খুঁজুন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ, ১৪৩১

ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র: বিজেপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ
ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র: বিজেপি

ট্রাম্প প্রশাসন আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দিকে সরাসরি অভিযোগের তীর ছুড়ল ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদীর দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র খোলাখুলিভাবেই বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ভারতকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজেপির এমন অভিযোগ এটাই প্রথম।

তাদের দাবি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি দল এবং বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর যোগসাজশে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেট’ মোদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত বলেন, “এটা সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি এজেন্ডা ছিল। তারা ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় বাধা সৃষ্টি করার জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং অপপ্রচারমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।”

বিজেপি বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও বিষোদগার করেছে। কারণ রাহুল গান্ধী বিশ্বজুড়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ (ওসিসিআরপি) এর বিভিন্ন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মোদীর সমালোচনা করেন।

বিজেপির অভিযোগ, ওসিসিআরপির প্রতিবেদনগুলোতে মোদী সরকারের সঙ্গে আদানি গ্রুপের ঘনিষ্ঠতার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মনগড়া ও ভিত্তিহীন এর কোনও প্রমাণ নেই।

ওসিসিআরপির প্রতিবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়, বিজেপি সরকারের হ্যাকাররা ইসরায়েলের তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে তাদের সমালোচকদের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে। তবে বিজেপি সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে।

বিজেপির মুখপাত্র ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বলেন, ওসিসিআরপি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) এবং ‘ডিপ স্টেট’ এর বিভিন্ন ব্যক্তি যেমন জর্জ সোরোসের আর্থিক সহায়তা পায়।

বিজেপি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে সরকারে আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়া ‘ডিপ স্টেট’ মোদীর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে ভারতের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় এবং তাদের এই উদ্দেশ্য স্পষ্ট।

বিজেপির দাবি, ওসিসিআরপি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেট’র এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য একটি ‘মিডিয়া টুল’ হিসাবে কাজ করে।

সম্বিত পাত্র বলেন, “একটি ফরাসি অনুসন্ধানী মিডিয়া গ্রুপ প্রকাশ করেছে, ওসিসিআরপির ৫০ শতাংশ তহবিল সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে আসে।”

এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, তাদের সরকার সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে অর্থ সহায়তা দেয়। তবে কোনও প্রতিষ্ঠানের সম্পাদনা সিদ্ধান্ত বা দিকনির্দেশনাকে প্রভাবিত করে না।

ওই মুখপাত্র বলেন, “ভারতের শাসক দলের পক্ষ থেকে এই ধরনের অভিযোগ করা দুঃখজনক।”

ওসিসিআরপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা একটি স্বাধীন গণমাধ্যম এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র সরকার কিছু অর্থসহায়তা দিলেও, আমাদের সম্পাদকীয় প্রক্রিয়া এবং প্রতিবেদনের ওপর তাদের কোনও প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণ নেই।”

সম্বিত পাত্র রাহুল গান্ধীকেও ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের দেশদ্রোহী’ হিসাবে অভিযুক্ত করেন। তার আরও অভিযোগ, কংগ্রেস ও আমেরিকার কিছু এজেন্সি এবং বিলিয়নিয়ার জর্জ সোরোস মিলে একটি ‘বিপজ্জনক ত্রিমুখী জোট’ তৈরি করেছে, যার উদ্দেশ্য ভারতের স্থিতিশীলতা নষ্ট করা।

সম্বিত পাত্রের অভিযোগটি তার দলের সহকর্মী নিশিকান্ত দুবে পরে ভারতের পার্লামেন্ট লোকসভায়ও তুলে ধরেন। তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ করেন।

তার দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি ‘ঘৃণা’ থেকে কংগ্রেস বিজেপি সরকারের অগ্রগতি ব্যাহত করতে চায়।

