খুঁজুন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘সত্যের সৌন্দর্য হলো ষড়যন্ত্রের ওপর জয়লাভ করে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:৪১ অপরাহ্ণ
‘সত্যের সৌন্দর্য হলো ষড়যন্ত্রের ওপর জয়লাভ করে’

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে অবশেষে ন্যায্যতা বিজয়ী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, সত্যের সৌন্দর্য হলো, এটি অনিবার্যভাবে প্রচার এবং ষড়যন্ত্রের ওপর জয়লাভ করে। আমাদের এ বিশ্বাস দেয়, অবশেষে ন্যায় ও ন্যায্যতা বিজয়ী হয়।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ রায়ে তারেক রহমানসহ সবাই খালাস পেয়েছেন। মূলত এ রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন তারেক রহমান।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সত্যের সৌন্দর্য হলো, এটি অনিবার্যভাবে প্রচার এবং ষড়যন্ত্রের ওপর জয়লাভ করে। আমাদের এ বিশ্বাস দেয়, অবশেষে ন্যায় ও ন্যায্যতা বিজয়ী হয়। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান ঘটাতে। ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করি, যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কারও জীবন বা পরিবার ধ্বংস হবে না।’

তারেক রহমান আরও লেখেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের চেতনাকে সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। যা বিশ্বাস এবং মতাদর্শের বৈচিত্র্যের ওপর ভর করে বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনী অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়। সে যাত্রায় আমরা আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সব নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল এবং নিয়মভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা করি।’

ফ্যাসিস্টের সহযোগী বলায় কাঠগড়ায় কাঁদলেন নুসরাত ফারিয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ২:০০ অপরাহ্ণ
ফ্যাসিস্টের সহযোগী বলায় কাঠগড়ায় কাঁদলেন নুসরাত ফারিয়া

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজধানীর ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় দুই বাংলায় অশ্লীলতার জন্য বিতর্কিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক। এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা ১০টার পর তাকে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়।

এ সময় তাকে এজলাসের কাঠগড়ায় রাখা হয়। শুনানি চলাকালে কাঠগড়ায় নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী নুসরাত ফারিয়াকে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়ে আদালতে শুনানি করেন। শুনানি চলাকালে চোখ মুছতে দেখা যায় নুসরাত ফারিয়াকে।

এ সময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করে তার আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তার জামিন বিষয়ে আরও শুনানির জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেন।

এর আগে গতকাল রোববার (১৮ মে) দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় নুসরাত ফারিয়াকে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানী ঢাকার ভাটারা থানা এলাকায় হওয়া এক হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আশনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয় শিল্পীকে আসামি করা হয়।

গত ২৮ এপ্রিল আদালতের আদেশের পরদিন ভাটারা থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে নুসরাত ফারিয়াকে।

রেডিও জকি (আরজে) হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন নুসরাত ফারিয়া। এরপর ২০১৩ সালে নাম লেখান উপস্থাপক হিসেবে। কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার আশিকী সিনেমায় বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার। প্রথম সিনেমাতেই সাড়া ফেলে দেন তিনি। এরপর ঢালিউড ও টালিউড মিলিয়ে প্রায় ২০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

দেশ ছাড়লেন পার্থর স্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
দেশ ছাড়লেন পার্থর স্ত্রী

অবশেষে বিদেশ গেলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিন। সঙ্গে রয়েছেন তার ছোট মেয়ে মদিনা বিনতে আন্দালিব।

রোববার দুপুরে টিজি-৩২২ ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য তিনি ব্যাংকক যান।

এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তার গতিরোধ করেছিল।

তবে কী কারণে তাকে সেদিন যেতে দেয়া হয়নি তা এখনো স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ পরিবারের সদস্য শেখ হেলালের মেয়ে হওয়ার কারণেই হয়তো তাকে আটকে দেয়া হয়েছিল।

এ ব্যাপারে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এটা আগেও বলেছি। আইন মেনেই আমার পরিবারের সদস্যরা ব্যাংকক গেছে।

ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ণ
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার (১৮ মে) বিকেলে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এসময়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. আক্রাম হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মেরাজ উদ্দিন (সার্কেল-১), মো. আহসান হাবিব (বিদ্যুৎ, জোন-১/ক), রমনা কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অপর্না রায় দাসসহ কালী মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে কালী মন্দির ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদে তল্লাশি জোরদার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে কবি সুফিয়া কামাল হল সংলগ্ন ফুট ওভারব্রীজে ওঠা-নামার সিঁড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে এক প্রান্ত হলের অভ্যন্তরে এবং অপর প্রান্ত কার্জন হলের অভ্যন্তরে স্থাপনের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। শিগগিরই এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

এর আগে, দুপুরে শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বকস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, নিহত সাম্যের বন্ধু ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল আলম রাফি ও সাম্যের আরেক বন্ধু এস এম নাহিয়ান ইসলাম।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। এই বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ (রবিবার) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দ্রুত শেষ করতে উপদেষ্টার সহায়তা চেয়েছি।

উপাচার্য আরও বলেন, এই হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এছাড়া, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।