খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

ইতালিতে পুরস্কার জিতলো সুন্দরবনের বাঘ-বিধবার গল্প

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
ইতালিতে পুরস্কার জিতলো সুন্দরবনের বাঘ-বিধবার গল্প

ইতালির তেরনি চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে সুন্দরবনের বাঘ-বিধবার গল্প ‘দ্য টেস্ট অব হানি’। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও পৃথিবীর সবেচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বাসিন্দাদের নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশের দুই আলোকচিত্রী ফাবিহা মনির ও মোহাম্মদ রকিবুল হাসান।

নভেম্বরের ১৬ থেকে ২৪ তারিখ ইতালির আমব্রিয়া প্রদেশের তেরনি শহরে অনুষ্ঠিত হয় তেরনি চলচ্চিত্র উৎসব। এ বছর উৎসবের ২০তম আসরে ২৪টি দেশ থেকে জমা পড়েছিল ৩ হাজার সিনেমা। সেগুলোর মধ্য থেকে পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, তথ্যচিত্র, অ্যানিমেশন এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ঘরানার ৭৭টি ছবিকে প্রদর্শনীর জন্য বেছে নেওয়া হয়।

গত ২৩ নভেম্বর উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতাদের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়। ফাবিহা মনির ও মোহাম্মদ রকিবুল হাসানের পক্ষে ‘দ্য টেস্ট অব হানি’ ছবির পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পুরাধা ব্যক্তিত্ব আহমেদ মুজতবা জামাল। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক এই সংগঠক বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন তেরনি চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার বিতরণ পর্বে।

বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘দ্য টেস্ট অব হানি’। ইউরোপ থেকে সদ্য পুরস্কার জয়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পরিচালক ফাবিহা মনির জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই পুরস্কার আমাদের জন্য অনেক গর্বের। “দ্য টেস্ট অব হানি” চলচ্চিত্রের চেয়েও বেশি কিছু আমাদের কাছে। এটি শরবানু খাতুনের মতো নারীদের অদম্য টিকে থাকার দলিল, যারা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রাণশক্তিকে মূর্ত করে রেখেছেন। আমরা এই স্বীকৃতি উৎসর্গ করছি সুন্দরবনের মানুষ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব মোকাবেলায় যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাদের প্রতি।’

ছবির অন্যতম নির্মাতা খ্যাতিমান আলোকচিত্রী মোহাম্মদ রকিবুল হাসান বলেন, ‘এই পুরস্কার কেবল আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য একটি স্বীকৃতি নয় বরং সুন্দরবন, সেখানকার বাঘবিধবা, মধু সংগ্রহকারী এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে প্রতিদিন লড়াই করা মানুষের স্বীকৃতি। এই মানুষগুলোর গল্প সর্বজনীন এবং আমরা আশা করি, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে বিশ্বসম্প্রদায় ন্যায়বিচার করবেন।’

পৃথিবীর সবেচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বাসিন্দা শরবানু খাতুন একজন বাঘ-বিধবা। তার স্বামী বাঘের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। তার মতো বেশ কজন বাঘ-বিধবা সুন্দরবনে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রীতিমতো একঘরে করে রাখা হয়েছে তাদের। সুন্দরবনের এই নারীদের জীবনসংগ্রামের মোড়কে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে তথ্যচিত্র ‘দ্য টেস্ট অব হানি’। এর আগে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ছবিটি। সেসবের মধ্যে আফ্রিকা ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, পোল্যান্ডের ১৪তম অন আর্থ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, সিঙ্গাপুরের আর্থ েইন ফোকাস সিঙ্গাপুর ন্যাচার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, স্পেনের ভায়ান্যাচার এনভাইরনমেন্টাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।

ব্যাংকক মুভি অ্যাওয়ার্ডস, ইন্ডিয়ে ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, অ্যাক্টিভিস্ট উইদাউট বর্ডার প্ল্যাটফর্মগুলো স্বীকৃতি দিয়েছে ‘দ্য টেস্ট অব হানি’ ছবিটিকে। এবার ইতালির তেরনি চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতলো ছবিটি। ওই উৎসবে সেরা স্বলদৈর্ঘ্য ছবির পুরস্কার জিতেছে ‘ইন ইস্পিরিতো’ নামে আরও একটি ছবি।

গত ২৮ আগস্ট মোহাম্মদ রাকিবুল হাসানের ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম অবমুক্ত করা হয় ‘দ্য টেস্ট অব হানি’। পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুন্দরবন কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যেও টিকে আছে, সেখানকার বিধবা নারীরা কীভাবে গোলপাতা ও মধু সংগ্রহ করে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন, তার হৃদয়বিদারক ছবি দেখা যাবে এই তথ্যচিত্রে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।