নিশিকান্ত দুবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিতর্কিত’ ব্যবসায়ী জর্জ সোরোসের সঙ্গে বৈঠকের জন্য বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করার আহ্বান জানান। সোরোসকে তিনি ‘নিয়মিতভাবে অন্যান্য দেশের অর্থনীতি ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রকারী’ হিসাবে উল্লেখ করেন।

এছাড়া রাহুল গান্ধী আমেরিকান আইনপ্রণেতা ইলহান ওমরের সঙ্গেও গোপন বৈঠক করেছেন বলে দাবি দুবের। ইলহান ওমর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তার সরকারের তীব্র বিরোধিতা করেন।

দুবে বলেন, “কংগ্রেসকে উত্তর দিতে হবে। রাহুল গান্ধীর বিদেশ সফরে, যারা ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন, তাদের সঙ্গে তার কী আলোচনা হয়েছে।”

এর জবাবে কংগ্রেস তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বিজেপির এই অভিযোগকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছে। কংগ্রেসের পার্লামেন্ট সদস্য শশী থারুর নিশিকান্ত দুবের এবং তার ‘অগ্রহণযোগ্য মন্তব্যে’রও কঠোরভাবে সমালোচনা করেন।

থারুর বলেন, “প্রথমত, কাউকে মানহানিকরভাবে আক্রমণ করা যায় না। দ্বিতীয়ত, কারও নাম নেওয়ার আগে লিখিত নোটিস দিতে হয়। তৃতীয়ত, সংসদীয় বিশেষাধিকারের অপমান করা যায় না। তিনি এই তিনটি নিয়মই লঙ্ঘন করেছেন এবং তাকে দীর্ঘসময় ধরে কথা বলতে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। প্রথমে সংসদ মুলতবি করা হয়। পরে আমরা স্পিকারের কাছে গিয়ে বলি, এটি সংসদের রেকর্ড থেকে বাদ দিতে হবে এবং ওই ব্যক্তি ক্ষমা চাইতে হবে।”

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপির এমন অভিযোগ বেশ চমকপ্রদ। কারণ গত দুই দশকে নয়া দিল্লি ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে এবং উভয় দেশ নিজেদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তবে সম্প্রতি (গত ২০ নভেম্বর) আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং তার সাত সহযোগীকে যুক্তরাষ্ট্রে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। যদিও আদানি গ্রুপ এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। এরপর থেকেই ভারতের মোদী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।

আধুনিক বিআরটিসির রূপকার তাজুল ইসলাম

কল্যাণপুর বিআরটিসিতে নবনির্মিত পিওএল ভবন উদ্বোধন

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:২১ অপরাহ্ণ
কল্যাণপুর বিআরটিসিতে নবনির্মিত পিওএল ভবন উদ্বোধন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন তথা বিআরটিসি’র গুরুত্বপূর্ণ ডিপো কল্যাণপুর বাস ডিপোর আধুনিক কাঠামো উদ্বোধন করেছেন বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম। অবশ্য তাজুল ইসলামকে সবাই আধুনিক বিআরটিসি’র রুপকার হিসেবেই জানেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও জনকল্যাণমুখী খাত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বা বিআরটিসি। আর এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম অংশীদার কল্যাণপুর বিআরটিসি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। রোববার (২২ ডিসেম্বর) কল্যানপুর বাস ডিপোতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক স্থাপনার উদ্বোধন করা হয়।

ডিপোর কর্মঠ ও বিচক্ষণ ম্যানেজার (অপারেশন) জনাব মোঃ শাহরিয়ার বুলবুল এর সুদক্ষ পরিচালনায় এগিয়ে যাচ্ছে কল্যাণপুর ডিপোটি। সেখানে ২.৮০ একর যায়গা জুড়ে রয়েছে বিশাল একটি মাঠ- যেখানে প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আধুনিক সাজে সজ্জিত করতে নতুন ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ কর্মসূচী।

