খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ইতালিতে পুরস্কার জিতলো সুন্দরবনের বাঘ-বিধবার গল্প

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
ইতালিতে পুরস্কার জিতলো সুন্দরবনের বাঘ-বিধবার গল্প

ইতালির তেরনি চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে সুন্দরবনের বাঘ-বিধবার গল্প ‘দ্য টেস্ট অব হানি’। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও পৃথিবীর সবেচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বাসিন্দাদের নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশের দুই আলোকচিত্রী ফাবিহা মনির ও মোহাম্মদ রকিবুল হাসান।

নভেম্বরের ১৬ থেকে ২৪ তারিখ ইতালির আমব্রিয়া প্রদেশের তেরনি শহরে অনুষ্ঠিত হয় তেরনি চলচ্চিত্র উৎসব। এ বছর উৎসবের ২০তম আসরে ২৪টি দেশ থেকে জমা পড়েছিল ৩ হাজার সিনেমা। সেগুলোর মধ্য থেকে পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, তথ্যচিত্র, অ্যানিমেশন এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ঘরানার ৭৭টি ছবিকে প্রদর্শনীর জন্য বেছে নেওয়া হয়।

গত ২৩ নভেম্বর উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতাদের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়। ফাবিহা মনির ও মোহাম্মদ রকিবুল হাসানের পক্ষে ‘দ্য টেস্ট অব হানি’ ছবির পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পুরাধা ব্যক্তিত্ব আহমেদ মুজতবা জামাল। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক এই সংগঠক বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন তেরনি চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার বিতরণ পর্বে।

বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘দ্য টেস্ট অব হানি’। ইউরোপ থেকে সদ্য পুরস্কার জয়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পরিচালক ফাবিহা মনির জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই পুরস্কার আমাদের জন্য অনেক গর্বের। “দ্য টেস্ট অব হানি” চলচ্চিত্রের চেয়েও বেশি কিছু আমাদের কাছে। এটি শরবানু খাতুনের মতো নারীদের অদম্য টিকে থাকার দলিল, যারা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রাণশক্তিকে মূর্ত করে রেখেছেন। আমরা এই স্বীকৃতি উৎসর্গ করছি সুন্দরবনের মানুষ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব মোকাবেলায় যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাদের প্রতি।’

ছবির অন্যতম নির্মাতা খ্যাতিমান আলোকচিত্রী মোহাম্মদ রকিবুল হাসান বলেন, ‘এই পুরস্কার কেবল আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য একটি স্বীকৃতি নয় বরং সুন্দরবন, সেখানকার বাঘবিধবা, মধু সংগ্রহকারী এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে প্রতিদিন লড়াই করা মানুষের স্বীকৃতি। এই মানুষগুলোর গল্প সর্বজনীন এবং আমরা আশা করি, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে বিশ্বসম্প্রদায় ন্যায়বিচার করবেন।’

পৃথিবীর সবেচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বাসিন্দা শরবানু খাতুন একজন বাঘ-বিধবা। তার স্বামী বাঘের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। তার মতো বেশ কজন বাঘ-বিধবা সুন্দরবনে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রীতিমতো একঘরে করে রাখা হয়েছে তাদের। সুন্দরবনের এই নারীদের জীবনসংগ্রামের মোড়কে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে তথ্যচিত্র ‘দ্য টেস্ট অব হানি’। এর আগে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ছবিটি। সেসবের মধ্যে আফ্রিকা ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, পোল্যান্ডের ১৪তম অন আর্থ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, সিঙ্গাপুরের আর্থ েইন ফোকাস সিঙ্গাপুর ন্যাচার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, স্পেনের ভায়ান্যাচার এনভাইরনমেন্টাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।

ব্যাংকক মুভি অ্যাওয়ার্ডস, ইন্ডিয়ে ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, অ্যাক্টিভিস্ট উইদাউট বর্ডার প্ল্যাটফর্মগুলো স্বীকৃতি দিয়েছে ‘দ্য টেস্ট অব হানি’ ছবিটিকে। এবার ইতালির তেরনি চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতলো ছবিটি। ওই উৎসবে সেরা স্বলদৈর্ঘ্য ছবির পুরস্কার জিতেছে ‘ইন ইস্পিরিতো’ নামে আরও একটি ছবি।

গত ২৮ আগস্ট মোহাম্মদ রাকিবুল হাসানের ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম অবমুক্ত করা হয় ‘দ্য টেস্ট অব হানি’। পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুন্দরবন কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যেও টিকে আছে, সেখানকার বিধবা নারীরা কীভাবে গোলপাতা ও মধু সংগ্রহ করে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন, তার হৃদয়বিদারক ছবি দেখা যাবে এই তথ্যচিত্রে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।’

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।

নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে।

দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।

১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।