খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

মানবাধিকার নিশ্চিত ও সকল গুম-খুনের বিচারের দাবিতে বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন

সরকারি বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:৫১ অপরাহ্ণ
মানবাধিকার নিশ্চিত ও সকল গুম-খুনের বিচারের দাবিতে বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার বাস্তবায়নের জন্যে মানববন্ধন ও আওয়ামী শাসনামলে যত গুম-খুন হয়েছে তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন করে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা।

এ সময় তারা উল্লেখ করেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে দেশের জনগণ মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। হাসিনার পতনের সঙ্গে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।দেশের বাহিরে থেকে যে উষ্কানি দিচ্ছে তা দেশের মানুষের জন্য চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। মানবাধিকার প্রতিটি মানুষের এমন এক ধরনের অধিকার যেটা তার জন্মগত ও অবিচ্ছেদ্য। মানুষমাত্রই এ অধিকার ভোগ করবে এবং চর্চা করবে।

বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রদল সভাপতি ইব্রাহিম বিপ্লব বলেন, “বিগত স্বৈরাচারের শাসন আমলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের যেভাবে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি সহ গুম ও খুন করা হয়েছে। তার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।এখনো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে তাদের ধরিয়ে দিন।তাদের পেলে আইনের হাতে সোপর্দ করুন।”

কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন সোহাগ বলেন, “আমাদের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আলিকে গুম করা হয়েছে। সারাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে এর বিচার দাবি করছি”

এসময় প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম হল সভাপতি কে.এম.ইব্রাহিম খলিল সহ শাখা ছাত্রদল নেতারা বলেন- “শেখ হাসিনা ১৫ বছর ধরে মানবতাবিরোধী, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েছে। হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ১৫ বছর মানবাধিকার কমিশনকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে। গুম-খুন, শারীরিক নির্যাতন এমন কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি‌ নেই। আমরা চাই, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি।”

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান, ছাত্রদল নেতা ফয়সাল ইসলাম, হাফিজুর রহমান হাফিজ, জোবায়ের আল মাহমুদ, সাব্বির রহমান প্রান্ত, হুমায়ুন কবির, আনোয়ার হোসেন আকাশ সহ অসংখ্য নেতাকর্মীরা।

সভাপতির বক্তব্য দেওয়া শেষে মানববন্ধনটি কলেজের প্রধান ফটকেই শেষ হয়।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।