এদিনের উদ্বোধনী প্রধান বিষয়গুলো হলোঃ
১.ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও আধুনিক ক্লাসরুম
২.ওয়ার্কিং শেড এবং ইয়ার্ড
৩.জ্বালানী শাখার নবনির্মিত ভবন (পিওএল)
৪.বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী ইত্যাদি।

কারিগরি ওয়ার্কিং শেডঃ
কল্যাণপুর ডিপোর ৩৬০/৪০ ফিট কারিগরি ওয়ার্কিং শেড নির্মাণ করে সুন্দর কর্মপরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখন বৃষ্টি হলেও কারিগররা একসাথে ১৫/২০ টি গাড়ির মেরামত কাজ করতে পারেন। আর এই উন্নয়ন কাজে ব্যয় হয়েছে ৪০ লাখ ৭০ হাজার ৭২১ টাকা।

পিওএল ভবনঃ
ডিপোতে জ্বালানী শাখা বা পিওএল শাখায় ৬০/১৫ ফিট ৩ রুম বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। একই সাথে ১২ হাজার ৩৬০ স্কয়ার ফিট ইয়ার্ড মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৪৬ লাখ ১ হাজার ১৭১ টাকা।

এছাড়াও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সহ নানাবিধ কাজে তারা সবসময় তৎপর।পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করেছে তারা।

অনুষ্ঠানে ডিপোর সাধারণ কর্মচারীদের মধ্য থেকে মতামত জানানোর জন্য বলা হয়। ঠিক এই সময়ে বাস্তবভিত্তিক ঝাঁঝালো অনুভূতি প্রকাশ করেন তারা। তাদের অনেকেই বলেন, “স্যার আপনাদের সহযোগিতা ও মনোবলই আমাদেরকে শক্তি যোগায়। জনাব তাজুল ইসলাম স্যার যতদিন আছেন- আমরা সন্তুষ্ট। আমাদেরকে আর বেতন- ভাতার জন্য আন্দোলন করতে হয়নি। আমরা চাই, আপনি চলে গেলে যেনো সেই আগের দুর্দিন পুনরায় ফিরে না আসে।”

মূলত পুরাতন জরাজীর্ণ অপুষ্টিতে ভোগা বিআরটিসিকে আধুনিক সাজে সজ্জিত করতেই বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম এর নির্দেশনায় ডিপো ম্যানেজার মোঃ শাহরিয়ার বুলবুল উপরিউক্ত এজেন্ডা গুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেন।

এবিষয়ে বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের এই বিআরটিসি প্রতিষ্ঠানটি বহু পুরোনো। কিন্তু সেই ধরনের কোনো উন্নয়ন আমাদের চোখে পড়েনি। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল ডিপো, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং মেরামত কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা রিকভারি করছি, আমাদের অধিকাংশ কাজ শেষের দিকে। আশা করছি শীঘ্রই আমাদের বাকি কাজগুলো আমরা শেষ করতে পারবো।”

অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজন করা হয় শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা। ডিপো ম্যানেজার মোঃ শাহরিয়ার বুলবুলের শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর বিআরটিসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।

এদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ড.অনুপম সাহা, পরিচালক(অর্থ ও হিসাব), ব্রি. মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার পিএসসি, পরিচালক (কারিগরি) সহ অনেকেই। বক্তারা বিআরটিসি’র উন্নয়নের সার্বিক চিত্র ও মাননীয় চেয়ারম্যানের একনিষ্ঠতার বাস্তবিক চিত্র তুলে ধরেন।

বিশেষ করে বিআরটিসির মাননীয় চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম অসাধারণ দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, “বিআরটিসি দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান। তাই চাইলে এখান থেকে দেশকে অনেক কিছু দেয়ার সুযোগ আছে। প্রয়োজন শুধু সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে পারা। আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমার সর্বোচ্চটা করে যাচ্ছি। আমি চলে গেলেও যেনো এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে, কোনোভাবেই যেনো থমকে না যায়। সেজন্য আপনাদেরই সজাগ থাকতে হবে।”

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।