ক্যালিফোর্নিয়ার উচ্চ সম্পত্তি মূল্য বীমাকে তুলনামূলক সস্তা করে তুলেছে। প্যাসিফিক প্যালিসেডসের বাড়ির মালিকেরা গত বছর গড়ে ৫৪৫০ ডলার প্রিমিয়াম দিয়েছেন। তুলনামূলক এই সস্তা বীমার পেছনে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার নিয়ন্ত্রিত বীমা নীতি। কঠোর নিয়মের ফলে ক্যালিফোর্নিয়ায় বীমা সস্তা হলেও অনেক বীমা কোম্পানি তাদের কভারেজ কমিয়ে দিয়েছে।

এদিকে, দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে লস অ্যাঞ্জেলসের ২৭ হাজার একর জায়গা। বিশাল এই এলাকার একটি জিনিসও আগুন থেকে রক্ষা পায়নি। আর বুধবার হলিউড হিলসে শুরু হওয়া দাবানলের ভুক্তভোগী হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে হলিউডের নামী-দামী তারকারাও।

জেমস উড, জেনিফার অ্যানিস্টন, ব্র্যাডলি কুপার, টম হ্যাঙ্কস, বেন অ্যাফ্লেক, মাইকেল কিটন, অ্যাডাম স্যান্ডলারসহ অনেক সেলিব্রিটির বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন ঘরহারা। অভিনেত্রী ও মডেল প্যারিস হিলটনও দাবানলের জেরে গৃহহারা হয়েছেন।

তথ্যসূত্র : রয়টার্স।

বিশ্বকাপে ওঠার পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা করে

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:১৯ অপরাহ্ণ
বিশ্বকাপে ওঠার পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা করে

যুব হকি দল বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করে ওমান থেকে দেশে ফেরার দিন ফেডারেশন পুরো দলকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। পুরস্কারের অংক নিয়ে বেশ সমালোচনাও হয়েছিল। ঘোষিত সেই পুরস্কার দলের ২১ সদস্য (খেলোয়াড় ১৮, কোচ ১, ম্যানেজার ১, ফিজিও ১) হাতে পেলেন এক মাস পর, বৃহস্পতিবার।

তবে সেই পুরস্কারের পরিমাণ দ্বিগুনের চেয়েও বেশি। মোট ৫ লাখের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৫০ হাজার। প্রতিজন ৫০ হাজার করে।

বিমান বাহিনী ঘাঁটি কুর্মিটোলাতে বাংলাদেশ যুব হকি দলের ছেলে এবং মহিলা দুটি দলকেই এ অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ছেলেদের এশিয়ার কাপ শেষে ওমানেই হয়েছে মেয়েদের টুর্নামেন্ট।

বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে বাস্তবতা বুঝেছেন। তাদের কোছে কোনো প্রত্যাশাও ছিল না। এ অনুষ্ঠানে মেয়েদের শুধু ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়েছে।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সে সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেছেন, যুব দলকে বিশ্বকাপের আগে পাঁচ থেকে ছয় মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

তুরস্ককে বাংলাদেশের যুবশক্তি কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ
তুরস্ককে বাংলাদেশের যুবশক্তি কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্ককে তাদের প্রযুক্তি বাংলাদেশে নিয়ে আসা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কারখানা স্থানান্তর এবং যুবশক্তিকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বলাতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশকে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের যুবসমাজের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে এবং এ ব্যাপারে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন।

‌‘আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীকে সুযোগ দিতে আপনাদের সাহায্য চাচ্ছি; এটি আমার দেশের প্রতি আপনার দেশের প্রতি আবেদন,’ তিনি বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের তরুণদের ব্যবহার করে এখানে আপনার কারখানা পরিচালনা করুন, যেন আপনি এই অঞ্চলে পণ্য সরবরাহ করতে পারেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্ক পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি স্বপ্নের সম্পর্ক গড়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।

‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ; আমরা এটি সবক্ষেত্রে তৈরি করতে চাই,’ তিনি বলেন।

‘এখানে অনেক কিছু করার আছে। কিছু ক্ষেত্রে আমরা আপনাদের সহায়তা, প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ চাই।’

‘আপনারা প্রযুক্তিতে নেতা। আপনারা এখানে প্রতিরক্ষা শিল্প তৈরি করতে পারেন। আসুন শুরু করি… আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা প্রস্তুত,’ তিনি বলেন।

তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বলাত বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্ক টেক্সটাইল শিল্পের বাইরে তাদের সহযোগিতা বৈচিত্র্যময় করতে পারে, যা বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে তাদের প্রধান আমদানি পণ্য।

তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ক্ষেত্রেও অর্থনৈতিক সহযোগিতা হতে পারে।

‘আমরা বাংলাদেশে আমদানির ক্ষেত্রে ভারত এবং অন্যান্য বাজারকে প্রতিস্থাপন করতে পারি। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও সকল পর্যায়ে সহযোগিতা হতে পারে,’ তিনি বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের তুরস্কে রপ্তানি ছিল প্রায় ৫৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর আমদানি ছিল প্রায় ৪২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বর্তমানে প্রায় ২০টি বড় তুর্কি কোম্পানি বাংলাদেশে গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল, আনুষঙ্গিক পণ্য, রাসায়নিক, প্রকৌশল, নির্মাণ এবং জ্বালানি খাতে কাজ করছে।

বাংলাদেশে কার্যরত উল্লেখযোগ্য তুর্কি কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে তুর্কি এলপিজি কোম্পানি এওয়াইজিএজেড, কোকা-কোলা ইচেজেক এবং রেফ্রিজারেটর ও এসি নির্মাতা আরকিলিক (যারা সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড অধিগ্রহণ করেছে)।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা গত আগস্টে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের সঙ্গে তার টেলিফোন আলাপ এবং এরপরে অক্টোবরে তুরস্কের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন।

কমার্স উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সচিব লামিয়া মুরশেদ এবং বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।